স্পোর্টস পোস্ট||পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানিস্তানের বিশাল জয়||১০% @shy-fox এর জন্য
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো আমি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম স্পোর্টস পোস্ট। এটা আমার জীবনে প্রথম স্পোর্টস পোস্ট।ম্যাচটি ছিল আফগানিস্তানে সাথে পাকিস্তান এবং আমার আশা ছিল যে আফগানিস্তান ভালো করবে কারণ তারা কিছুদিন আগে ইংল্যান্ডের মতো বিশ্ব সেরা দলকে হারিয়েছে কিন্তু আফসোস লাগে বাংলাদেশের মতো একটি দল তারা বারবার আমাদের আবেগ নিয়ে খেলে। যতই বলি যে খেলা দেখব না তাও দিন শেষে বাংলাদেশের খেলা দেখি।আফগানিস্তান বড় বড় কথা বললেও তারা খেলার মাধ্যমে এটা দমিয়ে রাখে কিন্তু বাংলাদেশ এটা দমে রাখতে পারে না।তো চলুন শুরু করা যাক।এটি ২২ তম ম্যাচ ছিল এবং এটা চেন্নাই অনুষ্ঠিত হয়েছে
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
ওপেনিং জুটি আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমামুল হক যাত্রা শুরু করেন।প্রথম পাঁচ বলে একরান নিতে সক্ষম হন তারা এবং নাবিনুল হক ওপেনিং বলার তিনি স্টার্ট করেন বোলিং।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
একটা সময় দুজন ভালোই খেলছিল দেখেশুনে।হঠাৎ আজমত উইকেটের পতন ঘটিয়ে দিল ইমামুল-হক কে আউট করে দলীয় ৫০/১। ১০ ওভার।
উইকেট সামাল দেয়ার পর বাবর আজম ও আব্দুল্লাহ শফিক দলীয়১১০ রানে পৌঁছে যায়।আব্দুল্লাহ শফিকের ৫৮ ও বাবার হজমের ৩৩ রান। আসলে পাকিস্তান এমন একটা টিম উইকেট পড়ে গেল।এরা সামাল দিতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের যদি দুই তিনটা উইকেট পড়ে যায় তাহলে আর সামাল দেয়ার থাকে না।নুর ইসলাম আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার। দুই ওভার বল করে ১৩ রান দিয়েছেন বিনা উইকেটে। খেলাটি ২২ ওভার ২ বলে চলতেছে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে তারপর রিজওয়ান এসে। বেশি ক্রিজে থাকতে পারেনি।রিজওয়ান আউট হওয়ার পর দলীয় স্কোর ১২০-৩ ওভার ২৪.৪। নুর ইসলামের বলে তিনি, ৮(১০) রান করে আউট হয়ে গেছেন। তারপর বাবর আজম ব্যক্তিগত ৭৪(৯২) বলে আউট হয়ে গিয়েছেন তারপর কিছুটা সোয়াদ সাকিল এবং সাদাব খান রানতাম বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেছিল ।৪১.৫ ওভারে বাবার আজম আউট হওয়ার পর দলীয় রান ২০৬-৫।এভাবে রানের গতি বাড়তে থাকে তারপর ইফতিকার আহমেদ রান একটু বাড়িয়ে দেন।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে তারপর ক্রিজে আসেন ইফতিকার আহমেদ তিনি একটা জড়ো ইনিংস খেলেনা ২৭ বলে ৪০ রানের।শেষ দিকে তিনি নাবিন-উল হকের ফাঁদে পা দেন এবং আউট হয়ে যান।৫০ ওভারে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সাত উইকেটে ২৮২ রান করতে সক্ষম হন এবং তিন জন ব্যাট করতে পারেন নাই। ওসমান মীর , হাসান আলী ও রাউফ। আফগানিস্তানের সবচেয়ে সফল বলার ছিল নুর আহমেদ ১০ ওভার বল করে ৪৯ রান দিয়েছেন তিন উইকেট। পাশাপাশি রাশিদ খান উইকেট না পেলেও ১০ ওভার এ ৪১ দিয়েছেন।মোহাম্মদ নাবি আড়ালেই কাজটা সেরে গেছেন ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন। নাবিনুল হক ২ উইকেট পেলেও ইকনোমিক ছিল ৭.৪ অনেক রান দিয়ে ফেলেছেন ।আজমত উল্লাহ ও মুজিবুর রহমান ৭/১০ উপর রান দিয়েছেন।দলীয় পারফরম্যান্সটা মোটামুটি ভালই ছিল আফগানিস্তানের। এখন দেখা যাক ব্যাটিং পর্বে আসা যাক আফগানিস্তানের।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে প্রথম থেকেই পাকিস্তানের বোলিং লাইন আপ শক্তিশালী ছিল। শাহীন আফ্রিদি, হাসান আলী হারিজ রউজ এবং সাদাব খান। কিন্তু ক্রিকেট হচ্ছে মাইন্ড গেম এর খেলা। যারা মাইন্ড গেমটা ভালো খেলতে পারবে তাদেরই এ জয়। রহমানুল্লাহ গুর্বাজ ও ইব্রাহিম জারদান ওপেনিং জুটি শুরু করেন। তারা পাওয়ার প্লে দেখে শুনে ভালোই খেলছিল ।
