অফিসে আমার একদিন............

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।



Collage_2023-07-19_14_39_06_copy_1280x853.jpg

পিক কলেজ এপ থেকে বানানো।

কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছে। আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে একটু জোশ মুড এই থাকা যায়। যেমনটা আমি থাকি। গরম পরলে আর তেমন ভালো লাগেনা। গরম মানেই অসহ্য এক আবহাওয়া। মানুষ যে কিভাবে গরম সহ্য করে আমি বুঝিনা। আমি একটু গরমেই কাহিল হয়ে যাই। তো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার অফিস এর এক সাধারন দিন এর অনুভূতি। অফিস নিয়ে তেমন কিছু আমি শেয়ার করিনা। ভাবলাম আজ আপনাদের সাথে কিছু শেয়ার করি।

IMG_20230712_181048.jpg

আমার পরিচয় তো আপনারা সবাই জানেনই। তবে ইয়ামাহার সাথে আমার পরিচয়টা তেমন ভাবে হয়তো কেউ জানেন না। আমি ইয়ামাহা সার্ভিস সেন্টার এ স্পেয়ার পার্টস এর ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত আছি। গত জানুয়ারী মাসের ১ তারিখ এখানে যুক্ত হয়েছিলাম। এই সার্ভিস সেন্টার এর পুরো পার্টস সেকশন আমার দায়িত্বে। শুরুতে অনেক ভয় পেতাম। আমি কি পারবো এতো বড় দায়িত্ব সামলাতে। কারণ এটি ছিলো আমার প্রথম চাকরী। শুরুতেই এতো বড় দায়িত্ব পেয়ে একটু ভয় পেতাম। যদিও সে ভয় কেটে গেছে প্রথম মাসেই। শুরুতে ভাবতাম এতো এতো পার্টস এর ইনভেন্টরি কিভাবে রক্ষা করবো। কিন্তু এখন সব কিছু পানি ভাত মনে হয়। আমি খুব দ্রুতো শিখে যাই সব কিছু। বিশেষ করে প্র্যাক্টিক্যাল কাজ গুলো আমার আয়ত্বে আসতে বেশি সময় লাগেনা একটা। ভালো লাগে সব কাজ দ্রুতো বুঝে নিতে। তবে তবুও মাঝে মধ্যে স্যার দের ঝারি তো খেতেই হয়। এটা একদম স্বাভাবিক। তবে ভয় নেই। স্যার রা একটু এমন করবেই। বড় কথা হচ্ছে এটাই যে সব কিছু শিখে নিতে পেরেছি দ্রুতো সময়ে। এখানের সবার সাথে মিশে যেতে পেরেছি। সবাই খুব সম্মান দেয় এখানে। আর আমার কাছে সম্মানটা অনেক বড় এক বিষয়। আর আমার মনে হয় সবার ক্ষেত্রেই আগে সম্মানটাই বড়। সম্মান যেখানে আমিও সেখানে। তো চলুন আমার অফিস এর একদিন সম্পর্কে বলি আপনাদের। অর্থাৎ কি করি আমি।

IMG_20230708_094926.jpg

IMG_20230709_112327.jpg

তো প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠি আমি ৬ টা ৪৫ থেকে ৭ টার মধ্যে যদিও এই ঘুম ভাঙ্গতে ৭ টা ৪০ বেজে যায়। এলার্ম পজ করতে করতে এই সময় কেটে যায় আরকি। এরপর উঠেই ফ্রেশ হতে চলে যাই। গোসল করেই বেড় হই একদম। এরপর আম্মু খাবার দেয় সেটা খেয়ে লাঞ্চ বক্স হতে নিয়ে বেড় হয়ে যাই বাসা থেকে। সময় কম থাকলে রিকশা নেই। নাহলে হেঁটেই চলে যাই বাস স্ট্যান্ড এ। এবার বাসে উঠার জন্য রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়। কিন্তু কিছু করার নাই। সকাল বেলা এই অফিস টাইমে ভিড় হবেই। তবে খুব শিগরই আল্লাহ চাইলে একটা বাইক নিয়ে নিবো। ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে দিয়েছি সবে। ২ মাস পর পরীক্ষা। এরপর আশা করি লাইসেন্স পেয়ে যাবো। দরবেশ ধরেছি পেতে তো হবেই। হিহি। কেউ আবার এখন জিজ্ঞেস করিয়েন না দরবেশ বাবা কি? যাক অফিস পৌছে হাজিরা শীট এ সাইন করেই পার্টস এ চলে যাই। এরপর প্রথমে সব লাইফ ফ্যান চালু করি। এরপর কম্পিউটার চালু করি। এরপর আগের কোনো কাজ থাকলে করি। নাইলে একটু হাঁটাহাঁটি করি ফ্লোর এ। ১০ টা থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয় পুরো দমে। এরপর আমি আর আমার সহকারী মিলে পার্টস সেকশন চালনা করি। টেকনিশিয়ান রা এসে কি কি পার্টস লাগবে সেগুলোর লিস্ট দিয়ে যায়। আমরা সে পার্টস গুলো প্রস্তুত করে সেগুলো তাদের কাছে পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করি।

