"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ১১ || শীতকালীন প্রাকৃতিক দৃশ্য || ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
আপনারা সবাই জানেন যে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ১১তম প্রতিযোগিতা চলছে। এবার এর বিষয় ছিলো শীতকালীন দৃশ্য। আজ সেসব এরই কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
প্রতিযোগিতা ঘোষনার পর থেকেই আমি শুধু সময় খুজতে ছিলাম কখন ছবি তোলা যায়। কিন্তু সময় হয়ে উঠতেছিলোনা কেনো জানি। আসল কারণ হচ্ছে শীত। শীতের দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করতে আমাকে সকালে উঠতে হবে। আর সকাল বেলা কম্বল ছেড়ে উঠতে কার মন চায় বলেন। প্রতিদিন সকাল ৬ টায় এলার্ম দিয়ে রাখি। কিন্তু সে এলার্ম পিছাতে পিছাতে সকাল ১০ টা বেজে যায়। আমার আর ছবি তোলা হয়না। আজ দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে ঘুম থেকে উঠে আমার বন্ধু সোহান কে কল দিলাম। ও রাজি হলো বার হওয়ার জন্য। প্রস্তুত হয়ে চলে গেলাম মোবাইল হাতে নিয়ে। কেমন ছবি তুলেছি জানিনা। আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। -
শীতকালীন দৃশ্য যেনো শিশির বিন্দু ছাড়া পূর্ণতা পায়না। সম্ভবত এই প্ল্যান্ট এর নাম ক্যালাডিয়াম বিকালার। সকাল সকাল গিয়েছিলাম। সবে শিশির বিন্দু গুলো এই পাতায় পরে জমেছে। হালকা সূর্যের আলো এর উপর আসায় ঝিকিমিকি করছিলো। ভাবলাম এমন দৃশ্য কি মিস করা যায়। সাথে সাথে ক্লিক করে ফেললাম।
কুয়াশা পরে পুরো রাস্তা ভিজে গেছে প্রায়। ঘন কুয়াশা ছিলো। কিন্তু সূর্য মামা উকি দিচ্ছিলো ভালো ভাবে। কুয়াশা গুলো অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছিলো। তাও দুরের কুয়াশার মেঘ দেখা যাচ্ছিলো। শীতের সকাল। তেমন কোনো মানুষ ছিলোনা। দু একজন তাদের কাজে বের হয়ে চাদর মুরি দিয়ে এইদিক আসতেছিলো।
ঘাসে জমে থাকা শিশির ফোটা আর পিছনে সূর্য মামার হাস্যোজ্জ্বল চাহনি যেনো সকালের শীতের পরিবেশটাকে অনেক জমিয়ে দেয়। খালি পায়ে এই শিশির মাখানো ঘাসের মধ্যে হাঁটার অনুভূতিই আলাদা। যে হেঁটেছে সে জানে কি মধু লুকিয়ে আছে এখানে। সকালে শুধু উঠা হয়না। নাহলে প্রতিদিন এই অনুভূতি উপভোগ করা যেতো।
শীতের শিশির যেনো মাকড়শার জাল কেও ছাড় দিতে চায়না। এই জালের মাকড়শাটি মনে হয় অন্য কোথাও আশ্রয় নিয়েছে। কারণ তার জাল শিশির বিন্দুতে ভরে গেছে। তবে চিন্তার কারণ নেই। সূর্য উঠতেছে ধিরে ধিরে শিশির বিন্দু গুলো অদৃশ্য হয়ে যাবে। তখন মাকড়শা আবার ফিরে আসবে।
পাইন গাছের পাতায় ও শিশির ফোটা জমে আছে। দেখতে অনেক ভালোই লাগছে। অনেক গুলো শিশির বিন্দু জমে জমে এতো বড় ফোটা হয়েছে। ছবি তুলতে গিয়ে কিছু ফোটা আমার জামা তেও পরেছে। আর মোবাইল তো ভিজেই গিয়েছিলো কয়েকবার।
ইন্ডিয়ান শট প্ল্যান এটা। শিশির জমে ছিলো। পিছন থেকে সূর্যের আলোর ঝলকানি তে শিশির বিন্দু গুলো কেমন ঝিকিমিকি করছে। ঠিক যেনো চমকানো মুক্তো।
কচু পাতার উপরে শিশির ফোটা গুলোকে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। মনে হয় যেনো শিশির বিন্দু গুলো ভাসতেছে।
ক্যামেরা | Oneplus 7t |
---|---|
মোড | ওয়াইড, ম্যাক্রো |
লোকেশন | বনরুপা, খিলখেত |
তো এই ছিলো আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। শুভকামনা রইলো সবার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনার মুল্যবান মতা মত এর জন্য।
