চাঁদনী রাতের দৃশ্য অঙ্কন || ডিজিটাল আর্ট #179
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। কি খবর সবার। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালোর দলে। শীত আজ ভালোই কাপাচ্ছে। অফিস ছিলো আজ কিন্তু ক্লাস থাকাতে বিকালেই বাসায় চলে আসি। এরপর ক্লাস শেষ করে ভালো লাগছিলোনা তাই আমার বাইকটা নিয়ে বেড় হয়েছিলাম। ফ্রেন্ড ছিলোনা কেউ। একাই চালাতে ইচ্ছে করছিলো। তাই একাই গেলাম। কিন্তু শীতে বরফ হয়ে গিয়েছিলাম রিতিমতন। হেলমেট নেইনি যেহেতু এলাকাতে চালাবো। শীতের মজা আরো বুঝলাম। যাক আজ একটা আর্ট শেয়ার করবো। এই আর্ট এর সম্পূর্ণ ক্রেডিট @wahidasuma আপুর। আপুর হাতে আঁকা একটি আর্ট থেকেই আমি এই ডিজিটাল আর্টটি করেছি। আশা করি ভালো লাগবে। তবে আপুরটা বেশি সুন্দর হয়েছিলো।
ডিজিটাল আর্ট করতে বেশি কিছু লাগেনা। আমার যা যা লেগেছে-
- কম্পিউটার
- Adobe Photoshop CC 2019
- ফ্রি কাস্টম ব্রাশ Brusheezy! থেকে। এখান থেকে কপিরাইট ফ্রি কাস্টম ব্রাশ প্রিসেট নামাতে পারবেন)
প্রথমে আমি ফটোশপ ওপেন করে নিউ ফাইল তৈরি করি যার সাইজ রেশিও ১০০০X১০০০ পিক্সেল।
প্রথমেই আমি নতুন একটি লেয়ার খুলে নেই।
এবার প্রথমেই আমি একটি বৃত্ত একে সেটিকে গ্র্যাডিয়েন্ট রঙ দিয়ে ভরাট করি। যেহেতু চাঁদনী রাতের দৃশ্য হবে সে অনুসারেই রঙ বাছাই করি।
এবার নতুন একটি লেয়ার খলে সেটি কে বৃত্তের লেয়ার এর সাথে লক করে দেই। এরপর লেসো টুল দিয়ে মাটির মতন অংশ তৈরি করে দেই।
এবার আমার তৈরি করা ব্রাশ দিয়ে কিছু বিভিন্ন রকম আঁকারের পাইন গাছ যুক্ত করি।
এবার আমি একটু আলাদা করার জন্য একটি অর্ধচন্দ্র এঁকে দেই। আপুর আর্ট এ ছিলো পুরো চাঁদ।
এবার চাঁদের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করি ব্লেন্ডিং অপশন ব্যবহার করে।
এবার আকাশে তারার মেলা তৈরি করে দেই।
এবার কালার কারেকশন করে ছবির সৌন্দর্য আরো একটু বৃদ্ধি করি।
এবার আমার নাম যুক্ত করে ড্রইং শেষ করি।
তো এই ছিলো আজকের পোস্ট এ। কেমন হলো কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। সবাই সাবধানে থাকবেন ভালো থাকবেন।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাই এই শীতের তিব্রতা আর আপনি হেলমেট বাদে গাড়িতে ওরে বাবা ৷ যাই করেন শীতের তিব্রতা থেকে বাচতে সবকিছু করুন ৷ সুমা আপুর দেখে আপনি ডিজিটাল আর্ট টি করেছেন ৷ অনেক সুন্দর করে আর্ট টি করেছেন ৷ আর ডিজিটাল আর্ট দেখতে ভালোই লাগে ৷অসংখ্য ধন্যবাদ
হেলমেট বিহীন বাইক চালানো রাজ্যের সব থেকে কঠিন কাজ ভাই।
ভাইয়া আমার হাতের আঁকা আর্টটি থেকে আপনার ডিজিটাল আর্ট টি অসাধারণ হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে যেন আর্ট টি তার পূর্ণতা পেয়েছে। আমারটা যেন অসম্পূর্ণ ছিল। সত্যি অসাধারণ দৃশ্য হয়েছে। দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন দৃশ্যটি ।বেশ ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার আর্টটি বেশি সুন্দর হয়েছিলো আপু। আর আপনি হাতে এঁকেছেন যা সত্যি কষ্টের।
আপনার ডিজিটাল আর্ট গুলো অনেক ভালো হয় আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। চাঁদনী রাতের দৃশ্যটি চমৎকার লাগছে এমন যদি একটি রাত কাটাতে পারতাম চাঁদের নিচে বসে তাহলে বেশ ভালো হতো। আপনি আপনার অঙ্কন পদ্ধতি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আহা সত্যি এমন একটি রাত কাটাতে পারলে কতই না ভালো লাগতো।
নতুন বাইক কিনলে ঘন ঘন চালাতে ইচ্ছে করে হা হা হা। আপনি চমৎকার একটি ডিজিটাল আর্ট অঙ্কন করেছেন ভাইয়া দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে বিশেষ করে উপরের দিকে বাঁকা চাঁদের দৃশ্যটা বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে।
তা বাস্তব। একটু পর পরই মনে হয় বাইকটা একটু টান দিয়ে আসি।
সত্যি ভাইয়া শীত অনেকটাই বেড়ে গেছে। তবে যাই বলুন না কেন এই কয়দিন কিন্তু বেশ শীত পড়েছে। সোমা আপুর আর্ট দেখে আপনিও ডিজিটাল আর্ট করার চেষ্টা করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার ডিজিটাল আর্ট অনেক সুন্দর হয়েছে।
হ্যা আপু। শীতে একদম কাবু বানাই ফেল্লো আমাদের।
ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল আর্ট দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে ভাই। সত্যি চাঁদনী রাতের মায়াবী অপরূপ দৃশ্য দেখে মন ভরে গেল। প্রতিটি ধাপ খুব সহজ এবং সাবলীল ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জ্বি ভাই। ডিজিটাল আর্ট করতেও দারুণ লাগে আমার।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে ওয়াহিদা সোমা আপুর অংকন থেকে দারুন একটা ডিজিটাল আর্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। বর্তমানে ভালই শীত পড়ছে আর এই শীতের সময় বাইক চালানোটা সত্যিই অনেক বেশি কষ্টের একটা কাজ, আপনার এই ডিজিটাল অংকনের মাঝে গাছের দৃশ্যটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে, শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জ্বি ভাই আপু সত্যি দারুণ ছবি আঁকেন।
ডিজিটাল আর্ট আমি অনেক ভালবাসি। আজকে যেভাবে আপনি এরকম সুন্দর একটা ডিজিটাল আর্ট শেয়ার করেছেন তা দেখে এর দিক থেকে ছোখই সরাতে পারছি না৷ খুব সুন্দরভাবে এবং নিখুঁতভাবে আপনি এই আর্ট তৈরি করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি আর্ট শেয়ার করার জন্য৷
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই । এমন মন্তব্য আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দেয়।