💔মানুষ এক আতঙ্কের নাম 💔||১০% @shy-fox এর জন্য বরাদ্দ ||@razuan12
আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন । আমিও ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব কাহিনী তুলে ধরব। আমার বিষয় হচ্ছে মানুষ এক আতঙ্কের নাম। আপনারা পুরোপুরি পড়লে বুঝতে পারবেন আমি কেন বলছি 💔
আমি
আসলে বাস্তবতা এতটাই কঠিন। আমার গল্পটা আসলে সবার মত না। আমি আসলে জীবনের সাথে লড়াই করে আজও এই এইখানে। আসলে শৈশবকাল সবারই অনেক আনন্দ কাটে। সকলের ভালোবাসায় কিন্তু আমারটা একদমই ভিন্ন। আমি আমার বাবা মায়ের প্রথম সন্তান ছিলাম এবং আমার বাবা-মা ছিল ফর্সা এবং আমি কাল হয়েছিলাম।হয়তো সৃষ্টিকর্তা ভালোবেসে আমাকে এরকম তৈরি করেছে। আমি তাতেই খুশি কিন্তু আমাকে অনেক কিছু ফেস করা লাগছে।ছোটবেলায় একদিন আমাদের বাসায় অনুষ্ঠান হচ্ছিল আমি এবং আমার চাচাতো ভাই এক জায়গায় ছিলাম আসলে আমিও ছিলাম সেও ছিল। সবাই তাকে অনেক কিছু দিচ্ছে কিন্তু আমাকে দিচ্ছে না কেন? |
---|
আমি কি দোষ করছি 💔আমি কি সত্যিই কোনো অপরাধ করছি কালো হয়ে জন্ম নেয়াটা কি সমাজের কাছে অপরাধ🥺
আসলে ছোটবেলায় তখন বুঝতাম না। আমি নিজের মতো করে আনন্দ করতাম। খেলাধুলা করতাম। আমি ছোটবেলায় এতটাও বর্ণবাদের শিকার হতাম না কিন্তু সকলের আদর থেকে বঞ্চিত হতাম। এইটা আমি বুঝতে পারতাম মানে তখন এত লজ্জা পাইতাম না।যখন আস্তে আস্তে বড় হতে শুরু করলাম তখন আমার কাছে যেন মানুষ এক আতঙ্কের নাম। মনের ভিতরে ভয় কাজ করত। আমার কাছে মনে হতো আমি কিভাবে মানুষের কাছ থেকে বাঁচতে পারব। |
---|
আসলে আমারো কি ইচ্ছা করে না সকলের সাথে ভালোভাবে মিলেমিশে থাকতে। আমিও তো একটা মানুষ তাই না🥺💔
কিন্তু আমি মিশতে পারি না কারণ হচ্ছে একটা গল্প বলি আপনাদের মাঝে আসলে সৃষ্টিকর্তা তো সকলকেই বিভিন্নরূপে তৈরি করে থাকেন। |
---|
হাতের পাঁচটি আঙুল কিন্তু সমান না একেকটা একেক সাইজের💔
তাই আমরা একদিন ইফতার পার্টি করছিলাম। আমরা বন্ধুরা মিলে তখন একটা বন্ধু আমাকে বলে উঠল যে তুই এত ছোট কেন? এত কালো হয়ে গেছিস কেন? আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমরা চোখ দিয়ে দেখতে পাচ্ছি ছেলেটা ছোট। এটাতো সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা।তারা কেন ভাল মন্তব্য করতে পারে না। নিজের ছেলের মতো যদি দেখত তাহলে কিন্তু আসলেই একটা ছেলে এতটা কষ্টের ভেতর জীবন কাটাতে পারত না। মানুষরূপী অমানুষদের ভয় পেত না। আসলে আমাদের সমাজটা সুন্দর কিন্তু সমাজের মানুষগুলো সমাজ তাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাদের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আসলেই একটা মানুষ ইচ্ছা করলে কিন্তু একটা ছেলেকে ভাল মন্তব্য করে উৎসাহ দিতে পারে সেই ছেলেটা অনায়েশে তাদের সাথে মিলামিশা করতে পারে কিন্তু যখন একটা ছেলেকে আগেই বলে যে তুই এরকম কেন 💔চেহারা খারাপ। নেশা করিস নাকি তাহলে কিন্তু ছেলেটা আরো ভেঙ্গে পড়ে কারণ ছেলেটা কিছু খায় না তাও তাকে দেখে মন্তব্য করা কি ঠিক। |
---|
আসলে আমি মানুষের সামনে যেতে পারিনা। আমি যদি আমার পরিবারের সকলে এক জায়গায় থাকে তাহলে একটা জিনিস কি হচ্ছে সকলে বলে যে আসলে আপনাদের সবার চেহারার সাথে সকলের মিল আছে কিন্তু এই ছেলেটাকে আসলে আমার সবথেকে তখন খারাপ লাগে আমি কি সত্যিই জন্ম নিয়ে পাপ করে ফেলেছি যে এতটা কষ্টদায়ক কথা শুনতে হয় আমাকে
