সুস্থতা যেনো এক অসাধারন নেয়ামত।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। আজ শুক্রবার। নির্বাচন এর আগে শেষ অফিস। মানে নির্বাচন এর কয়দিন যেহেতু রাস্তায় বাইক চলাচল বন্ধ থাকবে সেহেতু আমার অফিস ও বন্ধ থাকবে এই কয়দিন। যদিও আজ ভার্সিটি ছিলো তবে সব প্রথম ক্লাস তো তাই অল্পতেই ছুটি পেয়েছি। তাই প্রথমেই বাইক নিয়ে মামার কাছে চলে গেলাম। আসলে আমার বাইকটি পাল্টিয়ে অন্য এক বাইক নিবো। সেটা টেস্ট ড্রাইভ দেওয়ার জন্য নিয়েছিলাম। সেটা চালিয়ে মামার কাছে গিয়েছি। টাকা চাইতে। কারণ টাকা লাগবে কিছু। যেহেতু আমি আগের বাইক কিনে একদম হাত খালি তাই আরকি মামার কাছে টাকা চাওয়া। যাক সেসব নিয়ে অন্য একদিন কথা বলবো। আজ মূল বিষয়ে ফেরা যাক।
সুস্থতা এক অশেষ নেয়ামত সৃষ্টিকর্তা থেকে। আসলে সুস্থতার মূল্য একদম অসুস্থ হলেই বুঝা যায়। সুস্থ থাকলে আপনি এর মূল্য কখনো বুঝবেন না। এই কয়টা দিন ঠান্ডা লেগে যা আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। শরীর একদম ভেংগে গিয়েছিলো বলাচলে। এমন ঠান্ডা আর কখনো লাগেনি আমার। আসলে আমি যেখানে চাকরী করি সেখানে ধুলাবালি বেশি। যেহেতু বাইক সার্ভিসে আছি। এখানে বাইকে বাতাস দেওয়ার কারণে এর সব ধুলাবালি সার্ভিসে ছড়িয়ে যায়। আর ডাস্ট এলার্জি থাকার কারণে এই ধুলাবালি থেকেই আমার সমস্যা হয়েছে। ঠান্ডা একবারে ভিতরে বসে গিয়েছিলো। ভিতরে কফ জমে গিয়েছিলো অনেক। তবে আলহামদুলিল্লাহ এখন অনেকটাই সুস্থ। ভালো ব্যাপার হচ্ছে এর জন্য কোনো ওষুধ খাইনি আমি। আব্বু আম্মু বাসায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয় তা নিয়েই সুস্থ হয়ে গিয়েছি। আদা, লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচি এসব দিয়ে পানি অনেক্ষন জাল দিয়েছিলো। এরপর হালকা চা পাতা দিয়ে সেটা আমাকে পান করতে দেয়। এভাবে ২ দিন খাওয়ার পরই আমার কফ গুলো সব আলগা হয়ে গিয়েছিলো। এবং তা ধিরে ধিরে বের হয়ে যায়। এই সামান্য জিনিশ দিয়ে এতো বড় উপকার পাবো ভাবিনি কখনো।
এখন অনেকটাই সুস্থ আমি। যদিও কিছুটা ঠান্ডা রয়ে গিয়েছে এখনো। তবে ধিরে ধিরে এটাও সেরে যাবে আশা করি। আব্বু আম্মু ওষুধ খেতে বলেছে। তবে হাত খালি তাই ওষুধ কিনি নাই এখনো। আর সে চা টা এখনো খাচ্ছি নিয়মিত তাই আশা করি আর ওষুধ খাওয়া লাগবেনা। গত দুই রাত ঘুমিয়েছিও অনেক শান্তি মতন। আব্বু আম্মু তো বললো গত দুই রাত নাকি একটা কাশি ও দেইনি আমি। অথচ আগের কয়েক রাত আমি ঘুমাতেও পারিনি ভালো মতন। বলতে গেলে পুরো রাত জেগে জেগে কাটিয়েছিলাম। নিঃশ্বাস নিতে যেমন কষ্ট হচ্ছিলো তেমনি কাশিও ভালো জ্বালাচ্ছিলো। কয়টা দিন শান্তি কি জিনিশ একদমই চোখে দেখিনি। আর ঠান্ডা লাগলে দেখবেন কেমন এক অসস্থি লাগে। খুবই বাজে অবস্থা হয়েছিলো আমার। তবে আল্লাহর রহমতে এখন আমি অনেকটাই সুস্থ। আর সুস্থতার এই নেয়ামত অসুস্থ থাকতেই বুঝেছিলাম। দোয়া করবেন আমার জন্য সবাই।
