বিকেল বেলা বন্ধু দের সাথে হাঁটতে বের হওয়া।

সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে যে কাহিনী শেয়ার করবো এটি বহুত আগের কাহিনী। তবে এতো দিন দিবো দিবো করে দেওয়া হয়নি আরকি।

---

---

_{আড্ডার এক পর্যায়ে আমরা সবাই।}

---

বিকেল বেলার হাঁটা

বিকেল বেলা আমরা প্রায়ই হাঁটতে বের হই। তবে সেটা বেশি দূর নয়। এলাকার ভিতর কম বেশি হাঁটা চলা হয় আরকি। তবে এই দিন টা একটু স্পেশাল ছিলো । কারণ আমরা কয়েক বন্ধু মিলে ঠিক করেছি লেকসিটি যাবো। লেকসিট বলতে আমরা বুঝাই লেকসিটি ব্রিজ এর উপর। ওখানে বাতাস থাকে। দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া যায়। মাঝে মাঝে যাওয়া হয় আরকি সেখানে। সেদিন হঠাৎ এক বন্ধু কল দিয়ে জিজ্ঞাসা করলো হাঁটতে যাবো কিনা। আমি জিজ্ঞাস করলাম কে কে যাবে। ও বললো সোহান রাতুল যাবে। ভাবলাম অনেকদিন দূরে কোথাও হাটতে যাইনা। তাইলে একটু হেটে আসা যাক। যেই ভাবা সেই কাজ। দ্রুতো সময় নিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে ফেললাম।

২০ মিনিট এর ভিতর রেডি হয়ে গেলাম। একটু পর আমাদের এক বন্ধু জুবায়ের চলে আসলো। ওরে সাথে নিয়ে চলে গেলাম বটতলা। সেখানে ছিলো সোহান আর রাতুল। তারপর আমরা হাঁটা দিলাম । অবশ্য অটোতে যাওয়া যায়। তবে যেহেতু হাঁটতে বের হয়েছি তাই হেটে যাওয়াই ভালো।

_{পরিষ্কার আকাশ}

সেদিনের আকাশ টা বেশ সুন্দর ছিলো। ফকফকা ছিলো। তবে একটু লালচে ছিলো। আর লালচে আকাশ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আর মৃদু বাতাস ছিলো। আমার আবার একটা স্বভাব আছে। আমি কোথাও গেলেই অনেক অনেক ছবি তুলি। সেদিন ও তার ব্যাতিক্রম নয়। আমার ছবি তোলা দেখে তো আমার এক বন্ধু আমার নিজের ছিব তোলা শুরু করেছিলো। আর আপনারাই বলুন। ছবি তুলতে কার না ভালো লাগে। আর সেটা যদি হয় ফক ফকা একটি আবহাওয়া। এমন সুন্দর আবহাওয়া আর কয়টাই বা পাওয়া যায়।

রাতুল আমার কিছু ছবি তুলে দেয়। আমিও রাতুল এর সাথে সেলফি তুলি আরকি। তারপর আমরা চলে যাই ব্রিজ এর উপর। আহ কি যে শান্তির বাতাস ছিলো তা বলে বুঝানো সম্ভব নয়। আর বিকেল বেলার‍ এই মৃদু বাতাস খুব ভালো লাগে আমার কাছে। আপনাদের কেমন লাগে জানিনা। তবে আমি খুব উপভোগ করি ব্যাপারটা। আর এসব যায়গায় এমন বাতাসের মধ্যে বসে আড্ডা দেওয়ার মজাটাও অনেক। যদিও একটু পর পর গাড়ি যাচ্ছিলো। তাই একটু ধুলাও খেতে হয়েছে। তবে প্রকৃতির সেই বাতাস এর কাছে এসব ধুলাবালি কিছুই না।

উপরের এই ছবিটি লেকসিটি ব্রিজ থেকে তুলেছিলাম। তখনো লালচে আকাশ লোডিং হচ্ছিলো আমার মতে। আকাশ এর এই সৌন্দর্যতায় বার বার হারাতে মন চায় আমার। আমি জানি আকাশ এর মুগ্ধতা সবাইকেই মুগ্ধ করে। স্পেশালি অইসব মুহুর্তে। আমি তো এমনি ছবি পাগলা। আর এইদিক থেকে আকাশ এর এমন কম্বিনেশন জমে যায় বলা চলে। আমরা আড্ডা দিতে দিতে নানান বিষয়ে গল্প করছিলাম। বন্ধুদের সাথে গল্প করতে বেশ ভালো লাগে কিন্তু। আর ভালো লাগবেই না বা কেনো। পরিবেশ টা দেখতে হবেনা। এমন পরিবেশ যেনো গল্প করার জন্য একদম গোছানো একটি পরিবেশ। আপনিও যখম এমন পরিবেশে আড্ডা দিবেন দেখবেন অনেক ভালো লাগে। আসলে এমন্টাই হওয়া উচিত আমি মনে করি।

আমার বন্ধু সোহান এর সাথেও ছবি তুলি। মাঝে জুবায়ের এর এক ছোট ভাই আসে। তিনি আমাদের সাথে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে চলে যায়। সন্ধ্যা হয়ে যায় ধিরে ধিরে। আমরা পুরো সন্ধ্যা টা উপভোগ করি ব্রিজ এর উপর দাঁড়িয়ে। অনেক ছবি তুলি। তারপর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে চা খেয়ে চলে আসি আমাদের এলাকায় আড্ডা মারতে। এভাবেই শেষ হয় আমাদের সেদিন এর হাঁটা হাঁটি ।

---