শীতকালীন ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ করেছেন। হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন এত সকাল বেলায় কর্মহীন মানুষ ঘুম থেকে ওঠা খুবই কষ্টকর। তবে আমার মনে হয় আপনি স্টুডেন্ট বিদায় আপনার ঘুম থেকে উঠতে অনেক বেশি কষ্ট হয়েছে। এবং আপনি প্রতিজ্ঞা করে আপনি আপনার ফটোগ্রাফির কাজটা শেষ হয়েছে এবং সে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। সত্যি দারুন ছিল আর এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার এতো সুন্দর মতামত এর জন্য ।
শীতের প্রকৃতির অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। শীতকালের প্রকৃতি আসলেই অনেক সুন্দর হয়। গাছের পাতার উপরে শিশির পড়া দেখতে ভালই লাগে।প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ভালো হয়েছে ভাই শুভকামনা আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাইয়া । আপনার সুন্দর কমেন্ট এর জন্য।
শীতকালীন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম নিখুঁত ভাবে সব গুলো ফটোগ্রাফি করেছেন আপনার প্রশংসা করতে হয় আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনার জন্য ও শুভকামনা রইলো ভাই। দোয়া করবেন।
খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। শীতকালের বেশিরভাগই শিশিরবিন্দু পড়া যেকোনো ছবি খুব ভালো লাগে। আর আপনার ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে ,একদম স্পষ্ট ভাবে সব কিছু বোঝা যাচ্ছে। অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যা আপু। কুয়াশা না পেলেও শিশির বিন্দু পেয়েছিলাম।
ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। ঘাস ও কচু পাতায় শিশির বিন্দু। প্রকৃতির এক অপরূপ খেলা। শুভকামনা রইল ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য ও শুভকামনা রইলো।
ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। কচু পাতার উপর শিশির বিন্দু জমে থাকার দৃশ্যটি দেখেই মনটা ভাল হয়ে গেল। আর সূর্যিমামা উঁকি দেওয়ার দৃশ্য টা অনেক সুন্দর ছিল। আর পাইন গাছের পাতা গুলোর কথা না বললেই নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া শীতকালে সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য 🤗
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার প্রতিটি ছবিই অত্যন্ত চমৎকার ছিল। শিশিরের ফোটা গুলো আপনি অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে ধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে আমার মনে হয় ভিন্ন ধরনের আরো কিছু ছবি দিলে আরো বেশি ভালো হতো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ভিন্ন ধরনের আরো কিছু এড করার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু শিশির বিন্দু ছাড়া কপালে কিছু জোটেনি ভাই। কুয়াশা পাচ্ছিলাম না। আর ঢাকা হওয়াতে তেমন কোনো দৃশ্য ও পাচ্ছিলাম না।
ওয়াও এতগুলো শীতকালের ছবির সমাহার দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার প্রতিটি ছবি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। কুয়াশা পরে ভেজা রাস্তা ছবিটা দেখতে অসম্ভব রকমের সুন্দর লাগতেছে। আর বাকি ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শীতকালীন মুহুর্তে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। প্রাকৃতিক দৃশ্যের অপরুপ সৌন্দর্য আপনাদের ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। কচুর পাতার উপর জমে থাকা শিশির বিন্দুর ফটোগ্রাফি অসাধারণ লেগেছে ভাই। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য ও শুভকামনা রইলো।