প্রকৃতি বাঁচান - জীবন বাঁচান।

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)

হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমাদের ভালো থাকা মন্দ থাকা আশেপাশের পরিবেশের সাথে দারুণভাবে সম্পর্ক রয়েছে। পরিবেশের অবস্থা আমাদের মন এবং স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। কিন্তু পরিবেশকে আমরা প্রতিনিয়তই নোংরা করে ফেলছি। চির সবুজ পৃথিবীকে আমরা অবহেলায় হারিয়ে ফেলছি। আজ থেকে এক যুগ আগের পৃথিবীর ছবি আর এখনকার ছবি দেখলেই বুঝা যায় কতটা নিষ্প্রাণ হয়ে পড়েছে আমাদের এই প্রিয় পৃথিবীটা।

প্রতিনিয়ত নানান রকম সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে মানুষ। এগুলোর জন্য দায়ি আমরা মানুষেরাই । এমন নয় যে পরিবেশকে আর পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এটা সম্ভব কিন্তু সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। জাতিসংঘ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে যদি এগুলোতে গুরুত্ব না দেয়া হয় তাহলে কোন লাভ নেই। এখানে তৃণমূল পর্যায়ের প্রত্যেকটা মানুষেরই কিছু করার আছে। প্রত্যেকেরই তার নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। প্রকৃতিকে সুস্থ রাখতে আমাদের কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে। প্রতিনিয়ত যে পরিমাণ গাড়ি-ঘোড়া বাড়ছে তাতে বিষয়টি উল্টো ঘটছে।

কল্পনা করুন আপনি একটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। দু'ধারে সবুজ গাছপালা মাঝখান দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তা। আপনি হেঁটে যাচ্ছেন কেউ সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। কোন হর্ন নেই, কোন কার্বন নিঃসৃত হচ্ছে না, কোন জ্বালানীর অপচয় ঘটছে না, এমনকি ধূলি দূষণ ও হচ্ছে না। এমনটা যদি সত্যি হতো আমাদের পৃথিবীটা অনেক সুস্থ থাকতো। আর আমাদের পৃথিবী সুস্থ থাকা মানে আমাদের সুস্থ থাকা। এজন্য আমাদের যতটুকু ক্ষমতা ততটুকুর মধ্যে থেকেই চেষ্টা করতে হবে ভালো কিছু করার। আমাদের পরিবেশ বান্ধব পণ্য ব্যবহার করা শিখতে হবে। সেটাই বেঁছে নিতে হবে যেটা অধিক টেকসই, যেন দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়।

নিজেরা ভালো থাকার চেষ্টা করার পাশাপাশি অন্যান্য জীবকেও নিরাপদে থাকতে দিতে হবে। তাদের প্রাকৃতিক বাসস্থানগুলোকে নিরাপদে থাকতে দিতে হবে। আমাদের প্রত্যেকেরই বেশি বেশি গাছ লাগানো উচিত। আমার নিজের বেলাতেও এই বিষয়ে খুবই খামতি রয়েছে। আমাদের জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজনে যে পরিমাণ গাছ কাটা হচ্ছে তা থেকে অধিক গাছ পুনরায় লাগিয়ে দেওয়া উচিত। যেভাবে বোন উজার হচ্ছে সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এর ভবিষ্যৎ পরিণাম খুব খারাপ হবে।

এরপরে আরো একটি বড় যেই সমস্যা সেটা হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার। তবে কিছু আশার আলো দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন কোম্পানি রিসাইকেলিং করতে শুরু করেছে। প্লাস্টিক কখনোই পঁচে না মাটির নিচে থেকে। এটা পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে আর অবশ্যই রিসাইকেলিং ব্যবস্থা রাখতে হবে। সরকার কর্তৃক এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা অতীব জরুরী। এরপর যে ব্যাপারটি আসে সেটি হচ্ছে কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাস করা। জৈব সার ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে আমরা বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করতে শুরু করেছি অনেক আগে থেকেই। কীটনাশক আর জৈব সার ব্যবহারের একটা ব্যালান্সিং অবস্থান তৈরি করতে হবে। এতে খাদ্য চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না আবার প্রকৃতির জন্য খুবই ভালো হবে।

আমরা যে পরিমাণ খাদ্য অপচয় করি প্রতিনিয়ত, এটি নিয়ন্ত্রণে অতিসত্বর প্রত্যেকটা মানুষকেই সচেতন হতে হবে। খাদ্য উৎপাদন করতে অনেকগুলো প্রসেস পার করে আসতে হয়। এখানে কীটনাশকের অনেক ব্যবহার হয়, অনেক কৃষিভিত্তিক মেশিনের ব্যবহার ও হয়ে থাকে। এজন্য খাদ্য অপচয় রোধ করলে আমরা অল্প উৎপাদনে বেশি দিন সার্ভাইভ করতে পারব। আজকে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করলাম এগুলোর গুরুত্ব ব্যাপক। আমি আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আমি চিন্তা করছি এ বিষয়ে আরো একটি পোস্ট লিখব যেখানে আরো অনেকগুলো পয়েন্ট উল্লেখ রাখবো। আজকের মত আল্লাহ্ হাফেজ।

field-176602_1280 (1).jpg
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

সবুজ শ্যামল প্রকৃতি দিন হারিয়ে যাচ্ছে। দূষণমুক্ত একটা পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আর এই দূষণের জন্য আমরা সকলেই দায়ী। কারণ আমরা অনিয়ন্ত্রিতভাবে সবকিছু করছি। প্লাস্টিকের অপব্যবহারের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে মাটির। তাছাড়া গাছপালা নির্বিচারে কাটার কারণেও পরিবেশের এই দুরবস্থা। যাই হোক আমরা সকলে সচেতন হলেই আমাদের পরিবেশটা সুন্দর থাকবে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আলোচনা করেছেন ভাই।

 last year 

দাদা আজকে যে বিষয়গুলো নিয়ে তুমি আলোচনা করেছ সত্যিই তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আমাদের জন্য। প্রকৃতি জীবনের জন্য , প্রকৃতি ছাড়া জীবনের অস্তিত্ব টিকে থাকতেই পারবে না। সবকিছু জেনেও আমরা নিয়মিত প্রকৃতির সাথে অন্যায় করে থাকি। আমরা আমাদের নিজেদের স্বার্থ পূরণের জন্য প্রকৃতিকে দিন দিন ধ্বংস করে ফেলছি। ওভারঅল এই ঘটনাগুলো আমাদের জন্যই বিপদজনক। আমাদের ভুলের কারণেই আমরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হই। প্রাকৃতিক দূষণ প্রতিরোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার করবো কি করবো না সেটা ১০ বার ভেবে দেখতে হবে আমাদের সবাইকে।গাছ লাগানোর কোন বিকল্প নেই তাই বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে এবং গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে পরিবেশ বিষয়ে ।একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এগুলো আমাদের কর্তব্য। শুধু সরকারকে সচেতন হলেই চলবে না সাধারণ জনগণের মধ্যেও সচেতনতা নিয়ে আসতে হবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা এত গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ভাই আপনি যে বিষয় গুলোর কথা উল্লেখ করলেন তার বেশির ভাগই আমরা জানি কিন্তু মানি না। এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দেই। শুধা বাংলাদেশীরাই না সমগ্র পৃথিবীতেই মানুষ এখন প্রকৃতির জন্য ভাইরাসের মত হয়ে গেছে। ধন্যবাদ যদি একজন মানুষ ও পরিবর্তিত হয় তাতেই স্বার্থকতা।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 59737.47
ETH 3186.24
USDT 1.00
SBD 2.43