করোনার ভেক্সিন এর বুস্টার ডোজ দেওয়ার অনুভূতি || কোভিড-১৯ ভেক্সিনেশন
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের এই পোস্ট। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো করোনার ভেক্সিন এর বুস্টার ডোজ দেওয়ার অনুভূতি। বেশ কিছুদিন আগেই মেসেজ পেয়েছিলাম। দিবো দিবো করে অবশেষে দিয়েই ফেললাম। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।
https://w3w.co/segments.outwards.treat
আমার বুস্টার ডোজ এর মেসেজ অনেক আগেই এসেছিলো। কিন্তু আমার বন্ধুর জন্য দেওয়া হচ্ছিলোনা। মানে এর আগের দুই ডোজ এর মেসেজ এক সাথে এসেছিলো আমাদের। আর আমরা এক সাথেই দিয়েছিলাম। ওর বাইকে করে চলে আসতাম। তো যাই হোক আমি ওর জন্যই অপেক্ষা করতে ছিলাম। কিন্তু ওর কিছু দিন আগে নাকে অপারেশন হয়েছিলো। তাই বললো কয়দিন অপেক্ষা করতে। আমিও সে জন্য অপেক্ষা করতে ছিলাম। তো ভাবলাম শুক্র বার একদিন গিয়ে দিয়ে আসি। সেদিন ওরে কল দিলাল, কল তো আর ও ধরেনা। দিতেই থাকলাম দিতেই থাকলাম। শেষে বিরক্ত হয়ে আর দেইনি। অনেক্ষন পর ব্যাক করে বলে সেদিন দিবেনা। শরীর ভালোনা। আমি বললাম ঠিকাছে তাইলে ১ সপ্তাহ পর দেই। মাঝে আমার ইন্টার্ভিউ ছিলো আবার স্পেশাল হ্যাং আউট ছিলো। এসবে অসুস্থ হতে চাইনি। কারন শুনেছিলাম ভেক্সিন দিলে অনেকের জ্বর আসে। তাই আর দিলাম না । তো হ্যাং আউট এর পর দিন রবিবার দেওয়ার তারিখ ঠিক করলাম।
তো রবিবার সকালে ওরে ফোন দিলাম। ধরে বলে চলে আয়। মনে মনে ভাবলাম যাইতে বলে কেনো। সাধারনত ও আসে আমাকে পিক করতে। আজ যাইতে বলতেছে। তো যাই হোক ফ্রেশ হয়ে আমি চলে গেলাম। মাঝে আমার ভ্যাক্সিন কার্ড বের করে নিলাম। কারন আগের কার্ডে বুস্টার ডোজ এর ঘর ছিলোনা। যেটা নতুন কার্ড এ যুক্ত করেছে।
https://w3w.co/segments.outwards.treat
একটু পর আমি বাজারে পৌছে গেলাম। তারপর শুভ কে কল দিলাম। কারন ওর বাইকে করেই যাবো। ওমা। একটু পর দেখি ও হেটে হেটে আসলো। আমি তো জানতাম বাইক নিয়ে আসবে। পরে কাছে আসলে শুনি আজ বাইক নিয়ে যাবেনা। বাসে করে যাবে। একটু হতাশ হলাম। কারন জ্যাম এ পরতে হবে। আর জ্যাম এ পরলে অবস্থা খারাপ হয়। তার উপর যে গরম। তো যাই হোক কি আর করার। বাসে করেই রওনা দিলাম। আমি জানতাম না বাসে যাবে। তাইলে স্টুডেন্ট আইডি নিয়া আসতাম। ২ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ১০ টাকা দিতে হলো। হাফ ভাড়া ৫ টাকা দিতে পারতাম কার্ড থাকলে। যাই হোক। একটু পর উত্তরা বিএনএস টাওয়ার এর কাছা কাছি চলে আসলাম। তখন দুজন নেমে রওনা দিলাম আমাদের ভেক্সিন কেন্দ্রের দিকে। খুব বেশি একটা দূর না।
https://w3w.co/segments.outwards.treat
