কালবৈশাখী শপিং!!
আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই? গত কিছুদিন আমি খুবই ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করেছি। আজ মোটামুটি ফ্রী। এদিকে ঈদের বাকি আছে আর মাত্র একদিন। এবার তো ৩০ টি রোজাই হচ্ছে এটা গতকালকেই কনফার্ম হওয়া গেছে। ঈদ একবার চলে আসলে আনন্দের কারণ গুলো শেষ হতে শুরু করে। ঈদ যদি সামনে থাকে তাহলে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আনন্দটা সামনে রাখাই বেশি সুখকর। ইতিমধ্যেই প্রায় সকলেই তাদের শপিং পর্ব শেষ করে ফেলেছে। আমিও শপিংয়ে গিয়েছিলাম গত মাসের ২৯ তারিখে, আর ফিরেছিলাম ৩০ তারিখে । সেদিনের গল্পটাই শেয়ার করতে এলাম। চলুন শুরু করি।
এ যাবতকালে যতদিন ঈদের শপিং করতে গিয়েছি সবচেয়ে স্মরণীয় শপিং ছিল সেদিনের। প্রত্যেক বছর রমজান মাসের একটা নির্দিষ্ট দিনে আমরা প্ল্যান করি সবাই একসাথে শপিং করতে যাব । আমাদের এবারের প্লান ছিল ২৯ তারিখ। তবে আমরা দিনের বেলা শপিংয়ে যাইনা। রাত্রিবেলায় শপিং এর মধ্যে মজাটা বেশি। আমরা সেদিন মোট ৮ জন একসাথে শপিং করতে যাব বলে স্থির করলাম। প্ল্যান ছিল ইফতারি করে নামাজ কালাম শেষ হওয়ার পর সবাই রওনা দিব। প্ল্যান মতোই সবাই রেডি হয়ে গেলাম। কিন্তু আমি যখন বাসা থেকে বের হবো তখন আচমকা ঝড় উঠে এলো। আমার আপু, আম্মু সহ সবাই আমাকে যেতে নিষেধ করলো। কিন্তু সবাই মোড়ের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি এক দৌড়ে মোড়ের উপর চলে গেলাম। পাশেই আমার এক বন্ধুর বাসা ছিল। সবাই ওই বন্ধুর বাসাতেই আশ্রয় নিলাম।
বাইরে প্রচন্ড ঝড় হচ্ছিল। আমাদের নেক্সট প্ল্যান ছিল ঝড় থামার পর আবার আমরা রওনা দিব। প্রায় পনের বিশ মিনিট ঝড় চলার পর অবশেষে পরিবেশটা শান্ত হলো । এরপর আমরা সবাই আবার বেরিয়ে পড়লাম। আমাদের কাছে বাইক ছিল মোট তিনটি। তিনটি বাইক নিয়ে আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করলাম। তখন পরিবেশটা অনেকটাই শীতল। হালকা বাতাস বইছিল। তখন ঘড়িতে বাজে ৮:৩৪ মিনিট । আমরা নিশ্চিন্তে যাত্রা করছিলাম, কিন্তু ছয় থেকে সাত কিলোমিটার যাওয়ার পর আবার ঝড়ো বাতাস শুরু হল। এবার বাতাসের বেগ ছিল আগেরটার তুলনায় অনেক বেশি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছিল, যত ধুলাবালি ছিল পথের সব ধুলাবালি এলোপাথাড়ি উড়ছিল। আর একটা ভয় ছিল, যে কোন মুহূর্তে গাছের ডালপালা ভেঙে পড়তে পারে রাস্তার মাঝে। এরই মাঝে বিদ্যুৎ চলে গেছে। ল্যাম্পপোস্টের কোন আলো নেই রাস্তায়। আশেপাশের বাড়িঘরেও অন্ধকার। বিদঘুটে অন্ধকারে ডুবে আছি আমরা। এদিকে প্রচন্ড গতিতে বাতাস বয়ে চলেছে আর আকাশে মেঘের গর্জন। এভাবেই আস্তে আস্তে আমরা এগিয়ে চলেছি। আর একটু পথ যাওয়ার পরে দেখলাম আমাদের সামনে যারা ছিল, ওরা একটি দোকানের ছাউনিতে আশ্রয় নিয়েছে। ওখানে ২-৪ টে দোকান ছিল। সবগুলো ছিল বন্ধ। ওটা ছিল তিন রাস্তার মোড়। মোড়ের মাঝখানে ছিল বিশাল এক বটগাছ। আশেপাশে প্রচুর আম গাছ ছিল। এত বড় ঝড়ের মধ্যে আম গাছ গুলো থেকে বৃষ্টির মত আম পড়ছিল।
