স্পোর্টস পোস্ট||আমেরিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের বিশাল জয় 🎇🎇
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
Source
ম্যাচ | বাংলাদেশ /আমেরিকা (৩য় টি-টোয়েন্টি ) |
---|---|
তারিখ | ২৫ মে, ২০২৪, শনিবার । |
টস | বাংলাদেশ টস জিতে বল ফাস্ট নিয়েছে । |
টাইম | ৯.০০ পি.এম। |
মেস ভেনু | প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্স, হিউস্টন । |
আম্পায়ার | সমীর বন্দেকর, বিজয়া মালেহা। |
বাংলাদেশ স্কোয়াড | লিটন দাস(wk) ,সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসাইন শান্ত (c), তাওহীদ হৃদয়,মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ,সাকিব আল হাসান ,তানজীম হাসান সাকিব,রিশাদ হোসাইন,মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ । |
---|---|
আমেরিকার স্কোয়াড | মনঙ্ক প্যাটেল (সি, ডব্লিউকে), স্টিভেন টেলর, অ্যারন জোন্স, অ্যান্ড্রিস গাউস, কোরি অ্যান্ডারসন, নীতিশ কুমার, ম্লিন্ড কুমার, শাহান জাহাঙ্গীর,নিসার্গ পাটেল, জসদীপ সিং, নস্টুশ কেনজিগে, সৌরভ নেত্রভালকার। |
আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো আমি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম স্পোর্টস পোস্ট। আমেরিকা আর বাংলাদেশ একটি ম্যাচ। ৩ টি টি-টোয়েন্টির মধ্যে আজকে শেষ টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা।আজকে প্রত্যাশা আমাদের অনেক ভালো ছিল কারণ আমেরিকা এখনো ইন্টারন্যাশনালে খুব একটা ভালো করতে পারে নাই। আজকে তাদের সাথে হেরে গিয়ে আমাদের অবস্থানটা আমরা বুঝতে পারতেছি। বাংলাদেশের উপর থেকে আস্তে আস্তে আস্থা হারিয়ে ফেলতেছি। প্রথম দুই ম্যাচ বাংলাদেশে হেরে আমেরিকা সিরিজ জিতে নিয়েছে তখনই বাংলাদেশের উপর থেকে মন মেজাজ একদম নিচে নেমে গেছিল। কখনো ভাবতে পারি নাই বাংলাদেশে এতটা খারাপ খেলবে নতুন দল আমেরিকার সাথে।তাদের কোন অভিজ্ঞতা নাই কিন্তু তাদের ইন্টারন্যাশনাল থেকে অনেক দেশ থেকে প্লেয়ার নেয়া হয়েছে তাই তারা বেশ শক্তিশালী। বাংলাদেশ অনেক শক্তিশালী দল। সময় অসময়। তারা কখন যে ভালো খেলে কখন যে খারাপ খেলে কেউ বলতে পারে না। এমনও ম্যাচ আছে বাংলাদেশ জিতা ম্যাচ হেরে যায় ও হেরে যাওয়া ম্যাচ জিতে যায়।আজকে লাস্ট টি-টোয়েন্টিতে তাদের ব্যাটিংটা দেখতে পেয়েছি ভাল মানের।বাংলাদেশ হাল ছেড়ে দিয়েছিল তারা আমেরিকা কে ছোট দল ভেবেছিল। আসলে খেলার ক্ষেত্রে কোন দলকে ছোট ভাবা যাবে না, যারা ভালো খেলবে তারাই বিজয়ী হবে।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন আজকে ম্যাচের বিশ্লেষণ শুরু করা যাক।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
Source
আমেরিকার ওপেনিং ব্যাটসম্যান স্টিফেন ট্রেলর ও মনাঙ্ক পাটেল গত ম্যাচ এ থাকলেও আজকে একাদশে পরিবর্তন এসেছে।মোনাং পাটেলের বদলে সায়ান জাহাঙ্গীর নেমেছে।বাংলাদেশের ওপেনিং বোলার তানজীব সাকিব।সে দুর্দান্ত বল করতে থাকে তার প্রতিটা বল বেশ ভাল।প্রথমে নিয়ন্ত্রিত বোলিং। প্রথম ওভারে ২-০।দলীয় রান(২) ওভার এ ১০-০।প্রথমত তারা দেখে শুনে খেলতে থাকে। প্রথম উইকেটের পতন বাংলাদেশের ঘটায় ৫ ওভারে।অ্যান্ড্রিস গাউস বেশ দুর্দান্ত খেলতে থাকে মার কোটারি ব্যাটিং নিয়ে। তিনি ব্যক্তিগত ২৭(১৫) রানে আউট হয়ে যান।