আসলে সুস্থতার মূল্য একদম অসুস্থ হলেই বুঝা যায়। সবাই এই শীতে একটু সাবধানে থাকবেন। আসলে শীতের সময় পরিবেশে জলীয়বাষ্প এর পরিমান খুবই কম থাকে। ফলে বাতাস শুষ্ক থাকে অনেক। এর কারনেই ধুলাবালির পরিমান অনেকটা বেশি লাগে। আর এ সব গিয়ে ঢুকে ফুসফুসে। যার ইফেক্টই পরে শরীরের উপর। এ জন্য যারা রাস্তায় বের হবেন চেষ্টা করবেন মাস্ক পরে বের হতে। এতে আপনি অনেকটাই এসব ধুলাবালি থেকে সেফ থাকবেন। তো আজ এই পর্যন্তই। আবার দেখা হবে অন্য এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সর্বপ্রথম আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
আসলে অঞ্চল ভেদে এখন খুব ঠান্ডা আবহাওয়া।
আর এই ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঠান্ডা লাগবে এটাই স্বাভাবিক।
আর যারা বাইক চালায় তাদের জন্য তো ঠান্ডা শীতের সময় কিছু ছাড়ে না।
সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার দেয়া এক বড় নেয়ামত।
আসলে অসুস্থ না হলে সুস্থতার মর্ম টা বোঝা যায় না।
জ্বি ভাই। আসলে খুবই এক বাজে অবস্থা তৈরি হয়েছে।
যাদের রয়েছে নাক এলার্জি তাদের জন্য ধুলাবালি সত্যি খুবই মারাত্মক একটা উপাদান। কারণ এগুলো নাকে মুখে গেলে যাদের এলার্জি রয়েছে তাদের বেশি অ্যাটাক করে থাকে। আর বারবার হাকছি উঠতে থাকে। হালকা ঠান্ডা সময় বুকে কাশ জমে যায়। আর দিন শেষে আমরা সকলেই চাই সুস্থ থাকতে। এই জন্য আমাদের যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে। আর কোন কারণে কোন সমস্যা হয় সে বিষয়ে গুরুত্ব রাখতে হবে।
হুম ভাই। ডাস্ট এলার্জির কারনে আমার খুবই অবস্থা খারাপ হয়। বিশেষ করে শীতের সময়।
ধুলাবালি ব্যাপার টা আসলেই কেমন জানি লাগে। আর যাদের এলার্জী আছে তাদের তো আরও বড় সমস্যা। যেমনটা আপনার মনে হচ্ছে। তবে আপনার সমস্যা টা ঠিক হয়ে গিয়েছে শুনে ভালো লাগল। যদিও ঠান্ডা টা এখনো আছে বললেন। সত্যি সুস্থতা অনেক বড় একটা নিয়ামত। সেটা আপনি আমি অসুস্থ্য না হলে কখনোই বুঝব না
একদম ভাই। যেনো দম বন্ধ হয়ে আসে এমন অবস্থা।
নেয়ামত কথাটির অর্থ জেনেছি আমি যখন বার বার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম তখন অনেকই বলতো সুস্থতা আল্লাহর বড়ো নেয়ামত।আমরা বলি সুস্থতা সৃষ্টি কর্তার আশির্বাদ।যাই হোক ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি বাবা,মায়ের বানানো ঔষধ খেয়েই অনেকটা সুস্থ অনুবাদ করছেন জেনে ভালো লাগলো।হাত খালি কথাটা জেনে খারাপ লাগছে। আসলে জীবনে টাকার দরকার অনেক না হোক প্রয়োজন অনুয়ায়ী কিন্তুু কখনো কখনো সেই টাকাটিও হাতে থাকে না। আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
জ্বি আপু। আসলে বাইক নেওয়াতে হাত টা একদমই খালি।