অফিসে একটু বিনোদন এর ব্যবস্থা করা || মিনি স্পিকার কেনা।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? আমার মোটামুটি যাচ্ছে আরকি। সব মিলিয়ে ভালোই। তবে গরমে একটু কষ্ট করতে হচ্ছে বেশি। প্রতিদিন যদি ৩ ঘন্টা করে বৃষ্টি হইতো আর আকাশ মেঘলা থাকতো তাইলেই ভালো হতো। এতো গরম সহ্য করার মতন না। তার উপর লোড শেডিং তো আছেই। তবে আল্লাহর রহমতে একটু লোড শেডিংটা কমেছে। যাক আজ আপনাদের সাথে মিনি স্পিকার কেনার অনুভূতি শেয়ার করবো। যেটি কিনেছিলাম অফিস এর জন্য। এর অবশ্য অনেক কারণ আছে। আজ সেগুলোই বলবো আপনাদের সাথে।
যেহেতু আমি ইয়ামাহা সার্ভিস সেন্টার এ স্পেয়ার পার্টস এর ইনচার্জ হিসেবে নিযুক্ত রয়েছি, সেহেতু আমার অফিস টা সার্ভিস সেন্টার এর ভিতরেই পরেছে। আর এখানে প্রচন্ড সাউন্ড। যেমন বাইক ওয়াশ করে যখন খুব স্পিডে পানি মারা হয়। এর সাউন্ড রয়েছে। আবার বাইক এর বিভিন্ন পার্টস এ হাওয়া দেওয়া হয়। পুরো কান যেনো অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আর এক সাউন্ড কতক্ষন শোনা যায় আপনারাই বলুন। তো যাই হোক আমি আর আমার পার্টস অফিসার মিলে ঠিক করলাম যে যদি ছোট কোনো স্পিকারের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে গান শুনা যাবে। এতে মন ও ফ্রেশ থাকবে। আর যেহেতু পার্টস এ তেমন স্যার রা আসেনা সেহেতু কিছু বলবেও না। আর মাঝে মাঝে তো স্যার এর সামনেও গান শুনি আমরা। তো পার্টস অফিসার তার বাসা থেকে একটা ব্লুটুথ স্পিকার এনে ছিলো। তো সমস্যা হলো পিসিতে তো আর কানেক্ট করা যাবেনা। তাই আমি একটি ব্লুটুথ রিসিভার কিনে আনি। যদিও এটার বিল অফিস থেকেই করিয়ে ছিলো। যাক তো আমরা অনেকদিন ওই স্পিকার দিয়েই গান শুনতাম।
খুব ভালোই চলছিলো। ভালোই লাগতো। অফিস এর কাজের প্রেশারের মধ্যে একটু একটু করে গান শুনলে কার না ভালো লাগবে। এতে করে কাজের প্রতিও এক ঘেয়েমি আসেনা। আরো ভালো লাগে। আমি আর পার্টস অফিসার এক একজন এক একজনের পছন্দের গান শুনতাম। মাঝে মাঝে তো মুভি ও দেখতাম। ভালোই চলছিলো। তবে সমস্যা দেখা দিলো কিছু দিন পর। চার্জ লাগানোটা একটু প্যারার ছিলো। কারণ ব্যাটারি শেষ এর দিকে আসলে সাউন্ড কমে যেতো। তবুও আমরা এটাই চালাচ্ছিলাম। তবে শেষ ১ সপ্তাহ ধরে একটু বেশি ঝামেলা শুরু করলো। সাউন্ড জোড়ে দিলেই বন্ধ হয়ে যায়। চার্জ এ থাকার পর ও। বিরক্ত হয়ে গেছিলাম বলা চলে। যেহেতু ওয়্যারলেস ছিলো। তাই বন্ধ হলেই আবার নতুন করে কানেক্ট করতে হইতো। এটা একটা ঝামেলা হয়ে দাড়িয়েছিলো। তাই আমরা ভাবতেছিলাম যে একটা ছোট স্পিকার যদি কেনা যায়। ভাবতে ভাবতেই সিদ্বান্ত নিয়ে ফেললাম যে এবার যাই হোক একটা মিনি স্পিকার কিনতেই হবে। যেহেতু আমার অনলাইন শপিং এর অভ্যাস আছে। আর অফিস রেখে মার্কেট যাওয়া ও সম্ভব না কোনো ভাবেই। তাই অনলাইনে খোজ করতে শুরু করলাম। খুজতে খুজতে কিছু মিনি স্পিকার পেয়ে গেলাম। খোজ নিচ্ছিলাম যে কোনটার রিভিউ ভালো। আমি অনলাইন থেকে কিছু কেনার আগে সে পণ্যের রিভিউ গুলা পড়ি। তো দেখলাম D7 মডেল এর একটা স্পিকার এর রিভিউ অনেক ভালো।
