আপনার আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আজ আমি অসমাপ্ত প্রেমের শেষ পর্ব আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। আশা করি আপনারা সকলে দেখবেন।
💔একটি অসমাপ্ত প্রেমের গল্প -২ পর্ব💔 ও শেষ |
sourch
ছেলেটি একপর্যায়ে ভিষণ ভেঙ্গে পড়লো আমরা এখানে ছিলাম সবার মনে আছে তো💔
তারপর মেয়েটি ছেলেটির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলো আর আসলেই বাস্তবতা এতটাই কঠিন। বিশেষ করে ছেলেরা জানে একটা মেয়ে কিন্তু সহজেই তার ফ্যামিলিকে মানাতে পারে তার ফ্যামিলি তাকে বুঝতে পারে কিন্তু একটা ছেলে কখনোই তার ফ্যামিলিকে বুঝাতে পারেনা এটা সব থেকে কষ্টের মুহূর্ত। কেউ কারো পরিস্থিতি বুঝতে চায় না।তারপর এইভাবে ছেলেটি ও মেয়েটি এর কথা একদম অফ হয়ে গেল। মাঝখানে তাদের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ।মাঝে মাঝে মেয়েটি চেষ্টা করত ছেলেটির সাথে কন্টাক্ট করার জন্য কিন্তু ছেলেটি আরও তাই হতাশ হয়ে পড়েছিল।তার ভিতরে ভয় কাজ করছিল। |
সবথেকে দুঃখের বিষয় ছেলেটি একাকীত্ব হয়ে গেছিল। তার ওপর ছেলেটির মা ভীষণ একটি জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছিল 💔😭
তখন ছেলেটির পুরা ফ্যামিলি একদমই ভেঙ্গে পড়ে। ছেলেটি সারা দিন খায় না। সারাদিন কান্নাকাটি করে মায়ের জন্য। আসলে মা এমন একটা জিনিস যা কোথাও পাওয়া যাবেনা। মায়ের মত কেউ ভালোবাসবে না।আসলে ছেলেটি সব দুঃখ কষ্ট ভুলে গিয়ে বারবার হসপিটালে যায় মায়ের একটুখানি মুখটা দেখার জন্য আসলে বাড়িতে যদি মা না থাকে তাহলে বাড়ীটা যেন একদম ফাঁকা ফাঁকা লাগে। |
Sourch
তারপর ছেলেটি আরো ভেঙে পড়লে ডাক্তার যখন বলল যে এ রোগ কখনো ভাল হবে না। অনেক জটিল রোগ।জীবনে রিক্স আছে অপারেশন করলে।😭😭😭তারপর অপারেশন ভালো ভাবে সম্পন্ন হয়ে গেল তারপর ছেলেটির মুখে একটি স্বস্তির হাসি দেখা গেলো তারপর তাকে রেস্ট নিতে বলল তিন থেকে চার মাস |
সবথেকে দুঃখের বিষয় হল হসপিটালে ছেলেটি মা যেখানে আছে আবার মেয়েটির ভাবি ওখানে আসছে। আবার দেখা হয়ে গেল💔 কারণ মেয়েটির ভাবীর বাচ্চা হয়েছে ছেলেটির মা যেখানে আছে
তারপর ছেলেটি খাবার নিয়ে যত অনেক ভয়ে ভয়ে যদি দেখা হয়ে যায় তাহলে মনের ভেতর একটা অশান্তি কত স্মৃতি জমে থাকা কষ্টকর মুহূর্তে মনে পড়ে যাবে। সবসময় চেষ্টা করত দেখা না হওয়ার জন্য ছেলেটি। এমন সময় যেত কেউ যেন না থাকে এই ভয়ে ভয়ে শুধু মা কে দেখতে যেত 😭অনেক কষ্টের ভেতর এবং একটা সময় মেয়েটি এসএমএস দিয়ে বলল যে আপনি আমার সামনে আসবেন না।তারপর ছেলেটি বসে ছিল তারপর মেয়েটির পুরো ফ্যামিলি দেখলাম ছেলেটির আম্মুকে দেখতে আসলো এবং ছেলেটি তখন চুপ করে বসে ছিল। মাথা নিচু করে সবই বাস্তবতার শিকার। |
