বন্ধুর বোন এর বিয়ের দাওয়াতে.......

কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও একটু ফুরফুরে আছি। তবে ব্যস্ততা কিন্তু কমছেই না। চাইলেও পারছিনা সময় বেড় করতে। এতো এতো ব্যস্ততার চাপায় আমি পিষ্ট হয়ে গিয়েছি। যাক গতকাল শুক্রবার এক বিয়ের দাওয়াত এ গিয়েছিলাম। আজ সে নিয়েই কথা বলবো আপনাদের সাথে। আশা করি ভালো লাগবে।

বিয়ের দাওয়াতটা ছিলো আমার এক বন্ধুর বোন এর। তবে আমি যাবো কিনা শিউর ছিলাম না খুব একটা। প্রথমত শুক্রবার আমার ক্লাস থাকে। আর হাতে টাকাও নাই তেমন। তবে যতই হোক বন্ধুর বোন বলে কথা। যেতে তো হবেই। সাথে আমার অন্য বন্ধুরাও জোড় করতেছিলো যাওয়ার জন্য। তাই ভাবলাম যাবো। প্ল্যান ছিলো শুক্রবার ক্লাস করে এসে জুম্মার নামাজ পড়ে তারপর বিয়ের অনুষ্টানে যাবো। তো গতকাল সকালে ঘুম ভাঙ্গে সকাল ৭ টা ৩০ এ। ক্লাস ছিলো সকাল ৮ টা ১৫ থেকে। শুয়ে থেকেই ভাবলাম আজ যাবোনা। কিন্তু আব্বু এসে ডাকা ডাকি শুরু করলো। বললো গত সপ্তাহে যাইনি। তাই উঠে ফ্রেশ হয়ে রউনা দিয়ে দিলাম। ৮ টা ৪০ এ ক্লাসে পৌছালাম। সে ক্লাস করতে করতেই ভাবতে থাকলাম পরের দুই ক্লাস করবো কিনা। অনেক চিন্তার পরে সিদ্ধান্ত নিলাম যে পরের দুই ক্লাস করবোনা। কারণ আমার খুব ঘুম পাচ্ছিলো। যাক কোনো মতে ক্লাস শেষ করে বাসার দিকে রউনা দিলাম। কিন্তু খুদা লাগলো খুব। তাই একটা রেস্তোরা থেকে সকালের নাস্তা সেরে নিলাম। এরপর বাসে চরে একদম বাসায়। বাসায় এসে ব্যাগটা রেখেই দিলাম এক ঘুম। আহ কি শান্তির ঘুম। বৃষ্টি হওয়াতে ঘুমটা বেশ হয়েছিলো। মাঝে দুই বন্ধু ফোন দিয়ে বললো বেড় হতে। গিফট কিনতে যাবে। কিন্তু আমি ঘুম দেখে বললাম ওদেরই সামলে নিতে।

মাঝে আরো কয়েকবার কল দিলো। আবার ফেসবুক এ ছবিও পাঠালো। আমি বলে দিলাম ওদের যেটা ভালো মনে হয় সেটাই নিতে। কারণ এসব জিনিশ সম্পর্কে আমার ধারনা একদম কম। যাই হোক কি আর করার। আমি আবার ঘুম দিলাম। এরপর ঘুম থেকে উঠে গোসল করতে চলে গেলাম। গোসল করে আসার পর নামাজ এর জন্য মসজিদ এর দিকে রউনা দিলাম। কিন্তু ভেতরে যেয়ে দেখলাম যায়গা নাই একদম। এরপর আর কি করা অনেক কষ্টে নামাজ পরে বাসায় এসে ওদের কল দিলাম। ওরা বললো সবাই বের হবে কিছুক্ষন এর মধ্যেই। আমি আর ড্রেস পাল্টালাম না। নামাজ এর জন্য একটা মেরুন রঙ এর পাঞ্জাবি পড়েছিলাম সেটা পড়েই চলে যাবো সিদ্ধান্ত নিলাম। এরপর চলে গেলাম শুভোর বাসার সামনে। একটু পর প্লাবন আর সচিন ও আসলো। এরপর আমি শুভোর বাসায় গেলাম গিফট নামানোর জন্য। দুই প্যাক ছিলো তাই আরকি। শুরু হলো বৃষ্টি। এরপর দুই রিকশা নিয়ে চলে গেলাম বিয়ে বাড়িতে। তবে রাস্তার যাচ্ছে তাই অবস্থা ছিলো। মনে হচ্ছিলো কোমর এর হাড্ডিগুড্ডি সব ভেঙ্গে যাবে।

যাক রিকশা থেকে নেমে আমরা সাইডে দাঁড়ালাম। তখনো বৃষ্টি হচ্ছে গুড়িগুড়ি। একটু পর আমাদের আরেক বন্ধু জোবায়ের আসলো আমাদের স্বাগতম জানাতে। ওর ক্লোজ বন্ধু। এরপর আমরা গল্প করতে থাকলাম । আমাদের যাইতে একটু দেড়ি হয়ে গিয়েছিলো। তবে তখনো বর পক্ষ আসেনি। তবে কণে পক্ষের সবার খাওয়া দাওয়া শেষ। আমরা ৪ জন হয়ে গেলাম একলা। তবুও কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে এরপর বসে খেলাম খেতে। হাবার গুলার স্বাদ দারুণ ছিলো। আমি অনেক পরিমানে খেয়েছি। এরপর আবার চলে গেলাম আড্ডা দিতে। অনেক্ষন আড্ডা দিয়ে বউ দেখে বিদায় নিলাম সেখান থেকে। এরপর আমরা আরেক যায়গায় চলে গেলাম। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত আড্ডা দিলাম। এরপর বাসায় চলে আসলাম আরকি।