হরতাল এর দিন অফিস কলিগদের সাথে খাওয়া দাওয়া।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। দেশের পরিস্থতি খুব একটা ভালোনা। সেদিন ছিলো হরতাল। এরপর একদিন বিরতি দিয়ে আজ থেকে আবার অবরোধ চলতেছে। যদিও রাস্তা ঘাট এ গনপরিবহণ চলছে। তবে সাবধান থাকতে হবে আমাদের সকলকে। সেদিন হরতাল থাকলেও রাতের দিকে আমি ও আমার দুজন কলিগ মিলে হালকা খাওয়া দাওয়া করতে গিয়েছিলাম। আজ সে নিয়েই কথা বলবো। আশা করি ভালোই লাগবে।
গত পরশু দিন হরতাল ছিলো। আমি সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ভাবতেছিলাম যে রাস্তায় আদৌ বাস চলবে কিনা। কারণ যেদিন সমাবেশ ছিলো সেদিন তেমন একটা বাস চলার কথা না। তাই আমি প্ল্যান করে রেখেছিলাম যে বাস স্ট্যান্ড এ যাবো যদি দেখি বাস নাই তাহলে দুইটা ছবি তুলে বাসায় চলে যাবো। বসদের বলবো বাস পাইনি 🤣🤣🤣। কিন্তু দূর্ভাগ্য আমার। গিয়ে দেখি বাস চলতেছে। কি আর করা যেতেই হবে এবার। উঠে পরলাম বাসে। এরপর এক টানে অফিস পৌঁছে গেলাম। হরতাল থাকায় প্রাইভেট গাড়ি গুলো নাই। ফলে রাস্তায় জ্যাম ও নাই। ৩০ মিনিটে অফিস পৌঁছে গেলাম। যাক সেদিন তেমন একটা চাপ ছিলোনা। শুরুর দিকে একটু চাপ থাকলেও দুপুরের থেকেই আমরা সবাই ফ্রি ছিলাম। গেম খেলে লুডু খেলে সময় পার করলাম। সন্ধ্যা বেলায় একটু আগে ভাগেই সেদিন হিসেব করে নিলাম। যেহেতু শেষের দিকে আর তেমন গাড়ি ছিলোনা। হঠাৎ আমার এক কলিগ এর ফোন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন যে তালতলা যাবো কিনা। পাস্তা খাবে। খিলগাঁও তালতলা তে অনেক রকম এর খাবার পাওয়া যায়। মাঝে মাঝেই যাওয়া হয় আমাদের। আমি বললাম যাওয়া যায়। সাথে আর কে কে যাবে। তখন বললেন আমি সার্ভিস সুপারভাইজর আর উনি। আমিও রাজি হয়ে গেলাম এক কথায়। ঠিক হলো একটু আগে আগে বের হয়ে যাবো।
তো হিসেব ক্লোজ করে মিলাতে যাবো তখনই শুরু হলো নতুন নতুন কাষ্টমার আসা। সার্ভিস নিবে তো কেউ ইঞ্জিন অয়েল পাল্টাবে। পরে গেলাম মহা বিপদে। আগে ভাগে না গেলে সমস্যা। কারণ হরতাল। তার উপর বাস কম রাস্তায়। আর আমার বাসাও প্রায় ১২ কিলো দূরে। তখন আমি আমার এসিস্ট্যান্ট কে সব বুঝিয়ে দিয়ে বের হয়ে গেলাম আগে আগেই। এরপর চলে গেলাম সেলস এ। সেখান থেকে ডকুমেন্টস এর ইমরান ভাইকে নিয়ে রউনা দিলাম তালতলার ওইদিক। একটু সামনে এসে রিকশা নিলাম। ৩০ টাকা বললো। নিয়ে নিলাম। এরপর তালতলা খাবার এর দোকানে চলে গেলাম। সেখানে যেয়ে বাছাই করতে থাকলাম কি খাওয়া যায়। যদিও আগে থেকেই ঠিক ছিলো পাস্তা খাবো। তাই পাস্তাই অর্ডার করে দিলাম। ৩ রকম এর পাস্তা অর্ডার করলাম ৩ জন। আমি চিকেন চিজি পাস্তা। আরেকজন মাশরুম পাস্তা। অন্য একজন হোয়াইট সস পাস্তা অর্ডার করলো। কিছুক্ষন পর খাবার চলে আসলো। দাম অনুযায়ী স্বাদ পার্ফেক্ট ছিলো। আমরা ঠিক করলাম মাঝে মাঝে এখানে এসে খাওয়া দাওয়া করা যাবে। পাস্তা গুলো ভালোই মজার ছিলো। যাক সেখানে খাওয়া শেষে আমরা বের হয়ে গেলাম।
তো রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটেই যাচ্ছিলাম। তখন হঠাৎ সামনে পোপায়াস দেখতে পেলাম। এখানের অরিও মিল্কশেক টা অস্থির লাগে। দারুণ স্বাদ এর। তো আমি সাথের দুজনকে বললাম যে একদিন এসে এটা ট্রাই মারতে হবে। ওনারা তো সেদিনই খাবে সিদ্ধান্ত নিলো। আমিও বললাম ঠিক আছে চলুন। এরপর আমরা ভিতরে যেয়ে অর্ডার করে দিলাম অরিও শেকটা। কিছুক্ষন পর এটা চলে আসলো। সত্যি এর স্বাদ দারুণ। ওদের দুজন এর ও পছন্দ হলো খুব। মাঝে মাঝে যেয়ে এটাও টেস্ট করতে হবে। এরপর আমরা চলে আসি। আমি আবুল হোটেল এর এখানে এসে বাস এ উঠি। এরপর বাসায় চলে যাই।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে আপনি আগে থেকেই প্ল্যান করে রেখেছিলেন বলে এসে দেখলেন বাস চলাচল করছে। আপনার কাছে একদিন বাইকের কাজ করাতে যেতে হবে। যাই হোক সব সময় বিপদের দিনেই কাজের প্রেসার বেশি হয় যেমনটা আজকে হয়েছে নতুন নতুন কাস্টমার আসছিল।
হুম ভাই। কারণ অবরোধ এ তো বাস চলার কথা না।