আমার ছোট বেলার দুইটি মজার ঘটনা
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আপনাদের সকলের দোয়াতে আমিও খুবই ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার ছোট বেলার দুইটি মজার ঘটনা। যেগুলো মনে পরলে এখনো খুব হাসি পায় আমার।
আমাদের ছোটবেলার কত মজার মজার ঘটনাই থাকে। এমন এমন কিছু ঘটনা আছে যেগুলো মনে পরলে খুবই হাসি পায়। আমার জীবনেও এমন ঘটনা আছে। যেগুলো মাঝে মাঝে যখন মনে পরে তখন আমি হাসতে হাসতে শেষ হয়ে যাই। আসলে আমাদের ছোট বেলাটাই তো এমন। কত রকম এর ঘটনাই ঘটে যায় আমাদের সাথে। কিছু ঘটনা মজার কিংবা কিছু ঘটনা অনেক কষ্টের। কষ্টের ঘটনা মনে পরলে যেমন আমাদের অনেক কষ্ট লাগে তেমনি মজার ঘটনা গুলা মনে পরলে অনেক সময় হাসি পায়। আজ আমি আমার জীবনের দুইটি মজার ঘটনা শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। হয়তো দেখবেন আমার ঘটনা পড়তে যেয়ে আপনার ও মজার ঘটনা মনে পরে যাবে। চাইলে সেগুলো ও আপনারা কমেন্ট এ ছোট করে শেয়ার করতে পারেন। ভালো লাগবে পড়তে পারলে। স্মৃতিচারণ করে আপনার ও ভালো লাগবে।
ঘটনা-১ঃ
এই ঘটনা অনেক ছোট বেলায়। তবে আমার একটু মনে আছে। তখন আমরা ঢাকায় একটা বাসায় ভাড়া থাকতাম। তো ওই বাসার বাড়িওয়ালার মেয়ে তার জামাই ও বাচ্চা সহ দুবাই থাকতো। তো তারা বাংলাদেশ এ বেড়াতে আসছিলো। ছোট বেলায় আমি খুব কিউট ছিলাম তাই সবাই মোটামুটি আমাকে ভালোই আদর করতো। আপুরাও আমাকে খুবই আদর করতো। তো তাদের চলে যাওয়ার সময় আসে। যেহেতু বিমানে যাবে তাই এয়ারপোর্ট এ যেতে হলো। সাথে আমার পরিবার ও গিয়েছিলো। তবে আমি আপুর আব্বু আম্মু ও বোনের সাথে ভিতরে ঢুকতে পারি। এর জন্য আলাদা টিকেট কাটতে হয়। তো আমি ভিতরে যাই । আপুরা সবাই চেকিং করে ইমিগ্রেশন শেষ করে ভেতরে ঢুকবে। আমি ভেবেছিলাম আমিও ভিতরে ঢুকতে পারবো। আমিও তাদের সাথে ভিতরে চলে যেতে নিয়েছি আর পুলিশ আটকে দিয়ে বললো এই বাচ্চা কার? তখন তো আপু আমাকে দেখে হেসে বললো আরে ভাইয়া তুমি আর আসতে পারবেনা। এটা দেখে বাকি সবাই ও হেসে দিলো। যে আমি যেতে যেতে একদম ভিতরেই চলে যাচ্ছিলাম। পরে আপুদের বিদায় দিয়ে আসার পর যখন আব্বু আম্মু কে জানালো সবাই মিলে কি যে হাসা হাসি।
ঘটোনা-২ঃ
এই ঘটনা ২০১১ সালের দিকে। তখন আমি ৭ম শ্রেণীতে পড়ি। তো একবার ছুটিতে আমার কাছের এক আত্নীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। তাদের বাড়ি ছিলো দেওয়ানগঞ্জ এর ও অনেক ভিতর। তো সেখানে হাট বসে একটা যায়গায় প্রতি শুক্রবার। তো আমার সেই নানা ঠিক করলো তাদের একটা গরু বিক্রি করবে। তাই তারা গরু হাটে নিয়ে যাবে। তো আমিও যাবো বলেছিলাম তাই আমাকে সাইকেল ধরিয়ে দিলো। ওনারা পায়ে হেটে আসবে। তবে আমাকে বলা হয় এই রাস্তা ধরে যাবা। শুধু ডান দিকে মোড় নিবা প্রতিবার। আমিও জোড়ে সাইকেল চালিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলাম। আর রাস্তা তো বলেই দিয়েছে। ঠিক মতই গিয়েছিলাম। তবে সমস্যাটা হয় আসার পথে। আসার সময় ও তারা আমাকে আগেই যেতে বলে। আমিও আগেই যাই। তবে এবার আমি সেই আগের হিসাবই মনে রাখি। তা হচ্ছে ডান দিকে যাওয়া। আমার মনেই ছিলোনা আগে যে মোড় গুলো ডান দিয়ে নিয়েছি যাওয়ার সময় সেগুলো বাম দিকে হবে। আমিও আসার সময় ও ডান দিকেই যেতে থাকি। মানে যে মোর আসে আমি ডান দিকেই যাই। হঠাৎ মনে পরে গেলো যে আমি তো ভুল করেছি। তখন আর কি রাস্তা হারিয়ে ফেললাম। এইদিকে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আমি তো খুবই ভয় পেয়ে গেছি। তারপর আর কি অনেক কষ্ট করে মানুষ কে জিজ্ঞাস করে করে রাস্তা খুজে পেয়েছিলাম। তাও একটা বালুর ব্রিজ দেখে। নাহলে সেদিন কপালে খারাপই ছিলো।
