ইউজড হইতে চাইলে চালিয়ে যান।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি আজকে আমাদের সমাজের কিছু মানুষের অবস্থা নিয়ে আমার চিন্তা ভাবনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আর কিছুদিন পরেই বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচন ঘিরে কত সহিংসতা কত শত হতাহতের ঘটনা ঘটবে তা সময়ই বলে দেবে।
নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক বিভিন্ন কারণে যখন দুপক্ষের বা তিন পক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে তখন কারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়? প্রথমত ক্ষতিগ্রস্ত হয় একেবারেই সাধারণ জনগণ। হরতাল অবরোধ আবার সেগুলো প্রতিহত করার প্রক্রিয়া সবকিছুতেই আলটিমেট ক্ষতি জনগণের। হরতাল অবরোধ থাকলে দেশের মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারে না। আবার যখন এগুলোকে প্রতিহত করা হয় তখন একটা রণক্ষেত্র তৈরি হয় একটি নির্দিষ্ট জায়গায়। সেই জায়গাটায় সাধারণ মানুষের জান মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এবার আসি যারা বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচিতে নিজেদেরকে শামিল করে আর রাজনৈতিক কারণে একজনের সাথে আরেকজনের শত্রুতা তৈরি করে। সাধারণ যারা কর্মী থাকে তারা সবসময়ই স্পটে কাজ করে। দিনশেষে তাদের লাভটা কি হয়? ধরুন ১০০০ জন মিছিলে আছে সেখান থেকে একটা মানুষ বিভিন্ন সহিংসতার কারণে মারা গেল। তাহলে ক্ষতিটা কার হলো? কোন নেতার কি হলো ক্ষতি? নিশ্চয়ই না। ক্ষতিটা হলো যে মারা গেছে তার। ক্ষতিটা হলো তার পরিবারের।
একটা পরিবার একটা গার্জিয়ান হারালো। কোন মা তার সন্তান, কোন স্ত্রী তার স্বামী, কোন সন্তান তার বাবাকে হারালো। তাহলে সাফার করতেছে কিন্তু তার ফ্যামিলি। দুদিন পর আর কখনো কেউ খোঁজ নেবে ওই পরিবারটার? ওই পরিবারের মানুষগুলো খেয়ে আছে, কি না খেয়ে আছে কেউ খোঁজ নেবে? কেউ খোঁজ নেবে না। তাহলে কেন নিজেকে উৎসর্গ করতে হবে একটি দলের রাজনৈতিক নেতাদের জন্যে? কিসের লোভে মানুষ এত বড় রিস্কের মধ্যে নিজেকে ফেলে দেয় সেটা আমার অজানা। যদি ক্ষমতার লোভে এটি করে থাকে তাহলে তাদের বোঝা উচিত যে তারা শুধুই ইউজড হয়। তারা কখনোই ফ্রন্টলাইনে আসতে পারে না।
বড় বড় নেতারা সাধারণ কর্মীদের বিশাল বড় বড় স্বপ্ন দেখায়। বড় বড় আশা দেখিয়ে তাদের ব্রেন ওয়াশ করে ফেলে। তারপর তাদের আরও বড় একটা ট্রাপ হলো কর্মীদেরকে অন্য পক্ষের কিছু মানুষদের সাথে শত্রুতা বাঁধিয়ে দেয়, আর এটা করে গোপনে। যখন শত্রুতা তৈরি হয়ে যায় তখন সাধারণভাবেই শেল্টার পাওয়ার জন্য নেতার পিছে পিছে থাকে একটা সাধারন কর্মী। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ফেঁসে যায় মূল্যহীন কর্মীরা। এই দোষটাও কর্মীদেরই। তাদেরকে ইউজড করে নেতারা গাছের মগডালে উঠে বসে থাকে ।
সামনে নির্বাচন। এখন থেকেই খেয়াল করতেছি অনেকেই বিভিন্ন দলের হয়ে একে অপরের সাথে বিভিন্ন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তেছে। আরে ভাই দিনশেষে এলাকার প্রত্যেকটা মানুষের সম্পর্ক ভালো থাকলেই সবাই সবচেয়ে বেশি শান্তিতে বাস করতে পারে। দেশটা একদম জাহান্নাম হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। তোরা যা পারিস তাই কর। দিনশেষে তোরাই বাঁশটা খাবি। আর নেতারা থাকবে উঁচু চেয়ারে বসে। আল্লাহ হাফেজ।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সর্ব দিক দিয়েই আমাদের সাধারণ জনগণের ক্ষতিটাই হয। বড় বড় নেতারা ক্ষণিকের জন্য নিজেদের সঙ্গ পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষদেরকে বড় বড় স্বপ্ন দেখায় এবং নিজেদের হাতের মুঠোয় নিয়ে নেয়। সময় মত ছুড়ে ফেলে দেয় এবং বিপদ সাধারণ মানুষের উপর দিয়েই যায়।
বড় বড় নেতাদের কোন ক্ষতিই হবে না তারা তাদের স্থানে সুন্দর ও পরিপাটি থাকে ।
রাজনীতি এমন একটা জিনিস যেখানে ভাই ভাইকে চেনে না সেখানে জনগণ তো দূরের কথা।আমার জন্ম যেহেতু এক রাজনৈতিক পরিবারে সেহেতু এটা কতটা নোংরা একটি বিষয় সেটা আমি ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পারি।আপনি ঠিকই বলেছেন দাদা,সাধারণ জনগণরা বিপদে পড়ে অথচ সব দলের নেতাদের মাঝে সুসম্পর্ক ঠিকই বজায় থাকে।সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই, নির্বাচন প্রচারণার ক্ষেত্রে দুইদলের সংঘর্ষের কারণে সাধারণ মানুষ কিন্তু প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই যে ধরুন বর্তমানে অবরোধ চলছে যার কারণে সাধারণ জনগণ কিন্তু যাতায়াতে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে আর তারা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
ভাইয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং বাস্তবতাবাদী কিছু কথা বললেন সত্যি বেশ ভালো লাগলো। রাজনীতিতে লাভ হয় শুধু নেতাদেরই যারা চেলাপেলা থাকে তাদের সবসময় ক্ষতি হয়। আর এ রাজনীতির জের ধরে আমরা একে অপরের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করছি অনেক আত্মীয় আছে তাদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। আর ছোট ছোট পোলাপান তো না বুঝেই এদের কাছে ইউজড হয়। কবে যে আমরা সঠিক বুঝ বুঝবো।
আমাদের দেশের রাজনীতি হচ্ছে একেবারে নোংরা রাজনীতি। আমাদের দেশের নেতারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য যতোটা নিচে নামা দরকার, ততোটা নিচে নামতে পারে। আর কর্মীরা সবসময় বোকার মতো লাফালাফি করে। আমার মতে এসবের কোনো মানেই হয় না। এই সময়টুকু তারা অন্য কাজে ব্যয় করলে নিজেদের উন্নতি করতে পারতো। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।