এত ভয়ঙ্কর ঝড় অথচ আমাদের মধ্যে তেমন কোনো ভীতি কাজ করছিল না বরং আমাদের বেশ ভালই লাগছিল। সবাই একসাথে ছিলাম এজন্য বেশ মজা হচ্ছিল। যাই হোক আমরা ওই সময়ে অনেকগুলো আম কুড়িয়েছিলাম। আমগুলোর সাইজ ছিল বেশ বড়। আমি যেই আমটি খেয়েছিলাম সেই আমটি ছিল ভীষণ টক। পুরোপুরি খেতেই পারছিলাম না। ওই ঝড় প্রায় আধা ঘন্টা - ৪৫ মিনিট যাবত্ স্থায়ী হয়েছিল। ঝড়ের শেষের দিকে ওইখানে আশেপাশে গ্রামের অনেক লোকজন দেখলাম চলে এসেছে আম কুড়াতে। উনাদেরকে আমরাও কিছু আম কুড়িয়ে দিয়েছিলাম।
ওইখানে যত সময় ছিলাম সত্যিই অনেক মজা হয়েছিল। আর ওই সময়টা আজীবন মনে থাকবে। শপিং করতে যাওয়ার সময় এত বড় ঝড়ের কবলে পড়ে এত সুন্দর একটা সময় কাটানো সত্যি ভাবা যায় না। যাইহোক ওখান থেকে আমরা যখন রওনা দিলাম তখনও হালকা বাতাস বইছিল। একেবারে ঝড় থেমে যায়নি। ওই ভাবেই আমরা আস্তে ধীরে এগোতে থাকলাম। যাওয়ার পথে দেখলাম আশেপাশের গ্রামের মানুষজন রাস্তায় চলে এসেছে আম কুড়াতে। আমরা প্রায় দু'তিন কিলোমিটার পথ যাওয়ার পথে প্রায় সবাইকেই বলেছিলাম যে "একটু ঐ পাশে গিয়ে দেখেন আমরা আম কুড়িয়ে রেখে এসেছি" হাহাহাহা।
এরপর আমরা হাইওয়েতে উঠলাম। হাইওয়ের যেখান থেকে আমরা আমাদের জেলা শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবো, সেখানে একটা কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস আছে। আমাদের কমিউনিটির মডারেটর, আমার ভাগ্নে @alsarzilsiam আমার জন্য একটা উপহার পাঠিয়েছিল । কুরিয়ার সার্ভিস থেকে উপহারটা কালেক্ট করলাম। এরপর হাইওয়ে ধরে আমাদের জেলা শহরের দিকে যাত্রা শুরু করলাম। মার্কেটে পৌঁছানোর পর শুরু হল ৮ জনের শপিং করা। আরেকটা বিষয় বলে রাখি, সেদিন আমি আমার নিজের জন্য কোনো শপিং করতে যাইনি। আমার মা, আপু, ভাগ্নে, ওয়াইফের জন্য কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম। আর বাকিদের কেনাকাটা আগেই করা হয়ে গেছে।
![]() | ![]() |
---|