তো এই ছিলো আমার লাইফে ঘটে যাওয়া দুইটি মজার ঘটনা। কেমন হলো কমেন্ট করে জানাতে পারেন। সাথে আপনার যদি ছোট কোনো মজার ঘটনা থাকে সেগুলো কমেন্ট এ শেয়ার করতে পারেন। পড়তে পারলে অনেক ভালো লাগবে আমার। শুভকামনা রইলো সবার জন্য।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
ভাইয়া ছোটবেলার এমন অনেক মজার কাহিনী আছে,যা মাঝে মাঝে মনে পড়ে।আমি অনেক ছোট ছিলাম কিন্তু আমার সেই কথাটা মনে আছে,চট্টগ্রামে বাসায় থাকতাম।তখন আমি বাসার দরজা খোলা পেলেই ছাদে যাওয়ার জন্য সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকতাম।কিন্তু আম্মু যখন ডাকতো তখন আমি বাসায় ফিরে আসার চেষ্টা করতাম।কিন্তু সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে ভয় পেতাম।সিড়ির র্যালিং ধরে দাঁড়িয়ে থাকতাম,মনে হত যে নিচে পা দিলে পড়ে যাব🤣🤣।তাই যতক্ষণ না আম্মু এসে নিয়ে যায় ততোক্ষণ দাড়িয়েই থাকতাম।এ ব্যাপারটা মনে পড়লেই ভাবি ছোট বেলাটা কত মজার ছিল।
🤣🤣🤣🤣 হাহাহা। সত্যি খুব মজা পেলাম। আমারো এমন ভয় পাওয়া নিয়ে ঘটনা আছে। সামনে একদিন শেয়ার করবো নে।
আপনার পুরো পোস্ট পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শৈশবের সেই সোনালী দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো। আবার সেই দিনগুলো মাঝে ফিরে যেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার মজার ঘটনা দুটি সত্যি বেশ অসাধারণ। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
হুম ভাই। শৈশব এর সেই দিন গুলো মনে পরলে এখন খুবই হাসি পায়।
আপনার পুরো পোস্টটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। পোস্টটি ভিতরে শৈশবের স্মৃতিময় ঘটনার দিন গুলো আপনি লিখেছেন যা পড়তে আসলেই মজাদার ছিল। স্মৃতিময় দিনগুলো কেউ ভুলতে পারে না আর আমরা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে এই দিনগুলোর কথা মনে করতে পারছি এজন্য আমার বাংলা ব্লগ কে অনেক ধন্যবাদ। আপনার পোস্টটে
শৈশবের স্মৃতিময় অনুভূতির কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
হুম আপু। আমাদের জীবনে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে থাকে যেগুলো মনে পরলে আমাদের অনেক হাসি পায়।
ছোটবেলার কিছু স্মৃতি থাকে যেগুলো সব সময় নিজে মানে উপলব্ধি করেই থাকি। তাছাড়া ছোটবেলায় অনেক কিছু কাজ করে থাকি যেগুলো ফ্যামিলির কাছে অনেক হাসির মনে হয়। আমাদের ছোট ছোট কাজে তারা অনেক হ্যাপি হয়। আর আপনার প্রথম ঘটনা থেকে সেটাই বোঝা যাচ্ছে ভাই। তাছাড়া ছোট থাকতে মনের ভিতর বিভিন্ন ধরনের ভয় আতঙ্ক থেকে যেত। সেরকমটা আপনারও হয়েছিল।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
একদম ভাই। ছোট বেলাকার সেই স্মৃতিগুলো মনে রাখার মত হয়ে থাকে।
আপনার ছোটবেলার দুটি ঘটনা পড়ে খুব ভালোই লাগলো। প্রথম ঘটনাটি আপনি অনেক ছোট ছিলেন। তারপর ঘটনাটি আপনি ২০১১ সাল তখন আপনি সপ্তম শ্রেণীতে ছিলেন। রাস্তা হারিয়ে আসতে খুব বিপাকে পড়েছেন। আপনার ছোটবেলা স্মৃতি পড়ে আমারও ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু। এর পরে আরো হাসির ঘটনা ঘটে ছিলো সেগুলো সামনে একদিন শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।