আমার ছোট বেলায় মজার এক ভৌতিক ঘটনা
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।
আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার জীবনে ঘটে যাওয়া মজার একটি ভৌতিক ঘটনা। আমাদের জীবনে ঘটে যায় কত রকমের ভৌতিক ঘটনা। কিছু ঘটনা হয় কল্পনায়। আবার কিছু হয় সত্যি সত্যি। আমার জীবনে অনেক ভৌতিক ঘটনা রয়েছে। তবে আজ সেগুলো বলবোনা। আজ বলবো ভয় পাওয়ার মজার একটি ঘটনা। ভয় আবার কিভাবে মজার হয় সেটা ভাবছেন তো? পুরো গুল্প পড়লে বুঝতে পারবেন।
ঘটনাটা ঘটে খুব সম্ভবত ২০১১ সালে। তখন আমি ৬ষ্ঠ শ্রেনির শিক্ষার্থী ছিলাম। গ্রীষ্মের ছুটিতে আমার পরিচিত এক নানার বাড়ি। তো এর আগে একটি ঘটনাতে আমি একটা কথা শেয়ার করেছিলাম। আর বলেছিলাম সেখানে একটা ভয়ের ঘটনা ঘটেছিলো আজ সেটাই বলছি। আমি বাজারে গিয়েছিলাম। তো বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে নানা আমাকে বিরাট সাইজের একটি মাছ কিনে দেয়। সেটি আমি সাইকেল এর পিছনে বেধে দেই। তো মোটা মুটি করে বাধি। তবে রাস্তা অনেক দুরের ছিলো। আসার সময় তো রাস্তা গুলিয়ে ফেলেছিলাম। কারণ আমি যে পথ ধরে এসেছিলাম নানা বলেছিলো শুধু ডানে মোর গুলা নিতে। আসার সময় তো সেটা উলটো হয়ে যাবে। অর্থাৎ বামে মোর নিতে হবে। কিন্তু আমি নিয়েছিলাম ডানেই। আমার আর সেটা খেয়াল ছিলোনা। যাক পথ পরে পেয়েছিলাম। যারা আমার সে গল্প পড়ে ছিলেন তারা তো জানেনই।
তো আমি আসতে আসতে সন্ধ্যা নেমে মাগরিব এর আজান দিয়ে দেয়। খুব ভয় পাচ্ছিলাম আমি। কি না কি হয় এটা ভেবে। ৬ষ্ট শ্রেনিতে আর কতটুকই বড় ছিলাম জানেনই আপনারা। আর সন্ধায় হয়ে যাওয়াতে আলো ছিলোনা রাস্তায়। দেখতেও খুব কষ্ট হচ্ছিলো। তবুও কি করা যেতে তো হবেই। তো মেইন রাস্তা শেষ হওয়ার পর আসে জঙ্গল এর ভিতর দিয়ে রাস্তা। এবার ভয়টা একটু বেশি লাগে আমার। কারন আগে ভয় পেলেও সেটা মেইন রোড ছিলো। আর এখন গাছ গাছালির ভিতর দিয়ে। আমার তো বার বার মনে হচ্ছিলো এই বুঝি আমাকে ভুতে ধরে। আহা কি ভয়টা যে পাচ্ছিলাম। একদম কাচুমাচু অবস্থা আমার। সাইকেল চালাচ্ছি আর দোয়া পড়তে ছিলাম। আর ভাবতেছিলাম শুধু যাই একবার বাড়ি। এই বাজারে আসার বায়না আর ধরবোনা। সখ মিঠে গেছে আমার। তো আমি সাইকেল চালাচ্ছিলাম ভয়ে ভয়ে।
অনেকক্ষন পর খেয়াল করলাম সাইকেল দৌড়াচ্ছেনা। কেমন জানি স্লো হয়ে যাচ্ছে। আমার অনেক শক্তি খাটাতে হচ্ছে। ভাবলাম হয়তো অনেকক্ষন চালানোতে এমন হয়েছে। কিন্তু না একটু পর আরো স্লো হয়ে গেলো। অনেক শক্তি নিয়ে প্যাডেল মারছি কিন্তু কাজ হচ্ছেনা। তবুও চালাচ্ছিলাম কষ্ট করেই। হঠাৎ পিছন থেকে আওয়াজ আসছিলো। কট কট টাইপের শব্দ। আমি তো খুব ভয় পাই এটা শুনে। ভয়ে আমি ঘামিয়ে গেছি। তবুও ভাবছি যে যাই হোক পেছনে তাকাবোনা। কারন শুনেছি ভুতে ধরলে পেছনে তাকালে ঘাড় মটকায়। কিন্তু সাইকেল টানতে খুবই কষ্ট হচ্ছিলো। আর সাউন্ডটাও তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিলো। আমি তো ভাবছিলাম ভুত মনে হয় পেছনে রাখা মাছ খাচ্ছে তাই এই শব্দ হচ্ছে। আমি মনে অনেক শক্তি নিয়ে সাইকেল চালানো অফ কররলাম। তারপর অনেক সাহস নিয়ে পিছনে তাকালাম। বিশ্বাস করুন যা দেখেছি তা দেখার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। দেখলাম মাছ এর লেজ এর একটু অংশ চাকার সাথে লেগে আছে। তাই সাইকেল স্লো হয়ে গিয়েছে। আর কিছু অংশ মাঝে মধ্যে স্পোক এর ভিতর লাগছিলো তাই শব্দ হইতো। এটা দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ। তারপর মাছ ঠিক করে এক দৌড়। খুব স্পিডে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি এসে পরি।
তো এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের। কেমন হলো জানাবেন।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
হাহাহা, পোস্টটা পড়ে যতটুকু না ভয় পেয়েছি তার থেকে বেশি হাসতেছি। কারণ এই ভয়টা আমাদেরকে কাবু করে ফেলে। রাতের বেলা অন্ধকার পথ, আর একা একা বাড়ি ফেরা। মনের মধ্যে ভূতের ভয়, এই জিনিসটাই তো সবচেয়ে বড় ভয়। বেশ মজা লাগলো পড়ে ভাইয়া। আমার সাথেও একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছিল মাছ নিয়ে, যদিও সেটা বাস্তবিক, শেয়ার করেছিলাম। তবে আরও কিছু ভৌতিক ঘটনাও আপনাদের সাথে শেয়ার করার ইচ্ছা আছে।
আমি নিজেও ভয় যেমন পেয়েছি আবার পরে হেসেছিও।
আপনার গল্প পড়ে ভীষণ ভয় লাগলো। আপনার গল্প পড়ে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল।। এমন ঘটনা অনেকবার আমার সাথে ঘটেছে। আসলে কিছু কিছু মুহূর্ত এমন হয় আমাদের মনের মাঝে অন্যরকম চিন্তাভাবনা কাজ করে। তখন হয়তো খুব সিম্পল বিষয় জটিল হয়ে যায়। যদি প্রথমে অনেক ভয় পেয়েছেন পরবর্তীতে সাহস করে পিছনে তাকিয়ে আসল ঘটনা দেখে অবাক হলেন পরে সমাধান হলো ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম শৈশবে আমাদের সাথে কত কিছু ঘটে যা মনে রাখার মতন।
আপনার আজকের গল্পটি পড়ে যেমন ভয় পেয়েছিলাম আবার হাসতে হাসতে জীবনও শেষ। আপনার গল্পের মত করে বেশ কিছু গল্প আমারও মনে পড়ে গেল। চেষ্টা করব আগামীতে সেগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
জ্বি আপু অপেক্ষায় রইলাম আপনার গল্প গুলো শোনার জন্য।