কলকাতার বিখ্যাত নিজামীর কাঠি কাবাব রোল।steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজ আমি কলকাতার আরো একটি পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। গত পর্বে আপনাদেরকে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম সম্পর্কে বলেছি আর কিছু ছবি শেয়ার করেছি। সিকোয়েন্স অনুযায়ী এই পর্বে আমি ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম থেকে বেরোনোর পর যেই জায়গাটিতে গিয়েছিলাম সে বিষয়ে শেয়ার করব।

বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আমরা মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে ছিলাম। প্রচন্ড গরম পড়ছিল তাই ঠান্ডা কিছু খাওয়ার ইচ্ছা জাগলো। পাশে দেখতে পারলাম ঠান্ডা মাঠা বিক্রি করছে। দেখেই আর লোভ সামলাতে পারলাম না চারজন চার কাপ নিয়ে নিলাম। খেয়ে একদম দিল ঠান্ডা হয়ে গেল। এরপর একটু এনার্জি ফিরে পেলাম।

1684123129254-01.jpeg

1684123062804-01.jpeg

আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল নিজামীর রেস্টুরেন্টে যাওয়া। নির্মাল্য ভাইয়ের মুখে শুনেছি ওখানে নাকি কলকাতার বিখ্যাত কাঠি কাবাব রোল পাওয়া যায়। সারা কলকাতা ব্যাপি এটার নাম ডাক আছে খুব। যাইহোক হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম সেই নিজামীর দোকানের সামনে। যাওয়ার সময় কলকাতা পৌরসভা পার দিয়ে যেতে হয়। এটা ছিল বিশাল বড় আর অনেক পুরনো। আর ওই জায়গা থেকেই হালকা গুরাগুরি বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। সব মিলিয়ে পরিবেশটা বেশ ভালই ছিল। কলকাতা পৌরসভার পার দিয়ে আমরা নিজামীর দোকানে গিয়ে বসলাম।

1684123148833-01.jpeg

1684123167089-01.jpeg1684123188632-01.jpeg

বেশ সাজানো গুছানো পরিবেশ। প্রথমে ভাবলাম আমরা ভিতরে বসেই খাব। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত হলো আমরা বাহিরে গিয়ে খাব। আসলে আমরা এখানে যেটা খেতে এসেছি সেটা হল নিজামীর স্পেশাল কাঠি কাবাব রোল। এটার কথাই বলছিলাম। এটার জন্যই এই দোকানটি বিখ্যাত। অর্ডার দিয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলাম। তারা ইনস্ট্যান্ট বানিয়ে দিচ্ছে। আগে থেকে রেডি করে রাখা হয় না। একদম গরম গরম টাটকা কাঠি রোল।

1684123206863-01.jpeg

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমরা বাইরের সাইডে গেলাম। এরপর পেমেন্ট করলাম আর বাইরের সাইড থেকেই রিসিভ করলাম চারটি কাঠি কাবাব রোল। প্রথমে অবশ্য আমার কাছে তেমন ইন্টারেস্টিং মনে হয়নি। কারণ বাংলাদেশেও এরকম টা পাওয়া যায় অহরহ। কিন্তু আমার ভুলটা ভেঙেছে এক কামড় দেয়ার পর। আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে গল্প করতে করতেই খেয়েছি। একটা কোক নিয়েছিলাম সাথে। কোকের সাথে খেতে আরও বেশি ভালো লাগছিল। সাধারণত ভাজাপোড়া টাইপের কিছু খেলে আমি কোক কিনে নিই সাথে। দু চার কামোড় খাওয়ার পর এক ঢোক বা দুই ঢোক করে কোক খেতে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। অনেক তৃপ্তি পাই।

1684123239030-01.jpeg

1684123265070-01.jpeg

যাইহোক এবার আসি কাঠি রোলের স্বাদের ব্যাপারে। সত্যি বলতে আমি কল্পনা করিনি এত ভালো টেস্ট হতে পারে। বাংলাদেশে এরকম স্বাদের ফাস্টফুড টাইপের কোন কিছু আমি আগে কখনোই খাইনি। প্রত্যেকটা কামড় আলাদা আলাদা ভাবে অনুভব করছিলাম। সাথে পেঁয়াজ দেয়া ছিল এজন্য আরো বেশি মজা লাগছিল। সালাত হিসেবে পেঁয়াজ দেয় প্রত্যেকটা রোলের মধ্যে। হালকা গুরি গুরি বৃষ্টি পড়ছে আর আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে রোল আর কোক খাচ্ছিলাম। আমরা দাঁড়িয়েও ছিলাম কলকাতা পৌরসভার পাশেই।

