প্রতারণায় ভরা বিবেক

সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও মোটামুটি ভালোই আছি। তবে ভাবতেছি মানুষ এর বিবেক কিভাবে এতো ছোট হতে পারে। বর্তমানে পুরো পৃথিবীতে খুব কঠিন সময় যাচ্ছে। ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সমস্যাটা আরো প্রকোপ আঁকার ধারন করেছে। কিন্তু এই কঠিন সময়টাও বিবেকহীন কিছু মানুষ প্রতারণা করেই যাচ্ছে। তো আর কথা না বারিয়ে মূল পোস্ট এ ফিরে যাই।

কিছু মানুষ এর স্বভাব নষ্ট হয় অভাবের তাড়নায়। কথায় আছেনা "অভাবে স্বভাব নষ্ট"। এই আরকি। তবে কিছু মানুষ আসে সময় যেমনই যাকনা কেনো তার স্বভাব সব সময়ই নষ্ট। একবারে বলা চলে বিবেকহীন মানুষ। অভাবের তাড়নায় হোক আর এমনি হোক প্রতারণা মানেই অপরাধ। কিন্তু কিছু মানুষ তো সেই অপরাধকেই প্রশ্রয় দিয়ে আসছে। মানে পরোক্ষ ভাবে সমর্থন যাকে বলে। মুখে বলবে এটা করা যবেনা। কিন্তু ভিতরে ভিতরে বলে করো তোমরা। আমি আছি তোমাদের সেল্টার দিতে। আমি মাঝে মধ্যে ভাবি মানুষ এতোটা নিষ্ঠুর কিভাবে হতে পারে। একটা অন্যায় কাজ করতে গেলে তো বিবেকে বাধে। তবে এদের কি বিবেক বোধ বলতে কিছু নেই? আমার তো মনে হয় নেই। আপনারা অনেকেই হয়তো ভাবছেন আমি আজ বিবেক নিয়ে পরলাম কেন। আসলে দুঃখ থেকেই কথা গুলা বলা। যা দেখে আসছি বহুদিন ধরেই। কিন্তু কতো আর মেনে নেওয়া যায়। আমি হয়তো গায়ের জোরে ঠকে যাওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছি। কিন্তু নিরীহ মানুষ গুলা? তারা তো প্রতিবাদ ও করতে পারেনা। তারা কি এই বিবেকহীন মানুষ গুলোর কাছে ঠকে যাবে সব সময়?

এবার আসুন মূল গল্প শোনা যাক। কেনো আমি এসব নিয়ে কথা বলতেছি। আমরা আজকে রাতে বারবিকিউ পার্টি করবো। যেটা প্রতি বছর ডিসেম্বর এর মাঝা মাঝিতে করে থাকি বন্ধুরা মিলে। আমরা যখন মুরগি কিনি বেশি করে তখন আমরা আলাদা একটা পন্থা অবলম্বন করি। সেটা হচ্ছে মাপে যেনো কম না দিতে পারে তাই সাথে এক কেজির একটা লবন এর প্যাকেট রাখি। সেটা দিয়ে ডিজিটাল ওজন মাপার মেশিন পর্যবেক্ষন করি। তো সব দোকানেই ১৫০ টাকা কেজি করে দর হাকাচ্ছিলো। আমরা একটু কম এ চাচ্ছিলাম। কিছু দোকান ১৩০ করে সাধছিলো। কিন্তু সন্দেহ হওয়াতে যাইনি। তো এক যায়গায় পেলাম ১৪০ টাকা করে রাখবে। আমরা মুরগি নিবো ২০ কেজির মতন। তো আগেই বলে নিলাম আমরা পাল্লা চেক করে ভালো মতন দেখে নিবো। তখন দেখলাম ব্যাটার কথার সূর পালটে গেলো। উনি বললো সত্যি কথা বলতে সব দোকানেই এমন পাল্লায় সিস্টেম করা। আপনারা যদি ১৪৫ টাকা করে দেন তাহলে সঠিক মাপ পাবেন। পাল্লা যেভাবে খুশি দেখে নিবেন। আমরাও বললাম যে ঠিক আছে তাই হবে। তারপর উনি বালতির ভিতর লবন এর প্যাক দিয়ে মাপলো দেখলাম ১ কেজি ২০ গ্রাম দেখালো। ভাবলাম এদিক সেদিক হতে পারে। কিন্তু উনি হাত দিয়ে পাল্লা ধরে আছে দেখলাম। ওনাকে সরাতে বললাম। তারপর বললো ৫০ গ্রাম এদিক সেদিক। সেটা মাপ দেওয়ার পরে বাদ দিবে। তবে আমার সন্দেহ থেকে গেলো। তাই আমি বললাম বালতি নামান। তারপর বালতি নামালো। লবন এর প্যাক দেওয়ার পর দেখলাম ০ হয়ে গেলো। এবার নামাতে বললাম। উনি নামাতে না নামাতে পাল্লা বন্ধ করে আবার চালু করলেন। এবার আবার দিতে বললাম। তারপর উঠানের পর দেখলাম যে সব কিছু ঠিক বলেও তিনি ১৮০ গ্রাম এদিক সেদিক করেছে। মানে প্রতি কেজিতে আমরা ১৮০ গ্রাম করে কম পেতাম।

চিন্তা করেন একবার। মানুষ কতটা বিবেকহীন হতে পারে। উনি ওনার দাম বলে বললো। আমরা সেটাই মেনে নিলাম। তারপরও তিনি কাহিনী করলেন। এভাবেই এরা ঠকিয়ে আসছে মানুষ কে। আর্থিক যে অবস্থা সবার। অনেকেই মাংস কিনতে পারেনা ঠিক মতন। সেখানে যদি কেজিতে ১৮০ গ্রাম করে ঠকায়। মানুষ খাবে কি? আমরা না হয় এক সাথে কিছু বন্ধু মিলে গিয়ে গায়ের জোরে সঠিক মাপ এ কিনেছি। কিন্তু এরা কি করবে ভাই? এরা কী আজীবন ঠকেই যাবে? আসলে এগুলো দেখার কেউ নাই। দেখে দুই দিন। তারপর দুই বছর বন্ধ থাকে। আর নেতাদের বিষয়ে তো বললামই না। যেহেতু বিষয়টা রাজনৈতিক হয়ে যাচ্ছে। আমি জানি আপনারা এমনি বুঝতে পেরেছেন। কবে যে এসব থেকে মুক্তি পাবো আমরা। জানিনা।

তো এই ছিলো আজকে। আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের। কেমন হলো জানাবেন।