বিকেলের আড্ডায় একদিন || সুন্দর পরিবেশে বসে আড্ডা দেওয়া।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।



সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে যে কাহিনী শেয়ার করবো এটি বহুত আগের কাহিনী। তবে এতো দিন দিবো দিবো করে দেওয়া হয়নি আরকি।



IMG_20220902_174930.jpg

আড্ডার এক পর্যায়ে আমরা সবাই।


বন্ধুদের সাথে বিকেল বেলায়

বন্ধুদের সাথে বিকেলটা কাটাতে কিন্তু সেই লাগে। আপনাদের কাছে কেমন লাগে আমি সেটা সত্যি জানিনা। তবে আমি এই বিষয়টা খুব উপভোগ করি। যদিও এখনকার সময়ে আড্ডার সময়ে ফোন এর ব্যবহার হয় বেশি। সত্যি বলতে আমি নিজেও এমন করি। দেখা যায় আড্ডায় বসেই ফোন টেপা শুরু হয়। আড্ডার সেই ফিলিংস টা এখন আর পাওয়া যায়না কিন্তু। আগে যখন ফোন ছিলোনা তখন আমরা কি সুন্দর আড্ডা দিতাম। সেই আড্ডা গুলোই জমতো বেশ। তখন ছিলোনা ফেসবুক ছিলোনা মেসেঞ্জার ছিলোনা বসে বসে ফোন টেপার অভ্যাস । সেই যুগ আর পাওয়ার যাবে বলে মনে হয়না। এখন কার সময়ে দেখা গেলো ৫ জনের আড্ডায় ৪ জন গল্প করলেও একজন ঠিকই ফোন টিপছে। তাই আমার হিসাবে এটা বলে শেষ করা যাবেনা। যাক আজকের মূল কথায় আসি এইবার।

এটা ছিলো শুক্রবার এর কাহিনী। সেদিন আমার বসুন্ধারা আবাসিক এলাকায় হাটতে যাওয়ার কথা ছিলো। অনেকদিন বিকেলে বের হইনা। ভাবলাম আমার বন্ধু আকাশ এর সাথে দেখাও হয়ে যাবে সাথে আমার হেটে আসাও হয়ে যাবে। কিন্তু এক ঘুম দেই বিকাল ৫ টা বেজে যায়। উঠেই আকাশ কে ফোন দিলাম। শুনি যে ও আসতেছে। ভাবলাম যে আমার যাওয়ার কথা এখন উলটো ও আসতেছে। যাক কি আর করা। আমি বললাম আমি ফ্রেশ হয়ে বার হবো। তারপর ফ্রেশ হতে ওয়াশ রুম এ চলে গেলাম।

IMG_20220902_174822.jpg

পরিষ্কার আকাশ

২০ মিনিট এর ভিতর আমি প্রস্তুতি নিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। পথে শুভ কল দিলো। জিজ্ঞেস করলো আমি কই। বললাম যে লেকসিটি যাচ্ছি। আকাশ আসতেছে আমাদের এখানে। শুভ বললো আকাশ আসবে আর ওরে জানাইলোনা। তখন ও আমি জানিনা যে ও আর আকাশ এক সাথেই আছে লেকসিটিতে। হাঁটা শুরু করলাম ভাবলাম হেটেই যাই। ও যেয়েতু আসতেছে সেই বসুন্ধারা আবাসিক এলাকা থেকে ভালো সময়ই লাগবে। পথে আবার শুভর কল । এবার দিলো ভিডিও কল। রিসিভ করার পর তো আমি অবাক। দেখি আকাশ আছে। পরে বুঝলাম দুইটা এক সাথেই আছে। তারপর আমি বটতলা থেকে অটো নিয়ে চলে গেলাম। আমাকে অনেক আগে লেকসিটি গেট এ নামিয়ে দিলো। যদিও ওরা ছিলো আরো সামনে ব্রিজ এর দিকে। কি আর করা নেমে ভাড়া চুকিয়ে হাঁটা দিলাম। পথে আবার আকাশ ফোন দিলো। বললাম হেটে আসতেছি। তারপর ৫ মিনিট হাটার পর পৌছে গেলাম সেখানে। ওরা ছিলো ব্রিজ এর ও পাশে। সেখানে আড্ডা দিচ্ছিলো দুইজন মিলে।

