ফোনের জন্য হেডফোন ডঙ্গল কিনতে যমুনা ফিউচার পার্কে ‍!!!

কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। তবে ক্লাস আর অফিস এর চাপে মাঝে মাঝে চ্যাপ্টা হয়ে যাই আরকি। তবুও ভালোই আছি বলবো। যাক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার ফোনের জন্য টাইপ সি ডঙ্গল কিনতে যমুনা ফিউচার পার্ক এ যাওয়ার অনুভূতি। একাই গিয়েছিলাম তাই ভালোই লেগেছিলো। তো আর কথা না বলে চলুন মূল পোস্ট এ চলে যাই।

দিনটা ছিলো শুক্রবার। আর গত শুক্রবার আমার ক্লাস ছিলোনা। ছিলোনা বলতে ভুল হবে। ক্লাস ছিলোই। তবে আমরা সিস্টেম এ বন্ধ করিয়েছি। বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের সি আর জানালো যে একটা ক্লাসের স্যার এর ডেঙ্গু হয়েছে। ফলে তিনি আসবেন না। এখন বাকি দুই ক্লাস করবো কিনা জিজ্ঞেস করেছিলো। এই সুযোগে সবাই মিলে ক্লাসই অফ নিয়েছিলাম। যাই হোক। তো সেদিন ভালোই ঘুমিয়েছি। ইদানিং পাবজি খেলা শুরু করেছি। তবে হেড ফোন এর জন্য ঠিক মতন খেলতে পারিনা। সমস্যা হচ্ছে আমার হেডফোন এর আলাদা কোনো পোর্ট নাই। অর্থাৎ টাইপ সি চার্জিং পোর্ট দিয়েই কনভার্টার ইউজ করে হেডফোন চালাতে হয়। এটা প্যারা দায়ক অনেক। ডঙ্গল কিনে ব্যবহার করতাম আমি সব সময়। কিন্তু কয়দিন আগে আমার ডঙ্গলটা অক্কা পায়। অর্থাৎ নষ্ট হয়ে যায় আরকি। আমি ৩৫০ টাকা দিয়ে একটা টাইপ সি হেডফোন কিনেছিলাম। কিন্তু সেটা দিয়ে মজা পাচ্ছিলাম না। কারণ আমার আগের হেডফোনটা ছিলো ৮০০ টাকার। সাউন্ড কোয়ালিটি আকাশ পাতাল তফাত। মাঝে খেল্লাম ব্লুতুথ হেডফোন দিয়ে। তবে তাতে ফোন অনেক হিট হইতো। তাই ভাবলাম না এবার আমার ডঙ্গল কিনে আনতেই হবে। কিন্তু অফিস এর জন্য তেমন সুযোগ ও পাচ্ছিলাম না। যখন অফিস যাই তখনো মার্কেট বন্ধ থাকে। আবার যখন বাসায় ফিরি তখনো বন্ধ থাকে। যাই হোক তাই শুক্রবার বিকেলে যেয়ে নিয়ে আসবো ঠিক করলাম। যে ভাবা সেই কাজ। বিকেলের দিকে প্রস্তুত হয়ে গেলাম।

যাবো যমুনা ফিউচার পার্ক এ। কারণ একমাত্র ভালো ডঙ্গল সেখানের এক দোকানেই খুজে পেয়েছি আমি। প্রায় ২ বছর আগে একবার কিনেছিলাম। তো আমি রউনা দিলাম বাসে করে। বাস থেকে নেমেই দেখি অনেক ভির। বাইরে থেকে লাইন ধরে ধরে ভিতরে গেলাম। ভিতরে যেয়ে রীতিমত অবাক আমি। কিরে ভাই। এতো মানুষ কেন। ওহ পরে মনে পরলো। এতো মানুষ এর কারণ। সেদিন তো ছিলো শুক্রবার। আর শুক্রবার তো ভির হবেই স্বাভাবিক। যাই হোক। যে দোকানে যাবো সে দোকানের কার্ড ছিলো আমার কাছে। তাই ওয়ালেট বেড় করে খুজা শুরু করলাম। কিন্তু কার্ড আর পেলাম না। পরে মনে পরলো। গত বছর যে আমার বাসায় চুরি হয়েছিলো তখন আমার ওয়ালেট ও চোরে নিয়েছিলো সাথে করে। কার্ড সেটাতেই ছিলো। যাক কি আর করা এবার এতো বড় যমুনায় খুজে বেড় করতে হবে। সোজা চলে গেলাম লেভেল ৪ এ । যেখানে ফোন ও এক্সোসরিজ এর দোকান। উঠেই আমি বাম দিকে চলে গেলাম। যতদুর মনে পরে দোকানটা সেদিকেই। তো এক গলি করে করে ৩ টা গলি হেঁটে বেড়ালাম। কিন্তু দোকান পাওয়ার নাম গন্ধ নাই। কিন্তু মনে হচ্ছিলো এইদিকেই হবে। যতদুর মনে পরে । সেই ২ বছর আগে নিয়েছিলাম বলতে গেলে। যাক এবার আরো এক গলি পার হয়ে পেয়েই গেলাম সেই দোকানটি।

দোকান পাওয়ার পর অনেক খুশি খুশি লাগছিলো। তখন দেখলাম ভিতরে দুই পিছ ডঙ্গল আছে। জিজ্ঞেস করার পর দাম জানালো। ৩৫০ টাকায় রাজি হলো আরকি। এর আগেও এই দামেই নিয়েছিলাম। আর এই ডঙ্গল এর কোয়ালিটি ভালোই। তো আমি হেডফোন দিয়ে চেক করে নিলাম। দেখলাম দুইটা ভালোই কাজ করে। আমার মেইন দরকার ছিলো স্টেরিও সাউন্ড কাজ করে কিনা। এটা গেম এর ভিতর এনিমি খুজে পেতে ভালো কাজে দেয়। সহজেই বুঝা যায় এনিমি কোন পাশ থেকে আসতেছে। যাক দেখলাম সবই ঠিক আছে। তখন আমি ভাবলাম আরেকটা কিনে নিয়ে যাই এক্সট্রা। তখন আরেকটাও দিতে বললাম। তারপর সেটাও চেক করে দেখে নিলাম। সব কিছুই ঠিক থাক দেখে টাকা দিয়ে দিলাম। আমার ৭০০ টাকা শেষ 😪😪😪। কি আর করা। যাক এরপর একটু উপরের দিকে ঘুরে আবার বাসায় চলে আসলাম। এভাবেই আমার ডঙ্গল কেনা হয়ে গেলো।

---