আরো এক বার নার্সারি তে ঘুরতে যাওয়া ও ফুলের ছবি তুলা || ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।

প্রথমেই সবাইকে জানাই নতুন বছর এর শুবেচ্ছা। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আবারো আমার বন্ধু সাজ্জাদ সোহান এর সাথে নার্সারি তে ঘুরতে যাওয়ার গল্প। যেখানে অনেক ফুলের ছবি তুলেছিলাম। তো চলুন শুরু করা যাক।

---

_{আমি ও আমার বন্ধু সাজ্জাদ সোহান।
https://w3w.co/flashing.blogging.unique}

নার্সারি যাওয়ার প্ল্যান

যারা আমার ব্লগ নিয়মিত পড়েন তারা জানেন আমি প্রায় ই নার্সারি তে যেতে ভালোবাসি। কয়দিন আগেও গিয়েছিলাম আমার বন্ধু সহ। ভাবলাম অনেক দিন হয়ে গেছে আবার যাইতে হবে। কিন্তু সময় করে উঠতে পারছিলাম না। কারন বিকালের দিকে টিউশনি থাকে। ঝামেলা হয়ে যায় এই জন্য। সোহান কয়েক দিন ধরেই বলতে ছিলো চল যাই একদিন। কিন্তু সময় করতে পারছিলাম না। তো একদিন বিকালে সোহান কল দিয়ে বললো নার্সারি তে যাবি? ছবি তুলবো কিছু। সেদিন আমার বিকালের একটা টিউশনি ছিলো না। তাই ভাবলাম সময় যেহেতু আছে একটু ঘুরে আসা যাক। গেলে মন ও ফ্রেশ হবে। আবার সাথে কিছু ছবি ও তোলা হবে। ওরে বললাম আচ্ছা তাহলে ১০ মিনিট এ প্রস্তুত হয়ে বার হচ্ছি।

_{বাসা থেকে বের হয়ে ছবিটি তুলেছিলাম।
https://w3w.co/love.easygoing.unsigned}

---

বনরুপা দিয়ে নার্সারিতে যাওয়া

---

১০ মিনিট পর আমি প্রস্তুত হয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাই। রাস্তায় উঠে একটু পর সোহান রে কল দেই। ও বলে ওদের বাসার এখানে আসতে। আমি বললাম যাবো তো আমাদের এইদিক দিয়ে আমাদের বাসার এদিকে চলে যায়। ও বললো আচ্ছা। তারপর আমি একটু সামনের দিকে গেলাম। দেখলাম সোহান আসতেছে। পরে আমরা এক সাথে বনরুপার দিকে রওনা দিলাম। যেতে যেতে আমি ফটোগ্রাফি করতে শুরু করলাম। মজাই লাগলো। আমি কিছু ছবি তুললাম। সোহান কিছু ছবি তুললো। এভাবে বনরুপা হয়ে আমরা নার্সারিতে চলে যাই। গিয়েই মন টা জুড়িয়ে যায়। নিস্তব্দ একটি পরিবেশ। ফুলের ঘ্রাণে এ যেনো মনোমুগ্ধকর একটি পরিবেশ। কার না প্রান জুড়াবে এখানে।

---

_{একটি গাঁদা ফুল।
https://w3w.co/steep.unloading.connector}

---

নার্সারিতে ঢুকেই প্রথমে পেয়েগেলাম গাঁদা ফুল। মোবাইল ফোন বের করে সাথে সাথেই ক্লিক। কেমন হয়েছে জানিনা। গাঁদা ফুল সবার ই পছন্দ। সব দিক থেকেই গাঁদা ফুল আমার অনেক ভালো লাগে। দুই রঙ এর গাঁদা ফুল ই আমার ভালো লাগে।

---

নার্সারির ভিতর ঘোরাঘুরি আর ছবি তোলা

---

নার্সারিতে ঢুকে সেই গাঁদা ফুল এর ছবি তুলে আগে কিছুক্ষন ভিতরে হাঁটাহাঁটি করি। অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে ঢাকাতে এই ধুলোবালি ভরা বায়ু তে নিশ্বাস নিয়ে ক্লান্ত আমি। এর ভিতর নার্সারি তে ঢুকলে একটূ হাফ ছেড়ে বাচা যায়। মন টাই পুরো ঠান্ডা হয়ে যায়। আর ফুলের ঘ্রাণে তো প্রান জুড়াবেই। তারপর ছবি তুলা শুরু করলাম। আপনাদের সাথে নিচে কিছু ছবি শেয়ার করলাম।

---

_{ক্রাউন অফ থ্রনস ফুল।
https://w3w.co/seriously.wealth.group}

---

ক্রাউন অফ থ্রনস এই ফুলটি অনেকেই চিনেন। আমার কাছে ভালোই লাগে। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। আগেও আমি এই ফুলের ছবি দিয়েছি। তাই আর আজ বেশি কিছু বললাম না। দেখেই তো মনে হচ্ছে আসলেই ক্রাউন।

---

_{গোলাপি রঙ এর ছোট একটি ফুল।
https://w3w.co/seriously.wealth.group}

---

এই ফুল গুলোর নাম জানিনা। তবে এটি ছোট অনেক। ম্যাক্রো মোড এ অনেক কাছ থেকে তুলেছি ছবিটি। কেউ যদি এটির সঠিক নাম জানেন তাহলে জানাবেন। আমি গুগল লেন্স ব্যবহার করেও সঠিক নাম জানতে পারলাম না।

---

_{ছবি তোলার ফাকে আমি আর সোহান।
https://w3w.co/seriously.wealth.group}

---

ছবি তোলা শেষে একটু খাওয়া দাওয়া

---

অনেক গুলো ছবি তুলে সেখান থেকে বের হয়ে আসি। ভালোই লাগে অনেক। তারপর আমি আর সোহান ঠিক করলাম আজ কিছু স্ট্রিট ফুড ট্রাই করা যাক বাসায় ব্যাক করার সময়। তো দুজন মিলে বাজারের দিকে চলে গেলাম।

_{স্ট্রিট ফুড এর দোকান।
https://w3w.co/february.unheated.dubbing}

বাজারে গিয়েই এই দোকান পেয়ে গেলাম। তখন সেখানে বার্গার আর নুডলস অর্ডার দিলাম। একটু অপেক্ষা করলাম তারপর আমাদের খাবার এসে গেলো। খাবার গুলো খুবই মজার ছিলো।

_{নুডলস এর ছবি।
https://w3w.co/february.unheated.dubbing}

নুডলস টি খুবই ভালো লেগেছে। বার্গার ও খারাপ লাগেনি। তবে নুডলস টা বেশি ভালো লেগেছে। সবজি ছিলো সাথে। আমি সাথে সস আর মেয়োনিজ দিয়ে খেয়েছি। তাই আমার কাছে বেশি মজা লেগেছিলো।

_{খাবার হাতে নিয়ে আমি আর সোহান একটি ছবি তুলি।
https://w3w.co/february.unheated.dubbing}

---

তো এই ছিলো আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। শুভকামনা রইলো সবার জন্য।