অনেকক্ষণ যাবৎ সবাই কেনাকাটা করেছে। আমি পছন্দ করে দিয়েছি আর ওদের সাথে ঘোরাফেরা করেছি। ভালোই লাগে কিছু কেনাকাটা করি আর না করি। বেশ ভালোই লাগছিলো ঘোরাফেরা করে কেনাকাটা করতে। তবে সেদিন প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি হওয়ার কারণে মার্কেটটা ঈদের সময় বিবেচনায় তুলনামূলক কম ভিড় ছিল। ভালোই হয়েছে সুন্দর একটা দিনে আমরা এসেছি। পরিবেশটাও ঠান্ডা ছিল। যাইহোক অনেক কেনাকাটা করা হয়েছে। প্রত্যেকের জিনিসপত্র কেনা কাটা করেছি, অনেক ঘোরাঘুরি করেছি, একসাথে খাওয়া দাওয়া করেছি, ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা শপিং করতে শুরু করেছিলাম রাত দশটার দিকে, আর শেষ করেছিলাম রাত একটার দিকে। অর্থাৎ ২৯ তারিখে শুরু করেছিলাম আর ৩০ তারিখে শেষ করেছিলাম।
শপিং শেষ করার পর যখন রাত বাজে ১ টার-ও বেশি তখন ব্যস্ত শহর অনেকটাই ফাঁকা হয়ে এসেছিল। কিন্তু অনেক দোকানপাট খোলা ছিল তখনও। ঈদের সময় বলে কথা। তবে রাস্তা ফাঁকা পেয়ে আমরা কয়েকটা রাউন্ড মারলাম বাইক নিয়ে। বেশ ভালো লাগছিলো। সচরাচর এত রাতে কখনো এখানে বাইক চালানো হয়নি। আর ঈদের সময় এমন ফাঁকা রাস্তা কখনো দেখিনি । শপিং করা শেষ করে আমরা বাড়িতে চলে যাচ্ছিলাম না , তার একটা কারণ ছিল। এখন যদি আমরা বাড়িতে যাই শুধু শুধু বাড়ীর মানুষদের ঘুম থেকে ডেকে তুলতে হবে। যেটা বিরক্তির একটা কারণ। যখন সেহরির সময় আসবে তখন যদি আমরা বাড়িতে গিয়ে পৌঁছাই তাহলে একবারে সেহরি খেয়ে ঘুমাতে পারবো। এটা ভাল হবে আর বাড়িতে গিয়ে কাউকে ডিস্টার্বও করা হবে না ।
সময় কাটাতে আমরা শহরের পাশের একটা ব্রিজের উপর চলে গেলাম। ওখানে হালকা বাতাস ছিল। ব্রিজটি অনেক উঁচু। ব্রিজ থেকে পাশের শহর দেখা যায়। দারুন একটা অনুভূতি কাজ করে যদি রাত্রির টাইমে ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা যায়। ওখানে বেশ কিছু সময় আমরা আড্ডা দিয়ে কাটাইলাম। এরপর যখন ঘড়িতে বাজে ১:৩০ + তখন আমরা রওনা দিলাম। তখন যদি আমরা রওনা দিই আমরা বাড়িতে এসে সেহরির সময় পৌছাবো এমন ক্যালকুলেশন করে রওনা দিলাম। তবে প্ল্যান করেছিলাম আমরা ধীরে ধীরে আসবো তাহলে সঠিক সময়ে পরিকল্পনামতো বাড়িতে এসে পৌঁছতে পারব। এবার আমরা সবাই রওনা দিলাম। শহর ছেড়ে বেরিয়ে হাইওয়েতে উঠলাম। আস্তে ধীরে খুব আনন্দ সহকারে বাইক চালাচ্ছিলাম। ঠান্ডা বাতাস, কোন ট্রাফিক নেই। রাস্তায় শুধু আমরাই। মাঝেমধ্যে শুধু দুই একটা ট্রাক, আর দূরপাল্লার বাস যাচ্ছিল। বিষয়টি দারুন লাগছিল।
আস্তে-ধীরে পথ চলতে চলতে হাইওয়ে শেষ করে এবার আমাদের এলাকার রাস্তায় ঢুকার পালা। এমন সময় দেখলাম ওইখানে তখনো একটা টং এর দোকান খোলা ছিল। সবাই এক কাপ করে চা খেয়ে নিলাম, আর একটু রেস্ট ও করে নিলাম। রেস্ট করে চা খাওয়ার পর আবার রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। গল্প করতে করতে আসতে বেশ এনজয় করছিলাম আমরা। অনেক শপিং করে আমাদের সবারই মন বেশ প্রফুল্ল ছিল। ঈদ শপিং মানেই আনন্দ। আর সেই আনন্দ নিয়েই বাড়ি ফিরছিলাম। আনন্দটা আরো বেশি হয়ে গিয়েছিল কারণ সবাই একসাথে শপিং করতে গিয়েছিলাম।
