তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জীবন
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? গরমে খুবই অবস্থা খারাপ সবার। আমিতো গরম একদমই সহ্য করতে পারিনা। কোনো ভাবেই না। অথচ আমারই গরম এর মধ্যে থাকতে হয় বেশি। বিশেষ করে আমার স্পেয়ার পার্টস এ এত্তো বেশি গরম যা বলার বাইরে। আমি তো ঘামাতে ঘামাতে শেষ। অবশ্য অন্যান্য বার থেকে এবার একটু বেশিই ঘামাচ্ছি। এর জন্য ডাক্তার দেখাবো ভাবলেও সময় এর অভাবে সেটা হয়েই উঠতেছেনা। তো যাই হোক আজ আপনাদের এই তীব্র গরম নিয়ে কিছু কথা বলবো।
৭ম কি ৮ম শ্রেনিতে থাকা অবস্থা থেকেই পরবর্তী কয়েক বছর গরম আগের বছর থেকে বৃদ্ধি পায় এটা খেয়াল করতেছিলাম যে বছর এসএসসি পরীক্ষা দিলাম। অর্থাৎ ২০১৬ তখন তো এটাই মাথায় ছিলো যে দিন দিন এভাবেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। হচ্ছেও তাই। প্রতি বছরই তার আগের বছর থেকে তাপমাত্রা বেশি হচ্ছে। আর এ গরম যেনো এবার আরো বেশি। আর সামনের বছর কি হবে এটাই ভাবতেছি। আর তার পরের বছর কি হবে এটা ভাবুন। আর আজ থেকে ৫ বছর পর কি হবে এটাও ভাবনায় আসে। গরমের মাত্রা এতোই বেশি যে এখন ফ্যান চালু থাকলেও সেটা গায়ে লাগেনা। আমি রীতিমত ঘামতেই থাকি ঘামতেই থাকি। খুবই বিরক্ত লাগে মাঝে মধ্যে। আর সময় এর এমনই অভাব যে ডাক্তার দেখাতেই পারছিনা কোনো ভাবে। আমি যে ভাবে ইদানিং ঘামতেছি। মাঝে মাঝে ভাবি যে সামনের বছর গুলোতে আমার কি হাল হবে। এতো গরম কি সহ্য করা যায়। কিছু কিছু মানুষ বলে তাদের নাকি গরম ভালো লাগে। আমি বলি আসেন তো ভাইয়েরা বোনেরা আপনাদের চাঁদ মুখ খানা একবার দেখি। আপনাদের ফ্যান এসি ছাড়া বসাই রাখা উচিৎ। আপনারা আমার শত্রু। শুধু আমার না। আমরা যারা গরম সহ্য করতে পারিনা তাদের সবার শত্রু।
গরমের তীব্রতা প্রচুর এখন। একবার ভাবুন তো আজ থেকে ৫ বছর আগের গরম কাল আর এখন কার গরম কাল এ কতটা তফাৎ। আগে কি কখনো শুনেছেন যে গরমের কারণে পিচ ঢালাই করা রাস্তার পিচ গলে গেছে। গরমের কারণে রেল লাইন বেকে গেছে। এটা শুনেছেন কখনো। কিন্তু এখন এটাই হচ্ছে। গরমের তীব্রতা এতোই বেশি যে রেল লাইন গুলো সাপের মতন বেকে যাচ্ছে। পিচ ঢালাই এর রাস্তা গুলো গলে যাচ্ছে। ফলে অনেক দূর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে সাধারন মানুষ। যাদের টাকা আছে তারা এই যাত্রায় বেচেই গেছে। তাদের গরম থেকে ঠান্ডা হাওয়া খাওয়ার মেশিন আছে । আরে এসির কথা বলছি আরকি। 😂😂 । দারুণ নাম দিলাম তো। হেহেহে। মাঝে মধ্যে আমি ভাবি আমি মনে হয় ব্রিলিয়ান্ট। হাহা মজা করলাম আরকি। যাক। যাদের টাকা আছে তাদের গরম সহ্য করতে হয় কম। আমাদের টাকা নাই। তাই সহ্য করতে হবে বেশি। এটাই স্বাভাবিক। মেনে নিতেই হবে। মেনেও নিলাম।
গরমটা মনে হয় আমাদের জন্যই। আমাদের না আছে এসি। না আছে এয়ার কুলার। আমাদের এমনিতেই থাকতে হয়। অবশ্য এ সব কিছুর দায় আমাদেরই। আমরাই গাছ পালা কেটে কেটে পৃথিবীটাকে মরুভূমি বানিয়ে ফেলেছি। থুক্কু মরুভূমিতেও এখন সবুজ গাছ পালা ঘাস দেখা যায়। এখন আর এর উদাহরণ দেওয়া যাবেনা। তবে আমরাই দায়ী। যেভাবে গাছ পালা নিধন চলছে। সামনের বছর গুলোতে কি হবে এটাই ভাবতেছি। আর এর জন্য কারো মাথা ব্যাথাও নাই। আমরা সবাই মুখে আর লিখেই প্রতিবাদ জানাই। নিজেরা