কবিতা আবৃত্তি || আষাঢ় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর || ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার করা একটি কবিতা আবৃত্তি। আশা করি সাথেই থাকবেন।।
কয়দিন তো গান করলাম। আজ ভাবলাম কবিতা আবৃত্তি করি। তাই খুজতে থাকলাম কোন আবৃত্তি করা যায়। ৫ম শ্রেনিতে থাকা কালে একটি কবিতার কথা মনে পরে যায়। সেটি হচ্ছে আষাঢ়। মনে পরার কারন হচ্ছে এই কবিতার মূলভাব বুঝতে একটু কষ্ট হয়েছিলো। সাথে কবিতা থেকে যে প্রশ্ন গুলো ছিলো সেগুলো মুখস্ত করতেও আমার ভালো সময় গিয়েছিলো। ভাবলাম আজ সেই কবিতা আবৃত্তি চেস্টা করে দেখি। আমি আবৃত্তি তেমন ভালো পারিনা। কেমন হলো সবাই জানাবেন। তাহলে ভবিষ্যতেও চেস্টা করবো আপনাদের আবৃত্তি করে শোনাতে।
আমার কবিতা -
কবিতার লাইন
আষাঢ়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে।
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।
বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর,
আউশের ক্ষেত জলে ভরভর,
কালি-মাখা মেঘে ও পারে আঁধার ঘনিছে দেখ্ চাহি রে।
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।।
ওই ডাকে শোনো ধেনু ঘনঘন, ধবলীরে আনো গোহালে।
এখনি আঁধার হবে বেলাটুকু পোহালে।
দুয়ারে দাঁড়ায়ে ওগো দেখ্ দেখি
মাঠে গেছে যারা তারা ফিরিছে কি,
রাখালবালক কী জানি কোথায় সারা দিন আজি খোয়ালে।
এখনি আঁধার হবে বেলাটুকু পোহালে।।
শোনো শোনো ওই পারে যাবে বলে কে ডাকিছে বুঝি মাঝিরে।
খেয়া-পারাপার বন্ধ হয়েছে আজি রে।
পুবে হাওয়া বয়, কূলে নেই কেউ,
দু কূল বাহিয়া উঠে পড়ে ঢেউ,
দরদর বেগে জলে পড়ি জল ছলছল উঠে বাজি রে।
খেয়া-পারাপার বন্ধ হয়েছে আজি রে।।
ওগো, আজ তোরা যাস নে গো, তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।
আকাশ আঁধার, বেলা বেশি আর নাহি রে।
ঝরঝর ধারে ভিজিবে নিচোল,
ঘাটে যেতে পথ হয়েছে পিছল,
ওই বেণুবন দুলে ঘনঘন পথপাশে দেখ্ চাহি রে।
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।।
কবিতার সোর্স
তো এই ছিলো আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। শুভকামনা রইলো সবার জন্য।
এই কবিতা টা কিন্তু আমি কোনো ক্লাসে পাইনি। বা ঐ কবিতা টা ফাকি দিয়েছি এমনটাও হতে পারে। এই প্রথমবার পড়লাম কবিতা টা। কবিতার শব্দগুলো বেশ খটমট। আপনার আবৃওিটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
হতে পারে হয়তো ছিল না অথবা হয়তো মিস করে গেছেন তবে এটা পঞ্চম শ্রেণীতে ছিল আর কি আমাদের সময় আমি পঞ্চম শ্রেণীতে ছিলাম সেই ২০১০ সালে।
কবিতার মধ্যে অসাধারণ একটা মাধর্য ছিল, আসলে এ ধরনের কবিতা গুলো আমার নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে আমি তেমন একটা কবিতা বলতে পারি না তবে শুনতে অনেক পছন্দ করি সত্যি ভাইয়া প্রশংসা না করে থাকতে পারলাম না।
এটি কবিতা গুলা আমার কাছে খুব ভালো লাগে খুব এনজয় করি।
