স্কুল লাইফের বন্ধুর নিয়ে মজার স্মৃতি।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
আজকে আমি আমার অতীতের একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমার গল্প বললে ঠিক হবে না, গল্পটা আমার এক বন্ধুর নিয়ে। আমার সেই বন্ধুটি ছিল সবার থেকে একটু অন্যরকম। একেবারেই সাদাসিধা আর বোকা টাইপের। কিন্তু মাঝে মাঝে খুব সিরিয়াস হয়ে যেত। আবার কাজকর্মও খুব ভালো করতে পারত।
বছরের বেশিরভাগ সময় আমার এই বন্ধুর দূরদিন যেত। এটা ছিল ওর ভাষ্য মতে। ওর কথা হলো সব সময় শুধু খারাপ নিউজ পায় ভালো নিউজ ওর কপালে নাই। এজন্য ও যদি কোথাও থাকতো আর আমরা ডাকতাম ও যদি আসতে না চাইতো তখন আমরা বলতাম তোর জন্য একটা গুড নিউজ আছে। এটা শোনার পর এক মুহূর্তও দেরি করত না আমাদের কাছে চলে আসতে। ব্যাপারটা নিয়ে আমরা খুব মজা করতাম।
একদিন আমি আমার আরেকটা বন্ধু ওদের এলাকায় গেছি ঘুরতে। ওর বাড়িটার সাথে একটা রাস্তা সেই রাস্তার কোল দিয়ে নদী। তখন নদী শুকনো ছিল আর ও ধান লাগাচ্ছিল ওদের জমিতে। আমি আর আমার এক বন্ধু অনেকদূর হেঁটেই ওদের ওখানে গেলাম যে একটু গল্প করবো আড্ডা দিবো এজন্য। কিন্তু সে তো ধান লাগাচ্ছে সে তো আসবে না এখন। কি করা যায় কি করা যায় ভেবে আমরা ওকে জোরে ডাক দিয়ে বললাম তোর জন্য একটা গুড নিউজ আছে। এটা শোনার পর এক মুহূর্ত ও আর মাঠের মধ্যে থাকে নাই, দৌড়ে চলে আসছে। চিন্তা করেন কি একটা অবস্থা, হাহাহা।
ও যখন একদম উঠে চলে আসছে তখন বললাম কোন গুড নিউজ নাই, চল ওদিক থেকে ঘুরে আসি। ও ব্যাপারটা নিয়ে পরে রাগও করত না। অনেকটাই সাদাসিধা টাইপের। আর সব সময় হাস্যোজ্জ্বল একটা চেহারা। আমার এগুলো হাই স্কুল লেভেলের ফ্রেন্ড। তখন আমরা পড়ি ক্লাস নাইনে। আমার ওই বন্ধুর মধ্যে মাছ ধরার একটা ট্যালেন্ট ছিল। যখন নদীতে প্রচুর পানি চলে আসতো ওই সময় প্রায় প্রত্যেক বছরই ও মাছ ধরত।
এরকম একটা সময় আমরা প্রাইভেট পড়ি একটা স্যারের কাছে। সেখানে গল্প হচ্ছিল আর ও মাছ ধরার কথা উঠালো। ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। ও যেটা করত অনেক বড় একটি সুতা কিন্তু। ১০০ মিটার মত হবে এরকম দূরে দূরে দুইটি খুঁটি পুতে রাখত। খুঁটির দুই প্রান্তে সুতা টাঙিয়ে দিত। এরপর এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত পর্যন্ত মোট ৩০-৪০ টা বড়শি ঝুলিয়ে দিত। সন্ধ্যার সময় এরকমটা দিয়ে রাখত আর সকালে উঠে চেক করতো মাছ পরেছে কিনা। যেদিন যেদিন দিয়ে রাখত প্রায় প্রত্যেকদিনই মাছ পরতো। আর সবই বোয়াল মাছ পরতো। মাছের সাইজগুলো ছিল বিশাল বিশাল। প্রত্যেকদিন যদি তিন-চারটা মাছ পেতো ওর পাঁচ থেকে সাতশ টাকা ইনকাম হয়ে যেত। ব্যাপারটা সুন্দর না?
আজ আমার এই বন্ধুর কথা মনে পড়ল তাই গল্পটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। যদিও তেমন ইন্টারেস্টিং কিছু নেই তারপরও শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো। ওই বন্ধুটার সাথে অনেকদিন দেখা হয় না কথা হয় না। স্কুল লাইফের এমন অনেক স্মৃতি আছে যেগুলো চিন্তা করতেছি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আস্তে আস্তে । আর আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ্ হাফেজ।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
গল্পটা সম্পূর্ণ করে তেমন কোন ইন্টারেস্টিং জিনিস খুঁজে পেলাম না। তবে একটা বিষয় ভালো লাগলো সেটা হচ্ছে গুড নিউজ আছে সেটা বললেই আপনার বন্ধুরা চলে আসতো। হাহাহা আরে এতে উনি রাগও করতেন না এটার জন্যই বুঝতে পারলাম উনি বেশ সহজ সরল মনমানসিকতার ছিল। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।