তারপর একটা সময়ের পর ছেলেটি তার মাকে নিয়ে বাসায় চলে আসলো এবং ছেলেটি আস্তে আস্তে নতুন জীবন ফিরে পেল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ছেলেটি অনেক চেষ্টা করল বাইরে ভর্তি হওয়ার জন্য কারণ তার কাছ থেকে দূরে যেতে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তারা একই। কলেজে ভর্তি হল হঠাৎ একদিন কলেজে গিয়ে ছেলেটি সবার সাথে কথা বলতে লাগলো। তখন মেয়েড়ি। বলছে যে আমি আপনার কাছে কি দোষ করছি আপনি আমার সাথে কথা বলছেন না ।এইভাবে ছেলেটি তাকে পরিহার করতে লাগল কারণ একটা কথা শুনলে আপনারা সকলেই চমকে যাবেন |
যে মেয়েটা যে ছেলেটার জন্য পাগল।ছেলেটাকে ছাড়া বাঁচবে না সেই মেয়েটা একটি সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে এটা খুবই হতাশ করেছে ছেলেটিকে।
Source
ছেলেটি পরিস্থিতির শিকার।একটাই কথা বলব এই আবেগের দুনিয়ায় মিথ্যে মায়ায় ভালোবাসার কোন মূল্য নেই। যে যখন কাছে থাকে তাকেই ততোটা আপন মনে হয।। সকলেই নিজ স্বার্থে আসক্ত। |
তারপর মেয়েটির কার্যালাপে ধীরে ধীরে ছেলেটি তাকে ভুলতে সম্পূর্ণ হয়ে গেল কারণ যার প্রতি একবার মন উঠে যায় তার প্রতি আর কোন ভালোবাসা কাজ করে না কিন্তু যতই আমরা মুখে বলি দিন শেষে ছেলেটি মেয়েটিকে অনুভব করে আসলেই কেউ কারোর শূন্যতা পূরণ করতে পারে না এভাবেই ছেলেটির সাথে মেয়েটির সম্পর্ক শেষ হয়ে গেল |
💔😭💔😭💔😭
আজকের মত অসমাপ্ত প্রেমের গল্প শেষ করলাম। আপনাদের কেমন লেগেছে আশা করি জানাবেন। আসলে মানুষের জীবন। এটাই কারো জন্যে কারো জীবন থেমে থাকেনা
হ্যাঁ ভাইয়া সত্যিই খুব বেদনাদায়ক একটা হিস্ট্রি আমাদের উপহার দিয়েছেন। সেখানে ছিল ভালোবাসার সাথে দেখা হওয়া, না-হওয়া, কথা না হওয়া, এবং বন্দী হওয়া, দিনদিন দূরত্ব বেড়ে যাওয়া, বিষয়গুলি খুবই কষ্টের। যেখানে এক মুহূর্ত না দেখলে ভালো লাগতো না সেখানে দীর্ঘদিন একজন আরেকজনের থেকে আলাদা হওয়া খুবই কষ্টকর। তারপর ছেলেটির মায়ের অসুস্থতা এটা অসম্ভব কষ্টের। পৃথিবীতে যদি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার কেউ থেকে থাকে তাহলে সেটি হচ্ছে মা। এমন সময়ে মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে তখন ছেলেটি তো আরো মহাবিপদে। বাসায় প্রকাশ করার মতো না, মানুষের জীবনে এমন কষ্ট আছে যে কষ্টগুলো মানুষ লিখে বলে পড়ে কখনো কাউকে বুঝাতে পারে না। কারণ ওই কষ্ট সেই বুঝে। অবশেষে অন্য একজনের প্রেমে পড়ে গেলো সেটা জানতে পেরে ছেলেটির মন উঠে গেল দিনশেষে ছেলেটি হতাশ তারপর নিজেকে কঠোর হতে হলো নিজে ভুলে গেল। কিন্তু আবার একই কলেজে। আসলে পৃথিবীটা গোল মানুষের সাথে মানুষের দেখা হওয়া বিচিত্র কিছু নয়। আমরা যাকে এড়িয়ে চলতে চাই তাকে বেশি সামনে পাই এটাই দুনিয়ার নিয়ম। যাইহোক আপনার গল্পটি খুবই কষ্ট লেগেছে এবং কী দোয়া করি ছেলেটা যেন ভবিষ্যতে তার নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। জেনো এরকম হাজারো মেয়ে তার পিছে ঘুরে। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাস্তবতা তুলে ধরেছেন ভাইয়া। অনেক ভাল ছিল আপনার মন্তব্যটি 🥺
