চাঁদপুর এর পথে আমি........... পর্ব: ৪ (সমাপ্ত)

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।



Collage_2023-07-15_10_09_18_copy_1350x1012.jpg

পিক কলেজ এপ দিয়ে বানানো।

কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আবহাওয়ার অবস্থা একদমই বুঝিনা৷ আকাশ মেঘলা। কিন্তু বৃষ্টি নাই। আবার দেখি আকাশে রোদ কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়াও কেমন পালটে গেছে। বুঝতে দেয়না তাকে। যাক আজ চাঁদপুর জার্নির শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি ভালো লাগবে।

IMG_20230628_152222.jpg

লঞ্চ জার্নিটা বরাবরই মজার হয় যদি সেটা এনজয় করতে পারেন। আমার কাছে লঞ্চ জার্নি সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আপনি সুন্দরভাবে হাঁটাচলা করতে পারবেন, ছাদে যেতে পারবেন, সামনে এসে বাতাস খেতে পারবেন, সামনের পরিবেশ দেখতে পারবেন। যখন নদীর ঢেউগুলো দেখবেন তখন আপনার মন জুড়িয়ে যাবে। যদিও এই লঞ্চ জার্নিতে আমি একটুও ছাদে যেতে পারিনি। তবে যখন পরিবার সহ যাই তখন ঠিকি আমার পুরো লঞ্চ ঘুরে দেখা হয়। তখন বেশির ভাগ সময় আমি লঞ্চ এর ছাদেই থাকি। লঞ্চ এর ছাদে বেশ উপভোগ করা যায়। সুন্দর বাতাস থাকে৷ তবে আগে বেশি মজা হতো। তখন চিল, কাক ও বিভিন্ন রকম এর পাখি উড়ে যেতো, কাছে আসতো। তবে এখন আর পাখি কি কাক ও দেখা যায়না। মিস করি সেই দিন গুলো আমি। সে দিন গুলো আর দেখা যাবেনা কখনো জানি আমি। তবুও বলবো লঞ্চ জার্নি এখনো অনেক মজাদার।

IMG_20230628_131559.jpg

IMG_20230628_094256.jpg

তো সেদিন লঞ্চ ছেড়ে দেওয়ার পর ভালোই বাতাস লাগতেছিল। আমি খুব উপভোগ করতেছিলাম। ভাবলাম পেছন থেকে একটু ঘুরে আসি তাই আমি ব্যাগ রেখে পিছনে চলে গেলাম। যেহেতু আমার পাশে সিটে একজন মানুষ ছিল যেহেতু ব্যাগ হারানোর ভয় ছিল না। ওনাকে বললাম ব্যাগটি একটু দেখে রাখতে। আমি পেছনে যেয়ে নদীর ঢেউ দেখতে থাকলাম। খুব ভালো লাগলো ছবি তুললাম অনেকগুলো। আসলে লঞ্চের প্রোপেলার যখন ঘুরে তখন পেছনে কৃত্রিম ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। পানিগুলো খুব ফুলে থাকে। আমার একটু ক্ষুধা লাগলো তাই আমি চলে গেলাম। পেছনের দিকে বেকারির মতন আছে সেখানে কমন একটা খাবার হচ্ছে স্যান্ডউইচ। এটাকে স্যান্ডউইচ বলা যায় কিনা জানিনা দুই পাশে দুইটা পাউরুটি আর মাঝখানে একটা ডিমের মামলেট। দাম বহুত ৪০ টাকার মত। ২৫ টাকা হলে ঠিক ছিল। যাক যেহেতু লঞ্চে এরা এরকম এভাবেই বিক্রি করবে। কিচ্ছু করার নাই। খেয়ে দেয়ে আমি চলে আসলাম। বসলাম সিটে। বসার পর আমি উপভোগ করতে থাকলাম আমার লঞ্চ জার্নি। আমি ঢাকা থেকে কিছু মুভি নামিয়ে এনেছিলাম সেগুলো দেখতে থাকলাম।

IMG_20230628_113044.jpg

IMG_20230628_152216.jpg

IMG_20230628_152115.jpg

মাঝে শুরু হয় অনেক বৃষ্টি। ভেতরের লোকদের ভেতর অনেক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কারণ লঞ্চ মোটামুটি ভালো লেভেলের দুল ছিল। একবার এই দিক তো। একবার ওই দিক দোলনের পরিমাণ এত বেশি ছিল যে এক পাশের জমে থাকা পানি অন্য পাশে চলে যাচ্ছিল। যদিও আমি ভয় পাইনি। আমার কথা একটাই মরণ যেখানে থাকবে সেখানেই হবে। এরপর কি আস্তে আস্তে প্রায় চারটার দিকে লঞ্চ ঘাটে ফিরলো। মানুষ তাড়াহুড়া করে নামতে ছিল। যদিও আমি অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছি কারণ ভিড়ের মধ্যে বের হতে তেমন একটা ভালো লাগে না। অনেকক্ষণ ওয়েট করার পর যখন তারপর আমি আস্তে ধীরে বের হলাম। এবার পরলাম সিন্ডিকেটের সাথে। সবাই দারুন দারুন ভাড়া হাকাচ্ছিলো। ৩০ টাকার ভাড়া ১৫০ টাকা, ২০০ টাকা চাচ্ছিলো কি আর করা। লঞ্চ ঘাট থেকে ১০০ টাকায় রাজি হলাম আমাদের বাড়ির কাছাকাছি নামিয়ে দেবে। এরপর অটো থেকে নেমে নানু বাসার জন্য কিছু জিনিশপত্র কিনলাম। অবশ্য সেগুলো ছিলো আমার মামাতো বোন এর জন্য। এরপর আর কি বাসায় পৌছে বিশ্রাম নিলাম।

IMG_20230628_160044.jpg

আমার চাঁদপুর জার্নি এখানেই শেষ হলো। মাঝে লঞ্চে ঘটে যাওয়া কাহিনি আছে। সেগুলো অন্য একদিন শেয়ার করবো।



░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

break .png

Purple Yellow Black Neon SciFi YouTube Banner (800 × 260 px) (800 × 250 px).gif

break .png

আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

break .png

Banner.png

break .png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

হুম। এখন আকাশের রং বদলে গেছে। মানুষের মত। বুঝাই বেশ মুশকিল। তবে আপনার সাহস আছে বলতে হয়। এই ভরা বর্ষা মৌসুমে আপনি কি করে লঞ্চে উঠলেন সেটাই তো আর ভেবে পাচিছ না। তবে এখন প্রকৃতির রূপ বেশ পাল্টে গেছে। এখন প্রকৃতি আর আগের মত নেই। বেশ ভালা লঞ্চ জার্নি করেছেন বুঝাই তো যাচেছ। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এতো সুন্দর করে লঞ্চ জার্নির বর্ণনা তুলে ধরার জন্য।

 last year 

একদম আপু। কি থেকে কি হবে এটা একদমই বুঝা যায়না এখন আর।

 last year 

ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন চাঁদপুরের পথের যাত্রার কিছু মুহূর্ত ও অনুভূতি। আসলে অনেকের মুখ থেকে শুনেছি লঞ্চ জার্নিটা নাকি বেশ মজার। পানির মধ্যে যে কোন জিনিসে জার্নি করতে আমি অনেক ভয় পাই। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

হ্যা ভাই। লঞ্চ জার্নি আসলেই খুব মজার।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56690.25
ETH 2380.35
USDT 1.00
SBD 2.33