স্পোর্টস পোস্ট ||বিপিএল ফাইনাল||কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এর বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের বিশাল জয় ||🥰✅
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
ম্যাচ | কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস/ ফরচুন বরিশাল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ )(ফাইনাল তম ম্যাচ) |
---|---|
তারিখ | ০১ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার |
টস | ফরচুন বরিশাল টস জিতে বোল ফাস্ট নিয়েছে |
টাইম | ৬.৩০ পি এম |
মেস ভেনু | শেরে বাংলা ন্যাশনাল স্টেডিয়াম, ঢাকা |
আম্পায়ার | ডেভিড মিলন্স, সারাফাদুল্লাহ |
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস স্কোয়াড | জনসন চার্লেস (wk),মইন আলী,এন্ড্রে রাসেল , লিটন দাস (wk)(c),মাহিদুল ইসলাম অংকন, তাওহীদ হৃদয়, সুনীল নারিন, ,জাকের আলী,তানভীর ইসলাম, বর্ষণ ,মুস্তাফিজুর রহমান। |
---|---|
ফরচুন বরিশাল স্কোয়াড | মুশফিকুর রহিম (wk),তামিম ইকবাল(c),সৌম্য সরকার,কাইল মায়ের্স,ডেভিড মিলার,মাহামুদুল্লাহ,জ্যামস ফুলার,ওবেড মেককই,মোঃ সাইফুদ্দিন, তাইজুল ইসলাম |
আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো আমি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম স্পোর্টস পোস্ট। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চলতেছে, তো আজকে ফাইনাল ম্যাচ আমি আপনাদের মাঝে রিভিউ করতে যাচ্ছি । খেলাটি অনেক টানটান উত্তেজনা ছিল। এবারে বিপিএলে পিচের মান একদম বাজে।খুবই খারাপ লাগতেছে যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এত ভাল দল তারপরও হেরে গেল অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে। ম্যাচটি ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ফরচুন বরিশাল এর। এবার দুর্দান্ত খেলছে কুমিল্লা। কিন্তু শেষ হাসি তামিম ইকবাল হাসলো, ফরচুন বরিশাল তো চলুন খেলাটি বিশ্লেষণ করা যাক।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এর ওপেনিং জুটি বরাবরের মতোই লিটন দাস ও সুনীল নারিন শুরু করেন।একটা জিনিস খুবই খারাপ লাগতেছে তিন চার বারের চ্যাম্পিয়ন ক্যাপ্টেন ইমরুল কায়েস তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এদিকে সুনীল নারায়ন ব্যাট হাতে পুরাই ব্যর্থ আইপিএলো ব্যর্থ। তিনি খুব একটা ভালো সুবিধা করতে পারতেছেন না কিন্তু তারপরও আমাদের বিপিএল এর দেশি প্লেয়ারদের অবহেলা করা হচ্ছে। ইন্ডিয়া থেকে যেমন আইপিএলে কত প্লেয়ার বের হয় কিন্তু বিপিএল থেকে একটা ভালো প্লেয়ার হয় না। ওপেনিং বোলার কাইল মেয়ার্স ।প্রথমে দুজন বেশি দেখে শুনে খেলতে থাকেন, সুনীল নারায়ন ২য় বলে ক্যাচ তুলে দেন কিন্তু ওবেড মিছ করেন। পঞ্চম বলে আর তিমি রেহাই পাননি আউট হয়ে যান ওবেড ধরে দুর্দান্ত ক্যাচ এবং নারায়ন তার বলে ৫(৪) করে,আউট হয়ে যান। ।প্রথম ওভার ৫-১।বিশ্বাস ছিল লিটন দাস রান পাবেন কিন্তু লিটন দাস খুব একটা ভালো খেলতে পারলেন না।লিটন দাস উপর দিকে ইমপেক্ট প্লেয়ার তাওহীদ হৃদয় সেও সেরা টুর্নামেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে ছিল।সে যদি তামিম ইকবাল থেকে বেশি দান করে তাহলে টুর্নামেন্ট সেরা হবে কিন্তু আজকেও সে বেশিক্ষণ টিকতে পারেন নাই।।তারপর লিটন ও তাওহীদ বেশ ভালোভাবে খেলতে থাকেন।