সাইকেল নিয়ে হাতিরঝিলে একদিন
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও মোটামুটি ভালোই আছি। তো শীত গেলো কই? কাল আমি কয়েক বার ঘামাইছি। আর ভাবতেছিলাম শীত মনে হয় চলেই গেছে। শীতের দেখা যেনো পাওয়া যাচ্ছেনা। কিন্তু আজকে সকালে আবার একটু শীত লেগেছে। তবে গোসল দেওয়ার পর ঠিক আছি এখন। অফিস এর জন্য বের হবো। তবে একটু সময় পেলাম হাতে তাই পোস্ট কিছুটা লিখে রাখি।
আপনারা অনেকেই জানেন আমার একটা চাকরী হয়েছে। তো সেই সুবাদে আমার সন্ধ্যাকালীন ক্লাস করা আর সম্ভব না। তাই ভাবলাম শুক্রবার এর ব্যাচ এ ট্রান্সফার হয়ে যাবো। তাই শিফট পরিবর্তন এর জন্য আবেদন করি গত ৫ জানুয়ারী। কিন্তু এপ্রুভাল পাচ্ছিলাম না। ERP থেকে দেওয়া ফোন নাম্বার এ অনেকবার যোগাযোগ করলাম। বলে দিচ্ছি দেখছি। বিরক্ত লাগলো। ভাবলাম একবার ক্যাম্পাসে যেতেই হচ্ছে তাহলে। কিন্তু অফিস রেখে কিভাবে যাবো সেটাই ভাবছিলাম। তবে ভাবলাম অফিস থেকে ছুটি নিয়ে লাঞ্চ এর সময় বের হবো। মজার বিষয় হচ্ছে সার্ভিস এর সুপারভাইজর আবার আমার পরিচিত। তাকে সকালেই বললাম ভাই আমার ২ ঘন্টার জন্য ছুটি লাগবে। সে বললো আরে ভাই এটা কোনো ব্যাপার নাকি। আরো আমাকে বুদ্ধি দিলো যেনো তার সাইকেল নিয়ে যাই। এতে সময় বাচবে। নাহলে জ্যাম এ পরেই সিদ্ধ হয়ে যাবো। আমার অফিস মালিবাগ আর ক্যাম্পাস পান্থপথ গ্রিন রোড এর ওইদিক। একবার ভাবছিলাম সাইকেল নিবোনা। কারণ রাখার ঝামেলা। আবার ভাবলাম সাইকেল নিয়েই যাই যেহেতু আমি চিনিনা ম্যাপ দেখে দেখেই চলে যাই।
যেই ভাবা সেই কাজ আমি 11 টার দিকে রওনা দিলাম সাইকেল নিয়ে। যাওয়ার সময় হাতিরঝিলের অনেক ছবি তুলছিলাম তা আপনারা ইতিমধ্যে দেখেছেন বা দেখতে পাবেন সামনে আরো। আমার সামনের দিকে যেতে খুবই ভালো লাগছিল। ম্যাপ দেখে দেখে যাচ্ছিলাম আর হ্যাঁ একটা কথা বলতে ভুলে গেছি, আমি যখন ম্যাপ দেখেছিলাম তখন দেখেছিলাম যে আমার জায়গা থেকে আমার ভার্সিটির দূরত্ব ২ কিলোমিটারের মত। তো ভাবলাম যাওয়া আসা মিলিয়ে মোট ৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে এটা কোন ব্যাপারই না। যদিও মাঝে দিয়ে অনেকদিন সাইকেল চালাইনি আমার সাইকেল বিক্রি করে দিয়েছিলাম প্রায় এক বছর আগে। সম্ভবত এক বছর কোন সাইকেল চালানো হয়নি। হঠাৎ করে সাইকেল চালালে পায়ে ব্যথা হওয়ার কথা তবে কোন সমস্যা ছিল না হচ্ছিল না। আমি আরামসে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলাম ম্যাপ দেখে দেখে। মজার বিষয় হচ্ছে সাইকেল নিয়েও আমি জ্যামে পড়েছি দুই তিন বার এবার বুঝেন ঢাকা শহরে কি অবস্থা সাইকেল নিয়ে ফাকা দিয়ে বের হওয়া যায় না এত ঘন যানবাহন ছিল রাস্তায়।
তো ৫০ মিনিটের ভেতর সম্ভবত আমি পৌঁছে যাই। তরপর ভার্সিটির গ্যারাজে সাইকেল পার্ক করে ভালো মত তালা মেরে ভেতরে চলে যাই। প্রথমেই স্টুডেন্ট এফেয়ারস এ গিয়ে খোজ নিলাম। সেখান থেকে পাঠালো একাউন্টস এ। একাউন্টস এ গেলাম আর পাঠাইলো আবার স্টুডেন্টস এফেয়ারস এ৷ সেখান থেকে এবার পাঠাইলো কো-অর্ডিনেটর এর রুমে। সেখানে যেয়ে ম্যাম এর কথা বলে একটি সেকশন নিলাম। সাথে একটি রুটিন ও দিলো। তবুও আমার এপ্লিকেশন এপ্রুভাল দিলোনা। যাক ম্যাম এর সাথে ভালো মতন কথা বলে অফিস এর দিকে রওনা দিলাম। গ্যারেজ থেকে সাইকেল বের করে সোনারগাঁও মোড়ে এসে পরলাম জ্যামে। ১০ মিনিট জ্যাম এ ছিলাম।। তারপর জ্যাম ছাড়ে।
