বৃষ্টিময় একদিন সাথে অফিস পৌঁছাতে বৃষ্টিতে বাইক নিয়ে যুদ্ধ......
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? কয়দিন পরিবেশটা ঠান্ডা থাকার পর আবার গরম পরা শুরু হয়েছে। এই গরম থাকবে আরো কয়দিন। এমন গরম সহ্য করার কষ্ট কর। ঘূর্ণিঝড় এর কারণে কয়দিন পরিবেশ একটু ঠান্ডা ছিলো। শান্তিমতন ঘুমাতে পেরেছিলাম। আজ যে পোস্ট শেয়ার করবো সেটি আরো কয়দিন আগেই করার কথা। কিন্তু অফিসিয়াল ঝামেলার কারণে একটিভ হতে পারিনি। তাই আজ শেয়ার করবো ভাবতেছি।
তো সেদিন ঘূর্ণিঝড় যেদিন আসলো গত রবিবার সন্ধ্যা থেকে। তো সোমবার তো অফিস যেতেই হবে। এইদিকে সকালে উঠে দেখি বাইরে ঝুম বৃষ্টি। অত বেশি না তবে কম ও ছিলোনা। কিন্তু বাইক ছাড়া যাওয়া তো সম্ভব না। এমনিতেই বৃষ্টির দিন রাস্তায় সব গাড়ি অনেক ধীর গতিতে চলে। ফলে অনেক যায়গায় জ্যাম লেগে যায়। তাই কি আর করা অফিস ও মিস দেওয়া যাবেনা। তখন ব্যাগ থেকে রেইন কোট বের করে পরে নিলাম। এরপর গ্যারেজ থেকে বাইক বার করলাম। এখন আমার গ্যারেজ থেকে বাইক বের করে রাস্তায় রেখে আবার গেইট এ তালা মাতে হয়। তাই বাইরে রেখে আমি তালা মারতে গেলাম। এসে দেখি বাইক এর সিট ভিজে শেষ। এখন এতো পানি মুছবো কিভাবে? পরে মনে পরলো আমার তো রেইন কোট আছে। তাই এটা ব্যাপার না। এবার ভেজা সিট এ বসে বাইক স্টার্ট করে টান মারলাম। ধীরে ধীরে চালাচ্ছিলাম। রাস্তায় কাদা ছিলো। আর মানুষজনের যেনো অসুবিধা না হয়। এরপর রাস্তা একটু ফাঁকা পাওয়ার পর দিলাম এক টান। একটু সামনে যেতেই দেখলাম অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। এতো মানুষ দেখে একটু অবাকই হলাম। এতো মানুষ এখানে থাকার কথানা। পরে সামনে এগোতেই দেখি সামনে যেনো এক সাগর। একদম এটাকে দুইলান্টিক মহাসাগর নাম দেওয়া উচিৎ আমার মতে 😂।
রাস্তা একদম বৃষ্টির পানিতে টইটুম্বুর। রাস্তা দেখা যাচ্ছেনা। তাই এখানে মানুষ জড়ো হয়েছে রিকশা নেওয়ার জন্য। কিন্তু রাস্তায় রিকশা গেলে দেখি ওদের চাকা ডুবে যাচ্ছে। চিন্তায় পরে গেলাম কি করা যায়। পরে ভাবলাম যা আছে কপালে। নামাই দিলাম সেই দুইলান্টিক মহাসাগরে আমার বাইক। ১ নং গিয়ারে রেখেও গাড়ি পানির চাপে এগোতে কষ্ট হচ্ছিলো। বাইকের চাকার প্রায় অর্ধেক ডুবে ছিলো পানিতে। তাই যদি পা ফেলি সেটা পানিতে পরে আমার জুতো ভিজে যাবে। যদিও বৃষ্টিতে ভিজেই গিয়েছে ইতিমধ্যে। তাও যেটুকু বাঁচানো যায় আরকি। আমি একটু জোড়েই যেতে চাইলাম। যেনো বৃষ্টির পানি বাইকের সাইলেন্সর পাইপ দিয়ে ঢুকে না যায়। জোড়ে চালানোতে পাশ দিয়ে পানি ছিটছিলো। তখন পাশে রিকশাওয়ালা এক মামা বললো আসতে যাইতে। আমি জোড়ে চিল্লায়ে বললাম আসতে চালালে বাইকে পানি ঢুকে যাবে। প্রায় ১ কিলোমিটার এর উপর রাস্তা এভাবে পানির ভিতর চালালাম। এবার মেইন রাস্তায় উঠলাম। উঠেই টান দিলাম। তবে ধিরেই চালাচ্ছিলাম। কারণ যদি ব্রেক মারি সামনের চাক্কা স্লিপ করতে পারে। আর সামনের চাক্কা স্লিপ করলে বাইক নিয়ে পরে যাবো রাস্তায়। বনানী যেতেই দেখি জ্যাম লেগে আছে। খুব ধীরে ধীরে যাচ্ছে সব গাড়ি।
তখনই হঠাৎ বুঝলাম রেইন কোটের ভিতর পানি যাচ্ছে। টিশার্ট অর্ধেক এর মতন ভিজে গিয়েছে। জ্যাম এ বসে থেকে এই অবস্থা হয়েছে। সৈনিক ক্লাব এর ঐদিক তো এক যায়গায় প্রায় ২০ মিনিট বসেছিলাম। যা কারনেই পানি ঢুকেছে ভিতরে। কি আর করা এভাবেই জ্যাম ঠেলে অফিস এর দিকে এগোলাম। এইদিকে অফিস গিয়ে পৌছালাম ৯ টা ৪৫ এ।। যদিও ইন টাইম ৯ টা ৩০। তবে ৯ টা ৪৫ বেজে গেলেও ভিতর থেকে শাটার খুলে নি কেউ। খুলেই বা কি করবে। বৃষ্টি হচ্ছে যে। বাইক ও নাই একটাও। কিন্তু আমার তো ভিতরে ঢুকতে হবে। তখন টেকনিশিয়ানকে ডেকে শাটার খুলে ভিতর ঢুকলাম। যেনো হাফ ছেড়ে বাচলাম। ভালো লাগছিলো খুব। রেইন কোট শুকাতে দিলাম। টিশার্ট খুলে আমার অফিসের শার্ট পরে নিলাম। এভাবেই অফিস পৌছলাম।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
যারা চাকরি করে তাদের জন্য অফিস মাফ নেই, যতই ঝড় বৃষ্টি হোক অফিস যেতে হবে। তবে হ্যাঁ সেদিন আমরা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে মোহাম্মদপুর আসার পথে দেখলাম সাগরের মত রাস্তায় পানি জমে আছে হা হা হা।
সোমবার রাইড শেয়ার বাইকে উঠে আমি পুরো ভিজে গিয়েছিলাম। আমার রেইনকোর্ট পড়া ছিল কিন্তু তারপরও আমি ভিজে গিয়েছিলাম। আপনার ক্ষেএেও ব্যাপার টা দেখছি সেটাই হয়েছিল। রাস্তার ঐরকম অবস্থায় আপনি একটু ঝুকি নিয়েই বাইক চালিয়েছেন। এখন কিছু করারও নেই। চাকরি ব্যাপার টা এইরকমই।