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে তারপর তিনি ক্রিজে টিকতে পারেন নাই লিটন দাস দুর্দান্ত খেলতে থাকা। তিনি ব্যক্তিগত ১৬(১২) রানে আউট হয়ে যান।সে চার রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেনাই।সে গত ম্যাচে দুর্দান্ত খেলছিল একাই ম্যাচটা জিতিয়ে দিয়েছিল। ভেবেছিলাম তাওহীদ হৃদয় দুর্দান্ত খেলবে কিন্তু তিনি তাও খেলতে পারেন নাই, টুর্নামেন্ট সেরা হওয়া দূর থেকে পিছিয়ে গেলেন। তিনি ব্যক্তিগত ১৫(১০) রানে আউট হয়ে যান।জেমস ফুলার একই ওভারে লিটন দাস ও তাওহিদকে আউট করে দেন। ৩ওভার ১ বলে দলীয় রান ৩০-১।।তারপর ক্রিজে নামেন জনসন চার্লস ও মাইদুল ইসলাম অংকন।পাওয়ার প্লেতে তারা রান তোলেন ৪৯।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে আপনারা সকলেই দেখতে পারতেছেন তারা ব্যাট করতেছে। তারা আর প্রতিরোধ গড়ে তুলছে এবার।তারপর বোলিংয়ে আসেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন । তিনি প্রথম দিকে প্রচুর মার খেয়েছে বলে।অপরদিকে মইন আলী ৩(৬) রানে আউট হয়ে যান।মেহেদী হাসান মিরাজের থ্রোয়ে।তারপর জাকের আলী ও মহিদুল ইসলাম অঙ্কন দেখেশুনে খেলতে থাকে কিন্তু খুব ধীরগতির ইনিংস কিন্তু আমার কথা হচ্ছে এন্ড্রয়ে রাসেলকে আগে তোলা হলো না কেন?সর্বশেষ (১১.৪) ওভারে দলীয় রান ৭৯-৪।ভেবেছিলাম আজকে বেশ ভালো একটা ইনিংস দেখতে পারবো কিন্তু বাজে একটা ম্যাচ ছিল। তারা কখনোই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেন নাই, শুধু নামি দামি নাম আছে কিন্তু ভালো খেলতে পারে নাই কেউ।
অপরদিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ব্যক্তিগত ৩৮(৩৫) রান করেন।তিনি সাইফুদ্দিনের বলে আউট হয়ে যান। তিনি রান করলেও খুবই ধীরগতি ইনিংস ছিল তাই তাকে ভালো বলাও যাবে না ও খারাপও বলা যাবে না। তারপর কি যে নামেন এন্ডে রাসেল। জাকের আলী দুইটা ফোর মেরেছে। তিনি ব্যক্তিগত ২০(২৩) ও রাসেল ২৭(১৪)রানে অপরাজিত ছিল। ১৮. ১ ওভারে দলীয় রান ১২৮-৪। ভেবেছিলাম রান হবে না কিন্তু লাস্টের দুর্দান্ত এন্ড্রে এ রাসেলের সহায় কুমিল্লা শেষ পর্যন্ত
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে তারপর তারা ২০ ওভারে ১৫৪ রান করতে সক্ষম হন।
ফরচুন বরিশাল এর বোলিং সমীকরণ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে ফরচুন বরিশালের ওপেনিং জুটি আজকে কিছুটা পরিবর্তনে এসেছে।পরিবর্তে নাও বলা যায় মেহেদী হাসান মিরাজ মাঝেমধ্যেই নিজেকে প্রমাণ করতে চলেছেন। তাকে ওপেনার ও বলা যায় সে দুর্দান্ত খেলে। আজকে তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ ওপেনিং জুটি চালু করেন। আজকে তাদের শুরুটা অনেক ভাল ছিল। প্রথম ওভারে তারা বাই রানে ১২ রান পেয়ে যায়। ১ ওভারে ১২-০।তারপর বর্ষণ বলে আসেন তাও তারা দুর্দান্ত খেলতে থাকে প্রথম উইকেট খোঁজ পেতে কুমিল্লার ৮ ওভার বোলিং করতে হয়।তারা পাওয়ার প্লে তে বিনা উইকেটে ৫৯ রান তোলেন।তামিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ দুর্দান্ত খেলতে থাকে। তাদের খেলা দেখা মানে চোখের শান্তি।