আসার সময় একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়েছিলো। কারন আমার উলটো রাস্তা দিয়ে আসতে হচ্ছিলো। আসার সময় তো আকার পা আর কুলাচ্ছিলোনা। খুব কষ্ট হচ্ছিলো সাইকেল টানতে। তবুও ভালো লাগছিলো হাতিরঝিল এর পরিবেশ এর কারনে। কত কাপল দের দেখলাম বসে আছি। আফসস করলাম আজ একটা বউ নাই আমার। আহা জীবন আমার। কবে যে বিয়েটা করবো। 🤣🤣🤣। যাক তারপর অফিস এসে গেলাম। হাফ ছেড়ে বাচলাম আমি। এসেই অনেক পানি খেয়েছি।
তো এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের। কেমন হলো জানাবেন।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এতো কষ্ট করে গেলেন তারপরও এপ্লিকেশন এপ্রুভ হলোনা জেনে খুব খারাপ লাগলো।তবে খুব তাড়াতাড়ি একটা ভাবি আনেন ঘরে যাতে কাপল হয়ে ঘুরতে পারেন।
হুম। আপু। অনেক ঘুরিয়েছে আমাকে তারা।
এত কষ্ট করে সাইকেল চালিয়ে জ্যামে পড়ে তারপর গিয়েছেন, কিন্তু তারপরেও এপ্লিকেশন এপ্রুভ হলো না দেখে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে অনেকদিন যদি কোন অভ্যাস না থাকে তাহলে সেটা করা খুবই কঠিন। যেহেতু এক বছর আগে থেকেই সাইকেল চালানো বাদ দিয়েছেন এই জন্য হয়তোবা একটু কষ্ট হয়েছে। আর অন্য কাপলদের কে দেখলে হিংসে হয় নাকি। এরকম হিংসে হলে তো সমস্যা।
হুম। অনেক দূর সাইকেল চালাই গেলাম। কিন্তু কাজ হলোনা।
আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম হাতিরঝিলে আবার সাইকেল রাইড এর ব্যবস্থা করে দিল নাকি, এর রাস্তাগুলো আমার সুপরিচিত কলেজ ফাঁকি দিয়ে হাতিরঝিলে কত আড্ডা দিয়েছে অনেক স্মৃতি জমে আছে এখানে, আশা করি আস্তে আস্তে ভার্সিটির ঝামেলা গুলো মিটে যাবে।
হুম আমিও ডিপ্লোমা লাইফে অফ ক্লাসের সময় অনেক আড্ডা দিয়েছি এখানে।
কাপল দেখলে আমারো ওভাবেই জ্বলে,যদিও আমার সিরিয়াল আপনারো অনেক পরে।
এপ্লিকেশন এপ্রুভ না হওয়ার বিষয়টা খারাপ লাগলো।
বছর খানেক পর সাইকেল চালিয়েছেন জেনে ভালো লাগল।শুভ কামনা জানাই।
হেহে । কি আর করা ভাই। আমাদের কি বিয়ে হবেনা?
যাইহোক অবশেষে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে ক্যাম্পাসে গিয়ে কাজ সেরেছেন। আসলে হাতিরঝিল এমন একটি জায়গা যেখানে গেলে শুধু কপত কপতিদের সঙ্গে আপনার দেখা হবে। এদের মাঝে যদি আপনার পাশে কোন কপোতি না থাকে তাহলে আপনার অনেক বেশি অসহায় মনে হবে যেটা আপনার ক্ষেত্রে ঘটেছে আহ ভাই আমার খুব কষ্ট হচ্ছে...??😀😀 যাইহোক হাতিরঝিলে কাটানো সুন্দর এই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হাহা। আমি একা ছিলাম। তাই আর সুন্দর মুহূর্ত হইলো কই ভাই। সাথে কেউ থাকলে জমে যেতো।
সাইকেল চালানোর মতো আনন্দ আর কিছুতে হয় না ৷ বিশেষ করে শীত কালে সাইকেল চালাতে অনেক ভালো লাগে ৷ যা হোক আপনি অফিসে ছুটি নিয়ে সাইকেল করে এপ্লিকেশন এপ্রুভ নিতে ৷ কিন্তু খারাপ লাগলো যে তার আর হলো না৷ যাইহোক হাতিরঝিলে কাটানো সুন্দর এই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হুম এটা সত্যি কথা সাইকেল চালাতে কিন্তু দারুন লাগে।
সাইকেল চালাতে আমারও খুব ভালো লাগে। অনেকদিন হলো সাইকেল চালানো হয় না। আপনি সময় মত অফিস থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু আপনার কাজের কাজটা হলো না এটা দেখে খারাপ লাগছে। অনেকদিন পর সাইকেল চালালে পা একটু ব্যথা করে। ঢাকা শহর মানেই তো জ্যাম। হাতিরঝিলে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হুম সাইকেল চালাই অনেক মজা পাওয়া যায়। বিষয় গুলো খুবই উপভোগ করা যায়।