কিন্তু কাজের কাজ করিনা। চাইলে তো নিজেরাও পারি গাছ লাগাতে। বলতে পারেন যে আপনি একলা করে কি হবে। আরে ভাই আগে আপনি একলাই করেন না। এভাবে সবাই একলা একলা করতে করতেই দেখবেন প্রকৃতি আগের রূপ এ ফিরে যাবে। আবহাওয়া ও ঠান্ডা থাকবে। আমাদের ঢাকার অবস্থা আরো করুন। এখানে গাছ পালা নেই বললেই চলে। অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে দাড়িয়েছে। আগামী বছর গুলো তে কি হবে জানিনা আমি। আল্লাহর কাছে চাই বরফ এর কোনো দেশে যেনো আমাকে নিয়ে যায়। তাইলে হয়তো বেঁচে যাবো। নাহলে এ গরম সহ্য করা আমার পক্ষে অনেক কষ্টের। আর অত টাকাও নাই যে এসি কিনবো বা এসির বিল বহন করবো। তো আজ আর লিখছিনা।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
একদম সময়ের উপযোগী একটি পোস্ট করেছেন।। আসলে ভাই বর্তমানে কি অবস্থা গরমের অতিষ্ট।।
মাঝে মাঝে আমার মনে হয় আমি যেন দুবাই অথবা সৌদি আরবের মরুভূমিতে রয়েছি।
এই গরম থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার কাছে পানহা চাওয়া।
জানিনা আল্লাহ কতদিন এই বিপদে আমাদেরকে রাখবেন।।
একদম ভাই। তাইতো মানুষ এখন বলে সৌদির মতন গরম পেয়েছি। তবে সম্পদ পাইনি। হাহাহা
এই গরমে জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। ঘরের মধ্যে টিকা জানা আর বাইরে বের হলে তো কথাই নেই। ঠিকই বলেছেন ভাইয়া যে হারে গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে গরম না বৃদ্ধি পেয়ে যাবে কোথায়। আসলে যে পরিমাণ গাছ কাটা হচ্ছে তার দ্বিগুণ পরিমাণ গাছ লাগালে কিছুটা হয়তো স্বস্তি পাওয়া যেত। তাছাড়া এরকম কোন উদ্যোগও কোথাও দেখা যায় না। জানি না ভবিষ্যতে আমাদের জন্য কি দুর্গতি অপেক্ষা করছে।
জ্বি আপু। আসলে আমাদেরই দোষ। আমরা কিন্তু গরম লাগে গরম লাগে বলে উল্টাই ফেলতেছি । কিন্তু দেখেন গাছ লাগানের বেলায় কেউ নাই ।
ঠিক বলেছেন, যাদের টাকা আছে তাদের গরম সহ্য হতে হয় কম। আসলেই কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা বলে, তাদের কাছে নাকি গরম লাগে না এরা কিন্তু আমারও শত্রু। আপনি বেশ ভালোই একটা পোস্ট লিখেছেন। এই গরমের মধ্যে ঘরেও থাকা যাচ্ছে না, আবার বাইরে বের হতে পারছি না। সত্যি জীবনটা একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে এই গরমের মধ্যে। আপনি সময়ের কারণে ডাক্তার দেখাতে পারছেন না। সময় করে ডাক্তারের কাছে অবশ্যই চলে যাবেন। সম্পূর্ণটা বেশ উপভোগ করে পড়লাম।
জ্বি আপু। তবে তাদের জন্য সমস্যা সেই আমাদেরই পোহাতে হয়। এসির জন্য প্রকৃতিতে ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন নিস্বরণ হয়। এতে করে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
আসলে গরম হলেও আমি গরম সহ্য করতে অনেকটাই পারি। ঘামালেও ঘাম মুছে ফেললে আর তেমন কিছুই লাগেনা। আপনার তো দেখছি অবস্থা একেবারেই শেষ এই গরমের কারণে। শুধু আপনার না সবারই এরকম অবস্থা। এটা কিন্তু ঠিক, যাদের টাকা নেই তাদের গরম একটু বেশি সহ্য করতে হয়। আর সহ্য করার ক্ষমতা রাখলে আরো বেশি ভালো হয়। যাইহোক খুব সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লিখেছেন। বেশ ভালোই ছিল সম্পূর্ণটা।
কেমনে ভাই? কেমনে গরম সহ্য করেন। আমার তো মনে হয় গরমে মরেই যাবো।