ভাই জীবনে প্রেম করেছি কিন্তু কখনও ছ্যাকাঁ খাইনি । হা হা হা । দুষ্টমি করলাম। বাবা মাকে ছাড়া সত্যিকারের ভালবাসা আসলে পৃথিবীতে আছে কিন জানি না । তবে আপনার লেখা গল্পটি দারুন হয়েছে। প্রতিটি মানুষের জীবনে হয়তো এমন ঘটনার আবির্ভব হয় । যাই হোক আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য
আসলে ভাইয়া খুব ইমোশনাল একটি গল্প শেয়ার করেছেন আপনি। এখনকার যুগের বেশির ভাগ প্রেম অসমাপ্ত থেকে যায়। পারিবারিক সমস্য, কঠিন বাস্তবতা এসব কিছুর কাছে হেরে যায় এসব সম্পর্ক। শুধুমাত্র মা রাই সত্যিকারের ভালোবাসে আর বাকি সবাই শুধুমাত্র স্বার্থ খোঁজে। তবে আমি মনে করি গল্পের চরিত্রের মেয়েটি যদি সত্যিকারে ভালোবাসতো তাহলে হয়তো দ্বিতীয়বারের মতো এবং এত তাড়াতাড়ি অন্য একটি সম্পর্ক তে জড়াতে পারতো না। যদিও এটি একান্ত আমার মতামত। সর্বশেষ যে কথাটি বলেছেন কথাটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে একজনের শূন্যতা অন্য আরেকজন কোনভাবেই পূরণ করতে পারেনা। আশা করি সামনে আরও সুন্দর সুন্দর গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে আমার গল্প লেখা সার্থক হলো খুবই ভালো লাগলো আপু
আপনার গল্পটা পড়ে আমার ভালই লেগেছিল কিন্তু শেষের দিকে এসে একটু কষ্টই পেয়েছি। আসলেই বর্তমানে এরকম অনেক ভালোবাসা আছে যেটা শুধু স্বার্থের জন্য। এটা প্রকৃত ভালোবাসা নয়। প্রকৃত ভালোবাসা হলে এরকম ভাবে দ্বিতীয় সম্পর্কে খুব তাড়াতাড়ি জরিয়ে পরতো না। আসলে যেমন মেয়েদের দোষ রয়েছে তেমনি ছেলেদের রয়েছে। তবে আমার মনে হয় এরকম ঘটনা মেয়েরাই বেশি বর্তমানে ঘটাচ্ছে।
হ্যাঁ ভাইয়া বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। যে আপনি মিথ্যে ভালোবাসা ও আবেগ থেকে নিজেকে শক্ত করতে পরেছেন।
আসলে আমার জীবনেও এমন একটা ঘটনা আছে আপনার গপ্পটার সাথে একটু মিল আছে।
কিন্তু ভাই এখন বুঝি তখনের বসয়টা আবেগের বয়স ছিলো,বাস্তব জীবনটা অনেক কঠিন রে ভাইয়া।
আসলে পৃথিবীতে মা বাবার ভালোবাসা হলো নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। বাবা মার মতো কেউ ভালোবাসতে পারবে না। মেয়েদের কে তো সব থেকে বেশি ভালোবাসে বাবা😥।
ভাইয়া দুআ করি আল্লাহ যেনও আপনার মা বাবাকে নেক হায়াত দান করেন।
আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
অনেক ভালো লাগলো মন্তব্যটি পড়ে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু
আমার কাছে গল্পটা ভালো লাগলো ভাইয়া। এই যুগে ভালোবাসার গল্প গুলো আধুরা রয়ে যায়।
এই বিষয় টি এখন খুবই কমন। চারিদিকে এসব হচ্ছে। তাই তো মানুষ কেউ কে আর বিশ্বাস করতে পারছে না। আমিও না। ধন্যবাদ একটি বাস্তবতার গল্প শেয়ার করার জন্য।
হুম আপু।ধন্যবাদ