নাটক রিভিউ:- "ব্যাচেলর পয়েন্ট | সিজন ৪ | পর্ব-৪১" || ওয়েব সিরিজ
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। তো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ব্যাচেরলর পয়েন্ট নাটক এর একটি পর্বের রিভিউ। বর্তমানে ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটক খুবই জনপ্রিয় একটি ওয়েব সিরিজ বলা চলে। সিজন-৪ চলতেছে। আজ আপনাদের সাথে ৪১ নং পর্ব নিয়ে আলোচনা করবো।
নাটক এর ইউটিউব লিংক -
নাটক | ব্যাচেলর পয়েন্ট |
---|---|
রিলিজ | ১৮ জুন, ২০২২ |
পরিচালক | কাজল আরেফিন অমি |
সহকারি পরিচালক | জিয়াউল হক পলাশ |
অভিনয়ে | মিশু সাব্বির, চাষী আলম, জিয়াউল হক পলাশ, মার্জুক রাসেল, সাবিলা নুর, রিয়া সহ আরো অনেকে। |
এডিটর | ইসমাইল হোসেন |
এই তথ্য গুলো উপরে দেওয়া নাটকের লিংক এর ডিসক্রিপশন বক্স থেকে নেওয়া।
ব্যাচেলর পয়েন্ট একটি কমেডি টাইপ নাটক। ব্যাচেলর দের অবস্থা নিয়ে এই সিরিজটি। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি এই সিরিজ টির ফ্যান। আজকের এই পর্ব ছিলো মূলত বোরহান ভাই এর মাফ চাইতে আসা নিয়ে। বোরহান মূলত ব্যাচেলর সবার টাকা মেরে চলে গিয়েছিলো। জেল খেটে বার হয়েছে। তাই সে মাপ চাইতে এসেছে। এসেই সেই এক ধোলাই খায় সবার হাতে। সবাই পেটায় অরে। শেষে মাইর থামানো হয়। ও এই বাসায় থাকার আর্জি জানায় সবাইকে। এক রাতের জন্য। প্রথমে সবাই ওরে বিশ্বাস করতে না চাইলেও পরে একটু বিশ্বাস করে। কারণ ওদের ১ লাখ টাকা ফেরত দেয়। যদিও ৬ লাখ টাকা মেরে দিয়েছিলো। তো চলুন ভিতর এর কাহিনি শুরু করি।
এখান থেকেই শুরু হয় ৪১ নং পর্ব। যেখানে হাবু ভাই, কাবিলা, শুভো, আর পাশা ভাই মিলে মিটিং করতে বসেছিলো। বোরহান এর ব্যাপারে মিটিং চলছিলো। কিভাবে কি করবে। যেখানে পাশা ভাই কে কেউ দাম দিচ্ছিলোনা। আর হাবু ভাই ভালোই রেগে ছিলেন। কারণ ওই টাকার মধ্যে ৫ লাখ টাকা হাবু ভাই এর ছিলো বিদেশ যাওয়ার জন্য। মাঝে দিয়ে শিমুল বলে উঠে বোরহান কে পোচ দিতে হবে।
স্ক্রিনশট
এই দৃশ্যে দেখা যায় পাশা ভাই শিমুল এর জুতো জোড়া দরজার সামনে রেখে কলিং বেল বাজিয়ে পালিয়ে যায়। এই জুতো জোড়া ছিলো শিমুল এর। এটি পুলিশ এর জুতো। এই জুতো শিমুল এর আবেগ। হাহাহা। এই জুতা পাশা ভাই আগের পর্বে নিয়ে গিয়েছিলো। মানে শিমুল কে ভয় দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলো। যদিও এটা নিয়ে অনেক বিচার আঁচার হয়। শেষে দিয়ে গেলো। কারণ শিমুল আবার খুব ভালো অভিসাপ দিতে পারে । অভিসাপ এর ভয়ে পাশা ভাই জুতা দিয়ে দেয়। জুতা জোড়া পেয়ে শিমুল যা খুশি হয় বলার বাইরে।
স্ক্রিনশট
