ছোট ভাইয়ের নতুন অধ্যায়।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা? গত দুদিন যাবত আমি খুবই ব্যস্ত ছিলাম। আমার ছোট ভাই শহরের শিফট হলো লেখা পড়ার উদ্দেশ্যে। আমাদের নিজের জেলা শহরেই থাকতে পেরেছে । ও কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট চান্স পেয়েছে। আমার প্রথম ইচ্ছেই ছিলো কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে পড়ানোর। প্রথমে অবশ্য ইলেকট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টে চান্স হয়েছিল। সেটা আমার একেবারেই পছন্দ হইছিল না। চয়েজ দেওয়ায় কিছুটা গোলমাল ছিল, তারপর ভাগ্যক্রমে আল্লাহর রহমতে মাইগ্রেশনে কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে হয়ে যায়। তো যাই হোক এখন সময় এসেছে কলেজে ভর্তি হয়ে যাওয়ার।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
ওর প্রথম ক্লাস ছিল আজকে। গতকাল সারাদিনে ওকে নিয়ে আমি শহরেই ছিলাম। ওকে নতুন বাসায় উঠিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় জিনিসপত্র কিনে দেওয়া সব কাজ গুলো আমি করে দিয়েছিলাম। কাল সবকিছু কিনতে কিনতে অনেক বেলা হয়ে গিয়েছিল। তবে সিংহভাগ কাজ কালকেই সম্পন্ন করে এসেছিলাম। এরপর যখন চলে আসার সময় হয়েছিল ভাবলাম ওকে নিয়েই যাই। একা একা প্রথমদিন এখানে থাকতে মন খারাপ করবে। বাড়িতে আপু আর ভাগ্নেরা রয়েছে। এখানে মন টিকবে না, এইজন্য ওকে নিয়েই চলে এসেছিলাম।
আজ আবার খুব ভোরে গিয়েছিলাম ওকে নিয়ে। আমি রাহুলকে ( @mrahul40) সাথে নিয়েছিলাম। যা গরম পড়েছে!! এই গরমের মধ্যে লোকাল গাড়িতে চলাফেরা করা খুবই কষ্টকর। এজন্য রাহুলের সাথে ওর বাইকে গিয়েছিলাম। আজ সকালে শহরে ঢুকেই খুব অল্পসময়ের মধ্যেই বাকি জিনিসপত্রগুলো কিনে ছোট ভাইয়ের রুম একদম সাজিয়ে গুজিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ছোট ভাইকে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে আমরা বেরিয়ে আসলাম।
তখন ভরা দুপুর। প্রচন্ড খিদে লেগেছিল । রাহুল আর আমি চলে গেলাম একটা ছোটখাটো রেস্টুরেন্টে। গিয়ে বিরিয়ানি মেরে দিলাম দুজন দু'প্লেট। খাওয়া-দাওয়া শেষে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে চলে গেলাম পেট্রল পাম্পে। কি জানি হয়েছে জানিনা, বাংলাদেশে তেলের সংকট। অনেক পাম্পে পেট্রোল পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য আগেভাগেই এখান থেকে ফুল টাংকি লোড করে নিল রাহুল।
আমার নিজের কোনো গাড়ি নেই। অনেকদিন ধরে ভাবছি একটা গাড়ি নিয়ে নিব। গাড়ি এখন শখ এবং প্রয়োজন দুটির মধ্যে পড়ে। এখন শুধু শখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমি যে গাড়িটা নিতে চাচ্ছি, ওটা বাংলাদেশে কোথাও এভেলেবেল নেই। ঈদের আগে একটা লট ঢুকেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। শোরুমে গেছিলাম এ বিষয়েই কথা বলতে। উনারা জানালো আগামী এক মাসের মধ্যে নেক্সট লট বাংলাদেশে ঢুকবে। এত দিনের কথা শুনে আমি আর কোন এডভান্স করলাম না। কারণ আমি ঐ সময়ে ঢাকাতে থাকতে পারি৷ ঢাকাতে থাকলে ওইখান থেকেই নিয়ে নিতে পারবো।
