বৃষ্টির দিনে আমার অফিসে
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? আমার যাচ্ছে মোটামুটি ভালোই। বৃষ্টিতে অনেকেই স্বস্তিতে আছেন। আবার অনেকেই কষ্টে আছেন। চট্টগ্রাম এর ঐদিক তো বন্যা হয়ে গেছে। ঢাকাতেও ভালোই জলাবদ্ধতা হয়েছে কাল। এমনকি আমি রাতে যখন বাসায় যায় তখন আমাকে জুতা খুলে হাতে নিয়ে বাসায় ঢুকতে হয়েছিলো। কারণ পানি ছিলো ভালো পরিমানে। যাই হোক কাল বৃষ্টির দিনে আমাদের অফিস এ চাপ কম ছিলো অনেক। তাই সবাই সামনের দিকে মজা করেছি আজ সে নিয়েই বলবো। আশা করি ভালো লাগবে।
যেহেতু বৃষ্টির সিজন চলে এখন। তাই রাস্তায় জ্যাম যেনো আরো অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে আমি বাসা থেকে বেড় হতাম ৮ টা ১০ কিংবা ৮ টা ২০ এ। বাসে উঠতে উঠতে ৮ টা ৩০ বেজে যেতো। তবুও অফিস এ ঠিক টাইমের অনেক আগেই পৌছে যেতাম। অথচ এখন আমার বাসা থেকে বেড় হতে হয় সকাল ৭ টা ৪৫ এর আগে। বাস ধরি ৭ টা ৫৫ কি ৮ টার দিকে সকালে। তবুও জ্যাম এ পরে মাঝে মাঝে দেড়ি হয়ে যাচ্ছে। খুব শিগ্রই বাইক নিয়ে নিতে হবে। নাইলে শান্তি নাই। একদিন হিসেব করলাম না যে আমার জ্যাম এ আটকে মাসে সময় যায় ৭০ ঘন্টার মতন। সেটা এখন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। যাই হোক। তো গতকাল ৯ টা ১০ এর দিকে অফিসে ঢুকি। ঢুকেই কিছুক্ষন বিশ্রাম নেই। মানুষ এর তো বাসে উঠতে যুদ্ধ করতে হয়। তবে আমার নামার সময় ও যুদ্ধ করতে হয়। এটা হয় অবশ্য দুইটা বাসে উঠলে। তবে আরেকটা বাস আছে সেটায় উঠলে আবার শান্তি মতন নামা যায়। তো অফিসে এসে আমাদের ডকুমেন্টস এর এক ভাইকে নিয়ে সকালের নাস্তা করতে চলে গেলাম। কারণ পরশু রাতে তাকে বলেছিলাম যে নাস্তা করাবো সকালের।
নাস্তা করা শেষে অফিসে চলে আসলাম। আমার হাতে কিছু ওয়ারেন্টির কাজ ছিলো সেগুলো সম্পন্ন করলাম। ওয়ারেন্টির কাজ করতে যেয়ে পরছি এক বিপদে। ছবি দিয়েছিলাম ফুয়েল পাম্প এর কিন্তু সাবমিট হওয়ার পর সেটা দেখি ট্যাংক সাইড কভার হয়ে গিয়েছে। কি এক ভূতুড়ে কান্ড। আমি ১০০% নিশ্চিত যে আমি ফুয়েল পাম্প এর ছবিই দিয়েছিলাম। কিভাবে সেটা ট্যাংক সাইড কভারে রূপান্তরিত হলো জানিনা। যদিও সাথে সাথেই ছবি তুলে বস কে জানিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু সে বিশ্বাস করবে কিনা এটাই সন্দেহ। সে ভাবতেও পারে আমি ভুল করে অন্য ছবি দিয়েছি। যাই হোক। কি আর করা। এরপর বাকি গুলা শেষ করলাম ধিরে ধিরে। এরপর একটু মাথা ভারী হয়ে আসলো। তাই ভাবলাম এবার চা খেতে হবে। চলে গেলাম সামনের বাবু ভাই এর দোকানে। লোকটা সেই রকম গুড়া দুধ এর চা বানায়। আমি গিয়ে বললেই হয় ভাই এক কাপ চা দেন। উনি সুন্দর করে বানিয়ে দেন। স্বাদ টা অসাধারন। দামটা একটু বেশি। তবে ভালো লাগে অনেক। স্বাদ হিসেবে আমার কাছে দাম ঠিকই লাগে। এমনিতেও সব কিছুর দাম বেশি। তবে শুরুর দিকে ১০ টাকা করে ছিলো। তখন দিনে কয়েকবার খাওয়া হতো। কিন্তু দাম বাড়ার পর কমিয়ে দিয়েছি আরকি।
বিকেল বেলার দিকে শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। একদম যেনো উড়াই নিয়ে যাবে সবাইকে। এমন বৃষ্টি শুরু হইছে যে আর থামার নাম নাই। আর বৃষ্টি হলে আমাদের এখানে সার্ভিস নিতে কম লোক আসে। তাই ভিড় ছিলোনা। আমরা সবাই হাতের কাজ শেষ করে সামনের দিকে বৃষ্টি উপভোগ করতে চলে যাই। আড্ডা মারি সবাই মিলে। সাথে ছিলো সার্ভিস সুপারভাইজর, রিসিপ্সনিশট আর একাউন্ট অফিসার। খুব মজা করি সবাই মিলে আমরা। এরপর আমরা কিছু ছবি তুলি। কিন্তু বৃষ্টির তো আর থামার নাম নাই। শুরু হয়েছে যে শুরুই। যাই হোক এবাভেই কেটে যায় আমাদের গতকালকের দিনটি। ভালো লাগে খুব। ঠান্ডা আবহাওয়া তে একটু বেশিই ভালো লাগে।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঢাকা শহরে যানজটের এটা বিশাল সমস্যা। ভাবা যায় মাসে 70 ঘন্টা শুধু সময় অপচয় হয়। এই হল আমাদের ঢাকা শহর। কিছু কিছু সময় নিজের ইচ্ছা বা অনিচ্ছার কারণে অনেক সময় কিছু ভুল হয়ে যায়। যেমন আপনি ফুয়েল পাম্প এর সাবমিট দেয়ার পরও দেখা ছিল ট্যাংক সাইড কভার। আর বৃষ্টির কথা কি বলবো ভাই ওদিকে বৃষ্টি শেষ নেই আর আমাদের এদিকে কোন বৃষ্টি নেই। যদিও বৃষ্টি হচ্ছে হালকা ঝিরঝিরি কিন্তু গরম পড়ছে অত্যাধিক। সবমিলিয়ে মানুষ হাপিয়ে উঠেছে। আপনি সব মিলিয়ে এই দিনটা একটু ভিন্নভাবেই কাটিয়েছেন। পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন৷ এই সমস্যার কারণে অনেক কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে৷
ভাইয়া জ্যামের কথা বলে লাভ নেই। ছোট একটি শহর। শহরের তুলনায় মানুষ পঞ্চাশ গুন বেশি। আপনি তো হিসাব করেছেন মাসে মাত্র ৭০ ঘন্টা লেইট হয় আর অনেকের ১০০/১২০ ঘন্টাও লেইট হয়। যায়হোক বৃষ্টির জন্য দিনটা আপনাদের খুব ভাল কেটেছে। ধন্যবাদ।
এটা বাস্তব৷ অনেকের আরো বেশি সময় নষ্ট হয়৷ কিন্তু কিছুই করার নাই।