চাঁদপুর থেকে ঢাকায় ফেরা || আরো একবার লঞ্চ এ ভ্রমন। পর্ব - ১
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
আশা করি সবাই ভাল আছেন, তো আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার চাঁদপুর থেকে লঞ্চ এ করে ঢাকায় ফেরার গল্প। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন
গত সপ্তাহে যারা আমার ব্লগ গুলো পড়েছেন তার হয়তো জানেন যে আমি ঈদ এ বাড়ি গিয়েছিলাম। এই নিয়ে দুইটা পর্ব লিখেছিলাম। যাই হোক গ্রামের বাড়ি খুব মজা হয়েছে। কারণ পরিবার এর সবার সাথে ঈদ পালন করেছি। এর থেকে মজা আর কি হতে পারে। পরিবারের সকলের সাথে সুন্দর সময় কাটানো টা খুবই ভালো লাগে। তবে অনেকদিন ছিলাম। ঢাকা তো ব্যাক করতেই হবে। কারণ ঢাকায় অনেক কাজ জমে আছে।
এসেছিলাম গত রবিবার। শনিবার দিনেই ঠিক করে রাখি যে ঢাকা চলে আসবো। তবে রবিবার কখন আসবো এটা ঠিক ছিলাম না। আম্মু বলতেছিলো বিকালের দিকে রওনা দিতে। আবার আব্বু বলছিলো সকালে ভোর বেলায় রওনা দিলে ভালো হবে ভিড় কম হবে আর গরম লাগবেনা। পরে বললো লাগলে সোমবার ভোর বেলায় যাবি। আমি ভাবলাম এসে যাবো ঠিক করলাম আবার একদিন পেছাবে। যাক রাতে খাওয়ার সময় নানু বললো তাকে ভোর রাতে জাগিয়ে দিতে। রোজা রাখবে। অইযে ৬ টা এক্সট্রা রোজা থাকতে হয় যে সেটা। আমি ভাবলাম তাইলে আমিও রোজা রাখবো। আর ঢাকা থেকে সেহেরি খেয়ে যেভাবে রওনা দিয়েছিলাম সেভাবেই রওনা দিবো। এটা বলেও দিলাম। ভোর রাতে সেহরি খেয়ে আমি প্রস্তুত। গোসল ও করে ফেলেছিলাম। যেনো ঠান্ডা লাগে। তারপর আব্বু আর আম্মু আমাকে এগিয়ে দিতে আসে সাথে। আর হ্যা আমি একাই ঢাকা আসবো।
যেখান থেক সিএনজি উঠতে হয় হেঁটে সেখানে চলে আসলাম আব্বু আম্মু সাথেই ছিলো আমারে উঠিয়ে দিয়ে তারপর যাবে। বড় হয়েছি। তাও চিন্তা করে অনেক তাইতো ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে চলে এসেছে এগিয়ে দিতে। তো আমি আসার পর গাড়ি পাচ্ছিলাম না। সব সিএনজি চলে যাচ্ছিলো গ্যাস ভরতে। অপেক্ষা করছিলাম একটু পর অন্য একজন লোক আসলো। তাকে চিনিনা। তবে তিনিও ঘাটে যাবে। তারপর একটা সিএনজি আসলো। তবে এটা ঘাটে যাবেনা। কালিবাড়ি পর্যন্ত যাবে। ভাবলাম সেখানে গেলেই ঘাটে যেতে পারবো সেখানে অনেক অটো থাকে। তো উঠে গেলাম। পথে একজন লোক পেয়ে সিএনজি আলা বলেই দিলো যে ঘাট পর্যন্তই যাবে। আমার কাছে ভালোই লাগলো কারণ গাড়ি পাল্টাতে হবেনা। তো সিএনজি করে চলে গেলাম ঘাটে। সেখানে দেখলাম মানুষ আছে মোটা মুটি।
আমি সিএনজি ভাড়া মিটিয়ে চলে গেলাম টিকেট কাউন্টারে। ঘাটে ঢুকতে ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে হয় আরকি। আগে যদিও দাম অনেক কম ছিলো তবে এখন দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তো টিকেট কেটে ভিতরে চলে গেলাম। দেখি যে লঞ্চ ইতিমধ্যে দাড়িয়ে আছে। আমি দেখলাম অন্য কোনো লঞ্চ আছে কিনা। তবে দিনের প্রথম লঞ্চ এটিই। তখন ও ৫ টা ২০ বাজে। এটা ৬ টায় ছাড়বে আরকি।
