Bandarban Diary - জুম ঘরে রান্না ও খাওয়া দাওয়া।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। বান্দরবান ডাইরির গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম রেমাক্রি জলপ্রপাতে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্তের গল্প। জলপ্রপাত থেকে এসে রাতের খাবার খেয়েছিলাম আমরা আদিবাসীদের বাড়িতেই।
এখানে ওদের সাথে আগেই মিটিয়ে নিতে হয় কয়জন খাবো আর কী খাব? ট্যুরে আসার পর থেকে বাইরে বাইরে খেয়ে আমাদের একটু অস্বস্তি লাগছিলো। পাহাড়িদের ঘরোয়া পরিবেশে তাদের হাতের রান্না খাওয়ার প্রতি একটা আলাদা আগ্রহ ছিলো আগে থেকেই। আমরা আলু ভর্তা, ডিমের তরকারি, ডাউল আর সাদা ভাত রান্না করতে বলেছিলাম।
প্রত্যেকটা জিনিসই পাহাড়িদের নিজস্ব। তারা নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ। সব কিছুই চাষাবাদ করে তারা। কিছু মসলাপাতি তারা বাহির থেকে কিনে নিয়ে আসে শুধু। ডিম এখানেই পাওয়া যায়। হয়তোবা ডাউল কিনে নিয়ে আসে তারা। বিভিন্ন রকম শাক সবজি, চাউল সবই তারা জুম চাষের মাধ্যমে উৎপাদন করে। যাই হোক রাতে জলপ্রপাত থেকে ঘুরে এসে রান্নাঘরে একটু ঢু মেরেছিলাম।
নিজের চোখে তাদের রান্না দেখলাম। রান্নাঘর বেশ সাজানো গোছানো। রান্নাঘরটাও কিন্তু জুম ঘর। পাহাড়ের একটা সাইডে বাঁশ দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা ঘর। আমরা যখন রান্নাঘরে গেলাম তখন দেখলাম আলু ভর্তা করছে আর ওদিকে চুলায় রান্না চলছে। রান্না করা দেখেই বুঝে ফেলেছিলাম খাবারটা হয়তো বেশ জমজমাট হবে।
আমরা আবার উঠানে চলে গেলাম। গল্পগুজব আড্ডা দিতে দিতে খাবারের সময় হয়ে গেল। রান্না শেষ করেই তারা আমাদেরকে ডাক দিলেন। খাবারের জন্য আলাদা চেয়ার টেবিল রাখা ছিলো রান্না ঘরের পাশে আরেকটা ছোট রুমে। সেখানে বসে খাবারের জন্য রেডি হয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ বাদেই ভাত ডাউল আলু ভর্তা আর ডিমের তরকারি এসে হাজির।
পাহাড়ি জুমের চাউল জীবনের প্রথম খেয়েছি সেদিন। প্রথমেই আলু ভর্তা নিয়ে খেলাম। ভাবলাম অল্প একটু খাব আলু ভর্তা দিয়ে। আলু ভর্তার টেস্ট দেখে প্রায় এক প্লেট সাভার করে দিলাম শুধু আলু ভর্তা দিয়েই। আমরা আগেই বলে রেখেছিলাম আমরা একটু ঝাল বেশি খাই, ঝাল বেশি করে দিবেন। ডিমের তরকারি, ডাল আলু ভর্তা সবকিছুতেই ঝাল বাড়িয়ে দিয়েছে যার কারণে আরো বেশি আরাম করে খেতে পেরেছি আমরা।
ডিমের তরকারিটা এতটাই ভালো লেগেছিল সবার কাছে যে মনে হচ্ছে সবাই দু তিনদিন পরে ভাত খাচ্ছে। আমরা প্রত্যেকেই স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি খেয়েছি সেদিন। বিশেষ করে আলু দিয়ে ডিমের ঝোল মারাত্মক ছিলো।
ট্যুরে এসে এই খাওয়ার আগে যতবার খেয়েছি কোন বারেই এতটা তৃপ্তি পাইনি খেয়ে। পাহাড়ে গিয়ে একটা বাড়িতে খেয়েছি এটা মনে রাখার জন্য এই খাবারটা যথেষ্ট ছিলো। পরিশেষে ডাউল দিয়ে খেয়ে খাওয়ার পর্ব শেষ করলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে উঠোনে এসে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা চলল।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Congratulations, your post has been upvoted by @upex with a 1.13% upvote. We invite you to continue producing quality content and join our Discord community here. Keep up the good work! #upex
ওয়াও অসাধারণ ভাই আসলে তো তাদের রানা ঘড় টা অন্যরকম দেখতে ৷ তবে পাহাড়িদের জীবন যাপন একটু আলাদা হলেও ৷ তাদের খাদ্যভ্যাস দেখি পুরো বাঙালি আইটেম ৷ ডাল ,আলুর ভর্তা আবার ডিম দারুন দারুন ৷ দেখে তো বোঝা যাচ্ছে অনেক ঝাল হয়েছে ৷ আলুর ভর্তা দিয়ে এক প্লেট ভাত সাভার করে ফেলেছেন ৷ শুনে দারুন লাগলো ৷
যা হোক অনেক সুন্দর একটি ব্লগ উপস্থাপনা করলেন ৷ সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাই ৷
বাহ্! এককথায় দুর্দান্ত লেগেছে পোস্টটি পড়ে। তাদের রান্না ঘরটা তো বেশ সাজানো গোছানো। আলু ভর্তা দিয়েই যেহেতু এক প্লেট ভাত খেয়ে ফেলেছেন,তাহলে বুঝাই যাচ্ছে কতোটা সুস্বাদু হয়েছিল। ডিম তরকারি এভাবে রান্না করলে খেতে দারুণ লাগে। সবাই মিলে একেবারে তৃপ্তি সহকারে খাওয়া দাওয়া করতে পেরেছেন, এটা জেনে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।