চাঁদপুর এর পথে আমি........... পর্ব: ৩
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। বৃষ্টির মধ্যে আজ অফিসে আসলাম। তবে সমস্যা হয়নি কোনো। কারণ গুরি গুরি বৃষ্টি পরছিলো। অবশ্য ছাতাও ছিলো সাথে। তবে সেটা ব্যবহার করিনি। গুরি গুরি বৃষ্টি উপভোগ করা যায় ভালোই। আমিও তাই করলাম। তো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার চাঁদপুর এ যাওয়ার অনুভূতির ৩য় পর্ব। আশা করি ভালো লাগবে। তো আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করি চলেন।
সেদিন ভিক্টোরিয়া পার্ক এ নামার পর গুরি গুরি বৃষ্টি হচ্ছিলো। তো যেহেতু রিকশা ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছিলো তাই আমি হেটেই যাচ্ছিলাম ঘাটের দিকে। মাঝে তো তেহারিও খেলাম। এরপর আবার হাটা ধরলাম। বেশিক্ষন লাগলোনা। ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে হেটে যেতে ২০-২৫ মিনিট এর মতন লেগেছে। ঘাটে ঢুকার জন্য ১০ টাকা দিয়ে একটা টিকেট কিনতে হয়। আমিও সেটা কিনে নিলাম। এরপর ভিতরে চলে গেলাম। আকাশ এর অবস্থা তেমন ভালো ছিলোনা। তবে আমার এসবে ভয় হয়না। কেনো জানি আমি ভয় পাইনা। তো দেখলাম ঘাটে অনেক গুলো বড় লঞ্চ দাঁড়িয়ে আছে। আমি দেখলাম শুরুর দিকে যে লঞ্চ গুলো ছাড়বে সেগুলোর স্টাফ ডাকতেছে। আমি একটা লঞ্চ এ উঠে ভিতরে গেলাম। কিন্তু দেখলাম নিচের দিকে সিট গুলো সব বুক হয়ে গিয়েছে। ডেকে বসে যে যাবো সে পরিস্থিতি নাই। ঘড়িতে সময় তখন সকাল ৯ টা ৩৩ মিনিট। তো আমি ভাবলাম যে এটায় যাবোনা। কারণ দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব না ৩ ঘন্টা। তো আমি অন্য লঞ্চ এর দিকে গেলাম। সেটি ছাড়বে সকাল ১১ টায়। তবে এটা শান্তি যে আমি সিট পেয়েছি। একদম সাইডের দিকে সিট কাটলাম। অর্থাৎ পছন্দ করেই কেটেছি। ২৬০ টাকা লাগলো।
টিকিট নিয়ে ভিতরে এসে আমি বসে পরলাম। সিট খুজতে সমস্যা হয়নি। আমি যে লাইন দিয়ে ঢুকেছিলাম সে লাইনেই ছিলো। ব্যাগ রেখে বসে পরলাম। ব্যাগ সামনের দিকে নিচেই রাখলাম। এরপর অপেক্ষা। বাসায় ফোন এবং গ্রামে নানুর কাছে ফোন করে জানালাম যে লঞ্চ ১১ টায় ছাড়বে। ওনারা জিজ্ঞেস করছিলো বড় লঞ্চ কিনা। মানে আমার জন্য চিন্তা আরকি। যাক আমি ভাবলাম লঞ্চ এর পেছন থেকে ঘুরে আসার জন্য ভাবলাম। তাই বেড় হলাম ব্যাগ রেখেই। যদিও চিন্তা হচ্ছিলো। আবার ভাবলাম কে আর নিবে। আমি পেছনে যেয়ে ছবি তুললাম অনেক গুলো। দেখলাম আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। নদীর ছবি তুলতে বেশ ভালো লাগে। মাঝিদের ছবিও তুললাম। একা দেখে ছাদে যাইনি। যেহেতু ব্যাগ রেখে আসছিলাম। ছাদে যেতে গেলে আবার অনেক সময় লেগে যাবে। একদিন সাথে কেউ থাকলে চাঁদপুর যেতে যেতে একটা ভ্লগ বানাবো। সেটায় না হয় সব দেখাবো নে। তো যাই হোক আমি অনেক গুলো ছবি তুলে এসে আবার আমার সিটে এসে বসলাম। ভালোই লাগছিলো। ধিরে ধিরে লঞ্চ ভরে গেলো। ঠিক ১১ টা বাজেই লঞ্চ ছেড়ে দিলো। তো খুশি হলাম। দেড়ি হয়নি দেখে।
লঞ্চ ছাড়ার পর আবার বাসায় ফোন দিলাম। এরপর আবার আমার নানুকে ফোন দিলাম। এবার আমার অপেক্ষা। লঞ্চ এ অবশ্য বিরক্ত লাগেনা তেমন একটা। আপনি চাইলেই হাটতে পারবেন। চাইলেই ছাদে যেতে পারবেন চাইলেই হোটেলে বসে খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন। মনেই হবেনা যে আপনি পরিশ্রমের জার্নি করছেন। বাস জার্নিতে অনেক সময় দেখা যায় স্ট্রেস চলে আসে। লঞ্চ জার্নির ক্ষেত্রে এমনটা হবেনা কখনো। তো যাই হোক লঞ্চ জার্নি উপভোগ করছিলাম আমি। স্পেশালি বলতে গেলে বাতাস টা বেশ ভালো লাগছিলো আমার।
আজ এই পর্যন্তই বাকি সব ৪র্থ পর্বে জানাবো। ততদিন ভালো থাকবেন সবাই।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
হয়তো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ার কারণেই রিকশা ভাড়া বেশি চেয়েছিল। তবে আপনার পায়ে হেঁটে ঘাটে যাওয়ার কথাটি জানতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে আমার। আসলে ভাইয়া লঞ্চে জার্নি করার মধ্যে বেশ আনন্দ রয়েছে। সব থেকে বেশি ভালো লাগলো যে লঞ্চটি ঠিক সময় মতো রওনা দিয়েছিল। যাহোক আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
ভাই ভাড়া বেশি নিবে নিক। সমস্যা নাই। না হয় ডাবল ভাড়াই নিবে? কিন্তু ভাবুন ২০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা চাচ্ছে।