ঘুরে এলাম হর্দি বাজার তুরাগ খালের পাশ থেকে
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি।। আজকে হর্দি বাজার ঘোরাঘুরি নিয়ে লিখবো। যদিও অনেক দিন আগে গিয়েছিলাম সেখানে। কিন্তু লিখছি অনেকদিন পর এসে।
ভ্রমণে প্ল্যানটা আসলে হঠাৎ করেই হয়েছিল । সেদিন যে যাব ওইটা আমি নিজেও জানতাম না । এমনি নরমাল দিনের মত একটি দিন ছিল । হঠাৎ আমার বন্ধু জুবায়েরের কল । ওই সময় ওর কল পেয়ে একটু অবাক হলাম কারণ তখন দুপুর দুইটা বাজে। ফোন পিক করলাম তো শুনতে পেলাম, ও বলল যে ঘুরতে যাব কিনা? আমি একটু বিস্মিত হয়ে বললাম যে কোথায় যাবা কিভাবে যাবা? তারপরও জানালো যে বাইক নিয়ে যাবে। আমি আবার অবাক হলাম কারণ জুবায়েরের বাইক ছিল না। ও বলল আমাদের বন্ধু সুমনের দুইটি বাইক আ... ওইটি দিয়ে যাবে আমিও রাজি হয়ে গেলাম কথা না বাড়িয়ে।
দশ মিনিটের ভিতরে রেডি হয়ে চলে গেলাম সেখানে। জুবায়ের আসলো তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে গেলাম। আমরা একটা অটো নিয়ে চলে গেলাম সুমন দের বাসায়। সেখানে কিছুক্ষণ ওয়েট করার পর সুমন আসলো। তারপর ওর বাইক নিয়ে পিক করতে গেলাম আমাদের আরেক বন্ধু সেতুকে। তারপর সেতু আসার পর আমরা রওনা দিলাম। মাঝপথে একশো টাকা তেল ভরে নিলাম তারপর পূর্বাচল রোড হয়ে চলে গেলাম হর্দি বাজারের কাছাকাছি।
অনেক খুঁজে খুঁজে আমরা হর্দি বাজার পৌছে যাই । সেখানে যেয়ে প্রথম বাজারে থামিনি। একটু সামনে চলে যাই কারণ আমাদের প্ল্যান ছিল একটা জায়গায় যেয়ে চিকেন চপ খেয়ে তারপর হর্দি বাজার আসা । যেই ভাবা সেই কাজ। তবে আমরা মাঝখানে একটু জিড়িয়ে নেয়ার জন্য একটু দাড়ালাম। তারপর আমরা আকাশের ছবি তুলতে থাকলাম কারণ আকাশের রংধনু দেখতে পেলাম। এই রংধনু দেখে খুবই ভালো লাগলো কারণ আমরা অনেকদিন পর রংধনু দেখতে পেয়েছিলাম। ওরা সবাই ইচ্ছে মতো রংধনুর ছবি তুললো । আমিও চেষ্টা করলাম ছবি তোলার যতটুকু পেরেছি আমিও চলেছি।
আমি অনেকগুলো ছবি তুললাম সেই পরিবেশের। কিছুক্ষণ পর সেখানে একটা নৌকা হাজির হলো। আমরা খুবই অবাক । নৌকাটি তো অনেকগুলো মানুষ এসেছে, উনারা সবাই একটু জায়গা দেখতে গেল। ওই সুযোগে আমরা নৌকায় বসে ছবি তোলা শুরু করলাম। যে যার মত বিভিন্ন স্টাইলে যেভাবে পারে। সবাই অনেক অনেক ছবি তুলল নৌকায় বসে ।এমন একটা অবস্থা হয়ে গিয়েছিল যেন নৌকাটি আমরাই ভাড়া করেছিলাম। আমি খুব ভালো লেগেছিল , আমিও নৌকার উপরে বসে কয়েকটা ছবি তুললাম। ভালোই লাগছিল সবকিছু মিলিয়ে। আর শুরুর দিকে যে ছবিটি দিয়েছিলাম আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ডে যে নৌকাটি দেখতে পেলেন সেটি এটি।
একটু পর হালকা বৃষ্টি হতে শুরু করে। তো নৌকার লোকেরা এলে নৌকাটি ছেড়ে চলে যায় । আমরা মোটামুটি ভালই খুশি হয়েছিলাম কারণ আমরা নৌকা আসার জন্য অনেক গুলো সুন্দর ছবি তুলতে পেরেছিলাম। সবকিছু মিলে দারুন একটা ব্যাপার ছিল সেটি। তো আমরা রওনা দেব, ভাবলাম এবার চিকেন খেয়ে আসি কিন্তু পরে দেখলাম যে আমাদের একটি বাইকের ক্লাচের তার ছিড়ে গেছে। বিপদে পরলাম কারণ আমাদের চারজন ছিল। পরে এক বাইকে তিনজন উঠলাম আরেক বাইকে একজন খুব কষ্ট করে চালিয়ে নিয়ে গেল প্রথম গিয়ারে রেখে। অনেক খুঁজতে খুঁজতে একটি বাইক সারানোর দোকান পেলাম সেখানে ক্লাচের তার লাগানো হলো। তারপর আমরা খুঁজতে থাকলাম রেস্ট্রুরেন্ট টি, কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা অনেক ঘুরলাম কিন্তু চিকেন খাওয়ার সেই রেস্টুরেন্টের ঠিকানা পেলাম না, অনেক মানুষকে জিজ্ঞেস করতে করতে একটা সময় এসে ঠিকানা পেলাম।কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি খুব খুব ভিড় তাও আমরা অনেক কষ্টে চিকেন খেয়ে হর্দি বাজার চলে আসলাম।