খুব ভালো ভাবেই সব গুলো রিভিউ পর্যবেক্ষন করলাম। দেখলাম ৯৫% পজিটিভ রিভিউ। সাথে সাথেই অর্ডার করে ফেললাম। স্পিকারের দাম ছিলো ২৯০ টাকা। সাথে ডেলিভারি চার্জ ৫৫ টাকা। মোট আসে ৩৪৫ টাকা। তবে একটা ভাউচার পেয়ে ছাড় পাই ৭৫ টাকা। সে হিসেবে দাম আসে ২৭০ টাকা। আর যদি ডেলিভারি চার্জ না ধরি তাইলে প্রকৃতপক্ষে স্পিকারের দাম দাঁড়ায় ২১৫ টাকা। এক্সপ্রেস ডেলিভারি নিলাম। অর্থাৎ পরের দিন ডেলিভারি দিবে। পরের দিন স্পিকার হাতে পেলাম। আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। যে এতো কম দামে কতটুক ভালো হবে। কিন্তু সাউন্ড কোয়ালিটিতে আমি অবাক। এই দামে এই সাউন্ড বলতে গেলে অসাধারন। ২০০% খুশি আমি। সাউন্ড ও ভালো। আর অনেক ক্লিয়ার। মোটামুটি লেভেল এর বেস আছে। তবে চলে আমাদের জন্য। ভাবিনি এই দামে এমন ভালো জিনিশ পাওয়া যাবে। এখন যে পোস্ট লিখতেছি তখনো গান শুনেই লিখতেছি। হেহেহে।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কাজ করার পাশাপাশি গান শুনতে আমরা সকলেই অনেক বেশি ভালোবাসি তবে আপনি যেখানে আছেন সেখানে প্রচন্ড রকম শব্দ থাকার কারণেই আপনি এই সাউন্ড বক্স কিনেছেন যেটা আপনার পোস্ট করে বুঝলাম। খুবই অল্প টাকার মধ্যে অনেক ভালো কোয়ালিটির দুটি স্পিকার পেয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।। এরকম অল্প টাকার মধ্যে স্পিকার বলে ২০০ পার্সেন্ট কেন ৩০০ পার্সেন্ট খুশি থাকা যায় হাহাহা।
জ্বি ভাইয়া। একটু বিনোদন এর ব্যবস্থা থাকলে ভালোই হয়।
মিনি স্পিকার কেনার অনুভূতি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এখন কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিজের পছন্দের গান শুনতে পারবেন। স্পিকার গুলো কম দাম দিয়ে কিনেছেন আমাদের এদিকে এই গুলো অনেক দাম। গান শুনতে শুনতে মুহূর্ত গুলো বেশ সুন্দর কাটবে। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
মিনি স্পিকার গুলো ভালোই। দারুণ সাউন্ড।
ভাইয়া আপনার ভাগ্যতো অনেক ভাল ২১৫ টাকা দিয়ে স্পিকার পেয়ে গেছেন। আমি এই সেইম স্পিকার কিনেছিলাম ৪৫০ টাকা দিয়ে। আর আপনি কত কম দাম দিয়ে নিয়েছেন। আমি কত বড় ধোকা খেলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হুম ভাই। ভাগ্য ভালো বলেই তো এতো কম দামে পেয়ে গিয়েছি।