আমার সখের ফোনের 📱📱📱 সাথে ৩ বছর।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। এই বৃষ্টি তো এই রোদ। তবে গরম কমার যেনো নামই নেই। কি আর করা। এভাবেই বাচতে শিখতে হবে এখন। তাছাড়া আর উপায় নাই যে। কি আর করবেন বলেন। দোষ যে আমাদের। আমরাই তো প্রকৃতি নষ্ট করেছি। প্রকৃতি এখন প্রতিশোধ নিচ্ছে। আর নিয়েই যাবে। আটকানো কষ্টকর। তবে সুযোগ আছে। গাছ লাগাতে হবে অনেক অনেক। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার ফোনের সাথে কাটানো স্মৃতি।
ওয়ান প্লাস সেভেন টি। আমার সখের ফোনের নাম। এই ফোনটির সাথে আছি আজ ৩ বছর ধরে। এই তো গত ৮ আগষ্ট ৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই ফোন নিয়ে রয়েছে আমার হাজার স্মৃতি। সময়টা ২০১৯ সাল। তখন আমার ফোন ছিলো শাওমি নোট ফোর এক্স। যে ফোনটা আমি ২০১৭ সাল থেকে চালিয়েছি। মাঝে টাচ প্রবলেম এর কারণে ডিসপ্লে পাল্টাতে হয়েছিলো। এরপর থেকে ফোন এর ডিউরেবিলিটি কমে গিয়েছে অনেকটা। তবুও চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ২০১৯ এর শেষে এসে আর পারছিলাম না। তাই মার্কেট থেকে ১৮০০০ টাকায় একটা সেকেন্ড হ্যান্ড একটা ওয়ান প্লাস ফোন নেই। ফোনটির মডেল ছিলো ওয়ান প্লাস ফাইভ টি। ওয়ান প্লাস চালানোর সখ ছিলো সেই ২০১৬ থেকেই। সেটা পূরণ হয় ২০১৯ এ এসে। এই ওয়ান প্লাস ফোন চালানোর পর এর স্মুথনেস দেখে প্রেমে পরে যাই। আগে তো ভাবতাম শাওমি বেস্ট। কিন্তু স্মুথনেস দেখে আমি অবাক। এই তো ভালোবাসা তৈরি হলো ওয়ান প্লাস এর প্রতি। তো একদিন ফেসবুক ব্রাউজ করতেছিলাম তো একটা ছবিতে চোখ আটকে যায়। ছবিটি ছিলো একটি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফির। যেটি ওয়ান প্লাস সেভেন টি মডেলের ফোন দিয়ে ক্লিক করা হয়েছিলো। এত্তো ভালো লাগে বলে বুঝাতে পারবোনা। সেদিনই মনে তীব্র ইচ্ছা হয় যে আমি ওয়ান প্লাস সেভেনটি মডেল এর ফোন চালাবো। টাকা ছিলো হাতে কিছু। সাথে কিছু হাইভ সেল করেও টাকা হলো। সেগুলো রেখে দিলাম। ২০২০ সালের আগস্ট মাস ছিলো। আমি ঈদ করে গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে আমার আগের ফোন বিক্রি করে দেই।
সাথে সাথেই আমি আমার বন্ধু শুভ কে নিয়ে মার্কেট চলে যায়। জীবনে প্রথম বারের মতন এতো দামি ফোন কিনবো আমি। ফোনের দাম ছিলো তখন ৪৫০০০ টাকা। আমি ৫০০০০ টাকা নিয়ে মার্কেট গিয়েছিলাম। আর এর পুরো টাকা টাই আমার নিজের ছিলো। নিজের সখ পূরণে কখনো বাসায় চাপ দেইনি। নিজের সখ গুলো নিজে পূরণ করার মজাই আলাদা। তো ফোন কিনে বাসায় চলে আসি। সে থেকে অনেক যত্নে ফোন খানা ব্যবহার করতাম আমি। খুব সাবধানে ব্যবহার করতাম। