হঠাৎ করেই বন্ধুর জন্মদিন উৎযাপন
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সবাই ভাল আছেন। যদিও জানিনা এই গরমে কতটা ভালো থাকা যায়। তবে আমার মতে সব সময় চিল থাকাই দরকার। যাই হোক আজকে আমি আমার এক বন্ধু প্লাবন এর জন্মদিন হঠাৎ উৎযাপন করার অনুভূতি শেয়ার করব আপনাদের সাথে।
দিন টা অন্যদিন এর মতনই স্বাভাবিক ছিলো। আমার এখনকার রুটিন হচ্ছে ঘুম থেকে উঠে একটু দোকানে যাওয়া। তারপর বাসায় এসে পড়াতে যাওয়া। তবে এই কয়দিন টিউশনি ছিলোনা। কারণ ছাত্ররা গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গেছে। আমিও এই সুযোগে ভার্সিটি থেকে দেওয়া সকল এসাইনমেন্ট শেষ করতেছি। লিখতে লিখতে হাত শেষ আমার। তেমনই আজ লিখতে বসেছিলাম। ম্যাথ করছিলাম। হঠাৎ মনে পরলো আজ বন্ধু প্লাবন এর জন্মদিন। তাই গুগল ফটোস এ ছবি খুজতেছিলাম উইশ করার জন্য। ঠিক তখনই আমার এক বন্ধু জুবায়ের আমাকে ফেসবুক এ মেসেজ দিলো। ওর মেসেজ দেখলাম। ও বললো আজ তো প্লাবন এর জন্ম দিন কিছু করবা নি। আমি বললাম ঠিক আছে করা যায়। বাকি সবাইরে বলো। ও ধিরে ধিরে সবাইরে জানালো।
প্ল্যান করলাম আমরা সন্ধায় সিলেব্রেট করবো কেক কেটে। সবাই মিলে একটু একটু করে টাকা দিয়ে আমাদের কেক এর টাকা হবে আরকি। এটাই তো মজা। সবে সন্ধ্যার পরিবর্তে এটা রাত ৮ টার পর করা লাগবে শুনলাম। কারণ সোহান ছিলো ক্লাসে। আর আমার আরেক বন্ধুর টিউশনি ছিলো। তাই পেছানো হয়েছিলো। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। আমার একটু রাজুক মার্কেট এ যাওয়া দরকার ছিলো। কারণ আমার এসএসডি কার্ড ওয়ারেন্টিতে পাঠিয়েছিলাম। সেটা এসেছিলো। ভাগ্য ক্রমে প্লাবন সহই এসএসডি কার্ড আনতে যাই আমি। তারপর এসে ও আমাদের দোকানে চলে যায়।
দোকানে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে আমরা মাঠে চলে যাই। যেখানে বেশি আড্ডা দেই আরকি। সেখানে গিয়ে গেম খেলা শুরু করলাম। আমরা এক সাথে হলে সবাই মিলে ফোনে গেম খেলি। মিনি মিলিশিয়া নামক গেম। ভালোই লাগে। তো ধিরে ধিরে সবাই আসা শুরু করে। শুধু সোহান ক্লাস শেষ করে আসতে একটু দেড়ি করে। তো আমরা অপেক্ষা করি। সোহান বাজার এ এসে আমাদের কল দেয়। তারপর এখান থেকে দুজন যায় বাজারে। এই দুজন আর সাথে সোহান মোট তিন জন মিলে কেক কিনবে। টাকা আমরা সবাই ভাগাভাগি করে দিয়েছি কম বেশি। তারপর কেক নিয়ে আসলো। আমরা সবাই এক সাথে হলাম অনেক ছবি তুললাম। কেক এর ছবি তো প্রথমেই দেখেছেন সবাই।
আমরা যেখানে কেক কাটবো ভেবেছিলাম সেখানে অনেক অন্ধকার ছিলো। তাই সবাই সবার ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট জালিয়ে দিলো। যখন সেলফি তুলছিলাম তখন দেখবেন সবাই সবার মুখের দিকে ফ্ল্যাশ লাইট মেরে রেখেছে যেনো ভালো মতন দেখা যায় তাদের। তারপর আমরা ডিজিটাল মোমবাতি কেক এর উপর রেখে জ্বালিয়ে দিলাম। তারপর সবাই উইশ করতে করতে কেক কাটা হলো। প্লাবন তো এক কোপ এ কেক কেটেছে। মানে নতুন স্টাইলে আরকি। শেষে খুবই মজা হয়েছে। আমরা আর ছবি তুলিনি তেমন এই ছবি গুলাই ছিলো। প্রথমেই কেক ভাগ করে সবাই খেয়ে নিয়েছিলাম। প্লাবন কেক কেটেই সে নিজে খেয়েছি। আমরা সবাইতো হাসতে হাসতে শেষ। শেষে আমাদের এক বন্ধু নিলয় এর কেক সবাই প্লাবন এর মুখে ধরে ধরে ভিডিও করেছি আরকি। শেষে নিলয় আর তার ভাগের কেক পায়নি।
সত্যি বন্ধুদের সাথে এমন মুহুর্ত গুলা অনেক ভালো কাটে। এই হঠাৎ করেই প্ল্যান। এমন না যে আমরা কয়দিন আগে থেকে প্ল্যান করেছিলাম। হঠাৎ প্ল্যান এই সব কিছু হয়ে গেছে। এটাই তো বন্ধুত্ব। মনে রাখার মতন একটা রাত ছিলো।
বেশ ভালো একটি দিন ছিল আমিও দিনটির কথা ভুলে গিয়েছিলাম, ঘুম থেকে উঠার পর যখন ফেসবুকে দেখতে পেলাম তখন বুঝতে পারলাম আজ বন্ধুর জন্মদিন, বেশ ভালো ইনজয় করেছিলাম ওই সময়টুকু।
হুম। মজাদার একটি দিন ছিলো সেদিন।