IMG_20220902_174742.jpg

আমার এক স্বভাব আছে। গিয়ে ওদের সাথে হালকা কথা শেষ হতে না হতেই ছবি তোলা শুরু করলাম। আমি ছবির পোকা। ছবি তুলতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই আমি যেখানেই যাই একটা দুইটা ছবি তুলবই তুলবো। তারপর ওদের সাথে আড্ডায় মনোনিবেস করলাম। আকাশ এর খোজ নিলাম। ও চাকরী করে । শুনলাম সেখানের অবস্থা খারাপ। আমি ভেবেছিলাম সেখানে ঢুকবো। এখন দেখি ওদের চাকরী নিয়েই টানা টানি। সেখানের প্রজেক্ট এর হেড এর সাথে কোম্পানির ম্যানেজার এর গণ্ডগোল চলে। শুভর খবর তেমন নেওয়া হয়নি। কারণ ওর সাথে ডেলি দেখা হয়। কারণ সন্ধ্যায় আমরা এক সাথে হয়ে আড্ডা দেই। আমরা অনেক্ষন গল্প করলাম বিভিন্ন বিষয়ে। মাঝে দিয়ে কিছু সেলফি ও তুললাম তিন বন্ধু মিলে।

IMG_20220902_174733.jpg

সেদিন আকাশ ভালোই পরিস্কার ছিলো। তাই আকাশ এর ছবি তুলতে ভালোই লাগছিলো। আর আমার কাছে তো এক্সট্রা একটা ভালো লাগা কাজ করে। তো যাই হোক আমরা একটা চায়ের দোকানে যেয়ে বসলাম। সেখান থেকে দুধ চা খেলাম। ধিরে ধিরে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। তখন আকাশ বললো ও বাজারের দিকে যাবে দাঁতের ডাক্তার দেখাতে। শুভ আর আকাশ মিলে শুভর বাইক দিয়ে রউনা দিলো। আমি আবার সেই অটোতে করে রউনা দিলাম। পথিমধ্যে প্লাবন এর কল। ওর জন্য বটতলা কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম। তারপর ও চলে আসলো।

IMG_20220902_174813.jpg

এইতো তারপর এর বাকি কাহিনী আপনাদের জানা। তাও বলি। সন্ধ্যায় আমরা একটা মাঠে আড্ডা দেই। তারপর সেখানে গল্প করি। তারপর এক সাথে সবাই মিলে মিনিমিলিশিয়া গেমটি খেলি। এটা একটি বুদ্ধি করে বার করা হয়েছিলো। শুরুর দিকে আমি আর শুভ আসলেই পাবজিতে ঢুকতাম। ওরা সবাই বকাবকি করতো। তারপর আর উপায় না পেয়ে একজন মিনিমিলিশিয়া গেমটি আনলো। তারপর আমাদের শুরু। এখন প্রতিদিন খেলা হয়। প্রতিদিন বলতে ওদের সাথে আড্ডায় বসলেই এই গেম খেলা হবে। আমরা অনেক মজা করে খেলি।



░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

New Project.gif

⋆ 🎀 𝒞😍𝓃𝓃𝑒𝒸𝓉 𝑀𝑒 🏵𝓃 🎀 ⋆
Discord | Twitter | Facebook
Steemit |Instagram | Youtube |
Sort:  
 2 years ago 

আপনার পোস্ট দেখে আমার বন্ধুদের মিস করতেছি ভাইয়া।ফোন এসে আড্ডার ১২টা বেজেছে কথাটা একদম সত্য বলেছেন।শুধু তাই নয় এখন বাড়িতেও দেখা যায় সবাই আলাদা আলাদা বসে ফোন চাপছে।আর আপনি যেমন ফটোগ্রাফির পোকা তেমনি ছবিও তুলতে পারেন দারুন। সুন্দর হয়েছে ছবি গুলো।

 2 years ago 

বিষয়টা আসলেই খুব খারাপ লাগে। যদিও সবাই এখন এটাতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছে

 2 years ago 

মন ভালো রাখতে মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া ও ঘুড়ে বেড়ানো ভালো,কাজ করার শক্তি যোগায়।ঠিকই বলেছেন মোবাইল এর কারনে এখন আড্ডায় আগের সেই আনন্দ আর খুজে পাওয়া যায় না।

 2 years ago 

হ এখন আর আড্ডায় সেই আগের আনন্দ খুজে পাওয়া যায়না। এর এক মাত্র কারণ হচ্ছে ফোন।

 2 years ago 

বিকেলের আড্ডায় একদিন সুন্দর পরিবেশে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার অনুভূতিটি সত্যি অসাধারণ একটি অনুভূতি।তাছাড়া সেদিন আকাশ ভালোই পরিস্কার ছিলো। তাই আকাশ এর ছবি তুলতে আপনার বেশ ভালোই লেগেছিলো। এবং সবাই মিলে মিনিমিলিশিয়া গেমটি খেলা শুরু করেন।এত চমৎকার একটি অনুভূতি ব্যক্ত করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ♥♥

 2 years ago 

হুম আপু। আগে আলাদা আলাদা গেম খেলা হতো তাই এখন সবাই এক সাথে হয়ে এক গেম খেলা হয়।

 2 years ago 

এটা বেশ মজার♥♥

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59484.75
ETH 2614.53
USDT 1.00
SBD 2.41