পবিত্র ইদুল আজহার শুভেচ্ছা সবাইকে

সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। শুরুতেই সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক। আশা করি আপনাদের সকলের ঈদ অনেক আনন্দে কাটছে। আমি তো ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ঈদ পার করে দিলাম আজ। কি আর করবো বলুন। নানুদের কুরবানিতে হেল্প করবো বলে গ্রামে আসা। অথচ আমি বৃষ্টির জন্য সারাদিন পরে পরে ঘুমালাম। যাই হোক চলুন শুরু থেকে শুরু করি আজকের পোস্ট।

আমার বাংলা ব্লগ এ আসার পর এটি আমার ২য় ঈদুল আজহা ছিলো। এর আগেরবার ও আমার বাংলা ব্লগ এর সাথেই ছিলাম। এবারো আমার বাংলা ব্লগ এর সাথেই আছি। কিভাবে যেনো দিন গুলো শেষ হয়ে যায়। বুঝাও যায়না কই থেকে কি হলো। আজকের দিনটিও আমার দারুণ ভাবেই কেটেছে। ভেবেছিলাম অনেক আগেই পোস্ট করবো। কিন্তু এতো পরিমানে ঘুমানোর জন্য আর পোস্টই করা হয়নাই। তাই এই রাতে পোস্ট করতে বসা। অনেক ধীরে ধীরে লিখতেছি। আসলে ফোন দিয়ে টাইপ করা একটু কষ্ট বলা চলে।ভয়েজ টাইপিং এ আমি অনভিজ্ঞ। তো আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেছি ৭ টায়৷ ঈদ এর জামাত ছিলো ৭ টা ৩০ এ। তাই উঠেই গোসল করতে চলে গেলাম। দ্রুতো গোসল শেষ করে নামাজ এর জন্য তৈরি হয়ে নেই৷ গতকাল বৃষ্টি হওয়াতে রাস্তা কাদা দিয়ে ভরা। হাটতে ভালোই কষ্ট হচ্ছিলো। তবুও হেটেই চলে গেলাম।

এরপর মসজিদ এর দিকে চলে যাই। গিয়েই দেখি নামাজ এর জন্য দাড়িয়ে গিয়েছে। দ্রুতো ছাদে চলে গেলাম। তবে বিপাকে পরলাম ছাদের মাইক এর লাইন এর সুইচ বন্ধ করা ছিলো। তবে একটু পর এখানের লোক এসে মাইক ঠিক করে। পরে আমরা নামাজ আদায় করে নেই। এরপর হুজুর দুইটি খুদবা দেন। সেগুলো বসেই শুনি। খুদবা শুনাও ওয়াজিব। এরপর মোনাজাত শেষ করে মসজিদ থেকে বের হয়ে বাসার দিকে চলে যাই। কুরবানি শুরু হবে। বাসায় এসে শেমাই খেয়ে নিলাম। তারপর ভাবতেছিলাম যে একবারে রেডি হয়ে যাবো কিনা। কিন্তু পাঞ্জাবি পরেই আমার পিচ্চি মামাতো বোন কে কোলে নিয়ে চলে গেলাম। দেখলাম পশু কুরবানি হয়ে গেছে আগেই। বোন কে দেখালাম ঘুরে ঘুরে। তারপর বাসায় চলে আসলাম। ঘুম পাচ্ছিলো খুব৷ আবার ভাবতেছিলাম যে কাটাকাটি করতে যাবো। তবে বৃষ্টি দেখে ভয় পেলাম। কারন গতকাল ঢাকা থেকে আসার সময় একটু বৃষ্টিতে ভিজে আমার অবস্থা খারাপ হয়েছিলো। মাথা ব্যাথা ছিলো লঞ্চ এ পুরো সময়।

তো দিলাম এক ঘুম। এক ঘুমে দেখি দুপুর হয়ে গেছে৷ এরপর আব্বু আম্মুর সাথে ভিডিও কল এ কথা বললাম। একটু পর নানু খাওয়ার জন্য ডাকলো। হাত মুখ ধুয়ে খাইতে চলে গেলাম। আমার খালা মনি ভুনা খিচুড়ি রেধে ছিলেন। সাথে মাংস। আহা কি যে স্বাদ। অনেক গুলো খেলাম আমি। এরপর খেয়ে দেয়ে আবার ঘুম। এভাবেই কাটলো আমার ঈদ।