ইনি এলাকার বড় ভাই বাচ্চু ভাই। আগে সবাই এনাকে ভয় পেলেও এখন কেউ দাম দেয়না। সে ই কমার্স এ ২ নং ব্যবসা করে এখন বড়লোক হয়ে গেছে। পাম দেওয়ার জন্য কাবিলা কে এক প্যাকেট সিগারেট কিনে দেয় এখানে। তারপর অনেক পাম মারে। কিন্তু কাবিলা তো শোনার পাত্র নয়। সে উলটো বাচ্চু ভাই কে অনেক গুলো কথা শুনিয়ে দেয়। তারপর বলে খুদা লেগেছে। শেষে কাবিলাকে বাচ্চু ভাই ট্রিট দিতে রেস্টুরেন্ট এ নিয়ে যায়।
এই দৃশ্যে বোরহান কে ধোলাই দেওয়ার পার্ট শুরু হয়। বোরহান বাসায় আসার পর দরজা খুলে কাবিলা। তারপর ভিতরে আসলে প্রথমেই শুভো গিয়ে মাইর শুরু করে। তারপর ডেকে আনে পাশা ভাইকে। পাশা ভাই এসেও মাইর শুরু করে। তারপর এন্ট্রি হয় হাবু ভাই এর। উনিও এসে সেই মাইর শুরু করে। তারপর শিমুল ছুরি নিয়ে পোচ দিতে চলে আসে। শুভ আর কাবিলা মিলে শিমুল কে শান্ত করে। বোরহান কে মারতে মারতে রক্তাক্ত করে ফেলে। তারপর একটু মাইর থামায়।
মাইর থামানোর পর বোরহান কে এভাবে কানে ধরিয়ে সবাই বসে জেরা করতে থাকে। তারপর বোরহান বলে যে তার বউ অসুস্থ ছিলো তাই বউ কে বাচানোর জন্য এই কাজ করেছে। কিন্তু শেষে বউকেই বাঁচাতে পারেনি। তাই অপরাধ বোধ থেকে মাফ চাইতে এসেছে। এবং তাদের ১ লাখ টাকা ফেরত ও দেয়। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করে না বোরহান কে। স্পেশালি কাবিলা তো একটুও বিশ্বাস করেনি বোরহান কে।
নাটক এর এই দৃশ্য টা ভালো লাগে খুব। এখানে দেখা যায় সবাই মিলে রাতের খাবার খাচ্ছিলো। তখন হঠাত তাদের বোরহান এর কথা মনে পরে। কারণ বোরহান পাশেই শুয়ে ছিলো। তখন ওরা বোরহান এর জন্য খাবার পাঠায়। তারপর এই পর্ব শেষ হয়ে যায়।
এটি যেহেতু একটি পর্ব মাত্র তাই কিছু বলার নাই। তবে ভালোলাগার বিষয় হচ্ছে অপরাধবোধ থেকে বোরহান ভাই এর মাপ চাইতে আসা। এবং রাতের খাবার এক সাথে খাওয়ার ব্যাপার টা।
নাটক এর আজকের পর্বে ১০/১০ রেটিং দিলাম আমি।
তো এই ছিলো আমার নাটক রিভিউ আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
বেচেলার পয়েন্ট আমার দেখা হয়েছিল করেকটি পর্ব। অনেক হাস্যোজ্জ্বল একটি নাটক। সকলের অভিনয় অনেক সুন্দর হয়। ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটি দেখে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার
জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন। এই নাটক দেখার সময় হাসতে হাসতে আমি শেষ হয়ে যাই।
বেচেলার পয়েন্ট নাটক টি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমিও মাঝে মাঝে দেখি ব্যস্ততার কারণে দেখা হয়না। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া বেচেলার পয়েন্ট সিজন 4 নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য । রিভিউ থেকে নাটক দেখার আগ্রহ বেড়ে গেল।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
অই ফ্রি সময় হলে দেখে ফেলবেন। এতো মজাও পাবেন একটি। কারন বিনোদন এর ও দরকার আছে আমাদের।