আসলে তখন নিজেকে অভিশাপ মনে হয় আসলে আমি সত্যিই অনেক ভেঙ্গে পড়ি মানুষের এত কুরুচিপূর্ণ কথায় কিন্তু আমি সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রেখে। এখনো আমি বেঁচে আছি। আসলে এইটা খুবই খারাপ লাগে একটা মানুষকে এত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আসলে আমরা যদি মানুষকে একটু সৌন্দর্য চোখে দেখি তাহলে কিন্তু আমরা সহজে একটি সুন্দর সমাজ পরিবার, পরিবেশে গড়ে তুলতে পারবো আসলে বর্ণবাদের শিকার হতে হবে না আর কোনো মানুষ আসলে কিন্তু ইচ্ছা করে কালো হয় সকলি সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা । |
---|
সত্যি কথা বলতে আমি এখন মানুষকে দেখে ভয় পায়। জানিনা কখন কি মন্তব্য করে বসবে💔 তখন নিজেকে আমার ছোট মনে হয় আসলে আমি সবার সাথে মিশতে পারি না। এর জন্যই অলটাইম নিজেকে ছোট মনে হয়। আমি জানিনা সৃষ্টিকর্তার আমাকে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে। আমার স্বপ্ন আছে আমি সকল কুরুচিপূর্ণ মানুষদের জবাব দেবো। আমার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আমি একদিন মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠব। এটাই আমার ইচ্ছা আমি আর কারো কথায় কান দিই না নিজের লক্ষ্য ঠিক রেখে।। আমি সামনে এগিয়ে যেতে চাই আসলে এগুলো খুবই কষ্টকর এগুলো মেনে নেয়ায় কষ্টকর |
---|
আমি আসলেই মানুষ যদি একটি রাস্তা দিয়ে যায়। আমি ভাবি অন্য রাস্তা দিয়ে চলে যাব আমি মানুষের সামনে যেতে পারি না আসলে আমি কারোর চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারিনা। একটাই যে আমি কেন এমন হলাম। আমি মাঝে মাঝে খুবই কষ্ট পাই।আসলে আমি একটা দিক খুঁজে পায়না মানুষ আমাকে কি কারণে বলে যে চেহারা খারাপ কিন্তু আমার সত্যিই বুঝে উঠতে পারি না আসলে কালো-ফর্সা, মানুষ ছোট বড় সবাই তো মানুষ। আমরা যদি মানুষের চোখ একটি মানুষকে মুল্য না দিতে পারে তাহলে আমরা কিভাবে মানুষ হলাম। |
---|
আসলে স্টিমিট জগতে আসার পর বলতে গেলে আমার জীবন পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমি আর এইসব ভাবি না আসলেই আমি আমার মনের ভেতর মানসিক প্রশান্তি কাজ করে। নিজের মতো চলতে পারি। কি কি বলল তা কান দিয়ে লাভ নাই। এখন আমার একটাই লক্ষ্য নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং আসলেই আমার এসব ভালো লাগে না। আমাকে নিজেকে নিজের জন্য ভালবাসতে হবে। পরিবারের জন্য ভালবাসতে হবে। মানুষের কথায় কান না দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে কিন্তু মানুষের এসব কুরুচিপূর্ণ কথা আজও শুনতে হয় এটি খুবই কষ্টকর।
আমি বর্ণবাদের কারণেই মানুষকে দেখে ভয় পায় এবং আমি মানুষের সামনে যেতে পারি নাই মানুষ আমার জন্য আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাই আমি সবার কাছ থেকে নিজেকে একদম সরিয়ে নিয়েছি। প্রয়োজন ব্যতীত মানুষের সামনে যেতে চায় না। আমি ইনশাআল্লাহ একদিন আমি অনেক কিছু করে দেখাবো। যাতে করে মানুষ আমার রুপকে না দেখে আমার গুনকে দেখে |
---|
আজকে আমি এখানেই শেষ করছি আসলে আমার জীবনের কিছু কিছু মুহুর্ত বলে শেষ করা যাবে না আবার আপনাদের মাঝে সময় পেলে আরও কিছু অংশ তুলে ধরব |
---|
