৭ টি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম #6|| ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুবেচ্ছা। ছবি তোলা যেনো আমার কাছে নেশা হয়ে গেছে। খুবই ভালো লাগে। আমি প্রতিনিয়ত চেস্টা করি কোথাও গেলে সুন্দর সুন্দর ছবি তোলার। জানিনা কত সুন্দর হয়। তবে আমি আমার সব টা দিয়েই চেস্টা করি। আজো আপনাদের সাথে কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে অনেক।
এই ছবিটা চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট এ তোলা। লঞ্চ থেকে নেমে যখন বাড়ির দিক থেকে যাওয়ার সময় হটাৎ আমার বাম দিকে তাকাই। আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখে নিজেই অবাক হয়ে যায়। সাথেই সাথে ফোন বের করে ক্লিক করে ফেলি ছবি গুলো। দুইটি ছবি তুলেছিলাম। একটি শেয়ার করলাম। অন্যটিও একই যায়গা থেকে তোলা। তাই আর দিলাম না। এমন পরিষ্কার সাদা মেঘ এর আকাশ দেখতে কতই না ভালো লাগে। মনে হচ্ছে মেঘ গুলো যেনো মাথায় বাড়ি খাবে।
বিকেল বেলা আমার বন্ধুর সাথে হাটতে বের হয়ে ছিলাম। কারণ এখন খুব গরম পরতেছে। বিকেলে এখানে গাছের ছায়ায় ভালোই লাগে। আমার আবার স্বভাব ছবি তোলার। তাই এমন এক পরিবেশ দেখেই ছবি তুলে ফেললাম দেড়ি না করে। ভালোই লাগলো। আর ভালো লাগবেই না কেনো। দেখুন একবার আকাশ এর অবস্থা। কি সুন্দরই না লাগছে। মেঘের আড়ালে ঢাকা পরেছে আমাদের সূর্যি মামা।
এটি চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট থেকে তোলা। আমি হালকা খাওয়া দাওয়া করার জন্য লঞ্চ থেকে নেমেছিলাম। তখন দেখলাম একটি লঞ্চ ঘাটে ভিরতেছে। তাই ছবি তুলে নিলাম সাথে সাথে। এটি সম্ভবত বরিশাল থেকে এসেছে। কিছু যাত্রী নামিয়ে আবার চলে গিয়েছিলো। যদিও ঢাকায় যাওয়ার জন্য কোনো যাত্রী উঠেনি। কারণ আমাদের চাঁদপুর থেকেই অনেক ফাঁকা লঞ্চ ছিলো। আমাদের লঞ্চই অনেকটা ফাঁকা ছিলো।
ছবিটি ভারত বাংলাদেশ বর্ডার থেকে তোলা। সামনে যে কাঁটা তারের বেড়া দেখতে পাচ্ছেন এটির ও পাশে ভারত। আর এপাশে বাংলাদেশ। সখ করেই গিয়েছিলাম সেখানে। আখাউড়া থেকে একটি গ্রামের ভিতর দিয়ে এখানে যেতে হয়। যদিও ভয়েছিলাম খুব। কারণ সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো। দ্বিতীয়ত বর্ডার এর খুব কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে কিছু ছবি তুলে দ্রুতো ফিরে আশি।
এই ছবিটি হোটেল লি মেরিডিয়েন এর সামনের ফুট ওভারব্রিজ থেকে তুলেছিলাম। বন্ধুরা সহ রাতে হাটতে বের হয়েছিলাম। তো এ পাশ থেকে ওপাশ এ যাওয়ার জন্য ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে হয়। উপরে উঠে দেখলাম রাতের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি গুলো আসতেছে। দেখে ভালো লাগলো তাই ছবি তুলে রেখে দিলাম।
এটি বুড়িগঙ্গা নদীর উপর থেকে তোলা। নদীর উপর বলতে লঞ্চ এ ছিলাম। নামার আগে ছবিটি তুলেছিলাম। মানুষ কি সুন্দর করে নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে। যদিও আমার খুবই ভয় লাগছিলো কারণ এইদিক দিয়ে লঞ্চ আশা যাওয়া করে। অনেক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সবার সাবধানে নদী পারাপার হওয়া উচিৎ। বড় নৌকা হলে ভালো হয়।
ফুল ভালো লাগেনা । এমন মানুষ খুজে পাওয়া দায়। আমার তো ফুল অনেক ভালো লাগে। অনেক মানে অনেক। আমি ফুল খুব ভালোবাসি। তাই ফুলের ছবি দেখলেই লোভ সামলাতে পারিনা। আমার অনেক ছবি তুলতে হবেই ফুল দেখলে। খুবই ভালো লাগে ছবি তুলতে ফুলের। এই ছবিটি দেখুন। বৃষ্টির ফোটা জমে আছে। কতই না সুন্দর লাগছে।
ক্যামেরা | Oneplus 7t |
---|---|
মোড | ওয়াইড, ম্যাক্রো |
ফটোগ্রাফি এরিয়া | চাঁদপুর, আখাউড়া, ঢাকা |
তো এই ছিলো আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। শুভকামনা রইলো সবার জন্য।
ফটোগ্রাফি করতে আমরা সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করি ব্যক্তিগতভাবে আমি যেখানেই যাই সব সময় চেষ্টা করি কিছু ফটোগ্রাফি করার জন্য। আপনার ফটোগ্রাফি গুলা আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে। চমৎকার বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হুম ভাই। ঘুরতে গেলেই যেনো ছবি তোলার একটা ঝোক উঠে কেমন জানি। ভালো লাগে খুব।
চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে তোলা ছবি দুটি একটু বেশি সুন্দর হয়েছে। আসলেই ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ পাওয়া দায়। কি করলেন ভাইয়া ভারত বাংলাদেশের বর্ডারের কাছে গিয়েছিলাম এভাবেই হোক ভারতে চলে যেতন ছোট দাদা বড় দাদা ও টিনটিনের সাথে দেখা করে আসতে 😁🤪। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল ভাইয়া।
তা ঠিক। তবে সেদিক দিয়ে আগরতলা যাওয়া যেতো।
ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার ছিল। আমার কখনো লঞ্চ দেখা হয় নি সেজন্য লঞ্চ থেকে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ভারতের বর্ডার টাও বেশ ভালো লাগল দেখে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
একবার চলে আসুন আমাদের চাঁদপুর এ। লং এ করে ঘুরে যাবেন। ভালো লাগবে অনেক।
খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এই সপ্তাহে। আসলে আমার নিজেও কাছেও ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে লাস্টের ছবিটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে।
ঠিক ভাইয়া। ফটোগ্রাফি করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো আমি মুগ্ধ। আপনি খুব সুন্দর সুন্দর সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম তৈরি করেছেন যা দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি এলবাম তৈরি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি ভাই। আশা করি আমার তোলা রেনডোম ফটোগ্রাফি গুলো আপনার খুবই পছন্দ হয়েছে। দোয়া করবেন।
মনমুগ্ধকর সাতটি ফটোগ্রাফি আজকে আপনার মাধ্যমে দেখতে পেলাম। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ছিল খুবই সুন্দর। বিশেষ করে লঞ্চঘাটের ফটোগ্রাফিটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাই আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে সাতটি ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করার জন্য।
লঞ্চ ঘাট থেকে সামনে নদী আর খোলা আকাশ দেখা যায় তাই ছবি গুলো ও সুন্দর দেখা যায় খুবই।
সাদা ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে অসাধারন হয়েছে। আর নদীতে নৌকা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। নিখুঁত ফটোগ্রাফি এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
সাদা ফুল টি আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছিলো। তাইতো তুলে ফেলেছিলাম সুবিধা মতন।
আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার খুবই ভালো লেগেছে ভাই। অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন। রাতেরবেলা শহরের দৃশ্য অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে।
হুম শহরের এই দৃশ্য গুলো অনেক ভালো লাগে রাতের দিকে।
সুন্দর সুন্দর কিছু আলোকচিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফি গুলা আমার কাছে বিশেষ করে লঞ্চ ঘাট এর ফটোগ্রাফি এবং নীল আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের ভেলার দৃশ্য খুবই ভালো লেগেছে
ধন্যবাদ ভাইয়া। আশা করি সব সময় এভাবেই অনুপ্রেরণা দিবেন। দোয়া রইলো।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ফুল পছন্দ করে না এমন লোক খুব কম পাওয়া যাবে। সাদা নয়ন তারা ফুলটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বৃষ্টির ফোটা পড়ে আছে দেখে আরো বেশি সুন্দর লাগছিল। মনে হচ্ছে ফুলটির সুন্দর যদি কোন বেড়ে গেল বৃষ্টির করার। চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটের ছবিটা খুব সুন্দর ছিল। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
হুম আপু। ফুল খুব ভালো লাগে আমার কাছে। আর বৃষ্টির ফোটা পরলে তো কথাই নাই।