পাবজি মোবাইলে লিভিক ম্যাপ এ চিকেন ডিনার 🍗🍗🍗
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? আমার যাচ্ছে মোটামুটি ভালোই। কাল শুক্রবার ছিলো। তবে আগেরদিন শুনি একটা ক্লাস হবেনা। তাই বাকি দুই ক্লাস ও করবোনা কেউ সিদ্ধান্ত নিলাম। তাই শুক্রবার সেই ঘুম ঘুমিয়েছি। শরীর অনেকটাই ফ্রেশ এখন। গত দুইদিন আগে পাবজি মোবাইল গেম খেলেছিলাম। সেটির একটি ম্যাচ নিয়ে বলবো আজ আপনাদের। আশা করি শুনে মনে হবে সেই ম্যাচ এ আপনারাও ছিলেন।
অনেক দিন পরই পাবজিতে ঢুকেছি। তবে খেলা অনেকটাই ভুলে গিয়েছি বলা চলে। আগে যে স্কিলস গুলা ছিলো সব ভুলে গেছি আমি। যাক কোনো বন্ধুকে পাইনি। তাই একাই ক্লাসিক স্কুয়াড ম্যাচ স্টার্ট দিলাম। আর হ্যা আমার ওয়্যার ইয়ারফোন ছিলোনা। তাই ব্লুটুথ ইয়ারফোন ব্যবহার করছিলাম। তাই অতি সামান্ন লেটেন্সি ছিলো। তবে সেটা কেয়ার করার মতন না। কারণ ফোন আর ইয়ারফোন দুইটাই ওয়ান প্লাস এর। তাই অতি সামান্য লেটেন্সি নিয়েই খেলতেছিলাম। যাক ম্যাচ স্টার্ট দেওয়ার পর আরো ৩ জন টিমমেট পেলাম। কাওকেই চিনিনা আমি। ম্যাচ স্টার্ট করেছিলাম লিভিক এ। লিভিক ম্যাচ এই বেশির ভাগ খেলা হয়। ভালো লাগে এই ম্যাপটা। ৫২ থেকে ৫৫ জন নিয়ে ম্যাচ শুরু হয়। ১৫-২০ মিনিট এর মতন লাগে শেষ হইতে। খেলা শুরু হওয়ার পর সবাই আমাকে ফলো দিলো। হয়তো অটো ফলো হয়ে । যাই হোক আমার পছন্দের যায়গা আছে অনেক গুলো। এর মধ্যে বেশি ভালো লাগে মিডস্টেইন আর পাওয়ার প্ল্যান্ট। রাশ খেলতে গেলে এই দুই যায়গায় নামি আমি। এবারো সে চেষ্টা করবো ভাবলাম। তবে কথা হচ্ছে মিডস্টেইন ছিলো একটু দূরে। পাওয়ার প্ল্যান্ট ছিলো কাছে। ৫০০ মিটার এর ভিতর হলে প্যারাসুট দিয়ে সঠিক ভাবে নামা যায়। আমি প্লেন এ থাকতেই পাওয়ার প্ল্যান্ট এ মার্ক করে দিলাম। আর পাওয়ার প্ল্যান্ট এ শুধু আমরাই না। অনেক এনিমিও যাবে।
পাওয়ার প্ল্যান্ট এ যেহেতু অনেক প্লেয়ার যাবে তাই দ্রুতো এবং সঠিক ভাবে ল্যান্ডিং করতে হবে। যেটা আমি মোটামুটি ভালোই পারি। সেই ২০১৮ সাল থেকে অভিজ্ঞতা বস। যাই হোক। আমি ৫ মিটার দূরত্বেই প্লেন থেকে লাফ দেই। এরপর দ্রুতো সুন্দর ভাবে পার্ফেক্ট ল্যান্ডিং করি। অন্য পাশে আরেক টিম নেমেছিলো। আমি নেমে একটা গান পেয়ে যায়। সেটা দিয়েই ডিফেন্স করা শুরু করলাম। প্রথমেই এনিমি টিম এর এক প্লেয়ার কভার থেকে আমার এক টিমমেট কে নকআউট করে দিলো। কিন্তু যে কভারে ছিলো এনিমি সেটি আবার আমার এইদিক থেকে দেখা যাচ্ছিলো। আমিও ওরে ফিনিশ দিয়ে প্রতিশোধ নিলাম। মনে একটু শান্তি লাগলো। আমার টিমমেট মারবে। কত্তো বড় সাহস তার। হাহা। আমরা সুন্দর ভাবে পাওয়ার প্ল্যান্ট ক্লিন করলাম। এরপর চলে গেলাম পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে সামনের দিকে। সেখানে কিছু এনিমি এসেছিলো। তাদের ও সুন্দর ভাবে ফিনিশ করে আমরা গাড়ি নিয়ে এনিমি খুজতে বেড় হয়ে গেলাম। ধারনা ছিলো মিডস্টেইনে এনিমি থাকবেই। তাই সেদিকেই যাচ্ছিলাম আমরা। মাঝে রাস্তায় এক টিম সামনে আসলো। ওদের সাথে মারাত্নক লেভেল এর ফাইট হলো। ওদের সবাইকে মারলাম আমরা। তবে আমাদের টিম এর দুজনকেও হারালাম। তবে চিন্তা নাই। তাদের একবার ফিরিয়ে আনতে পারবো।
আমি আর আমার আরেক টিমমেট। গাড়ি নিয়ে রিকল সেন্টার দের দিকে রউনা দিলাম। এবার উদ্দেশ্য যে টিমমেট গুলো শেষ হয়ে গিয়েছিলো ওদের রিকল সেন্টার থেকে কল করে ফিরিয়ে আনা। আমিও করলাম সেটাই। ওরা দুজন ব্যাক করলে ম্যাচটি বেড় করতে সুবিধা হবে। অর্থাৎ চিকেন ডিনার এর মালিক হবো আমরাই। ওরা আসার পর ওদের লুট করার সময় দিলাম। এরপর আমরা চলে গেলাম মিড স্টেইনে। সেফ জোন সেদিকেই ছিলো। এবার খুজে খুজে এনিমি মারা শুরু করলাম। প্রায় অনেক গুলো এনিমি মেরে চিকেন ডিনার ছিনিয়ে আনলাম আমি। ফাইনাল কিল আমি করি। এই ম্যাচ ও মোট ৯ কিল করেছিলাম। অনেকদিন পরে খেলেও ভালোই খেলেছি হিসেবে। ওয়্যারড হেডফোন থাকলে হয়তো আরো ভালো খেলতে পারতাম। তখন সাউন্ড সেন্স ভালো কাজে দেয়। এই ছিলো আমার সে ম্যাচ এর গল্প।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.