যাই হোক আমরা সুন্দরভাবেই পথ চলছিলাম। ওই সময়ে ঝড়ো বাতাস তো ছিলই না এমনি স্বাভাবিক বাতাসও লক্ষ করিনি। শুধু পরিবেশটা ঠান্ডা ছিলো। আমাদের বাড়িতে আসতে মাঝে কিছু পথ নদীর পাড় দিয়ে আসতে হয়। নদীর পাড় দিয়ে রাস্তা, জায়গাটা অনেক সুন্দর। কিন্তু প্রবলেমটা হলো যখন আমরা নদীর পাড় দিয়ে আসতে শুরু করলাম তখন এত প্রচন্ড গতিতে বাতাস বইতে শুরু করল আমরা হতভম্ব হয়ে গেলাম। কোথাও কোন বাতাস নেই শুধুমাত্র নদীর অংশে যখন আসলাম তখন প্রচন্ড বেগে বাতাস বইতে শুরু হল। আমাদের বাইকে যদি একজন থাকতো তাহলে হয়তো বাইক ছিটকে পড়ে যেত। তিনজন বসে থাকায় রাস্তার সাথে এঁটে ছিল। প্রচন্ড ধুলাবালি উড়ছিল। গাছপালা বেঁকে পড়ছিল রাস্তার দিকে। কয়েকটা কলাগাছ রাস্তার উপর ভেঙে পড়েছিল । নদীর ফাঁকা অংশ থেকে এত বাতাস এসে যখন গায়ে লাগছিল তখন অনেক জোরে ধাক্কা অনুভব করছিলাম। এতো কঠিন প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে খুব কষ্টে বাইক চালিয়ে নদীর অংশটুকু পার হলাম। ওখান থেকে যখন আমাদের এলাকায় ঢুকলাম তখন আবার ঝড় বাতাস কিছুই ছিল না। বিষয়টা আমাদের সবার কাছেই ভয়ঙ্কর অদ্ভুত লেগেছে। ওটার কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পেলাম না।
যাইহোক, এরপর সবার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পালা। যার যার মত বাড়ির দিকে চলে গেল। আমি আর আমার বন্ধু আমাদের বাড়ির দিকে চলে আসলাম। আমি যখন বাড়িতে ঢুকলাম তখন দেখলাম বাড়ির সবাই ঘুম থেকে উঠে পরেছে। রান্নাবান্নার আয়োজন চলছে। এরপর আমি ঘরে ঢুকে সবাইকে শপিং গুলো দেখলাম। যার জন্য যা কিছু কিনেছিলাম সবাই খুবই পছন্দ করেছে। যাইহোক, এরপর সেহরি খেয়ে নামাজ কালাম পড়ে দিলাম এক ঘুম।
প্রত্যেক বছর রমজান মাসে এরকম রাত্রিবেলা আমরা সবাই একসাথে শপিং করতে যাই। খুবই ভালো লাগে মুহূর্তগুলো। এবারের অ্যাডভেঞ্চার পূর্ণ কালবৈশাখী শপিং এর গল্প মনে থাকবে চিরকাল। ভালো ছিল পুরো সময়টা। যাইহোক গল্পটা আপনাদের সাথে শেয়ার না করলে ভাল লাগত না। এখন শেয়ার করে ফেললাম, তাই ভালো লাগছে। স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে এই পোস্ট-টি। আজ তাহলে আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভাল থাকবেন সবাই। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
কালবৈশাখী শপিংয়ের খুবই চমৎকার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। আপনার পোস্টের মাধ্যমে পরে আমার অনেক ভালো লেগেছিল। এবং জিভ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল কাঁচা আম গুলো দেখে।আরেকটি কথা খুবই ভালো লেগেছে @alsharzilsiam আমার ভাগ্নে। এই কথাটির মধ্যে আলাদা একটি মমত্ব ছিল।ঈদের আগাম শুভেচ্ছা আপনাকে।♥♥