উপরে যে ছবি দিয়েছি সেটি আমাদের টিকা কেন্দ্রের ছবি। প্ল্যান ছিলো কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এ কেন্দ্র দিতে। কিন্তু তখন সেখানে স্লট ছিলোনা। তাই কাছা কাছি উত্তরাতেই দিলাম। কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল এটি উত্তরা ৬ নং সেক্টর এ। তো হাটতে হাটতে ভিতরে চলে গেলাম। সেখানে দেখলাম মোটামুটি ভিড়। অত বেশি ছিলোনা যদিও। প্রথমেই ছোট এক লাইন। সে লাইন ধরে সামনে এগোলাম। ওখানে যারা ছিলেন তারা আমার টিকা কার্ডে থাকা কিউয়ার কোড স্ক্যান করলো আর কি টিকা পাবো তার নাম লিখে দিলো।
https://w3w.co/segments.outwards.treat
কার্ড স্ক্যান করার পর সোজা ভিতরে চলে গেলাম। সেখানে নিরাপত্তাকর্মী দেখিয়ে দিলেন কোথায় যেতে হবে। আমি আমার আমার বন্ধু সেখানে চলে গিয়ে লাইন ধরলাম। কারন লাইন ছিলো। একটু পর ভিতরে ঢুকে যাই লাইন পার করে। তবে আমার বন্ধুকে ঢুকতে দিচ্ছিলোনা। কারন ওর কাছে মাস্ক ছিলোনা। আমি এবার ও একটু হতাশ হলাম। কারন ভাবলাম যে আমার বাংলা ব্লগ এ পোস্ট করবো। এখন তো ছবি তোলার মানুষই পেলাম না। কিন্তু দেখি পিছন দিয়ে ও। তাও আবার নতুন মাস্ক মুখে। জিজ্ঞাস করলাম কই পেলো। বলে এক আপু দিয়েছে। যাক টিকা শেষ করে সেখান থেকে বার হয়ে গেলাম। বরাবর এর মতই টিকা দিতে কোনো সমস্যা হলোনা। শুধু একটু ব্লিডিং হয়েছে । আমি আবার ব্লিডিং হলে ভাবি এই বুঝি আমার দেওয়া টিকা বের হয়ে গেলো। হাহাহা 😂😂😂।
টিকা পেলাম ফাইযার। একটু ভালো লাগলো। কারন কিছু দিন এখানে মডার্না টিকা দিয়েছিলো বুস্টার হিসেবে। প্রথম দুই ডোজ পেয়েছিলাম সিনোফার্ম। সেখান থেকে বাইরে এসে কিছু সেলফি তুললাম আমি আর আমার বন্ধু। তারপর বাসার দিকে রওনা দিলাম। কারন হাতে অনেক কাজ ছিলো। তবে মজার বিষয় হচ্ছে টিকা দিয়ে বার হওয়ার পরই আমার হাতে ব্যাথা শুরু হলো। বন্ধুকে বলায় ও বললো আমি নাকি দুর্বল। কিন্তু বাসে উঠার পর শুনি ওর ও ব্যাথা শুরু হয়েছে।
https://w3w.co/segments.outwards.treat
তো এই ছিলো আমার করোনার বুস্টার ডোজ টিকা দেওয়ার অনুভূতি। কেমন হলো কমেন্ট করে লিখে জানাতে ভুলবেন না।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
![New Project.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmcy6xrfUw52NFXmxqn8Q2TtwwGZHB9pwZUJZQcRrkJbZT/New%20Project.gif)
প্রথমে আপনাকে অভিনন্দন জানায় বুস্টার ডোজ গ্রহণ করা যদিও আমি এখন পর্যন্ত তৃতীয় ভোজ গ্রহণ করিনি। তবে খুব শীঘ্রই তৃতীয় ভোজ গ্রহণ করব ভাবছি ,শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যা ভাইয়া। দিয়ে ফেলুন। সেভ থাকবেন।
করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দিয়েছেন আপনি। খুবই ভালো একটি উদ্যোগ আমাদের সবাইকে সবার উচিত এভাবে করোনার টিকা এগুলো দিয়ে দেয়া। কারণ সব রোগের জন্য সতর্ক থাকা উচিত।
হুম যদিও আমি ভ্যাক্সিন করোনার জন্য দেইনি। তবে আমি দিয়েছি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য।