পাওয়ার প্লে তে বিনা উইকেটে ৬৯ রান করেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার তারা দেখে শুনে ভালোই খেলছিল এবং ২১ ওভার এক বলে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে রহমানউল্লাহ গুরবাজ।শাহিন আফ্রিদি জালে আটকা পরে দলীয় ১৩০-১। তারপর দেখেশুনে ক্রিজে আসেন রহমত শাহ। সে ভালোই খেলতেছে ইদানিং।ইব্রাহিম জার্দান ও রহমত দুজন স্কটটা দারুন বাড়াতে থাকে।পাকিস্তানের যে এত সুন্দর বোলিং লাইন আপ কিন্তু তারা আজকে বোলিংয়ে কোন লাইন আপনি খুঁজে পান নাই
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে উইকেটের খুঁজে ক্যাপ্টেন বাবার আজাম হাসনা আলিকে নিয়ে আসেন কিন্তু সে উইকেট ও পেল। ৩৩ ওভার ৩ বলে ইব্রাহিম যারদান ব্যক্তিগত ১১৩ বলে ৮৭ রানে আউট হন। তখন দলীয় স্কোর ১৯০-২।তখনো জয়ের বন্ধুরে পৌঁছায়নি আফগানিস্তান। কিন্তু ম্যাচটা অতি সহজেই তাদের হাতে চলে এসেছিল।
তারপর হাসমতউল্লাহ শহিদী আফগানিস্তানের কাপ্তান। তারা ব্যাট থেকে চার এসে জয়ের বন্ধরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। তখন দলীয় স্কোর 49 ওভারে ২৮২/২।অপরদিকে রহমত শাহ ৭৭(৮৪)রানে অপরিচিত ছিল এবং হাসমত উল্লাহ ৪৮(৪৫)।তারা ৮ উইকেট হাতে রেখে জয় দেখা পেয়ে যায়। পাকিস্তান দলের আজকে কেউই সফল বলার ছিল না। শাহিন আফ্রিদি ১০ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন। সবথেকে খরচে বোলার ছিলেন ওসমান মির। ৮ ওভার এ ৫৫ রান দিয়েছেন ও একটা নো বোল দিয়েছেন।আফগানিস্তানের পথ চলা অনেক সুন্দর। তারা যেভাবে এগোচ্ছে মনে হচ্ছে সেমিফাইনাল খেলবে এবং তারা ভালো কিছু আশা করবে ভবিষ্যতে দেখা যাক।
আসলে বিনোদন সকলের জন্য প্রয়োজন আর এ বিনোদনগুলো আমাদের অনেক সময় হতাশ করে অনেক সময় টেনশনে ফেলে আবার আনন্দ দেয়। ঠিক তেমনি একটি ম্যাচ আজকে আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করে দেখিয়েছেন। যেখানে পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের খেলার বিশেষ বিশেষ অংশ।
অনেক সময় হতাশায় টেনশনে ফেলে দেয় ভাইয়া। তাও দিন শেষে খেলা দেখি। আবেগ কাজ করে। যাই হোক আপনি সুন্দর করে পড়ে রিভিউ দিয়েছেন
বেশ ভালো লাগলো
বিশ্বকাপের দিন যত শেষ হচ্ছে আফগানিস্তান দল যেন ততটাই ভয়াবহ হয়ে যাচ্ছে। কালকে রাতে পুরো খেলাটা আমি দেখেছিলাম আফগানিস্তান যেভাবে খেলছিল তা দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে তারা এত নিচের সারির দল।
জি ভাই আফগানিস্তান যেভাবে খেলছে তারা মনে হচ্ছে সেমিফাইনাল খেলবে এবং তারা অনেক ভয়াবহ দল হয়ে যাচ্ছে। দেখা যাক কি হয় পরবর্তী পর্বে
খেলার চমৎকার রিভিউ করেছেন আপনি। পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তান ক্রিকেট খেলার ম্যাচ টি আমি দেখেছি। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। সত্যি আফগানিস্তান বেশ ভালো খেলেছে। খেলাটি খুব চমৎকার উপভোগ করেছি। আফগানিস্তান দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সহজে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তান ক্রিকেট খেলা দেখার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।আমিও খেলাটি খুবই উপভোগ করেছি এবং আপনিও উপভোগ করেছেন জেনে ভালো লাগলো
যদিও ক্রিকেট খেলা দেখা হয় না। তবে খেলা নিয়ে লিখা রিভিউ পোস্টগুলো পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে। পাকিস্তানের সাথে আফগানিস্তানের খেলাটা বেশ উত্তেজনাপূর্ণ ছিল বুঝতেই পারছি। অবশেষে আফগানিস্তানের বিশাল জয় হয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।