সাকিব আল হাসানের হাত ধরে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে আমেরিকার।আমেরিকা পাওয়ার প্লে রান তোলেন -৪৬ রান।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া দ্বিতীয় উইকেটে পতন ঘটে (৫.৫)ওভারে ৬৫-২।এরপর নীতিশ কুমার কিরে নামেন। মুস্তাফিজুর রহমান ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন। প্রথমে আমেরিকা বেশ সুন্দরভাবে তাদের রানের চাকা সচল রাখে কিন্তু লাস্টের দিকে তারা মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারে নাই। বোলিং এ আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি তার প্রথম ওভারেই উইকেটর দেখা পেয়ে যান।দলীয় রান (৯.৩) ওভারে ৫৬-২।নিতিশ কুমার ৩(৮) ও মুকেশ কুমার ৫(১৪) রান করেন।এরপর তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে নিতিশ কুমারের। এরপর কেউ আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেন নাই। এরপর ক্রিজে নামেন এরন জোন্স আমেরিকার ক্যাপ্টেন । তিনি তানজিম হাসান সাকিবের বলে আউট হয়ে যান ২(৭) রান করে।তারপরে নিউজিল্যান্ডে খেলতে থাকা করি অ্যান্ডারসন ক্রিজে নামেন।তার প্রতি একটা ব্যাপক ভরসা ছিল। তিনি বেশ ভালোই খেলেছে কিন্তু স্ট্রাইক রেট অনেক কম । তিনি ১৮(১৮) রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে বোল্ট হয়ে আউট হয়ে যান।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া অতঃপর একের পর উইকেট পড়তে থাকে। মুস্তাফিজুর রহমান দারুন কাম ব্যাক করেন। তার প্রতিটা বোলিং যেন আগুন ঝড়া বলেন।মুস্তাফিজুর রহমান আইপিএলে বেশ ভালো বোলিং করেছিল তাকে আইপিএল থেকে এনে খুব একটা খারাপ করে নাই বাংলাদেশ বোর্ড প্যানেল। আইপিএল থেকে চলে আসার পর চেন্নাই সুপার কিংস বেশ দুর্ভাগে চলে গেছিল। অতঃপর আমেরিকার (১২.২) ওভারে ৬০-৫ রান তুলতে সক্ষম হোন।যারা শুরুতে ধারাবাহিকতা হলেও বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ আস্তে আস্তে শক্তিশালী হতে থাকে। মোস্তাফিজুর রহমান ম্যাচটা ঘুরিয়ে দিয়েছিল একাই। এরপর তারা আর বেশি রান করতে পারেন নাই।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া এরপর মুস্তাফিজুর একাই ওভারে তিনটা উইকেট শিকার করেন। আমেরিকার ব্যাটসম্যান ও নিশার্গ পাটেল ও জেসি সিং তারা ৬(৭) ও ২(৬) রান করেন।এরপর আর তারা বেশি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেন নাই মুস্তাফিজুর রহমান নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে থাকেন তারা ২০ ওভারে ১০৪ রান তুলতে সক্ষম হোন।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া ১০৫ রানের লক্ষ্যে নেমে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে । ওপেনিং ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার ও তানজীদ হাসান তামিম।লিটন দাস ধারাবাহিকভাবে খারাপ খেলতেছে তাকে বেঞ্চে বসিয়ে দিয়েছিলো।আজকের ম্যাচে তাকে স্কোয়াডে রেখেছে কিন্তু ওপেনিং এ তোলে নাই।আমি বুঝিনা একটা প্লেয়ারের অভিজ্ঞতা দেখে কেন বারবার তাকে নেয়া হচ্ছে। একটা প্লেয়ার ভালো খেলতেছে তাকে বসিয়ে আবারো লিটন দাসকে নেওয়া হচ্ছে।