বন্ধুরা সবাই যখন গেস্ট টিচার হয়ে আড্ডায় মেতে উঠি।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি। দুদিন আগে আপনাদের সাথে গার্ড টিচার হওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছিলাম। সেদিন আমি আর আমার এক বন্ধু ছিলাম। তো এর কয়দিন পরই আমরা আমাদের বন্ধু সার্কেলের আরো ২ জন ডাক পায় । আমরা মোট ছিলাম ৫ জন । এর মধ্যে চার বন্ধু ছিলাম গেস্ট টিচার আর একজন স্থায়ী টিচার ছিলেন। পরীক্ষা শেষে সেদিন আমরা আড্ডায় মেতে উঠি। আজ তারই অনুভূতি শেয়ার করবো আপনাদের মাঝে।
আপনাদের আগেই বলেছিলাম শিক্ষকতা পেশা আমাকে অনেক টানে। তাইতো গেস্ট টিচার হওয়ার সুযোগ পেয়ে আর হাত ছাড়া করিনি। সাথে সাথে হ্যা বলে দেই। যদিও দ্বিধায় ছিলাম। তবুও পরে মানিয়ে নিতে পারি। কারণ এতে নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ পাওয়া যাবে। প্রথম দিন ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন হয় আমার। ২য় দিন ও কাজ করতে হয়নি আমার। সেদিন অন্য এক ম্যাম এর সাথে ডিউটি ছিলো। ম্যাম নিজেই সব কাজ করেছিলো। আমি শুধু গার্ড দিয়েছিলাম। খুব ইচ্ছা ছিলো একা একদিন ডিউটি করার। কারণ একা ক্লাস সামলানোর মজাই আলাদা। শিগ্রই সেই সুযোগ ও এসে গেলো আমার।
৩য় দিন ডিউটির আগে জানতে পারলাম যে আরো দুইজন গেস্ট টিচার লাগবে। মজার বিষয় হচ্ছে আমাদের বন্ধু মহল থেকেই বাকি দুইজন ঠিক হলো। আগে ছিলাম আমি আর নিলয়। এখন যুক্ত হবে নইম আর জুবায়ের। সবাই মিলে মজাই হবে। তো কথা মত বের হলাম। তবে সেদিন ঝামেলা হয়ে যায়। ১০ মিনিট দেড়ি করার কারণে ঢাকার ভালো জ্যাম এর মধ্যে পরে যাই। প্রথমত বাস পাচ্ছিলাম না। তাও অনেক কষ্টে বাসে উঠার পর দেখি জ্যাম অনেক। রাতুল তো অনেক চিন্তা করছিলো সেদিন। যে যথা সময়ে পৌছাতে পারবো কিনা।
সব জ্যাম ঠেলে যথা সময়ে পৌছে গেলাম কেম্পাসে। গিয়েই ২য় তালায় চলে গেলাম। সাইন করার জন্য। সাইন করে বুঝতে পারলাম আজ আমার একা ডিউটি। মানে সব আমি আজ একা সামলাবো। আমার হল এ ছাত্র ছাত্রী ছিলো ২৪ জন। ভাবলাম ভালোই প্যারা খেতে হবে। তাও ৬ তালা থেকে খাতা নিয়ে চলে গেলাম। সেই এক দিন কেটেছিলো সেদিন। তবে সাইন করতে করতে আমার জীবন শেষ। আমার সাক্ষর একটু বড়। এমন ভাবে ৪৮ টা সাক্ষর দিতে হয়েছিলো আমার মোট। যাক ভালো ভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করলাম। নতুন দুই বন্ধুও ভালো মতই তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করেছিলো। পরীক্ষা ওদের পরীক্ষা শেষে আমরা সবাই এক সাথে বের হলাম। রাতুল আমাদের ট্রিট দিবে এই জন্য। ট্রিট হিসাবে চা খাওয়াবে। তো চলে গেলাম চা খাইতে। কিন্তু যেয়েই দেখি শরবত এর ব্যবস্থা আছে। রাতুল কে পটিয়ে আমরা শরবত খেয়ে নিলাম সবাই।
