চাঁদপুর এর পথে আমি........... পর্ব: ১।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। তবে সেটা আর না থাকার কথা। কারণ ঈদ এর ছুটি শেষ। সবাই আবার কর্মজীবনে ব্যস্ত হয়ে পরবেন। যেমনটা আজ আমি হয়ে গেছি। তবে সমস্যা নাই। ঈদের অনুভূতি নিয়ে আবার হাজির হলাম আপনাদের মাঝে। মানে ঈদে গ্রামে যাওয়ার সে অনুভূতি। গ্রামে তো নেট এর তেমন সুবিধা ছিলোনা তাই পোস্ট করতে পারিনি। তাই ভাবলাম এখন শেয়ার করি আপনাদের মাঝে।
রোজার ঈদ এ গ্রামে যাইনি। ঈদ এর ছুটি ৫ দিন ছিলো বলে। ভাবলাম যাইতে আসতে ২ দিন চলে যাবে। বাকি ৩ দিন আর কি বেড়াবো। তাই আর যাইনি। কিন্তু আমার মাথায়ই ছিলোনা। নিয়ম এখন বদলে গেছে। এখন আর গ্রামে যেয়ে ১ সপ্তাহ থাকা যাবেনা। দায়িত্ব পরে গেছে যে। অবশ্য সে ঈদেই ঠিক করে নিয়েছিলাম যে কোরবানির ঈদে যাবোই যাবো। আর আমার নানুও অনেক দিন ধরে ফোন দিয়ে বলতেছে আমাকে যেতেই হবে। আমিও বললাম। ছুটি যে কয়দিনই পাই সমস্যা নাই। আমি যাবোই। দুই-তিন দিন পর পরই নানু শুধু ফোন দিয়ে বলতো কবে যাবো কবে যাবো। আমি শুধু বলতাম যে অফিস এখনো বন্ধ দেয়নি। যেদিন বন্ধ দিবে তার পরের দিন সকালেই রউনা দিবো। তো আমার অফিস বন্ধ দেয় ২৭ তারিখ। সেদিন অফিস থেকে ৩০ মিনিট আগে বেড় হই। কারণ চুল দাড়ি কাটতে হবে যে। বাসায় এসে ব্যাগ রেখেই চলে গেলাম সেলুন এ। আসার পথেই সিরিয়াল দিয়ে এসেছিলাম। তারপর যেয়েই চুল দাড়ি ছোট করে ফেললাম। আমি আবার চুল একদম ছোট ছোট করেই কাটি। যেহেতু অনেক চুল পরে আমার। তারপর বাসায় এসে ঈদ এ গ্রামে দেখার জন্য কিছু কার্টুন সিরিজ ও হলিউড মুভি নামিয়ে নিলাম ফোনে। এরপর ঘুমিয়ে গেলাম। পরের দিন উঠেই ফোন আগে ফুল চার্জ করলাম এরপর আমার নেক ব্যান্ড ইয়ারফোনটাও ফুল চার্জ করে নিলাম। এরপর ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম।
আকাশ অনেক মেঘলা ছিলো বৃষ্টিও হয়েছে কিছুক্ষন। তাই একটু অপেক্ষা করতেছিলাম। ভালোই হয়েছে এতে অবশ্য। আমি আরো কিছু মুভি ডাউনলোড দিলাম। বিশেষ করে কিছু পুরোনো মুভি আবার দেখতে মন চাইলো সেগুলো নামালাম। এভেঞ্জার সিরিস এর ৪ টি মুভি নামালাম। এগুলো প্রায় ২০ জিবির উপর। নেট স্পিড ভালো থাকায় বেশিক্ষন লাগেনি নামতে। যাক ছাতা রেখেই রউনা দিলাম আমি। বাইরে যেয়ে দেখি রাস্তা পুরো ভিজে একাকার। প্রায় ২০ মিনিট এর উপর দাঁড়িয়ে থাকার পর রিকশা একটা পেলাম। উনি ভালো মতন নিয়ে গেলো। কিন্তু বাজারে পৌছানোর সাথে সাথেই তুমুল বৃষ্টি শুরু হলো। যেটাকে একদম ভারী বর্ষন বলে। রিকশাওয়ালা মামা আমাকে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের নিচে নিয়ে নামালেন। যেনো না ভিজি। উনি ২০ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা রাখলেন। অবশ্য কিছু বলিনি। হাসি মুখেই দিয়েছি। একে তো ঈদ। তার উপর এমন বৃষ্টিতে সুন্দর ভাবে আমাকে শুকনো এক যায়গায় নামিয়ে দিয়েছেন। তো অনেক্ষন দাঁড়িয়ে ছিলাম বৃষ্টি কমার অপেক্ষায়। দেখলাম বৃষ্টি কমার নাম নাই। আর আমিও নিজেকে ছাতা না নিয়ে বেড় হওয়ার জন্য গালি দিচ্ছিলাম। কেনো যে নিলাম না। যাই হোক। সিদ্ধান্ত নিলাম যে ভিজেই রউনা দিবো। দিলাম ও। কিন্তু একটু যেতেই বৃষ্টি বেড়ে গেলো।
এবার আশ্রয় নিলাম যাত্রীছাউনির নিচে। সেদিকে একজন ছাতা বিক্রেতা ছিলো। জিজ্ঞেস করলাম কতো। সে ২০০ টাকার ছাতার দাম হাকালো ৪৫০ টাকা। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু দেখলাম। একেই বলে ব্যবসা। মানুষ কিনতেছেও। কি করবে। গ্রামে যাওয়ার জন্য বেড় হয়েছে বেশির ভাগ মানুষ। রাস্তায় বাস নাই। সাথে মুশলধারে বৃষ্টি। একটু পর বৃষ্টি বাড়লো তখন আমি যাত্রীছাউনির বেঞ্চ এ উঠে দাঁড়ালাম। বৃষ্টির পানি সেখানেও পৌছে গেলো। একদম অবস্থা খারাপ বানাই ফেললো। বাতাসে বৃষ্টির ঝাপ্টা বেশি লাগতেছিলো। আমি রীতিমত ভিজে গিয়েছিলাম। এরপর আমি আরো উপরে উঠে দাঁড়ালাম। এখানেও একই অবস্থা।
আজ এই পর্যন্তই বাকি সব ২য় পর্বে জানাবো। ততদিন ভালো থাকবেন সবাই।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এ বিষয়টা প্রায় দেখা যায় রোজার ঈদের ছুটিতে বাড়িতে না আসলেও কোরবানির ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসার জন্য সবাই চেষ্টা করে। কোরবানি ঈদটাকে সবার সাথে মিলেমিশে করার মুহূর্তগুলো একটু আলাদা। আপনার নানা বারবার আপনাকে ফোন দিয়ে আসার কথা বলে, যাহোক অবশেষে বাসায় এসেছিলেন ঈদ করার জন্য। ঈদের দিন প্রায় সব জায়গায় কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টির মধ্যে আপনি বসেছিলেন এবং কয়েকটি পুরনো ছবি ডাউনলোড করেছেন বেশ ভালো কাজ করেছেন ভাই। সুযোগের সৎ ব্যবহার করেছেন। ২০০ টাকা ছাতা ৪৫০ টাকায় বিক্রি বাহ বেশ লাভের ব্যবসা। আপনার লেখা পড়ে বেশ ভালো লাগলো পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
হুম ভাই দারুণ ব্যবসা করেছে।