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
মামু সত্যি অনেক ইনজয় সাথে শপিং গুলো করেছেন। আমগুলো দেখেই তো আমার খেতে ইচ্ছা করছে কারণ একসময় প্রচুর আম এভাবেই পাড়িয়ে খেয়েছিলাম। সে বন্ধু-বান্ধবদের এখন অনেক মিস করি। তারপরও বলব আপনি অনেক সুন্দর একটি সময় উপভোগ করছেন বর্তমানে আর আপনার জন্য অসংখ্য শুভ কামনা। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমি আপনাকে ছোটখাটো একটি গিফট দিতে চেষ্টা করেছি ধন্যবাদ আপনাকে।।
এই উপহারটা আমার কাছে অনেক বড়। আজকে ঈদের নামাজ ওটা পরেই পড়তে যাব। ধন্যবাদ ভাগ্নে।
মামু, আমার জন্য দোয়া করবেন, একটি ছবি দিয়েন মামু। কিছু দিন পর তো দেখা হবেই।
সত্যি ভাই দিনটি অনেক সুন্দর ছিল। বিশেষ করে ঝড়ের মধ্যে যাত্রাটা ভয়ঙ্কর সুন্দর ছিল। এই দিন ঝড়ের মধ্যে যাত্রা শুরু না করলে হয়ত বুঝতেই পারতাম না ভয়ঙ্কর সুন্দর টা কি। আর ঐখানে ঘোরাঘুরি হালকা খাওয়া-দাওয়া বেশ মজাদার ছিল ইনশাল্লাহ আবার হবে
হুম,, সামনের বছর আবার হবে।
ইন শা আল্লাহ ভাই
ভাই একদম ঠিক বলেছেন।ঈদ কিংবা বড় কোনো অনুষ্ঠান গুলো সামনে থাকা অবস্থায় বেশি মজা হয়।এবার যে ৩০ টা রোজা হবে সেটা আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম।আমারও ঈদের শপিং গুলো রাতেই বেশি করা হয়।ঝড় বাতাসের মধ্যেও আপনি সুস্থভাবে ফিরে এসেছেন জেনে খুশি হলাম।ধন্যবাদ শপিং করার মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাইয়া এই বিষয়টির ব্যাখ্যা হয়তো খুঁজে পাওয়ার মতো নয়। তবে মনের মাঝে অজানা ভয় কাজ করছে। সেই সময়টাতে আপনি এবং আপনার বন্ধুরা হয়তো অনেক কঠিন সময় পার করেছেন। তবে যাই হোক সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো ভাবে বাসায় ফিরে এসেছেন জেনে ভালো লাগলো। আজকে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে ভিন্ন ধরনের একটি শপিংয়ের গল্প শুনলাম। কালবৈশাখী শপিং সত্যিই অনেক স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সেই সাথে স্মৃতিগুলো অনেক বেশি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পুরো বিষয়টি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং আমাদেরকে জানার সুযোগ করে দিয়েছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।❣️❣️
ঠিক বলেছেন ভাই। দিনটি আসলেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রথমে টাইটেল পড়ে চমকে গিয়েছিলাম কালবৈশাখী শপিং এটা আবার কেমন কথা??