আমি দেখলাম লঞ্চ মোটামুটি ফাকাই। তাই চলে গেলাম ভিতরে। তবে ভিতরে যেয়ে দেখু ২য় শ্রেনির সিট গুলো ভরে গেছে প্রায়। ১ম শ্রেনির ভাড়া অনেক বেশি যেটা আমার পক্ষ্যে বহন করা সম্ভব নয়। তাই ভাবলাম পেছনে ২য় তলায় যাই। যেখানে নরমাল সিট পেলে বসবো। গিয়ে দেখি সিট আছে আবার ডেক এ যায়গা খালি আছে। মনে পরলো ব্যাগ এর ভিতর দুইটা লুংগি আছে। তাই লুংগি দুইটাই বের করে বিছিয়ে দিলাম। তারপর বসে পরলাম। তবে একটাতেই হতো। ভাবলাম যদি একটু ঘুম পায় তাই ঘুমানোর জন্য দুইটা বিছালাম।
লঞ্চ এ শুয়ে শুয়ে আসতে সত্যি খুবই ভালো লাগে। লঞ্চ ছাড়তে তখনো ভালো সময় বাকি ছিলো। এই ফাকে আমি একটু বাড়িতে কল দিয়ে জানিয়ে দিলাম যে আমি লঞ্চ এ উঠে গেছি। সকাল ৬ টার সময় লঞ্চ ছেড়ে দিবে। তো আমি একটু মোবাইল এ গেম খেলা শুরু করি তখন।
আরো অনেক কাহিনি আছে আমার লঞ্চ জার্নিতে। এগুলা এই পোস্ট এ দিলে অনেক বড় হয়ে যাবে। তাই আর পোস্ট বড় করছিনা। ২য় পর্বে বাকি টুকু শেষ করে দিবো। ২য় পর্ব পড়তে চোখ রাখুন আমার ব্লগ এ। ধন্যবাদ।
ঈদে বাড়ি থেকে ফেরার চেয়ে কষ্টের মনে হয় কিছু নেই। বাবা মা চেষ্টা করে যতক্ষণ সম্ভব সন্তানাকে বাড়িতে রাখতে। আমারও রোজাগুলো রাখতে হবে। আমি কখনো লঞ্চে উঠি নাই। তবে আপনার লঞ্চ ভ্রমণের কাহিনী টা বেশ আকর্ষণের সঙ্গে পড়লাম। অনেক সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন।।
হ্যা ভাই রোজা গুলো রেখে দেন ভালো হবে।
এখন পর্যন্ত লঞ্চে আমার ওটা হয় নাই। খুব ইচ্ছা লঞ্চে ওঠার।তবে শীঘ্রই হয়তো ঘুরতে যাব বরিশালে। ধন্যবাদ ভাই খুব সুন্দর করে আপনি বাড়ি থেকে ঢাকা শহরের সেরা মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খুব সুন্দর করে সবকিছু বর্ণনা করেছেন আপনি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
উঠতে পারেন। লঞ্চ জার্নি অনেক মজার।
সত্য বলতে কি ভাই আমি আজ পর্যন্ত কিন্তু লঞ্চে উঠে নাই। তবে আপনার এত সুন্দর ভ্রমণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। মনের মধ্যে উৎসাহ জেগে উঠেছে ভ্রমণ করার জন্য। একদিন যেতে হবে।
লঞ্চ ভ্রমন সত্যি অনেক মজা হয়ে থাকে। কখনো পশ্চিমাঞ্চলে আসলে লঞ্চ ব্যবহার করতে পারেন।
ঈদে যখন বাড়ি যাই তখন মনের মধ্যে অনেক আনন্দ কাজ করে। আবার যখন ঢাকায় চলে আসি তখন মনে অনেক কষ্ট লাগে। চাদপুর থেকে ঢাকায় আসার জার্নি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে ব্লগ লিখেছেন আপনি ভাই। লঞ্চে ভ্রমন এখনও করার সূযোগ হয়ে উঠেনি। আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগলো অনেক। ধন্যবাদ আপনাকে
