অনেক দিন পর পাবজি খেলা........

সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? বৃষ্টিতে শান্তি। বুঝলেন না? আসলে এই তীব্র গরমে বৃষ্টি পরলে যেনো একটু হাফ ছেড়ে বাচা যায়। তবুও সকালে বৃষ্টি হলে বিকাল থেকেই আবার গরম। অথচ আগে একটা সময় ছিলো একদিন মোটামুটি পরিমান এর বৃষ্টি হলে ২-৩ দিন আবহাওয়া ঠান্ডা থাকতো। এমন কি রাতে কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমাতে হইতো। কিন্তু এখন চিত্র পালটে গেছো। সকালে বৃষ্টি তো দুপুরেই গরম পরা শুরু হয়। এভাবেই চলছে আজকাল। সামনে তো আরো ভয়াবহ অবস্থা হবে যা ধারনা করতেছি। তো যাই হোক আজ অনেক দিন পর পাবজি খেলার অনুভূতি শেয়ার করবো আপনাদের মাঝে।

---

---

---

উপরের যে ভিডিওটি দেখেছেন সেটি গতকাল রাতের ছিলো। প্রায় ৬ মাস পর পাবজি খেললাম। পাবজি মানে পাবজি মোবাইল গেম। এটি একটি ব্যাটেল রয়াল গেম। যেখানে ১০০ জন শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জিততে হবে। অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে। আপনাকে একটি ম্যাপে নামিয়ে দিবে। সেখানে আপনাকে সার্ভাইব করতে হবে। এভাবেই সাজানো হয়েছে এই গেমটি। এই গেম এর সাথে অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে আমার। ২০১৮ সালের দিকে গেমটার সাথে পরিচয় আমার। শুরুতে ফোনে। তারপর পিসিতে এন্ড্রয়েড ইমুলেটর দিয়ে শেষে আবার ফোনে খেলি। ২০১৯-২০২১ এই বছর গুলোতে আমি পাবজিতে ভালো ভাবেই আসক্ত ছিলাম। অনেক অনেক গেম খেলা হতো। দেখা যেতো প্রায় ৮-১০ ঘন্টা আমি গেম খেলতেছিলাম বিরতি দিয়ে দিয়ে। প্রচন্ড ভালো লাগতো এই গেম দিয়ে। এই গেম এর মাধ্যমে অনেক বন্ধু পেয়েছি। ২০২২ এসে গেম খেলতাম তবে অত বেশিনা। অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিলাম। যেহেতু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ। তাই বাসা থেকেও পছন্দ করতো না যে গেম খেলি। অবশ্য আমারই দোষ। সারাদিন খেলতাম যে। আরো বেশি খেলতাম হ্যাক লাগিয়ে। অর্থাচ চিট ছিলো কিছু সেগুলো ব্যবহার করে শত্রুর লোকেশন আগে থেকেই জেনে যেতাম। মাঝে মাঝে মজা লাগতো জিতে। তবে কিছু নতুন প্লেয়ার আছে ওদের মারার পর খারাপ লাগতো। ভাবতাম আহারে বেচারা। তবে বেশি মজা পেতাম অন্য আরেক হ্যাকার রে মারতে পারলে। মাঝে মাঝে হ্যাকার হ্যাকার ফাইট হতো আমাদের।

হ্যাকার হ্যাকার ফাইট এ প্রায় ৮০% ব্যাটেল আমি জিতেছি। ইমুলেটর এ যখন খেলতাম তখন অনেক ধরনের শুবিধা ছিলো। গাড়ি অনেক স্পিডে চালানো যেতো। গাড়ি আকাশে উড়ানো যেতো। ক্যারেকটার কে স্পিডে দৌড়ানো যেতো। হ্যাকার হ্যাকার ফাইটে আমি সব সময় একটু বুদ্ধি খাটিয়ে ফাইট নিতাম। যেহেতু ম্যাজিক বুলেট আছে। অর্থাৎ বুলেট যেদিকেই মারি সামনে কোনো বাধা না থাকলে সব মাথায় যেয়ে লাগবে। আর মাথায় ড্যামেজ হয় বেশি। অর্থাৎ দ্রুতো মারা যায় আরকি। তো আমি সব সময় দেওয়ালের পেছনে থাকতাম যদি বুঝতে পারতাম ওটা হ্যাকার। স্পিড রান দিয়েই মেরে আসতাম। ১ সেকেন্ড এ। হ্যাকার কিছু বুঝতেও পারতোনা। কি যে মজা লাগতো। হ্যাকার তখন মাইক চালু করে বকা ঝকা দিতো 🤣🤣🤣। অথচ সে নিজেও কিন্তু হ্যাকার। যাক। চাকরীতে ঢোকার পর থেকে গেম তেমন একটা খেলতে পারতাম না। সময়ই হতোনা। কারণ অফিস শেষে বাসায় যাওয়ার পর আর শরীরে এনার্জি থাকেনা। তাই আর তেমন একটা গেম ও খেলা হয়না। মাঝে মাঝে আপডেট আসলে নামিয়ে রাখি। কিন্তু গেম এ আর ঢুকা হয়না। হাহা। অথচ এই আমি আগে কত একটিভ থাকতাম এই গেম এ। সময় এর সাথে সাথে সব কিছুই যেনো পালটে গেছে। এটাই হয় সব সময়। কর্মজীবনে এসে গেলো ছাত্র জীবনের অনেক কিছুই আর করা হয়না। আর আমি তো এখন পড়াশোনা সাথে চাকরী করছি। তাই আমার উপর প্রেশারটা একটু বেশি এই আরকি। ধকলটা বেশি হয়ে যাচ্ছে।

গতকাল অনেকদিন পর পাবজি খেলতে মন চাচ্ছিলো। তাই আমি গেম নামিয়ে আপডেট করে নিলাম। পরে আমার বন্ধুকেও বললাম থাকতে। ও ছিলো। খেললাম। আমি খেলা যেনো একদমই ভুলে গেছি। ঠিক মত মুভমেন্ট দিতে পারছিলাম না কোনো ভাবেই। আমি কেমন নতুন প্লেয়ার দের মত খেলতে ছিলাম। তবুও ভালোওই খেলেছি। আমার সব টিম মেট মারা গেছে। তবে আমি শেষ পর্যন্ত শত্রুদের থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনি। উপরের যে ভিডিও দিয়েছিলাম সেটি মাত্র ৩ টি কিল এর ভিডিও। তবে আরো বেশি কিল করেছিলাম আমি। ভালোই লেগেছিলো অনেকদিন পর গেম এ ঢুকে। আর বড় কথা হচ্ছে আমি এতো দিন পর গেমে এসেই প্রথম ম্যাচ এ জয় পেয়েছি। অর্থাৎ চিকেন ডিনার। পাবজিতে উইন হলে সেটাকে চিকেন ডিনার বলে। মজাই হয়েছিলো। যদিও অই এক ম্যাচ খেলেই আমি ঘুমিয়ে যাই।

---

তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।

---