রাস্তা গণপরিবহন শুন্য || অফিস আসতে ভোগান্তি
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। গতকাল শুক্রবার খুবই চমৎকার ভাবে কাটিয়েছিলাম। তবে আজ থেকে আবার অফিস এর প্যারা। আর এই প্যারায় আমি শেষ। সময় পাওয়া অনেক কষ্টকর। তার উপর আজ সমাবেশ আর সমাবেশ। অফিস আসতে খুবই ভালোই প্যারা খেতে হয়েছে। আজ তা নিয়েই কথা বলবো আপনাদের সাথে।
শুক্রবার দিনটা জোশ কাটিয়েছিলাম। বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি। রাতে আড্ডা। এরপর বাসায় এসে রাতে ওদের সাথে পাবজি খেলে। কিন্তু বিড়ম্বনা অপেক্ষা করছিলো পরের দিন। আজ আমাদের ঢাকাতে রাজনৈতিক দল গুলোর সমাবেশ রয়েছে। তাও বড় ৩ দল এর। এ জন্য আগে থেকেই শুনেছিলাম বড় ধরনের গেঞ্জাম হতে চলেছে। কয়েকদিন আগে থেকেই এ নিয়ে কথা হচ্ছিলো। যাক গতকাল রাতে সার্ভিস সুপারভাইজর গ্রুপে মেসেজ দিয়ে কড়া ভাবে বলে দিয়েছিলো যে সবাই যেনো ইনটাইম এ উপস্থিত থাকে। স্যার ও দেখলাম সে কথায় তাল মিলাইলো। কি আর করা জীবনের ঝুঁকি থাকলেও অফিস যেতেই হবে। রাতে একটু আগে ভাগেই গেম থেকে বিদায় নিয়েছিলাম। যেহেতু সকাল সকাল দ্রুতো উঠতে হবে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে গোসল করতে চলে গেলাম। এরপর গোসল শেষে এসে নাস্তা করে দ্রুতো বের হয়ে পরলাম। এরপর বাস স্ট্যান্ডে চলে আসি একটা রিকশা নিয়ে। এসে দেখি রাস্তা প্রায় ফাঁকা। মানুষ অনেক তবে গাড়ি কম। গনপরিবহণ একদমই দেখা যাচ্ছেনা। কিছুক্ষন পর পর একটা আসে তো মৌমাছির মতন মানুষ সে বাসে উঠার চেষ্টা করে। কি করবে আর সবারই তো অফিস আছে। যেতে তো হবেই। সমস্যা হলে তো আমাদের হবে। অফিস এর তো আর কিছু হবেনা। যাক ধিরে ধিরে সামনের দিকে এগোলাম। কারণ এখানে থেকে বাসে উঠা একদমই সম্ভব না। বাস আরো অনেক সামনে থেকেই ভরে আসতেছিলো।
হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে এসেছি। আমার অফিস এর রোড এ বাস চলে ৫ টা। তবে আজ একটার ও দেখা নাই। ৩০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি। একটা বাস আসলো। ভাবলাম উঠতে পারবো। কিন্তু দুঃখের বিষয় সে বাস মিস করে গেলাম। কারণ অনেক অনেক মানুষ। যা আপনারা ছবি দেখেই বুঝেছেন। গাড়ি নাই। তবে মানুষ এর অভাব নাই। আমি আরো একটু সামনের দিকে গেলাম। এরপর দেখতে পেলাম একটা বাস আসতেছে। সবাই সেই বাসের দিকেই এগোচ্ছিলো। তবে এবার আমার জন্য সুবিধা ছিলো। কারণ আমি সামনের দিকেই ছিলাম। আর বাসটাও অর্ধেক এর বেশি ফাঁকা ছিলো। উঠে গেলাম। সিট ও পেয়ে গেলাম। এই ভিড়ে সিট পাওয়া যেনো ভাগ্যের ব্যাপার। যাক আমি উঠার পরই পুরো বাস যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠলো। অনেক যাত্রী তো উঠতেই পারলোনা। তবে সমস্যা হচ্ছে এই বাস যাবে বাড্ডা পর্যন্ত। আর বাকি রাস্তার ব্যবস্থা পরে করতে হবে। যাক আগে তো বাড্ডা পর্যন্ত যাই। তারপর না হয় বাকি রাস্তা হেঁটে বা রিকশায় করে যাবো। তবে এটা একটা হয়রানি আমার কাছে। বাংলাদেশের রাজনীতী যে কই গিয়ে দাঁড়াবে আল্লাহই ভালো জানেন। সব ভুগতে হয় দেশের জনগন এর। আপনারা সমাবেশ করবেন ভালো। কিন্তু কেনো আপনাদের জন্য জনগন এর ভোগান্তি পোহাতে হবে। আর অফিস গুলোও কেমন। যেখানে লাইফ এর রিস্ক থেকে যায় সেখানে অফিস খোলা রেখেছে। কোথাও মানবতা বলতে কিছু নাই। যাক দেখা যাক কি গেঞ্জাম হয় আজ।
তো বাড্ডা আসার পর শুনি বাস আরো একটু সামনে যাবে। আমার জন্য ভালোই হবে। একটু একটু করে রামপুরা ব্রিজ আসতে পারলে সেখান থেকে হেটেই অফিস আসা যায়। শুনলাম হেলপার বলতেছে বাস রামপুরা ব্রিজ পর্যন্তই যাবে। এই প্রথম কাজের সাথে কথার মিল পেলাম। একদম রামপুরা যে ব্রিজটা আছে সেটার উপরই বাস থামিয়ে একদম স্টার্ট বন্ধ করে দিয়েছে। আমিও আরামছে নেমে গেলাম। এ পর্যন্ত ভাড়া অবশ্য কমই লেগেছে। মাত্র ২০ টাকা গিয়েছে। এরপর দিলাম হাঁটা। এক হাটায় ২০ মিনিট এর মধ্যেই অফিস এর সামনে পৌঁছে গেলাম। হাঁটা ছাড়া আর বাসে উঠার কষ্ট ছাড়া তেমন কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। তবে এই কষ্টই কেনো করবো আমরা বলেন তো? জানিনা দেশের এই সমস্যা কবে সমাধান হবে। একদল সমাবেশ দিলে আরেকদল বাস বন্ধ করে দেয়। শেষে ভোগান্তি তে পড়তে আমাদের সাধারন মানুষদের। যাক আজ এই পর্যন্তই।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
গতকাল থেকেই অনেক চিন্তিত যে আজকে দিনটা কেমন যাবে, বা কি রকম পরিস্থিতি হয় ঢাকায়। যদিও আমরা সরাসরি দেখতে পাচ্ছি না, তবে আপনি অফিসে যাওয়ার জন্য এই সমাবেশ গুলোর কারণে ভালই কষ্ট করতে হয়েছে। আসলেই অফিস কর্মকর্তাদের বা অফিস মালিকদের কোন মানবতা নেই।যদি থাকত তারা যেখানে প্রাণের রিক্স সেখানে অফিস খোলা রাখতো না। যাই হোক সাবধানে বাসায় ফিরবেন এই কামনা করছি।
জ্বি ভাই। সেদিন আসলেই খুব ভয়ে ছিলাম।