এটা ঠিক বলেছেন ভাই। যাওয়ার সময় আনন্দ থাকে কিন্তু ফিরে আসার সময় কষ্ট লাগে খুব।
লঞ্চে আমি কখনো উঠিনি। চাঁদপুর থেকে লঞ্চ আসার কাহিনীটুকু আপনি খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার লঞ্চের কাহিনী পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক ভালো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি আপু শিগ্রই দিবো। লঞ্চ জার্নি আসলেও অনেক মজার হয়। কখনো উঠলে বুঝতে পারবেন।
লঞ্চে ভ্রমন করতে আমার ভালই লাগে। আমাদের বাড়ি বরিশাল অনেক সময় লঞ্চে যাওয়া হয় যদিও এবার ঈদে বাড়ি থেকে আসার সময় গাড়িতে এসেছিলাম। কিন্তু লঞ্চে যাওয়া হয় আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আপনি লঞ্চে ভ্রমণে কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই খুব ভালো লাগছে আপনার পোস্টটি।
আমাদের প্রতিবারই লঞ্চ এ করে বাড়িতে যাওয়া হয়। খুব ভালো লাগে আমার ও।
ভাই চাদঁপুর থেকে লঞ্চে উঠলেন আর সদরঘাটে এসে নামলেন? সকাল সকাল এরকম জার্নি করতে ভালো লাগবে। লঞ্চে এভাবে করে কখনো যাওয়া হয়নি। লঞ্চের ভিতরে বসে সকালের পরিবেশ উপভোগ করেছেন খুব তাই না! পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম বাড়িতে পৌঁছাতে পারলেন কিনা!
হুম অনেক উপভোগ করেছি। তবে রোজা ছিলাম তাই খাওয়া দাওয়া করতে পারিনি। লঞ্চ এ অনেক রকম এর স্ট্রিট ফুড পাওয়া যায়। যেটা অনেক ভালো লাগে।
চাঁদপুর থেকে ঢাকা আসার যে বাস্তবিক অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি গুলো এবং সমস্যাগুলো আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি দ্বিতীয় পর্ব আমাদের সাথে খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন ভালো থাকবেন।
অবশ্যই ভাইয়া। শিগ্রই ২য় পর্ব লিখতে বসবো। আশাকরি সাথেই থাকবেন।
আপনি একদম সত্যি কথা বলেছেন ভাইয়া বাড়ির সকলের সাথে ঈদ করার মজাটাই আলাদা। এর থেকে আর বড় কি হতে পারে। খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। আপনার আব্বু একদম ঠিক কথা বলেছে ভোর 5 টা বাজে রওনা দিলে এত বেশি ভিড় থাকবে না। আপনার যাত্রা শুভ হোক এই কামনা করি।
হ্যা আপু তেমন ভির ছিলোনা। অনেক শান্তিতে এসেছিলাম শুয়ে বসে।
সন্তান বড় হয়ে গেলেও বাবা-মার কাছে তার আদরের কমতি কখনোই হয় না। আর তাইতো আপনি ঢাকা চলে আসার সময় আপনার বাবা-মা আপনাকে এগিয়ে দিতে এসেছিল। পরিবারের সকলকে নিয়ে খুবই আনন্দে ঈদ পার করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। চাঁদপুর থেকে ঢাকায় ফেরা নিয়ে আপনি খুবই সুন্দর বর্ণনা করেছেন এবং সেই সাথে আমাদের মাঝে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যা ভাই। সন্তান যত বড়ই হোক মা বাবার কাছে তারা ছোটই থাকে। তাই তো এতো চিন্তা।