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে আজ ৩ বছর হলো। এখন পর্যন্ত আমি ফোন হাত থেকে ফেলিনি। এতোটা সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতাম আমি। ফোনটাও দারুণ সার্ভিস দিচ্ছে। এখন শুধু ব্যাটারি ব্যাকআপ টা কমে গিয়েছে। এ ছাড়া বাকি সব ঠিক আছে। স্মুথনেস তো আছেই। ফোনের ব্যাকপার্ট খুলে ব্যাটারি চেঞ্জ করবে। তাই আমি ব্যাটারি পাল্টাচ্ছিনা। কারণ সখের ফোন আমার। এভাবেই চালাবো। যতদিন চলে। অন্য ফোন কিনলেও এটা আমি রেখে দিবো। সখের জিনিশ এর যত্ন নেই আমি খুব। যেমন যত্ন নিয়েছি। এর থেকে ঠিক তেমনই ফিডব্যাক ও পেয়েছি আমি। ভালো লাগে খুব।
ফোনটি নিয়ে আমি খুব আরামেই আছি। সব দিক থেকেই স্যাটিস্ফাইড। এর ক্যামেরা কোয়ালিটি অসাধারন। যেটার জন্য বেশি নিয়েছিলাম সেটা হচ্ছে এর ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি। এর ম্যাক্রো শট গুলা দারুণ লেভেল এর হয়ে থাকে। এই কমিউনিটিতে যুক্ত হওয়ার পর আমি বেশ কিছু ম্যাক্রোফটোগ্রাফি যুক্ত শেয়ার করেছিলাম। যারা দেখেছেন তারা অবশ্যই জানেন। ফোনটা খুব ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। আর এখন পর্যন্ত দিয়ে যাচ্ছে। এইতো আমার ফোন এর বয়স গত ৮ আগস্ট ৩ বছর পূর্ণ হলো। আজো সেই আগের মতন স্মুথনেস পাচ্ছি। জানিনা আর কয়দিন চলবে। তবে যতদিন চলবে ততদিন সখের মতই আগলে রাখবো। এই ছিলো আমার ফোন নিয়ে অনুভূতি।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমারটাও ৩ বছর হতে চললো।
ভাই ও কি ওয়ান প্লাস সেভেন টি ইউজার?
না ভাই , আমি অল্প টাকার ফোন ইউজ করি।
Xiaomi
😬😬😬... আরে শাওমিও দামি এখন। আমি এখনো miui ভালোবাসি। মজার বিষয় হচ্ছে ফোনের দাম স্টিম থেকেই তুলে ফেলি। মাঝে মনে আছে ভাই steemcurator01 এসে ৫০/৬০$ এর ভোট দিতো। তখনই উঠে গিয়েছিলো।
হাহা। আমিও কিন্তু স্টিম সেল দিয়েই কিনেছিলাম।
ভাইয়া মধ্য বিত্ত ফেমিলির ছেলেরা নিজের শক পুরন করতে ফেমিলির উপর চাপ দেয় না। তারা নিজে কষ্ট করে উপার্জন করে শখ পুরন করে। আমারও একটি ওয়ান প্লাস মোবাইল ব্যবহার করার খুব শখ। চেষ্টা করে যাচ্ছি হয়তো একদিন শখটা পুরন হবে। ধন্যবাদ।
একদম ভাই। আমি পরিবারের উপর কখনো চাপ প্রয়োগ করিনা। সখ গুলো নিজেই পুরন করতে চাই আমি।
নিজে অর্জিত টাকা দিয়ে নিজের শখ পূরণ করার মজাই আলাদা। আর যারা নিজ হাতে কর্ম করতে জানে তারা পরিবারের আশায় থাকে না বা পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে না কারণ তারা জানে টাকা অর্জন করা কতটা কষ্টকর। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো আপনার মোবাইল কেনা বিষয় সম্পর্কে তথ্য পেয়ে।