বৃষ্টিতে অফিস আর ভিজে যাওয়া.........
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। আসলে মাঝে মাঝে আমাদের ইচ্ছে করেও চমৎকার থাকতে হয়। হাজার চাইলেও আমরা মন খারাপ করে থাকতে পারিনা। আশে পাশের মানুষ গুলোর কথা ভেবে হলেও মিথ্যা চমৎকার থাকার এক অভিনয় করতে হয়। যাই হোক। গতকাল বৃষ্টি হয়েছিলো। তা নিয়েই আমার আজকের লেখা। আশা করি ভালো লাগবে।
বৃষ্টি মানেই শান্তি , বৃষ্টি মানেই ঠান্ডা। সকালে যখন অফিস এর জন্য বের হবো তখনই আকাশে মেঘের ঘনাঘটা। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিও ঝরছিলো। এ যেনো গ্রীষ্মের আগেই বর্ষার আনাগোনা। না না এ তো বর্ষা নয়। গরমের হাতছানি। শীতের শুষ্ক পরিবেশ থেকে পরিবেশ যেনো একটু বৃষ্টিতে ভিজে পরিষ্কার হতে চাচ্ছে। টিনের বাড়ি গুলোর চালের উপর তাকালেই দেখা যায় কি পরিমান ধুলা জমেছিলো। তো বাসা থেকে বের হয়ে হেলমেট হাতে নিয়ে গ্যারেজ এর দিকে চলে গেলাম। তখনো বৃষ্টির প্রভাব তেমন বুঝলাম না। এরপর গিয়ে আমার রেড ভেলভেট এর লক খুললাম। এরপর সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করলাম । প্রচুর ধুলাবালি জমে যায় রাতের মাঝেই। যেহেতু সখের বাইক তাই সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করে নিলাম। এরপর বাইক নিয়ে বের হবো আর দেখলাম বৃষ্টির পরিমান একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন ভাবতেছিলাম যে বাইক নিয়ে যাবো নাকি বাসে করে চলে যাবো। বৃষ্টিতে বাইক চালানো কষ্টের অনেক। কিন্তু তখনই মনে পরলো বাইক আছে বলে তো ঘুম থেকে উঠি দেড়ি করে আর বাসা থেকেও বের হই দেড়িতে। কি আর করা । ভিজে হলেও বাইক নিয়েই যেতে হবে। রউনা দিলাম। যেহেতু রাস্তায় কাদা তাই ধিরে ধিরে চললাম। জোড়ে টান মারলে সমস্যা হতে পারে। সমস্যা বলতে বাইকে আর আমার পায়ে কাদা ছিটবে।
মেইন রোড এ উঠে হেলমেট এর ভাইজর গ্লাস লাগিয়ে দিলাম। কারণ বৃষ্টির ফোটা ছোট হলেও বাইকের গতি থাকার কারণে বেশ লাগছিলো। আর ভেতর টাও ভিজে যাবে। মাইন রোড শুকনো ছিলো তাই জোড়ে চালিয়ে গেলাম। যাক এরপর তো সব কিছু শুরু হলো। অফিস এর কার্যক্রম চলছে আপন গতিতে। আমিও খুব ব্যস্ত হয়ে উঠলাম। এরপর দুপুরের দিক শুরু হলো মুসল ধারে বৃষ্টি। বাইক তো আমার ভিজে শেষ। ভাবলাম ভিজতেছে ভিজুক। এভাবে ধিরে ধিরে ইফতারির সময় চলে আসলো। ইফতারির ১ ঘন্টা থাকতে আমার এক বন্ধু প্লাবন কল করে বললো আমার সাথে যাবে। সাথে আমিও তাকে ইফতারির দাওয়াত দিলাম। তো ইফতারি করতে বসে গেলাম। কিন্তু আমার বন্ধুর তো আটকে গিয়েছে বৃষ্টিতে। এরপর ভিজে ভিজেই একটু চলে আসলো। এরপর এক সাথেই ইফতারি করলাম। এবার আমি নামাজ পরে আসলাম। বৃষ্টি তখন ঝিরিঝিরি পরছে। আমার এক এসিস্ট্যান্ট বললো বাইক টেনে গেলে ভিজবোনা। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম। রউনা দিবো। এরপর আমি ও আমার বন্ধু মিলে বাইক স্টার্ট মেরে রউনা দিলাম। আমার হেলমেট এর ভাইজর গ্লাস একদম ভিজে গিয়েছে। তবুও এভাবে চালাচ্ছিলাম।
তবে রাস্তা ঠিক ভাবে দেখতে পারছিলাম না বলে এক সাইডে চাপিয়ে পকেট থেকে টিসু বের করে মুছে নিলাম। এবার আবার চালানো শুরু করলাম। এবার মেইন রোড এ যেতেই বৃষ্টির পরিমান বৃদ্ধি পেলো। ভিজে গিয়েছি অনেকটা। তবে বাইক থামিয়ে যে দাঁড়াবো এমন সুযোগ পাচ্ছিলাম না। এরপর মহাখালি টার্মিনাল পার করার পর একটা পেট্রোল পাম্প দেখলাম। তখন সেটার ভিতর চলে গেলাম আশ্রয় নিতে। তখন ভালো পরিমানে বৃষ্টি শুরু হয়েছিলো। অনেক্ষন পর বৃষ্টি থামলে কিছুটা আমরা আবার রউনা দেই। এরপর বাসায় চলে আসি।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বৃষ্টিতে বাইক চালানো বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এতে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। তবে ঐসব বাসের প্যারা নেওয়ার চেয়ে ঢাকা শহরে বাইকের ঝুঁকি নেওয়া অনেক ভালো। বেশ চমৎকার ছিল বৃষ্টিতে আপনার অফিসে যাওয়া এবং ফিরে আসার অভিজ্ঞতা টা। টিনের চাল পথে ঘাটে অনেক ধুলাবালি ছিল। সেটাও কিছুটা কমেছে এই বৃষ্টি তে। এটা বেশ ভালো একটা বিষয়।
আসলেই খুব ঝুঁকিপূর্ণ ভাই। চাকা স্লিপ করে অনেক সময়।
বৃষ্টির ভিতর বাইক চালানো তো এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ, তারপর আবার টেনে বাইক চালানো তো আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। বৃষ্টির দিনে অফিসে ভিজতে ভিজতে বাইকে করে যাওয়া আবার ভিজতে ভিজতে বাড়ি আসার অভিজ্ঞতা, এটা আমারও অনেকবার হয়েছে ভাই। তবে আমি মনে করি, যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন বা যত সমস্যাই থাকুক না কেন, বৃষ্টির দিনে বাইক খুব স্লো চালানো উচিত। এতে করে যদি বৃষ্টিতে ভিজে যেতেও হয় তাতে সমস্যা নেই।
হুম ভাই। সেদিকে খেয়াল রাখি। ধন্যবাদ আপনাকে।