আমাদের পরবর্তী প্ল্যান ছিল হাওড়া ব্রিজ দেখতে যাওয়া। এজন্য আমরা একটা ট্যাক্সি খুঁজছিলাম। একটা হলুদ ট্যাক্সি পেয়েও গেছিলাম। রোলের বাকি অংশ আমরা ট্যাক্সির মধ্যে বসেই খেয়েছিলাম। একটা খেলেই পেট ভরে যাওয়ার মত। যে দাম দিয়ে কিনেছি তাতে খাওয়ার পর এক্কেবারে স্যাটিসফাইড। প্রাইজিং এবং স্বাদ দুটোকেই ফাইভ স্টার দিলাম। এতটাই ভালো লেগেছিল যে কলকাতায় আরো একদিন স্টে করলে আবার ওখানে যেয়ে খেয়ে আসতাম। বাংলাদেশে এসেও মাঝে মধ্যে মনে হয় সেইম রোল যদি এখানেও পেতাম অবশ্যই মিস করতাম না।

1684123623132-01.jpeg

1684123639886-01.jpeg

1684123654441-01.jpeg

আশা করি আপনাদেরকে বোঝাতে পেরেছি আমরা কতটা পছন্দ করেছিলাম খাবারটা। @kingporos ভাইকে অনেক ধন্যবাদ এত দারুণ একটা অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য। ভাইয়ের সাথে আরো অনেক জায়গায় গিয়েছি সবই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমার পরবর্তী পর্ব হবে হাওড়া ব্রিজ নিয়ে। যেটা ছিল আমার কলকাতা ভ্রমণের অন্যতম একটা ভালো লাগার জায়গা। আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী পর্বে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

আপনাদের কলকাতায় গিয়ে এই এক সুবিধা হয়েছে কিং পরশ দা, উইংকেল দা আপনাদের বিভিন্ন বিখ্যাত জায়গা চিনিয়ে দিতে পেরেছে। আমরা যখন গিয়েছিলাম চিনতে না পারার কারণে অনেক জায়গাতেই যাওয়া হয়নি। যাইহোক কাঠি কাবাবের বর্ণনা যেভাবে দিলেন আমরাই তো খেতে ইচ্ছা করছে। আশা করি পরবর্তীতে কখনো গেলে নিশ্চয় এখানে গিয়ে কাঠি কাবাব খাবো। ভালো লাগলো আপনাদের অভিজ্ঞতা শুনে।

 2 years ago 

গুরি গুরি বৃষ্টি আর মজার কাঠি কাবাব রোল দুটো মিলেমিশে তো দারুন সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। আসলে এমন কিছু রেস্টুরেন্ট আছে যেগুলো নির্দিষ্ট খাবারের জন্যই অনেক বেশি বিখ্যাত হয়। হয়তো বাংলাদেশে অনেক ধরনের রোল পাওয়া যায়। কিন্তু সেই খাবারের স্বাদ আর সেই বিখ্যাত রেস্টুরেন্টের খাবারের স্বাদ একেবারেই আলাদা হবে। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে।

 2 years ago 

এরকম দুজন প্রিয় মানুষ যদি পাশে থাকে তাহলে তো সম্পন্ন কলিকাতা চুষে বেড়ানো সম্ভব। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে তো মনে হচেছ যে, কলিকাতায় কোন জ্যাম নেই। কিন্তু কষ্টের বিষয় হলো রোজা রেখে এমন সব কাঠি কাবাব আর মাঠা দেখলে কেমন কেমন লাগে। হা হা হা

 2 years ago 

আপনার কাছে কাঠি কাবাব রোলের প্রশংসা শুনে আমারও তো খেতে ইচ্ছে করছে। নিশ্চয়ই খাবারটা বেশ দারুন ছিল। আর আপনাদের প্রতিটা পর্ব গুলো পড়ে বুঝতে পারছি আপনারা কলকাতায় গিয়ে বেশ ভালই এনজয় করেছিলেন। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আজকের পর্বে কলকাতার বিখ্যাত নিজামীর কাঠি কাবাব খাওয়ার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ভাইয়া, ঠান্ডা খেয়ে দিল ঠান্ডা করে পুরো এনার্জি নিয়েই কলকাতার বিখ্যাত নিজামীর কাঠি কাবাব খেতে গিয়েছিলেন আপনারা। আসলে ভাইয়া নামকরা জায়গার খাবারগুলো সব সময় সেরা মানে হয়ে থাকে। নিজামীর বিখ্যাত কাঠি কাবাব খাওয়ার সময় আপনার কোক খাওয়ার বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।কলকাতার বিখ্যাত নিজামীর কাঠি কাবাব রোল খাওয়ার মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আমি কলকাতা গেলাম কিন্তু কাঠি কাবাব কোথায় জানতাম না। তবে হয়তো খেয়ে দেখা যেত।আসলে দাদারা ছিল বলে আপ্নারা বিশেষ জায়গা, বিশেষ খাবার গুলো খেয়ে দেখতে পেরেছেন।খুব ভাল লাগলো বর্ননা পড়ে। মনে হয় খেতে পারতাম যদি। যাই হোক খাব ইনশা আল্লাহ পরবর্তীতে।অনুভূতিগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.09
TRX 0.32
JST 0.033
BTC 107725.12
ETH 3830.34
USDT 1.00
SBD 0.62