আসলে ভাইয়া মানুষ বাহিরের রং দেখেই মানুষকে বিবেচনা করে বুঝতে চায় না যে মানুষটা আসলে মনের দিক থেকে কি রকম। মানুষ কতটা সুন্দর তার প্রকাশ পায় মানুষটার ব্যবহারে বাহিরের রং দেখে নয়। সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি হচ্ছে মানুষ। সে যেমনই হোক না কেন সৃষ্টিকর্তা তাকে সৃষ্টিকর্তার পছন্দ অনুযায়ী বানিয়েছেন। তবে আমাদের সমাজের মানুষগুলো এই কথাটা বুঝতে চায় না। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল যেন আপনি আপনার স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারেন।
হুম আপনি ঠিক কথা বলেছেন আপু।
আসলে মানুষের বাইরের দিক থেকে দেখে মানুষের বিচার করাটা ঠিক না। আমাদের এই ঘুনে ধরা সমাজ এই ব্যপারগুলো আসলে সহজে বুঝতে পারে না। মানুষকে বাহির থেকে দেখে তাকে বিচার করা শুরু করে দেয় যেটা মোটেও উচিত না। মানুষের আসল সৌন্দর্য এবং চরিত্র প্রকাশ পায় তার ব্যবহারে তার কাজ কর্মের মাধ্যমে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোষ্ট লেখার জন্য।
আসলেই ভাই মানুষের বাইরের রুপ এবং ভেতরেররূপ কখনই এক নয়। দুটো ভিন্ন রূপ। মানুষের এই ভিতরের রূপটা চেনা খুবই কঠিন। বাইরের রুপ আমরা চিনতে পারি কিন্তু ভেতরে রূপ আমরা কখনো চিনতে পারবো না। আর এই রুপটা দেখা যায় বিপদে পড়লে এবং তার সাথে মিশলে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে খুবই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাই। বর্তমান শিক্ষিত সমাজের লোকজন হয়ে যাবে আমাদের মধ্যে কিছু কিছু মূর্খতা এখনো রয়েছে। এই যেমন বর্ণবাদের বিষয়টাই। শুধু আমাদের দেশেই নয়, উন্নত বিশ্বতেও একই সমস্যা। উন্নত দেশের লোকজন প্রতিনিয়ত বর্ণবাদের শিকার হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে নানা ধরনের আন্দোলন করে উঠলাম পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আপনার গল্পটি পড়ে বেশ খারাপ লাগলো। খারাপ লাগলেও এটি বাস্তব। সুন্দর গল্প লিখেছন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার নিজেকে নিয়ে শেষের কথাগুলো আমার ভালো লেগেছে।ঠিকই বলেছেন-নিজের জন্য হলেও নিজেকে ভালোবাসতে হবে,পরিবারের জন্য নিজেকে ভালো রাখতে হবে।
জীবনে সফল হইতে হইলে পিছু লোকের কথা এড়িয়ে চলতে হবে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো ভাই।
ভাইয়া আপনার ব্যাপারটিও অনেকটা আমার মতই। অর্থাৎ আমি পরিবারের বড় সন্তান এবং আমার বাবা মা অনেক বেশি ফর্সা আর আমি কেমন তা তো আপনাদের সামনেই।তবে আমি আপনাকে একটা কথাই বলবো এইসব মানুষের কথায় কান দিবেন না। কারন ওরা আপনাকে সৃষ্টি করেনি সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে ভালোবেসে এভাবে করে সৃষ্টি করেছে। আর আমরা এভাবেই সুন্দর, আমার কাছে আপনি সুন্দর আপনার কাছে আমি সুন্দর এটাই হচ্ছে যথেষ্ট। খারাপ মানুষের কাছে আপনি কেমন তা তো আপনার ভাবার কোনো দরকার নেই! তাই না? আপনি বরং খুশী হন যে খারাপ মানুষের কাছে আপনি পছন্দনীয় না।
ভাইয়া, আমি যতদূর আপনার প্রত্যেকদিনের ছবি দেখে বুঝি আপনি মোটেও কালো নই, আর এটি কালোদের তালিকায় পড়ে না।তাছাড়া মানুষের গায়ের রং প্রধান বিষয় নয়, মনের সুন্দরতা আসল।এই নিয়ে মন খারাপ করার কোনো প্রয়োজন নেই ভাইয়া, সমাজে এই রকম সমালোচক থাকবে।তাছাড়া আপনি আপনার কাজ দ্বারা তাদের দেখিয়ে দিবেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।