আমার পছন্দ সুজুকি জিক্সার এস.এফ এফ.আই এবিএস [ Matt Black ]। এটার সিলভার কালার যেটা ছবিতে দেখতে পারতেছেন সারা বাংলাদেশেই এভেলেবেল আছে। কিন্তু ম্যাট ব্ল্যাক যেটা, ওইটা সবেমাত্র ঈদের আগের দিন লঞ্চ করা হয়েছে। ওটার চাহিদা ব্যাপক। সেজন্য আমাকে আরো অপেক্ষা করতে হবে। দেখা যাক এই মাসের মধ্যে নিতে পারি কিনা। এ মাসের মধ্যে নাহলে আবার ঈদের কিছুদিন আগে নিতে হবে।
যাইহোক, শোরুমে আরো কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম৷ উনাদের সাথে কথা বললাম আর বিভিন্ন গাড়ি একটু ঘোরাফেরা করে দেখলাম। ভালই লাগছিল। সব রকমের পছন্দের গাড়ি অপছন্দের গাড়ি এক ছাদের নিচে। দেখতে ভালই লাগলো। কিছু সময় ঘোরাফেরা করে এরপর আমরা চলে আসলাম। তখন দেখলাম আকাশে মেঘ করেছে। হালকা মেঘলা আকাশ, গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে। হাইওয়ে দিয়ে বৃষ্টির হালকা ফিল নিতে নিতে আমরা দুজন চলে আসলাম বাড়ির দিকে। বাড়িতে এসে দিলাম এক ঘুম। ঘুম থেকে উঠে দেখি বিকেল প্রায়। এরপর গোসল করে ফ্রেশ হয়ে ভাগ্নের সাথে বাজারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম। আর এরই মাঝে পোস্ট ও লিখে ফেললাম। যাই হোক আজ এ পর্যন্তই। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
ছোট ভাইয়ের অনেক খেয়াল রাখেন বুজাই যাচ্ছে। ছোট ভাইয়ের নতুন বাসার যাবতীয় জিনিসপত্র ও গোছানো সবই ঠিক করে দিয়েছেন। এটা বড় ভাই হিসেবে দায়িত্ব, ছোট ভাইয়ের উচিত তার বড় ভাইয়ের প্রতি সবর্দা শ্রদ্ধাশীল ও নমনীয় থাকা। বড় ভাই থাকা ভাগ্যের ব্যপার।বাইকের ব্যপারেতো তেমন কিছু জানিনা, তবে ভাইয়া কালো বাইকটা অনেক সুন্দর লেগেছে। আর আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আপনি আপনার গাড়ি কিনতে পারবেন। আপনার ও আপনার ভাইয়ের জন্য শুভকামনা জানালেন।
আমি ইনশাআল্লাহ কাল থেকে ক্লাস শুরু করব। আপনার ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েন। পরিচয় থাকলে খোজ খবর নেওয়া যাবে। কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট বেশ ভালো। সত্যি পেট্রোলের অনেক সংকট চলছে। সেদিন আমি গিয়েও পাম্পে পেট্রোল পাইনি। এবং আপনার পছন্দ আছে বলতে হবে। যেটা বাংলাদেশে এভেলেবেল নেই। ধন্যবাদ আপনার ব্যস্ততার কারণটা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
ঠিক আছে একদিন পরিচয় করিয়ে দিব তাহলে।
👌👌
ছোট ভাইয়ের জন্য শুভকামনা রইল সে যেন কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট থেকে ভালো রেজাল্ট করতে পারে।
আমার পছন্দের বাইক টি আপনিও দেখছি পছন্দ করেছেন ভাই। তবে সমস্যা হচ্ছে টাকা, টাকার জন্য নিজের শখ পূরণ করতে পারছিনা 🙂