শরবত বেশ দারুণ ছিলো। এর উপকরণ ছিলো ঠান্ডা পানি, চিনি, লেবু এবং পুদিনা পাতা। এছাড়াও স্বাদ বৃদ্ধির জন্য বিট লবন দিয়েছিলো। তবে চিনির পরিমান একটু কম ছিলো। তবে এইটুকুর দাম রেখেছে ২০ টাকা। যেটা আমার কাছ একটু বেশি মনে হয়েছে। তারপর চলে আসতে নিবে আর আমি রাতুল কে বললাম তুই না চা খাওয়াবি। তখন বাকি সবাই ধরলো ওকে। চা খাওয়ানোর দাবি। কারণ স্পেশাল চা খাওয়াবে বলে ডেকেছিলো রাতুল। আর কি করা বেচারা আমাদের ডাকলো চা খাইতে। খাওয়াতে তো হবেই। তারপর সে চা অর্ডার করলো। ক্ষুদা লাগায় আমি একটি কেক ও খেয়েছিলাম এবং একটি পিঠা। তবে কেক আর পিঠার দাম আমি নিজেই পরিশোধ করি।
চায়ের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ওদের সাথে একটি ছবি তুলি আমি। তারপর গল্প করতে থাকি আমরা। কে কেমন গার্ড দিলো এসব নিয়েই গল্প করছিলাম। গল্প করতে করতে আমাদের চা চলে আসলো। নিলয় চা আনতে গেলো। তারপর সবাই মিলে আমরা চা খেলাম। স্পেশাল চা বললেও সেদিন কেনো জানি আহামরি ভালো লাগেনি। আমি জানিনা কেনো। এটা রাতুলই ভালো বলতে পারবো। তবুও আমরা উপভোগ করেই চা শেষ করলাম। তারপর আমরা সেখানে বসে অনেক্ষন আড্ডা দিলাম।
অনেক্ষন আড্ডা দেওয়া শেষ হলে আমরা সেখান থেকে উঠি। তারপর বাসায় আসার জন্য রউনা দেই। ভালো একটি দিন কাটিয়েছিলাম আমরা। যেটি মনে রাখার মতন। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নিতে কিন্তু বেশ লাগে। আজ আর লিখছিনা। সবাই ভালো থাকবেন।
তো এই ছিলো আমার জীবনে প্রথম শিক্ষক হওয়ার অনুভূতি। কেমন লেগেছে জানাবেন।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░






নতুন একটা অভিজ্ঞতা বেশ ভালই লাগলো লেখাটি পড়ে। শিক্ষকতা অনেক সম্মানের একটি জায়গা, যদিও বরাবর আমি এই দায়িত্ব গুলো থেকে এড়িয়ে থাকার চেষ্টা করি। কলেজের এই জায়গাগুলো আমার খুবই পরিচিত একসময় অনেক আড্ডা দিয়েছি অনেক সময় কাটিয়েছি এই জায়গাগুলোতে। অনেক স্মৃতি রয়েছে খুব ভালো লাগলো সেই জায়গায় আমার অন্য বন্ধুরাও বেশ ইনজয় করছেন শুভকামনা রইল।
হুম রাতুল এর কাছে গল্প শুনেছিলাম সেদিন। তোমরা সবাই মিলে এখানে আড্ডা দিয়েছো।
ভাইয়া আপনি আমাদেরকে আগেই বলেছিলেন শিক্ষকতা পেশা আপনাকে অনেক টানে। তাইতো গেস্ট টিচার হওয়ার সুযোগ পেয়ে আর হাত ছাড়া করেননি। সাথে সাথে হ্যা বলে দিয়েছেন। যদিও দ্বিধায় ছিলেন। তবুও পরে মানিয়ে নিয়েছিলোন।। কারণ এতে নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ পাওয়া যাবে। আর তাইতো এবার
চায়ের জন্য অপেক্ষা করতে করতে, ওদের সবার সাথে ছবি তুলেছিলেন। তারপর চুটিয়ে গল্প করতে করেন আপনারা । কে কেমন গার্ড দিলেনন, এসব নিয়েই গল্প করছিলেন। গল্প করতে করতে চা চলে আসলো। নিলয় চা আনতে গেলো। তারপর সবাই মিলে আমরা চা খেলেন।বন্ধুরা সবাই যখন গেস্ট টিচার হয়ে এভাবে সুন্দর আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই অনুভূতি টা কিন্ত দারুন ছিল।♥♥
আসলে সেই অনুভুতি অনেক মজার ছিলো। সব কিছু মিলিয়ে দারুন বিষয় ছিলো। আর খুব উপভোগ করেছিলাম আমরা।