হর্দি বাজার নামটা একটু আজব হলেও এটি তুরাগ খালের পাশ অবস্থিত। খুবই সুন্দর একটি জায়গা দেখলেই মন জুড়িয়ে যায়। আমরা সেখানে বসে অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম । বন্ধুরা আমি ছবি তুললাম। তারপর সেখান থেকে ভাজা পোড়া খেয়ে আমরা চলে আসলাম। খুব মজার একটি দিন ছিল সেদিন অনেক এনজয় করেছি বন্ধুরা মিলে। কবে যে আমার একটি বাইক হবে তখন প্রায়ই আমরা এরকম দূরে যেতে পারবো খুবই ভালো লাগে এই ধরনের টুর গুলো।
কিছুদিন আগে লক্ষ্য করলাম আমাদের স্কুলের নিকটে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে আকাশের পশ্চিম সাইডে বৃষ্টির পরে রংধন উঠেছে। তবে ভেবেছিলাম আপনার মত এমন ফটোগ্রাফি করব কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে নানান বিষয় নিয়ে কথা বলার ফলে আর হয়ে ওঠে নাই। যাহোক খুব ভালো লাগলো বন্ধুদের সাথে আমার সুন্দর ঘোরাঘুরির দৃশ্য দেখে।
এক ফাকে তুলে ফেলতেন।
ঘোরাঘুরি করতে আমারও অনেক ভালো লাগে তাই তো আমিও সময় পেলে মাঝে মাঝেই পদ্মা ভ্রমণে চলে যাই।। আপনাদের ভ্রমণ করা দেখে খুবই ভালো লাগলো বন্ধুদের সাথে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন এটা কোন সন্দেহ নেই
হুম ভাই। ভ্রমন করতে আমারো সেই লাগে।
যাই কিছু হোক ঘুরার মজাই আলাদা ৷আর আপনি বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ৷নৌকায় করে বেশ চমৎকার একটি সময় কাটিয়েছেন
হ্যা ভাই। নৌকা টি বেশ সুন্দর ছিলো।
ঘোরাঘুরি করতে কার না ভালো লাগে বলুন। আমারও ঘুরাঘুরি করতে খুব ভাল লাগে। আমিও খুব ভ্রমণপিয়াসু মানুষ। আপনার আজকে ঘুরে বেড়ানোর ছবিগুলো আমার কাছে দারুন লেগেছে।
ঠিক বলেছেন আপু। ঘোরাঘুরি করতে সবারই কম বেশি ভালো লাগে।
বন্ধুদের সাথে বাইক নিয়ে এভাবে ঘুরার মজাই আলাদা, সেই সাথে আপনারা আবার তুরাগ নদীর পাশ দিয়ে একটি বাজারে গিয়ে বেশ চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি তুলেছেন এবং সেই সাথে মজাদার কিছু খাবার ও খেয়েছেন সব মিলিয়ে অসাধারণ ছিল আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এই আনন্দঘন মুহূর্তটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হুম ভালো লাগে। খুব ভালো সময় কাটানো যায় বন্ধুদের নিয়ে।
আপনার ভ্রমণের গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই । আপনার মত আজকে আমরাও অনেক জায়গায় ঘুরাঘুরি করছি সব বন্ধুরা মিলে । তবে আপনার কাটানো সুন্দর সময়ের পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া
হুম। মাঝে মধ্যেই ঘুরতে চলে যাবেন। দেখবেন অনেক ভালো লাগে।
ভাইয়া আকাশের রংধনুর ফটোগ্রাফিটি দেখে কিন্তু আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেছি। রংধনু ভালো লাগে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। নৌকায় চড়ে অনেক আনন্দ করে হারদি বাজার ভ্রমন করেছেন। তবে ভাইয়া আমাদের সকলের উচিত ভাজাপোড়া খাবার গুলো এড়িয়ে চলা। হঠাৎ ভ্রমণের একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এটা তো ছিলো ছবি। যদি সরাসরি দেখেন তাইলে আরো ভালো লাগবে।
হর্দি বাজার তুরাগ খালের পাশ জায়গাটি দেখতে বেশ সুন্দর।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। জায়গাটি বেশ সুন্দর।এমন জায়গায় ঘুরতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। খোলামেলা প্রকৃতি খুবই ভালো লাগে। আপনারা সবাই মিলে সেখানে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন এবং সবশেষে বন্ধুরা মিলে খাওয়া-দাওয়া করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
হুম আপু। চাইলে ঘুরে আসতে পারেন আপনিও। ভালো লাগবে অনেক।