সারা সপ্তাহ আমি এই নাটকের জন্য অপেক্ষা করি, যদিও কালকের এই পর্বটি আমার এখনো দেখা হয়নি তবে দেখে নিব আর কয়েক মিনিট পরেই, অনেক স্মৃতি এবং অনেক মধুর সময় জড়িয়ে আছে এই নাটকের সাথে, খুব ভালো রিভিউ করেছ বন্ধু।
হ্যা বন্ধু ঠিক বলেছো। আমিও সারা সপ্তাহ জুড়ে অপেক্ষা করি।
ব্যস্ততার কারনে কয়েকটি এপিসোড দেখা মিস হয়ে গেছে। অনেক আনন্দ লাগে এই নাটকটি দেখলে। কাবিলা, মিশু, শিমুল, হাবু , পাশা ভাই সবার অভিনয় এক কথায় দারুন। ভাল লাগলো আপনার রিভিও পড়ে। ধন্যবাদ
আবার যখন ফ্রি হবেন তখন দেখে ফেলবেন। জমিয়ে দেখতেও কিন্তু খারাপ লাগে না।
বুধবার থেকে শুক্রবার টিম ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর শুক্র থেকে রবি ব্যাচেলর পয়েন্ট,,, এই দুটো দেখার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে থাকি সারা সপ্তাহ।
ব্যাচেলর পয়েন্টের ৪১ নং পর্বটা এতোটা হাসির ছিল বলার মতো না।বোরহানকে দেখে পাশা ভাই যেভাবে তেড়ে আসছিলো আর ওদিকে শিমুল ছুড়ি নিয়ে পোচ দেয়ার জন্য যেভাবে আসছিলো, এগুলো দেখে নিজের হাসি বেশ অনেকক্ষন আটকায় রাখতে পারিনি।
আজকের পর্বটাও সেই ছিল।
ভালো ছিল ভাই আপনার রিভিউ।শুভ কামনা রইলো 🌺🌸
আমি আপাদত শুধু ব্যাচেলর পয়েন্টই দেখতেছি। দেখি আপনি যেটা বললেন সেটাও দেখা শুরু করতে হবে।
ব্যাচেলর পয়েন্ট বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক নাটক। আপনি এই নাটকের রিভিউ করে অনেক ভালো করেছেন। আজকের পর্ব টা অসম্ভব হাসাহাসির পর্ব ছিল।পলাশ শিমুল আর মিশু সাব্বির মানেই হাসাহাসি। যাইহোক আপনার জন্য দোয়া রইলো
হুম ভাই। ব্যাচেলর পয়েন্ট আমার কাছে সেই লাগে। অনেক পছন্দের একটি নাটক।
ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটক সিরিজ কিন্তু ব্যাচেলার দের জন্য একটি ভালো নাটক । শুধু তাই না সবার কাছে এই নাটক একটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। আমার কাছে এই নাটক কিছু সময় রিলাক্স করার জন্য এবং আনন্দ দেওয়ার জন্য বেশ । রিভিউর জন্য ধন্যবাদ
হুম ভাইয়া। সেই সিজন ১ থেকেই দেখে আসতেছি।
বেচালার পয়েন্ট নাটক আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে আমি একদম শুরু থেকে শেষ অব্দি এখন পর্যন্ত দেখেই যাচ্ছি। লাস্ট এপিসোড আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে বিশেষ করে শিমুলের চরিত্রটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
সেম ভাই। আমিও শুরু থেকে এখন অবদি সব গুলো পর্বই দেখেছি। ভালো লাগে খুবই ।
বেচেলার পয়েন্ট আমার খুবই পছন্দের একটি নাটক। আমি বেচেলার পয়েন্ট এর প্রতিটা পর্ব দেখেছি। এত সুন্দর নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের অনেকের পছন্দের নাটক এই ব্যাচেলর পয়েন্ট>