আসলে এটাকে অভিজ্ঞতাও বলা যেতে পারে কারণ এমন ঝড়ের রাতে ঝড় উপেক্ষা করে সবশেষে শপিং করে বাড়ি ফেরা সবার পক্ষে সম্ভব না। আপনার মত আমারও এভাবে উন্মুক্ত হয়ে ঘুরতে ইচ্ছে করে কিন্তু পারিবারিক কারণে যেতে পারি না।
ভাইয়া আপনি দেখি অ্যাডভেঞ্চারের সুখ নিয়েছেন। তবে আপনার মোটেও ঠিক হয় নাই রাতেরবেলা এই ঝড়ের মধ্যে শপিং করতে যাব যে কোনো ধরনের বিপদ হতে পারত। ঈদের আগে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা পরিবারের জন্য আপনার জন্য সবার জন্য এক সমস্যা করে আনত। এসব ক্ষেত্রে কম সাহস দেখানি ভালো 😑 যাইহোক সুস্থভাবে বাড়ি ফিরেছেন এই জন্য আল্লাহর কাছে লাখ শুকরিয়া। ঝড়ের মধ্যে আবার আমও খেয়েছেন। ভালো ইনজয় করতে পারেন সব সময়।
যাইহোক সিয়াম ভাই দেখি সবার জন্য ঈদ মার্কেট দিছে ।আর আমাদের একটু সালামি দিতে কিপটামো করে🥲🤭
ঈদ না আসতেই সালামি, এটা কেমন কথা। হাহাহ।
ঠিকই ধরেছেন আপু। দারুন একটা অ্যাডভেঞ্চার ছিল।
সত্যি কথা বলতে সেদিন কুষ্টিয়ায় ঈদের শপিং করতে গিয়েছিলাম। আজকে গেলে তো দেখা হয়ে যেত মিস করে গেলাম।আসলে সিয়াম ভাইয়কে যত দেখছি তত অবাক হচ্ছি। সিয়াম ভাই শুভ ভাইয়ের ছেলের জন্য গিফট পাঠিয়েছে আবার আপনার জন্য সত্যিই বেশ ভালো লাগলো এটা দেখে। কাঁচা আম খেতে ভালোই লাগে। আপনারা বেশি ভালই সংগ্রহ করেছেন। আসলেই এই মুহূর্তগুলো স্মৃতি হয়ে থাকবে🙂💝
সত্যি ভাই, স্মৃতি হয়ে আছে।
সেই অবস্থা দেখি ভাই। শপিং এর সাথে আম ফ্রি 😊😊। বন্ধু বান্ধব সবাই এক সাথে ছিলেন বলেই ওই মুহূর্তে এত মজা লেগেছে। না হলে উপভোগ করা যেত না। ভালো লাগলো বেশ। মাঝ রাতে রাস্তায় জার্নি করতে আমারও বেশ লাগে। রাতের নিস্তব্ধ তার একটা আলাদা সৌন্দর্য আছে। পুরো লেখাটা খুব ভালো লেগেছে সুমন ভাই। অনেক ভালো ঈদ কাটুক এই প্রার্থনা করি।
আসলে ভাই,, মাঝ রাতে বন্ধুদের সাথে জার্নি করার মজাই আলাদা।
বিষয়টা আসলেই কালবৈশাখী শপিং এর মতোই হয়েছে। তবে আমি ভাবছি কোনো লবণ মরিচ ছাড়া কি করে এভাবে কাঁচা আম খাওয়া যায়! আমার দ্বারা তো অসম্ভব!সিয়াম ভাই এর গিফট কি তা দেখাবেন কিন্তু ভাই।
আসলেই ঐসময় লবণের অভাব ফিল করেছিলাম। একটু লবণ থাকলে জুমতো।