তারপর তামিম দেখে শুনে খেলতে থাকেন কিন্তু তিনি আউট হয়ে যান । ব্যক্তিগত ৩৯(২৬)রানে।তখনই তিনি আভাস পেয়ে যান টুর্নামেন্ট সেরা।এই তামিমকে নিয়ে কত সমালোচনা আজকে তিনি টুর্নামেন্ট সেরা হয়ে দেখালেন।আসলে প্রতিটা প্লেয়ার ভালো খেলতে চাই কিন্তু আমরা বুঝি না আমরা শুধু সমালোচনা করি। দলীয় রান ছিল ৭৬-১ ওভার (৮)।মইন আলী কে দুর্দান্ত খেলতে থাকে তো আমি ইকবাল কিন্তু তার বলে আউট হয়ে যান তিনি।অপরদিকে মেহেদী হাসান মিরাজ কেউ মইন আলী আউট করেন ব্যক্তিগত ২৯(২৬) রানে।ওভার (৯.৩)।তারপর ক্রিজে নামেন কাইল মায়ার্স ও মুশফিকুর রহিম। মুশফিকুর রহিমকে সব সময় ভালই লাগে সে দুর্দান্ত খেলতে থাকে ডিপেন্ডেবল বলা হয়ে থাকে তাকে।যার কথা না বললেই নয় আরেক ক্রিস গেইল বলা হয়ে থাকে তাকে কাইল মায়ার্স।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে অতঃপর কাইল মায়ার্স প্রথম ২১ বলে ২১ রান করেন ও মুশফিকুর রহিম দেখে শুনে খেলতে থাকেন। কিন্তু লাস্টের ৯ টা বলে কাইল সে দুর্দান্ত খেলতে থাকে।৪৬(৩০)রানে ব্যক্তিগত আউট হয়ে যান।অতঃপর তার দল তখন জয়ের দূর প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। অপরদিকে মাহমুদুল্লাহ ও ডেভিড মিলার ক্রিজে নামেন। মুশফিকুর রহিম মুস্তাফিজুরের বলে ব্যক্তিগত ১৩(১৮) রানে আউট হয়ে যান।
তারপর (১৯.১) ওভার এ ফরচুন বরিশাল জয় দেখা পেয়ে যায়। মাহমুদুল্লাহ ৭(৭) রানে ও ডেভিড মিলার ৮(৭) রানে অপরাজিত থাকেন।এদিন সৌম্য সরকার ক্রিজে নামেনি উপর দিকে রান হয়ে যায়। সত্য কথা বলতে বরিশাল টিমটা দুর্দান্ত খেলছে তারা ধারাবাহিকভাবে। অবশেষে চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বোলিং লাইন আপ তানভীর ইসলাম-৩-২৪-০ ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ - কাইল মেয়ার্স টুর্নামেন্ট সেরা-তামিম ইকবাল ফরচুন বরিশাল জিতে যায় ৬ উইকেটে।
কাইল মেয়ার্স-৪-২৬-১
মোঃ সাইফুদ্দিন -৪-৩৭-১
জেমস ফুলার -৪-৪৩-২
তাইজুল ইসলাম -৪-২০-০
ওবেড মেককয়-৪-২৪-১
বর্ষণ -১-১৫-০
সুনীল নারিন-৪-২১-০
মুস্তাফিজুর রহমান -৪-৩১-১
মইন আলী-৪-২৮-২
রাসেল-৩-৩৩-০
বরিশালের বিশাল জয় সবাই ভীষণ খুশি হয়েছিলো। |কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এর খেলার মধ্যে কিছু ভুল ছিলো। এজন্য তাদেরকে পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে। এবারের বিপিএল খেলা অনেক ইনজয় করেছিলাম। অনেক সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
এবার বিপিএল ম্যাচ গুলো তেমন একটা দেখা হয়নি । কয়েকটি ম্যাচ ভালোই উপভোগ করেছি। ফাইনাল খেলায় বরিশালের পক্ষ নিয়েছিলাম যেখানে তামিম ইকবাল ছিল। যাইহোক সমর্থন বিষয় নয় বরিশাল অনেক ভালো খেলেছে। সেখানে মাহমুদুল্লাহ মুশফিক তামিম ইকবালের মতো প্লেয়ার ছিল তারা তাদের যোগ্য সম্মান এবং বিপিএলের সার্থকতা পেয়েছে। এটাই অনেক বড় পাওয়া।
যদিও খুব একটা ভালো খেলা দেখা হয় না তারপরও বিপিএলের ফাইনাল হচ্ছিল তাই খেলাটা দেখছিলাম। প্রথমের দিকে কুমিল্লা ভালো খেললেও শেষের দিকে তারা ভালো খেলতে পারেনি। কিন্তু বরিশাল প্রথম থেকেই ভালো খেলেছে যার কারণে তারা বিজয়ী হতে পেরেছে।
সেদিন বিপিএল এর ফাইনাল ম্যাচটি দারুন ভাবে উপভোগ করেছিলাম। কারণ আমার ফেভারিট দলই এবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হলো। যাহোক কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবার সব থেকে বড় ভুল করেছে ইমরুল কায়েসের মতো অভিজ্ঞ এবং ইনফর্ম ব্যাটসম্যানকে বসিয়ে রেখে। যেটা এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে কিন্তু কিছুই এখন আর করার নেই। যাহোক বিপিএল ফাইনাল ম্যাচের চমৎকার রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।