পাবজি মোবাইল গেম এর সেই মামুর বাড়ি ভ্রমন।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। গত দুইদিন আবহাওয়া আবার আগের মতন গরম। তার আগের দুইদিন বৃষ্টি হয়েছিলো ফলে আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা ছিলো কিন্তু এখন আবার সেই আগের মতন গরম শুরু হয়েছে। আজ তো মনে হয় সকালের রোদের তাপে পুড়েই গিয়েছি। আমার হাত একদম কালো হয়ে গিয়েছে। তো যাই হোক আজ শেয়ার করবো পাবজি মোবাইলের সেই মামুর বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কাহিনী।
আমার জীবনের বেশ খানিকটা সময় জুড়েই রয়েছে পাবজি মোবাইল গেমটি। সেই ভার্চুয়াল গেম জগৎ থেকে শুরু করে বাস্তব লাইফে এর প্রভাব অনেকটাই। পাবজি থেকেই পেয়েছি অনেক গুলো বন্ধু। কেউ বোনের জায়গা নিয়েছে তো কেউ নিয়েছে ভাই এর জায়গা। কেউ বা হয়েছে মামা। এসব নিয়েই আমার পাবজি জুগ ছিলো। যুগ বলছি কারণ এখন আর তেমন সময় হয়ে উঠেনা। আগে নিয়মিত খেললেও এখন দেখা যায় সপ্তাহে ১ দিন কিংবা মাসে ১-২ বার গেম খেলা হয় হয়তো। তবে সেই মানুষ গুলার সাথে যোগাযোগ হয় নিয়মিত। তার মধ্যে একজন কে নিয়ে আজ আমার এই গল্প। মানুষটার নাম সাইদুল ইসলাম। ওনার গেম এ নাম তোমার মামু (TmrMamu)। তো নাম দেখেই বুঝেছেন তাকে কেনো মামু ডাকি। আসলে গেম এর নাম থেকেই মামু ডাকা শুরু হয়ে যায়। এরপর উনি আসলেই আমাদের মামু হয়ে যায়। মামু প্রথমে সৌদি প্রবাসি ছিলেন। সৌদি থেকেই আমাদের সাথে খেলতেন। এরপর উনি চলে যান কুয়েত। তো এর আগে যখন সৌদি থেকে এসেছিলেন তখন আমি দেখা করেছিলাম মামুর সাথে। এরপর মামু কুয়েত এর ভিসা পেয়ে সেখানে চলে যান। ১ বছর এর উপর ছিলেন কুয়েত এ। তো সম্প্রতি মামু ৩ মাসের ছুটিতে দেশে আসেন। এসেই আমাদের দাওয়াত দেন তাদের গ্রামের বাড়ি যাওয়ার।
আমি আর আমার বন্ধু শুভ আর আমাদের আরেক টিমমেট লাবিবা মিলে প্ল্যান করতে ছিলাম কবে যাওয়া যায়। তো আমাদের ফাইনাল পরীক্ষার আগের শুক্রবার ক্লাস ছিলোনা। ঠিক করলাম সেদিন যাবো। কে কে যাবো এটা ঠিক হয়নি তখনো। শুধু ঠিক হয়েছে আমার বাইক আর শুভোর বাইক নিয়ে যাবো। মাঝে হঠাৎ লাবিবার কিছু ব্যাক্তিগত সমস্যার কারণে যেতে পারবেনা বলে দেয়। তো তখন আমি আমার বন্ধু শুভো, সচিন ও আকাশ যাবো ঠিক করি। তো শুক্রবার আমাদের বের হতে একটু দেড়ি হয়ে যায়। আমি ভেবেছিলাম রাস্তা কম। যাক সবাই এক সাথে হলাম সকাল ৮ টা ২০ বাজে। এরপর আমরা রউনা দিলাম। আমার পিলিওন রাইডার ছিলো সচিন। আর শুভোর বাইকে শুভো আর আকাশ। শুভোর বাইক আকাশ চালাচ্ছিলো। তো আমরা ৩০০ ফিট দিয়ে যাত্রা শুরু করলাম। আমি কাঞ্চন ব্রিজ হয়ে রাস্তা চিনি। তাই আগে সে পর্যন্ত গেলাম। এরপর তো জ্যাম এ আটকে আমাদের অবস্থা খারাপ। তবে সামনে যেয়ে আমাদের ম্যাপ চালু করতে হলো। সাইদুল মামু আগেই আমাদের লোকেশন পাঠিয়ে দিয়েছিলো। আমরাও সেভাবে যাচ্ছিলাম। ভুলতা হতে আমাদের গন্তব বিশনন্দি ফেরি ঘাট।
তো প্রায় দেড় ঘন্টা রাইড করার পর আমরা বিশনন্দি ফেরি ঘাট এ পৌঁছে যাই। এরপর ফেরির টিকিট কেটে আমরা ফেরি তে উঠে যাই। আমাদের অপেক্ষা করা লাগেনা। কারণ ফেরি আগে থেকেই ভরাট ছিলো। আর ফেরির টিকেট নিয়েছে ১৫ টাকা করে দুই বাইকে ৩০ টাকা। ফেরিতে আমরা কিছু ছবি তুললাম। এরপর ভালোমতন ম্যাপ দেখে আবার যাত্রা শুরু করলাম। ভালোই লাগছিলো গল্প করে করে যেতে। তবে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। খুবই স্লো রাইডিং করতে হচ্ছিলো রাস্তার জন্য। আবার একটু ভয় ও হচ্ছিলো । গুগল মামা যদি ভুল রাস্তায় নিয়ে যায়। তাইলে তো অবস্থা কারাপ হয়ে যাবে। তবে যেহেতু মামুর লোকেশন ধরে এগোচ্ছিলাম তাই আর তেমন ভয় হচ্ছিলোনা।
তো আজ এই পর্যন্তই। বাকি ঘটনা শেয়ার করবো পরের পর্বে ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR