হিসাবের গড়মিল আর ব্যস্ততায় হারিয়ে গিয়েছিলাম !!!!
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? অনেক দিন পর আপনাদের মাঝে লিখতে বসছি। আসলে এই কয়টাদিন অনেক প্যারার মধ্যে ছিলাম আমি। অফিসে ইনভেন্টরি চলছিলো আর এর জন্যই কাজ করতে হয়েছিলো। আসলে ইআরপি সফটওয়্যার জনিত ঝামেলার কারনে অনেক বড় শর্ট পরেছিলো। এর জন্যই এই কয়দিন দম ফেলানোর সুযোগ পাইনি বলা চলে।
আসলে মানুষের জীবনে ব্যস্ততা কখন এসে পরে এটা বলা খুবই মুশকিল। এক ব্যস্ততার ভিতরে পরে গিয়েছিলাম শেষ একটা মাস ধরে। সময় পাচ্ছিলাম না কোনো ভাবেই। এমন বাজে সময় আগে আসেনি কখনো। অন্যের ভুলের জন্য সমস্যায় পরতে হয়েছে আমাদের। বিষয়টা শুরু হয় গত মাস থেকে। আমাদের ৩ মাস অন্তর অন্তর ইনভেন্টরি করার কথা। তো সেদিন আমি কি জন্য জানি অডিট রিপোর্ট নিয়ে ঘাটা ঘাটি করতে যেয়ে দেখি লুব অয়েল এর ক্ষেত্রে বিশাল এক গ্যাপ দেখা দিয়েছে। আমি হিসেব করে দেখলাম আদতে আমাদের লুব অয়েল রয়েছে ৮ লাখ টাকার। কিন্তু সিস্টেম এ সেটা দেখাচ্ছে ১১ লাখ টাকার উপরে। এটা দেখেই তো আমার মাথায় হাত। তাইলে বাকি টাকার লুব অয়েল কি হলো। যেহেতু এই সেকশন এর দায়িত্ব আমার ঘাড়ে তাই চিন্তা হওয়াটা স্বাভাবিক। এবার তো আমার মাথায় হাত। কি থেকে কি হবে। ভালো মতন আবার হিসেব নিলাম। এবারো দেখলাম একই অবস্থা। পার্টস এর শর্টেজ কতো হবে তা ভেবে মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো রীতিমতন।
তখনই ২ মাস আগের একটা রিপোর্ট ক্রস চেক করলাম। বড় ধরনের ঘাপলা দেখতে পেলাম। তখন হিসেবে পার্টস ছিলো ৬৮ লাখ টাকার। আর সেদিন এর রিপোর্ট এ যা ছিলো ৮৬ লাখ টাকার। তখন আমি সে দুই মাসের হিসেব পুরোপুরি টান দিলাম। দেখলাম এই দুই মাসে আমার পার্টস ইন হয়েছে ২৫ লাখ টাকার। আর সেল হয়েছে ২৭ লাখ টাকার। অর্থাৎ আগের হিসেব থেকে আরো ২ লাখ টাকা কমার কথা। সেখানে আরো ১৮ লাখ টাকা বেড়ে গিয়েছে। তখন সব কিছুর এমন অবস্থা দেখে আমি আমাদের অডিট অফিসার বশির ভাই কে কল করলাম। এরপর তিনি বললেন শিগ্রই একটা ইনভেন্টরি করে দেখবেন। আমাদের ইনভেন্টরিতে সব পার্টস গণনা করে দেখা হয় ঠিক আছে কিনা। সে হিসাবে আমরা এক শুক্রবার শুরু করলাম সকল পার্টস গণনা করা। সারাদিন লেগে গেলো। রাত ১০ টায় আমাদের কাজ শেষ হলো। তখন একটা রিপোর্ট এ জানতে পারলাম প্রায় ৩২ লাখ টাকার শর্টেজ রয়েছে। এ শুনে আমার মাথা নষ্ট। এতো শর্ট কেমনে হইলো এটা চিন্তা করতে করতে আমার মাথার চুল যা ছিলো তাও যেনো পরে যাচ্ছিলো। যাক কোনো মতে নিজেকে সামলে নিলাম। আমি নিজে যেহেতু কিছু করিনি সেহেতু হিসাব টান দিলেই সব পাওয়া যাবে। আর একটা ঘাপলা তো এমনিতেই বের করেছি রিপোর্ট ঘেটে।
এসব নিয়েই এতোদিন গিয়েছে আমার। একটুও সময় পাইনি কাজে ফেরার। আগে অফিস থেকে বাসায় যেয়ে যেভাবেই হোক পোস্ট করতাম। কিন্তু এই কয়দিন এতোটা প্যারার মাঝে ছিলাম যে পোস্ট তো পরের কথা স্টিমিটে ঢুকতেও পারতাম না ঠিক মতন। ডিস্কোর্ড থেকেও দূরে ছিলাম অনেক। আসলে মাথায় যে অনেক বড় এক এমাউন্ট এর চাপ। আর এ চাপ আমার জন্য অনেক। দায়িত্ব যেমন বড় এখন তার চাপ ১০০০ গুণ বড় লাগতেছে। তবে আমি চিন্তা মুক্তই ছিলাম। কারন যেহেতু আমি এখানে কোনো দূর্নীতি করিনি। যাক অবশেষে আমি সকল হিসেব মিলিয়ে দিয়ে ফ্রি হতে পেরেছি। আশা করি এখন থেকে আবার আগের মতন আপনাদের মাঝে একটিভ হতে পারবো। এবিবি হচ্ছে আমার কাছে একটা পরিবারের মতন। খুব মিস করেছি এতো দিন আপনাদের। আপনারাও হয়তো হ্যাং আউটে কুইজ পর্বে আমাকে মিস করেছেন অনেক 😂😂। যাক তো কিভাবে এই ৩২ লাখ টাকার হিসেব উদ্ধার করলাম এ নিয়ে আরেকদিন লিখবো। ততদিন ভালো থাকবেন।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
হিসেবের গরমিলের অংকটা দেখেই তো আমার মাথা ঘুরে গেল ভাইয়া। এত বড় একটা অ্যামাউন্ট এর হিসাব গরমিল যেটা আসলে নিজের উপর অনেক বড় একটা টেনশন এনে দিয়েছে।অবশেষে যে সব হিসাব শেষ করে আপনি মিল করতে পেরেছেন এবং কিভাবে এই হিসাব মেলালেন সেটা জানারও অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া। তবে এটা ঠিক বলেছেন কিন্তু আপনাকে অনেক মিস করেছিলাম হ্যাংআউটের কুইজ পর্বে । যাই হোক আশা করি এবার থেকে আমাদের মাঝে আবারও ফিরে আসবেন নিয়মিতভাবে।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। তবে ঠিক ব্যস্ততার মাঝে অনেক হিসেবেই গরমিল হয়ে যায়।আর আপনার যে এত বড় হিসাব এটা তো গরমিল হওয়াটাই স্বাভাবিক।