লিটন দাস কে বারবার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে কিন্তু সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারতেছে না। আজকে ওপেনিং ব্যাটসম্যানী ম্যাচ শেষ করে দিয়েছে আর ব্যাটিং দেখতে হয় নাই ।আমেরিকার ওপেনিং বোলার নেটট্রাভালকার। দেখেশুনে খেলতে থাকেন সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম।১ ওভার ৪-০।দুজনা দেখে শুনে খেলতে থাকেন। দলীয় রান( (২.১)ওভার ১৩-০। ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া Source ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া Source
তারপর বাংলাদেশ আর কোন উইকেটের পতন ঘটে নাই। বাংলাদেশ পাওয়ার প্লেতে রান তোলেন -৪৮ রান।আমেরিকার বোলাররা আজকে তেমন কোন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেন নাই।সৌম্য সরকার বেশে দারুণ খেলেন তার হাতে প্রচুর শর্ট রয়েছে ও নতুন প্লেয়ার তামিম তার খেলা আমার বেশ ভালো লাগে। আসলে তারা দুজনে খেলতেছে । তাদের এই খেলা যেন ওয়ার্ল্ড কাপে ধারাবাহিকতা থাকে। সৌম্য সরকার বারবার অভিজ্ঞতা ও শটের কারণে আলোচনায় থাকেন কারণ তার অ্যাবিলিটি আছে অন্যান্য প্লেয়ার এর কোন অ্যাবিলিটি নাই ছয় মারার। দলীয় রান (৬.১) ওভারে ৪৯-০।সৌম্য সরকার ব্যক্তিগত ১৭(১৫) রান ও তানজীদ হাসান তামিম ২৮(২২) রান করেন।তারা দুর্দান্ত খেলতে থাকে। বিশেষ করে তানজিদ হাসান তামিমের খেলাটা আমার ভীষণ ভালো লাগছিল।তারা দুজনে মারকুটে ব্যাটসম্যান। আমেরিকার বোলাররা দিশেহারা হয়ে যায় তারা খেলার মোমেন্টাম ঘুরাতে পারতেছে না। এরপর সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম ফিফটির দিকে চলে যায়।দলীয় রান (৮.২)ওভার এ ৭৩-০। তামিম ৪৬(৩২) রান করেন।তার খেলার ধরনটি আমার বেশ ভালো লাগে বেশ ভালো স্ট্রাইক রেটে খেলতে পারেন।অপরদিকে সৌম্য সরকার ২৩(১৮) রান করেন।বাংলাদেশের জিততে হলে ৭০ বলে ৩২ রান দরকার। রান রেট ২.৭৪।যা বাংলাদেশের জন্য খুবই সহজ কিন্তু এরা সহজ ম্যাচ হেরে যায় জিতা না পর্যন্ত কোন ভরসা নেই।
অতঃপর তানজীদ হাসান তামিম ফিফটি তুলে নেন। তিনি ৫১(৪০) রান করেন।অপরদিকে লাস্টের সৌম্য সরকার বেশ ভালো খেলেন ৩৮(২৫) রান।বাংলাদেশ দলীয় (১০.৫) ওভারে ৯৬-০ রান তোলেন।শেষ পর্যন্ত তারা ওপেনিং জুটি দশ উইকেটে ম্যাচ জয়লাভ করেন।তাদের খেলাটা আজকে ভীষণ ভালো লেগেছিল আমার।দিনশেষে খারাপ লাগতেছে বাংলাদেশ সিরিজ হেরে যায় হোয়াইট ওয়াশ থেকে রক্ষা পায়। সব মিলিয়ে ম্যাচটি বেশ দারুন ছিল।
Twitter
দেশের বিশাল একটা জয়,আর সে জয় নিয়ে আপনার আজকের রিভিউ পোস্ট। দেখে বেশ ভালো লাগলো এত সুন্দর একটি বাংলাদেশের খেলার অনুভূতি। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি রিভিউটা সম্পন্ন করেছেন আমাদের মাঝে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আশা করি সব সময় এভাবে পাশে থাকবেন।
প্রথম দুই টি টুয়েন্টি তে হেরে সিরিজ হারার পর তৃতীয় ম্যাচে কিছুটা ফিরে এসেছিল বাংলাদেশ। মোস্তাফিজুর রহমান এইদিন বেশ ভালো একটা স্পেল রেখেছিল। সম্ভবত এটা তার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন। ম্যাচ টা বাংলাদেশ ঠিকই জিতেছিল কিন্তু ততদিনে বাংলাদেশের উপর থেকে মানুষের বিশ্বাস ভরসা প্রত্যাশা সব উঠে গিয়েছে। বাংলাদেশ যে বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য এখনও অপ্রস্তুত এটাই তার প্রমাণ।