যাক অবশেষে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করলেন তবে আমার এখনো বুস্টার ডোজ গ্রহণ করা হয়নি ভাবছি খুব দ্রুত বুস্টার ডোজ নিয়ে নিবো। তবে আপনি ফাইজার ডোজ পেয়েছেন সেটা একটু বেশি কার্যকরী।
মেসেজ আসলে নিয়ে ফেলেন। তবে খোজ নিয়ে দিতে পারেন। কোন টিকা চলতেছে কে যানে। আমি ভেবেছিলাম মডার্না পাবো। কিন্তু দেখি ফাইজার পেলাম।
বুস্টার ডোজ আমার এখনো বাকি রয়েছে ভাই। আপনি দিয়ে ফেলেছেন দেখে স্মরণ হল। আমিও সুযোগ করে দিয়ে দিতে হবে।
হ্যা ভাইয়া। দেরি করবেন না। যতদ্রুতো সম্ভব দিয়ে ফেলেন। ভালো হবে আপনার জন্যই।
করোনার ভেক্সিম এর বুস্টার ডোজ গ্রহণ খুব ভালো একটি উদ্যোগ। আমাদের সকলেরই সে উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। স্টুডেন্ট কার্ড টা নিলেই ৫টাকা সেইফ হিয়ে যেত। পরবর্তী স্টুডেন্ট কার্ড টা সবসময় মানি ব্যাগ এ রেখে দিবেন হাহা। ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হুম ভাই। সেদিনই বাসায় এসে স্টুডেন্ট কার্ড মানি ব্যাগ এ রেখেছিলাম।
করোনার ভ্যাকসিনের বুস্টার ভোট দেওয়ার অনুভূতি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার ভ্যাকসিন দেয়ার অনুমতি দেখে আমি অনেক আনন্দিত হলাম। আমিও দুইটা ভ্যাকসিন দিয়েছি ।সব থেকে বিরক্ত লাগে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ।ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এটা ঠিক লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বিরক্তিকর। তবে কি আর করা। আর যাই হোক ফ্রিতে ৩ ডোজ টিকা দিয়েছি আর কি লাগে।
করোনার ভেক্সিন এর বুস্টার ডোজ দেওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার পোস্ট ভিজিট করে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্ট ভিজিট করে এতো সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
প্রথম দুটো চায়না লাষ্ট এর টা ফাইজার। ভাল করেছেন টিকা দিয়ে করোনা আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। কখন কি হয় বলা যায় না। টিকা দিয়ে রাখা ভাল। ভাল থাকবেন।
হেহে। এটা ভালো বলেছেন। ফাইজার পেয়ে ভালোই লেগেছে। শুনেছি ফাইজার ভালো অনেক। দেখা যাক বাকিটা কি হয়। আপনিও কি দিয়েছেন সব গুলো?
আপনার বুস্টার ডোজ দেয়ার অনুভূতিটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই। আপনার জন্য দোয়া করি আপনি যেন সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারেন । আমাদের সবারই বুস্টার ডোজ দিয়া উচিত আমি নিজেও করোনার ভ্যাকসিন গুলো সম্পন্ন করেছি ধন্যবাদ।
ইন শা আল্লাহ। জেনে ভালো লাগলো যে আপনিও সব গুলো দিয়েছেন।
বুস্টার ডোস দেয়ার পরে দুইদিন শরীর ব্যাথা ছিল। সেই সাথে হালকা জ্বর ও ছিল আমার। আপনার গল্প পড়ে সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেল ভাই। গুছিয়ে লিখেছেন সব কিছু। ধন্যবাদ আপনাকে
আমার জ্বর আসেনি। তবে হাতে ভালোই ব্যাথা ছিলো।