IMG_20230712_181251.jpg

এভাবেই চলতে থাকে আমাদের কাজ। এরপর মাঝে মাঝে কিছু পার্টস ওয়ারেন্টিতে যায়। সেগুলো নিয়েও আমার কাজ করতে হয়। আমি ফ্লোর ইনচার্জ এর সাইন দেখে ওয়ারেন্টি পার্টস এপ্রুভাল দেই। এরপর আগের পার্টস ঠিক মতন বুঝে রেখে নতুন পার্টস প্রদান করি। এরপর নষ্ট পার্টস এর ছবি তুলে রাখি। দিন শেষে আমার সেগুলো ক্লেইম করতে হয়। ক্লেইম এর সময় বিস্তারিত বর্ণনা করতে হয়। সাথে ছবি গুলো ও দিয়ে থাকি। এরপর একটি এক্সেল শীট এ সব ডাটা রেখে দেই। তারপর ওয়ারেন্টি ট্যাগ লিখে পার্টস এর গায়ে লাগিয়ে দেই। বেস আমার কাজ আপাদত শেষ। তবে শেষ বললেই কি শেষ হয়? না শেষ তো হয়না। মাসে দুইবার স্পেয়ার পার্টস গুলো এসিআই তে পাঠাইতে হয়। তারপর সেগুলোর বিল ক্লেইম করতে হয়। যদিও এই কাজ করে সার্ভিস সুপারভাইজর। তবে আমি বিল প্রস্তুত করে দেই। এভাবেই আমার দিন কেটে যায়। আমার শুরু হয় পরের দিনের ডিউটি।

IMG_20230712_181307.jpg

IMG_20230712_130422.jpg



░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

break .png

Purple Yellow Black Neon SciFi YouTube Banner (800 × 260 px) (800 × 250 px).gif

break .png

আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

break .png

Banner.png

break .png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

অফিসে কাজের ফাঁকে বেশ দুর্দান্ত মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই। আসলে মাঝে মাঝে এই রকম সময় অতিবাহিত করতে পারলে খুবই ভালো লাগে। আপনি ঠিক বলেছেন ভাই গরম মানেই অসহ্য এক আবহাওয়া। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।

 last year 

কাজের ফাকে সময় ভালোই দ্রুতো চলে যায়। অফিস না গেলেই বরং খারাপ লাগে এখন।

 last year 

আপনার অফিস টাইমের গল্প পড়ে সত্যি ভালো লাগলো। যে কোন কাজের ক্ষেত্রে প্রথম প্রথম একটু ভয় কাজ করে। যখন আপনি সেই কাজের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাবেন আস্তে আস্তে সব কিছুই সহজ হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। অনেক ভালো একটা চাকরি করেন এজন্য ভালো লাগলো আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

 last year 

জ্বি ভাই। সেই ভয় গুলো এখন আর কাজ করেনা।

 last year 

ভাইয়া অফিসের একদিনের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক কিছুই জানা হয়ে গেলো। আসলে সব কাজেই প্রথমে ভয় কাজ করে পরে সব ঠিক হয়ে যায়। এটা ঠিক যেকোনো কাজ প্র্যাকটিক্যাল দেখলে সহজ হয়ে যায়। আমার মধ্যে ও এটা আছে।হাতে কলমে দেখলে ইজি।অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

 last year 

হুম এটা বাস্তব প্রমাণ আমি। যখন কাজ গুলো প্র্যাকটিক্যালি করেছি তখন দেখি সবই খুব সহজ আমার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56325.56
ETH 2374.82
USDT 1.00
SBD 2.33