আমার মনের মধ্যে ঠিক একই অনুভূতি কাজ করে যে বাইক কিনার আগে শুধু এদিক-ওদিক শোরুম গুলো দেখার।
প্রথমে আপনার ভাইয়ের নতুন অধ্যায়শুরু জন্য শুভকামনা রইলো আশা করছি সে আপনার পছন্দের ডিপার্টমেন্টে পড়ে অবশ্যই তার সর্বোচ্চ জায়গায় যেতে পারবে। লক্ষ্য এবং পরিশ্রম ঠিক থাকলে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া যায়। আপনি আপনার ভাইয়ের জন্য সারাদিন অনেক পরিশ্রম করেছেন এবং তাকে সময় দিয়েছেন এটি অনেক ভালো একটি কাজ। আপনার ভাইকে নেশা দেখলে খুব ভালো লাগে। আপনি আবার নতুন একটি বাইক কিনতে যাচ্ছেন আপনার নতুন বাইকের রাইডিং ও অ্যাডভেঞ্চার পোস্ট দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
বা ছোট ভাইয়ের জন্য অনেক মায়া বোঝা যাচ্ছে,
সবকিছু একদম কিনে গুছিয়ে দিয়ে আসলেন।
যদিও প্রথম প্রথম থাকতে একটু কষ্ট হবে পরে আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে ভাইয়ের প্রতি এত ভালোবাসা শুনে ভালো লাগলো। আজীবন টিকে থাকুক এই ভালোবাসা।
ছোটভাইকে কি ডিপ্লোমা তে ভর্তি হইল?ভালো কাজই করেছেন,জেনারেল এ পড়ার চেয়ে ডিপ্লোমা অনেক বেটার।আর সব কিছু যখন ডিজিটাল হচ্ছে সেই হিসেবে কম্পিউটার গুড চয়েজ।আর আপনার গাড়ি কিনা তাড়াতাড়ি হোক এই কামনা করি😍
প্রথমে বলি আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল যাতে ভালোভাবে পড়ালেখা করে সুন্দরভাবে জীবন কাটাতে পারে। আর দ্বিতীয়তঃ এক মাসের মধ্যে যাতে আপনার পছন্দের বাইক টা কিনতে পারেন । পছন্দের জিনিস কিনতে পারলে ভালোই লাগে। অনেক সুন্দর কিছু বিষয় শেয়ার করলেন খুবই ভালো লাগলো।
আসলে বড় ভাই থাকার মজাই আলাদা। একটা বড় ভাই মানে একটা শেল্টার বা আশ্রয়। অনেক দায়িত্ব পালন করলেন। ছোট ভাইটি অবশেষে পছন্দমত সাবজেক্টে ভর্তি হতে পারল এটাই বড় কথা। আর বাইকটা যেহেতু প্রয়োজন সুযোগমতো কিনে ফেলেন। শুভকামনা রইল
আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য শুভকামনা রইলো আশা করি পছন্দের বিষয় যেহেতু শেষ পর্যন্ত পেয়েছে ভালো কিছুই করতে পারবে সামনে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে নিজের পছন্দের সাবজেক্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই। ❣️❣️❣️
আপনার পোস্ট দেখে তো আমার মাথা নষ্ট হয়ে গেল, অনেক বছর ধরেই মনের মধ্যে সুপ্ত ইচ্ছে একটা বাইক কিনার। সামর্থ্য থাকলে সত্যি কিনে ফেলতাম, বাইক একটা ছেলের কতটুকু প্রিয় হতে পারে সেটা তো আপনি জানেন। বন্ধুদের থেকে বাইক নিয়ে চালাতে আমার ভালো লাগেনা, তাই ভালো করে শেখা হয়নি, প্রথম থেকেই নিজের ইচ্ছা ছিল নিজের টাকায় যেদিন কিনতে পারব সেদিন ভালো করে শিখব। অনেক দিনের ইচ্ছে মনে পুষে রেখে ছিলাম, আপনার পোস্টে বাইকের ছবি গুলো দেখে পুরনো ভালোবাসা জেগে উঠলো, ইনশাআল্লাহ একদিন আমার ও হবে 😇