27 অস্র খুবই পরিচিত একটি কবিতা আপনি খুব সুন্দর করে আবৃত্তি করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আষাঢ় কবিতাটি আমার খুবই প্রিয় ছিল। আর আপনার কন্ঠে আবৃত্তি টাও খুবই ভালো লেগেছে। অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল ভাই এভাবে সামনে এগিয়ে যান
হ্যাঁ ভাই এটি আমার খুব পছন্দের একটি কবিতা তাই ভাবলাম একটু আবৃত্তি করে ফেলি।
রবীন্দ্রনাথ আমাদের জন্য অনেক সুন্দর খুব কবিতা উপহার দিয়ে গেছেন। এই কবিতাটি ছোটবেলায় অনেকবার পড়েছি প্রতিটি লাইন যেন হৃদয়ে গেঁথে আছে। আপনি আজ নতুন করে আবৃত্তির মাধ্যমে আমাদের মাঝে স্মরণ করিয়ে দিলেন।
ঠিক বলেছেন আপু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের দারুন দারুন কবিতা উপহার দিয়েছেন
খুবই সুন্দর একটি কবিতা আবৃত্তি করেছেন খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে।। সব থেকে বড় কথা হলো আপনার কবিতাটি আবৃত্তি শুনে একদম ছোটবেলায় হারিয়ে গিয়েছিলাম ছোটবেলায় এই কবিতাটি কতবার পড়েছি মুখস্ত করেছি লিখেছি আবৃত্তি করেছি।।
আমি নিজেও আবৃত্তি করার সময় সেই ছোটবেলায় হারিয়ে গিয়েছিলাম। ছোটবেলার কথাগুলো মনে পড়ে যাচ্ছিল
ভালো হয়েছে, তবে আরও ভালো করতে পারতেন। কিছুটা স্লো গতিতে আবৃত্তি করলে বা যেই লাইনগুলো যেখানে যে পরিমাণ টান দিয়ে আবৃত্তি করতে হবে সেভাবে করলে আরো বেশ ভালো লাগতো। যাইহোক ভালো করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে আরো ভালো হবে এই শুভকামনা রইল।
ভাইয়া আমার নিজের কাছেও মনে হয়েছে আমি একটু দ্রুত বলে ফেলেছি। তবে মনে রাখলাম সামনের বার একটু ধীরে করার চেষ্টা করবো। আসলে রেকর্ড করার সময় মানে আশেপাশে মানুষ থাকে তো এ জন্য খুব একটু এক্সাইটেড হয়ে তাড়াতাড়ি করা হয়ে যায় আর কি।
এই সেই আষাড় কবিতা। রবি ঠাকুরের এই কবিতাটি আমি অনেক আগেই পড়েছি। খুবই ভালো লাগে কবিতাটি পড়তে। ঠিক তেমনি খুব ভালো লাগলো আপনার কন্ঠে আবৃত্তি করা দেখে। আপনার সুন্দর কন্ঠে আবৃত করে দেখিয়েছেন তাই খুবই খুশি হলাম।
দারুন একটি কবিতা পড়তেও ভালো লাগে অনেক।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আষাঢ় কবিতাটি আমার খুব পছন্দের। অনেকবার পড়েছি তবে কখনো এমন সুন্দর করে আবৃত্তি করা হয়নি। এই কবিতার আপনার কাছ থেকে আবৃত্তি শুনে সত্যি খুব ভালো লাগলো। আপনি মন থেকে চেষ্টা করেছেন খুব সুন্দর ভাবে আবৃত্তি টি করার। তাই সত্যিই খুব মনোমুগ্ধকর হয়েছে।
জি আপু আমি গান গাইতে বা আবৃত্তি করতে খুব ভাল একটা পারিনা তবে যেটুকু পারি সেটুকু মন থেকে চেষ্টা করি।
আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাই। আপনি গানের পাশাপাশি কবিতা আবৃত্তি তেও পাকা। আপনার কবিতা আবৃত্তি হ্যাংআউটে শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।
হ্যাংআউটে তো ভাই একটা টানে সব করতে হয়। আমি যখন রেকর্ড করি তখনই অনেকগুলো শর্ট দিতে হয়। পরে এডিট করার সময় সব ঠিক করি।