কবিতা আবৃত্তিঃ- ছিন্ন মুকুল || সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত এর কবিতা
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। আমি রাজু আহমেদ বাংলাদেশ থেকে। আবারো হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। রোজার ভেতর কেমন যাচ্ছে আপনাদের দিন কাল? আমি আজ অফ ডে নিয়েছিলাম। শুধু ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কাটিয়েছি। তাই পোস্ট করতে দেড়ি হচ্ছে। যাক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার করা একটি কবিতা আবৃত্তি। অনেকদিন পর আবৃত্তি করলাম। মাঝে দিয়ে আবৃত্তি করা অফ ছিলো। আসলে রেকর্ড করার সুযোগ হয়ে উঠেনা খুব একটা। তার উপর এখন অফিস আছে। খুব কমই সময় পাই কাজ গুলো করার। তবুও চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছি আপনাদের মাঝে একটিভ থাকার। দোয়া করবেন সবাই।
আমি কিন্তু খুব একটা ভালো আবৃত্তি করতে পারিনা। আজকের টি কেমন হয়েছে আপনারা জানাবেন আশা করি। এই কবিতাটি যখন পড়ছিলাম ভালোই লাগছিলো। । পারিনা খুব ভালো তবে চেস্টা করতে দোষের কি। আমার কাছে ভালোই লেগেছিলো পড়ে। নিজের আবৃত্তি নিজে শোনার পর ভালো লাগে খুবই। তবে ভালো হয়েছে কিনা সেটা আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম। নিজের জিনিশ নিজের কাছে ভালো লাগাটাই তো স্বাভাবিক। যাক আর কথা না বাড়িয়ে এবার আপনারা শুনুন-
আমার আবৃত্তি -
কবিতা-
সবচেয়ে যে ছোট্ট পিঁড়িখানি
সেইখানি আর কেউ রাখে না পেতে,
ছোট থালায় হয় নাকো ভাত বাড়া,
জল ভরে না ছোট্ট গেলাসেতে;
বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে যে ছোট
খাবার বেলায় কেউ ডাকে না তাকে,
সবচেয়ে যে শেষে এসেছিল
তারি খাওয়া ঘুচেছে সব আগে।
সবচেয়ে যে অল্পে ছিল খুশি
খুশি ছিল ঘেঁষাঘেঁষির ঘরে,
সেই গেছে হায়, হাওয়ার সঙ্গে মিশে
দিয়ে গেছে জায়গা খালি করে।
ছেড়ে গেছে পুতুল, পুঁতির মালা,
ছেড়ে গেছে মায়ের কোলের দাবি;
ভয়-তরাসে ছিলো যে সবচেয়ে
সেই খুলেছে আঁধার ঘরের চাবি।
হারিয়ে গেছে- হারিয়ে গেছে, ওরে!
হারিয়ে গেছে বোল্-বলা সেই বাঁশি,
হারিয়ে গেছে কচি সে মুখখানি,
দুধে-ধোওয়া কচি দাঁতের হাসি।
আঁচল খুলে হঠাৎ স্রোতের জলে
ভেসে গেছে শিউলি ফুলের রাশি,
ঢুকেছে হায় শ্মশান ঘরের মাঝে
ঘর ছেড়ে তাই হৃদয় শ্মশান-বাসী।
সবচেয়ে যে ছোট কাপড়গুলি,
সেগুলি কেউ দেয় না মেলে ছাদে;
যে শয্যাটি সবার চেয়ে ছোট
আজকে সেটি শূন্যে পড়ে কাঁদে,
সব-চেয়ে যে শেষে এসেছিলো
সে গিয়েছে সবার আগে সরে,
ছোট্ট যে জন ছিলো রে সব চেয়ে
সে দিয়েছে সকল শূন্য করে।
কবিতার সোর্স
তো এই ছিলো আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। শুভকামনা রইলো সবার জন্য।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ছিন্ন মুকুল কবিতাটি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আবৃতি করেছেন। আপনার সুন্দর কবিতা আবৃত্তি আমার হৃদয়কে স্পর্শ করেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কবিতাটি আমার নিজের কাছেও অনেক ভালো লেগেছিলো ভাই।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত এর খুবই সুন্দর একটা কবিতা আবৃত্তি করেছেন আপনি। ছিন্ন মুকুল কবিতাটির আবৃত্তি আপনার কণ্ঠ শুনে সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছে মনটা একেবারে ভরে গিয়েছে। প্রত্যেকটা লাইন আপনি খুবই সুন্দর ভাবে বলেছেন। কবিতার প্রত্যেকটা লাইন সত্যি একেবারে মন ছোঁয়া ছিল। খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছেন এবং আবৃত্তি করেছেন কবিতার প্রত্যেকটা লাইন আপনি। এক কথায় অসাধারণ ছিল।
হুম আপু। কবিতাটি আসলেই খুব সুন্দর। আবৃত্তি করে মজা পেয়েছি খুব।
ভাই এতো ঘুমালে তো চলবে না ৷ হিহিহি
যা হোক ভাই ব্যস্ত জীবনে এমনি সময়ে পাওয়া যায় না কোনো শখের কিছু ৷ তবে আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে কবিতা আবৃত্তি করেছেন ৷ এভাবে করে সময়ে পেলে আবৃত্তি করবেন ভাই ৷ ধন্যবাদ
কি আর করবো ভাই। ঘুম যে খালি এসে যায়।
ছিন্ন মুকুল' কবিতাটি আমার খুবই প্রিয় একটি কবিতা। অনেকদিন আগে এই কবিতাটি পড়েছিলাম আমি। তবে আজকে এই কবিতাটি আপনার কন্ঠে দারুন আবৃত্তি শুনে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। সত্যিই আপনার কবিতা আবৃতি করার দক্ষতা অতি চমৎকার। আমার খুবই পছন্দের একটি কবিতা আবৃত্তি করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ। আমি একবার যখন পড়েছিলাম ভালো লেগেছিলো অনেক।